চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি বিভাগের আধুনিকায়ন মিউজিয়ামের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ এর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ ও শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবু সুফিয়ান, ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন, সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া, ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সারওয়ার আলমসহ চিকিৎসকগন উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ বলেন, মেডিকেল পড়াশুনার জন্য যুগোপযোগী সকল কিছু অপরিসীম। আধুনিকায়ন ব্যতীত মেডিকেল কার্যক্রমে অসমাপ্তি রয়ে যায়। তাই সকল বিভাগের আধুনিকায়নই একান্তই প্রয়োজন। এ সময় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সকল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাপান থেকে নিয়ে আসা দুই শিশুর অভিভাবকত্ব চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় অসহায় বাবার পিতৃ স্নেহের প্রতি সম্মান জানিয়ে ও অন্তত একটি শিশুকে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন হয়েছে।
“বিবেকের আদালত থেকে মানবতার দিক থেকে বাবার আশা এবং বেঁচে থাকুক অন্তত একটি মেয়েকে নিয়ে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সচেতন নাগরিকদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন- বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. হেলিম আহম্মেদ, কবি ফয়েজ আহমেদ, হৃদয় দেবনাথ, মোবাশ্বের ইসলাম, মাহমুদুল হাসান রিফাত, নাহিদ মো. সাদিক প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, জাপান থেকে নিয়ে আসা দুই শিশুর অভিভাবকত্ব চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আদালত বাবার করা মামলা খারিজ করে দেওয়ায় দুই শিশু এখন থেকে মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। এতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অসহায় বাবার প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে অন্তত এক সন্তানকে তার কাছে সমর্পণের দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, জাপান থেকে নিয়ে আসা দুই শিশুর হেফাজত ও অভিভাবকত্ব চেয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করেন ইমরান শরীফ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অধিক দামে কাপড় ও ফল বিক্রির দায়ে চার প্রতিষ্ঠানকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ২৫ মার্চ সোমবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের হালদারপাড়া ও মসজিদ রোডে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান জানান, পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে শহরে হালদারপাড়ায় কাপড়ের দোকান ও মসজিদ রোডে ফলের দোকান ও ফলের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় দেখা যায় হালদারপাড়ার ফড়িং ও ফ্রেঞ্জি নামে কাপড়ের দোকানে এক দাম লিখে রাখা হয়। কিন্তু তারা অনেকের কাছে লিখে রাখা দামের কম দামেও বিক্রি করছিলেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ফড়িংকে ১০ হাজার ও ফ্রেঞ্জিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, মসজিদ রোডে বেশি দামে ফল বিক্রি করায় দায়ে ২ দোকানিকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার পাশাপাশি তাদের সর্তকও করা হয়। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই এমপি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের আনিসুল হক তৃতীয়বারের মতো (আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়) এর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। জেলায় দুই জন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী পেয়ে উচ্ছ্বসিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, এ দুই মন্ত্রীর হাত ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়নে এগিয়ে যাবে।
১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে জেলায় রূপান্তরিত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। প্রায় ৩৫ লাখ জনসংখ্যার এ জেলায় অন্যান্য জেলার তুলনায় উন্নয়ন তেমন হয়নি। এবার দু’জন মন্ত্রী পাওয়ায় জেলাবাসীর প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, দুই মন্ত্রী পেয়ে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত। আশা করি আমাদের জেলা তাদের হাত ধরে স্মার্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া হিসেবে গড়ে উঠবে।
প্রত্যাশার কথা জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার বলেন, আমাদের প্রত্যাশা দীর্ঘদিনের। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির যে ফারাক ছিল তা এবার পূরণ হবে বলে আশা করি।
সামাজিক সংগঠন তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বলেন, একজন পরিবেশকর্মী হিসেবে আমার অনুরোধ থাকবে, নদী-প্রকৃতি সুরক্ষা করেই যেন সব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই শতাধিক রিক্সা চালক ও পথচারীর মধ্যে ইফতার বিতরণ করেছে “আমরা বন্ধু” নামের একটি সামাজিক সংগঠন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই ইফতার বিতরণ করা হয়। পরে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে বন্ধুদের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে. ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, রামকানাই হাই একাডেমী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৬,১৯৯৭ এবং ১৯৯৮ সালের এসএসসি ব্যাচ নিয়ে আমরা বন্ধু নামের গঠনটি গঠন করা হয়। এই সংগঠনের সদস্যরা দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন স্থানে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। এই সংগঠনে রয়েছে প্রায় সাড়ে চারশত বন্ধু।
সংগঠনের সদস্য মোঃ মনির হোসেন বলেন, আমরা প্রতি বছরেই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ভালো কিছু করার চেষ্টা করি। আজ দুই শতাধিক মানুষের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করেছি। তিনি বলেন, এটি একটি সামাজিক সংগঠন। এই সংগঠনে সকলেই সমান। এই সংগঠনে কোন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নেই।
সংগঠনের সদস্য সিকদার আশা বলেন, আমি দুবাই থাকি। পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ-উল ফিতর উদযাপনের জন্য কিছুদিন আগে দেশে এসেছি। আজ বন্ধুরা মিলে দুইশতাধিক পথচারী ও রিক্সা চলককে ইফতার করাতে পেরে ও সকল বন্ধুরা একসাথে ইফতার করতে পেরে ভালো লাগছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৯শত জন কৃষকের মাঝে শীতকালীন সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৩ নভেম্বর রোববার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগমের তত্ত্বাবধানে কৃষকদের মাঝে এই সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।
সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সালমা সুলতানা, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক তালুকদার ও সকল ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রণোদনার কর্মসূচি আওতায় রবি ২০২৪-২৫ মৌসুমে সম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে শীতকালীন সবজির আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৯০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে।
কৃষকদের মাঝে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ, ব্রোকলি, লাউয়ে বীজ ও ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার এবং বিকাশের মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষককে ১হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।