চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সিএনজি অটোরিক্সা ও এক্সকেভেটরের সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে একই পরিবারের আরও তিনজন।আজ ২৫ মার্চ শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের ভাটিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতরা হলো- বানিয়াচং উপজেলার ছিলাপাঞ্জা গ্রামের কালাই উল্লাহর ছেলে আব্দুল মঈন (৬০) ও তাজ উদ্দিন (৩৫)।
বানিয়াচং থানার (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, আব্দুল মঈনের শাশুড়ির নামাজে জানাজায় যোগ দিতে দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে একই উপজেলার উজিরপুরে যান পরিবারের পাঁচজন। সেখান থেকে সন্ধ্যায় পাঁচজন সিএনজি অটোরিক্সায় বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তাদের সিএনজি অটোরিক্সাটি ভাটিপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি এক্সকেভেটরের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই ভাই মারা যান। বাকি তিন আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সিলেটে প্রেরণ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে একদিনেই ২৯২টি মামলা করেছে ট্রাফিক বিভাগ। ঢাকা মহানগরীতে এসব মামলায় ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. ওবায়দুর রহমান এসব তথ্য জানান।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, যারা সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং আইন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার একদিনে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ২৯২টি মামলা ও ১৭ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে ট্রাফিক পুলিশ।
ওবায়দুর রহমান আরও জানান, নগরীর বিভিন্ন সড়কে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩৯টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের কাছ থেকে ছয় লাখ নয় হাজার টাকা তাৎক্ষণিক জরিমানা আদায় করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণুবিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৮২তম জন্মবার্ষিকী আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ জামাতা। ১৯৪২ সালের এই দিনে ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদীঘির ফতেহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ওয়াজেদ মিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, এম এ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, স্মৃতিচারণা, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল, গরিব ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
ওয়াজেদ মিয়া ১৯৫৬ সালে রংপুর জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৫৮ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। তিনি ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি পাস করেন। ১৯৬৭ সালে লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-৬২ শিক্ষা বছরের জন্য হল ছাত্রসংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনে গ্রেপ্তার হন। ১৯৬৩ সালের ১ এপ্রিল তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনে যোগ দেন। ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষা বছরে তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ‘ডিপ্লোমা অব ইম্পেরিয়াল কলেজ কোর্স’ কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করেন।
ওয়াজেদ মিয়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর স্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘ সাত বছর নির্বাসিত জীবন কাটান। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মতোই তিনিও ’৭৫-পরবর্তী সামরিক শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার হন। ২০০৯ সালের ৯ মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে তাঁর মা-বাবার কবরের পাশে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
প্রয়াত এই বিজ্ঞানী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পদার্থবিজ্ঞান, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও প্রকৌশলের ছাত্রদের জন্য দুটি গ্রন্থ রচনা করেন।
তাঁর লেখা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ শিরোনামের গ্রন্থটি ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে এবং ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের চালচিত্র’ নামের আরেকটি গ্রন্থ ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড থেকে প্রকাশিত হয়।
আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রাণপুরুষ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণুবিজ্ঞানী হিসেবে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিজ্ঞান গবেষণার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ বিজ্ঞানাগার এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
বীমা সুবিধা বেড়েছে প্রবাসী কর্মীদের। বিদেশ যাত্রার সময় এক হাজার টাকা কিস্তি (প্রিমিয়াম) দেওয়া কোনো প্রবাসীর মৃত্যু বা অঙ্গহানি হলে বীমার আওতায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন কর্মী ও তার পরিবার। আর চাকরি হারিয়ে ছয় মাসের মধ্যে ফিরলে পাবেন ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ।
এসব সুবিধা রেখে আজ ১২ মার্চ রবিবার জীবন বীমা করপোরেশেনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।
এর আগে ২০১৯ সালে প্রবাসী কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক বীমা চালু করে সরকার। ৯৯০ টাকা কিস্তিুতে দুই বছর মেয়াদী বীমায় সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হতো।
নতুন বীমা নিয়মে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সীরা পাঁচ বছর মেয়াদী বীমা করতে পারবেন। বীমার মেয়াদ পূর্ণের ৯০ দিন পরও দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে পুরো ১০ লাখ টাকা পাবে কর্মীর পরিবার। দৃষ্টিহানী, হাতের কব্জি, পায়ের গোড়ালি কাটা পড়লে পুরো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। হাতের বা পায়ের একটি আঙ্গুল কাটা পড়লে লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
তবে প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে আত্মহত্যা করলে ক্ষতিপূরণ পাবে না কর্মীর পরিবার। এ ছাড়া এইডস ও মাদক গ্রহণে মৃত্যু হলে বীমা সুবিধা পাওয়া যাবে না।
জীবন বীমা করপোরেশন মুনাফার ৫০ শতাংশ ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে প্রবাসীদের জন্য খরচ করবে। একে নজিরবিহীন সুবিধা বলেছেন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বিদেশে কোনো মৃত্যু হলে সৎকারের জন্য ৩৫ হাজার এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন লাখ টাকা দেয় সরকার। তা অব্যহত থাকবে জানিয়ে ইমরান আহমদ বলেন, নিয়মানুযায়ী নিয়োগকারী কর্মীরা চিকিৎসা দেবে। কিন্তু তা পাওয়া যাচ্ছে না। কর্মীরা বিদেশে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। তাদের জন্য বিকল্প ভাবতে হবে। যে দেশে কর্মী যাচ্ছে, সেই দেশে বীমা করা যায় কিনা- তা দেখা যেতে পারে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠন বায়রার সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদ। তিনি বলেন, নতুন কর্মীরা বর্ধিত বীমা সুবিধা পাবেন। আগে থেকে যে লাখ লাখ কর্মী বিদেশে রয়েছেন, তাদেরও বীমার আওতায় আনা প্রয়োজন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, প্রবাসী কর্মীদের পরিবার ও সন্তানরা অভিবাসনের সামাজিক মূল্য দিচ্ছে। তাদের জন্যও বীমা সুবিধা প্রয়োজন।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম বলেন, যেসব নারী কর্মী যৌন নির্যাতনের শিকার করে হয়ে দেশে ফিরেছেন, বীমায় তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নেই। কর্মীরা বিদেশে আইনের জটিলতায় পড়লে, এর জন্য বীমা থেকে সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। একজন কর্মী তিন চার লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ যান। চাকরি হারিয়ে ফিরলে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পর্যাপ্ত নয়।
চুক্তিতে জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুল হক চৌধুরী এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ২৭ মার্চ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। এই রাত মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই রাত ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটান। ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাত শবে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই শবে কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত। শবে কদর উপলক্ষে ২৭ রমজান সরকারি ছুটি থাকে। এবার দিনটি শুক্রবার পড়েছে।
শবে কদরের রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়। এই রাতকে কেন্দ্র করে পবিত্র কোরআনে ‘আল-কদর’ নামে একটি সুরাও আছে। ‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত।
পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর আজ ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হবে শবে কদরের রজনী। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে সারা দেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদতের মাধ্যমে পালন করবেন পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাত।
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর মহান আল্লাহর এক অফুরন্ত দান। তার নৈকট্য অর্জনের এক পবিত্র রজনী। পাপ মোচন এবং কল্যাণ লাভের এক অনন্য রাত। ভাগ্য নির্ধারণের মাহেন্দ্রক্ষণ।
এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে ইবাদত করবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রাত কাটাবেন।
পবিত্র কোরআন ও একাধিক হাদিসের ভাবার্থ থেকে প্রতীয়মান হয়, লাইলাতুল কদর রাতে কোরআনে কারিম নাজিল হয়েছিল। তাই এ রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়।
মুমিন বান্দার সাথে ফেরেশতাদের সাক্ষাৎ লাভের এক পবিত্র মুহূর্ত। নেকি হাসিলের এক পরম সুযোগ। এক রাতেই অর্জিত হয় হাজার মাসের ইবাদতের সওয়াব। এ রাতকে ঘিরেই সৃষ্টি হয় আসমানবাসীদের মাঝে আনন্দের আবহ।
এ ধরায় অবতীর্ণ হন জিবরাঈল আ. তার কাফেলাসহ। মুসাফাহা করেন ইবাদতগুজার প্রত্যেক বান্দার সঙ্গে। সৃষ্টি হয় দয়ার সাগরে ঢেউয়ের। বর্ষিত হয় রহমতের বারি সুবহে সাদিক পর্যন্ত।
কদর রজনী সহস্র মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সেই রজনীতে ফেরেশতাগণ ও রুহ (জিবরাইল আ.) অবতরণ করেন (এই পৃথিবীতে)। তাদের রবের হুকুমে প্রত্যেক ভালো এবং কল্যাণকর বিষয় নিয়ে। শান্তিই- শান্তি সেই রজনী সুবহে সাদিক উদিত হওয়া পর্যন্ত। (সুরা কদর ৩-৫)
নবীজি সা. ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস এবং সওয়াব প্রাপ্তির প্রত্যাশায় রোজা রাখবে তার পূর্বের গুনাহ সমুহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে পূর্ণ বিশ্বাস ও সওয়াব প্রাপ্তির আশায় কিয়াম (ইবাদত-বন্দেগি) করবে, তার পূর্বের গুনাহ সমুহ মাফ করে দেয়া হবে। (সহিহ বুখারি ২০১৪)
পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে আগামীকাল ২৮ মার্চ শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকবে।