১৩ ব্যবসায়ীকে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা

জাতীয়, 25 March 2023, 1438 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে রমজান মাস উপলক্ষে বাজার মনিটরিংয়ে নামে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২৫ মার্চ শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারেফ হোসাইন।

banner

বাজার মনিটরিং করার সময় দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায়, ও অতিরিক্ত টাকায় জিনিসপত্র বিক্রি করায় ১৩ ব্যবসায়ীকে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত।

জানা যায়, শনিবার বোয়ালমারী পৌর সদরের মুরগির বাজার, চালের বাজার, মাছের বাজার, কাচা বাজার, মাংসের বাজারসহ সকল ধরণের বাজার মনিটরিংয়ে নামে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মনিটরিং করার সময় দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় এবং জিনিসপত্র অতিরিক্ত টাকায় বিক্রি করাসহ নানা অপরাধে ১৩ ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাজার মনিটরিং করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারেফ হোসাইন। এ সময় সকল ব্যবসায়ীকে মূল্য তালিকা টানানোর নির্দেশ দেন তিনি ।
জরিমানা দেওয়া ব্যবসায়ীরা হলেন, মুরগি ব্যবসায়ী মিজানুরকে ১ হাজার, আলমগীর শেখ ১ হাজার, নুরুল ইসলাম ৩ হাজার, টুটু ১ হাজার ও মুদি দোকান ব্যবসায়ী মুক্তার ৫ হাজার, টিপু শেখ ৩ হাজার, সন্তোষ কুমার ৫ হাজার, বিশ্বনাথ ৫ হাজার, নিরজন ৩ হাজার এবং মাংস ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম ৩ হাজার, আনোয়ার হোসেন ৩ হাজার, ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী বিপ্লব ১৫০০, মিটুর ১৫০০ টাকা জরিমানা দেন। তের ব্যবসায়ী থেকে সর্বমোট ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারেফ হোসাইন বলেন, পবিত্র রমজান মাসে বাজার মনিটরিং করার সময় মূল্য তালিকা না থাকায় এবং দাম বেশি নেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ও বিভিন্ন ধারায় ১৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা ৩৬ হাজার টাকা করা হয়েছে। রমজান মাসসহ সারা বছর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

বাঞ্ছারামপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য Read more

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল Read more

রাইস কুকারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক : মাগুরার সদর উপজেলার টিলা গ্রামে রাইস কুকারে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

চলারপথে রিপোর্ট : সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় Read more

নাসিরনগরে মৎস্য আড়তে অভিযান, নিষিদ্ধ পিরানহা…

চলারপথে রিপোর্ট : বিক্রির জন্য রাখা নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন চাঁদাবাজ গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর নামক এলাকায় চাঁদাবাজির Read more

সড়ক মেরামতের সপ্তাহ না পেরোতেই উঠে…

চলারপথে রিপোর্ট : সড়ক মেরামতের এক সপ্তাহ না পেরোতেই ইতিমধ্যে Read more

কসবায় গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে এস আই Read more

শাস্তি পেলেন ঋষভ পন্ত

অনলাইন ডেস্ক : আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট Read more

বাংলাদেশে গুগল পে এর উদ্বোধনী

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর Read more

যে কাজে নেক আমল নষ্ট হয়

ইসলাম ডেস্ক : মানুষের জীবনের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক হলো Read more

নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন, ভয় দেখান মির্জা ফখরুল: ওবায়দুল কাদের

জাতীয়, রাজনীতি, 29 September 2023, 1274 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের ভিসা নীতির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়েও লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন, ভয় দেখান মির্জা ফখরুল। বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের কী হলো? ফলাফল কী?

banner

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষেধাজ্ঞাকে ভয় করলে বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করতে পারতেন না। নিষেধাজ্ঞাকে কেউ ভয় করলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, সোনালি অর্জন– সেগুলো হতো না। তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন সংবিধান নির্ধারণ করবে। আমরা তত্ত্বাবধায়ক মানি না। তত্ত্বাবধায়ক এখন মরা লাশ, ওই লাশ এখন আমাদের দিয়ে লাভ নেই।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল-আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল প্রমুখ।

‘সময়ের সঙ্গে বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে’

এর আগে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির প্রথম বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে নিষেধাজ্ঞা দিল, সেটা আমাদের মাথাব্যথা নয়। আমরা তো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করব। কাজেই নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য নয়।

দলের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে তিনি বলেন, ইশতেহার পড়ে ক’জন? সেটা খেয়াল রেখে ইশতেহার প্রণয়ন করতে হবে। সেখানে বুলেট পয়েন্ট দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আনতে হবে। সময়ের সঙ্গে বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। সামনে কঠিন সময়, জুঁই ফুলের গান গেয়ে লাভ নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রিসভা ছোট কি বড় হবে, সেটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি চাইলে গতবারের মতো যেভাবে আছে, সেভাবেও থাকতে পারে। এটাতে আর কারও কিছু করার নেই। সেই নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার কার্যক্রম হবে, রুটিন ওয়ার্ক। গুরুত্বপূর্ণ কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত তারা নেবে না।

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির আহ্বায়ক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ ছাড়াও নির্বাচনী ইশতেহারের মূল ফোকাস থাকবে শিল্প খাত। ছোট শিল্প প্রসারের পাশাপাশি ভারী শিল্পের দিকেও যেতে হবে। কৃষিতে ভর্তুকি থাকবে। সেবা খাতকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।

ড. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন উপকমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ড. শামসুল আলম, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।

ফল প্রকাশের পর ভোট বাতিলের ক্ষমতা পাচ্ছে ইসি

জাতীয়, 27 February 2023, 1495 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
নির্বাচনে অনিয়ম করে কেউ জয়ী হওয়ার পর ফলাফলের গেজেট প্রকাশ হলেও তা বাতিলের ক্ষমতা পাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

banner

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এমন ইঙ্গিত দেন।

তিনি জানান, গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ভোট বাতিলের ক্ষমতা সংক্রান্ত ওই সংশোধনী প্রস্তাবে আইন মন্ত্রণালয়ের সায় মিলেছে।

আরপিও সংশোধনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক এ জেলা জজ বলেন, দুয়েকটি জায়গায় আরো চিন্তাভাবনা করার জন্য আইন মন্ত্রণালয় বলেছিল। ইভিএমে আঙুলের ছাপ মেলে না, তাই ১ শতাংশ ভোটারের ভোট প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার আঙুলের ছাপ ব্যবহারের বিষয়টি আমরা নির্ধারিত করে দিতে চাচ্ছিলাম। আইনে এক শতাংশের বেশি অনুমোদন করবো না, এমনটি আসুক। উনারা (আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা) জানালেন, এটা বিধিমালা দিয়ে আওতায় আনা সম্ভব। এ বিষয়টিতেই তারা আপত্তি করেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের গেজেট হওয়ার পর অনিয়ম হলে আরপিওতে কোনো কিছু করার ক্ষমতা নাই। বন্ধ করা বা এ সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য সংশোধনীর প্রস্তাব আমরা দিয়েছিলাম। যাতে ফলাফল ঘোষণার পর ক্ষমতা কমিশনের হাতে থাকে। কিন্তু উনারা বললেন, ৯১ (ধারা) দিয়েই কাভার হচ্ছে। কিন্তু তা হয় না আমরা জানি। উনাদের যুক্তিটা তুলে ধরলাম।

বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আমি কমিশনে যোগ দেওয়ার পর একটি ফাইল এলো। ময়মনসিংহের দুর্গাপুরে একটা নির্বাচনে হয়ত ব্যালট ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। তখন কমিশন গেজেট হওয়ার পর ভোট বাতিল করেছিল। কিন্তু মাননীয় হাইকোর্ট বললেন, গেজেট হওয়ার পর কমিশনের করার কিছু থাকে না। আমরা এজন্য কমিশনের হাতে ক্ষমতা যেন থাকে; প্রস্তাব করেছিলাম। উনারা জানতে চাইলে আমরা এই ঘটনাটি ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম।

গেজেট হওয়ার পরে ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে, তার আগে তো পারা যাবে না। যখন একজন হারবেন, তিনি আইনের আশ্রয় নিতেই পারেন, উনার অধিকার। তখন কোর্ট কমিশনের কাছে ব্যালট চাইলেন। কিন্তু সেটি তো উদ্ধার হয়নি। কখন কার কাছে চলে গেছে। তো যেটা উদ্ধার হয়নি, সেটা কীভাবে কোর্টকে দেবে? এক্ষেত্রে তো কমিশনের কিছু করার থাকবে না। এই রকম পরিস্থিতি যদি সামনে আসে কমিশনের হাতে অবশ্যই একটা ক্ষমতা থাকা উচিত যাতে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া যায়। কারণ, যিনি ডিপ্রাইভড হলেন বলে মনে করেন, তার তো ক্ষতিপূরণের জায়গা নেই। এই কারণে আমরা সংশোধন আনার প্রয়োজন মনে করেছি।

এ নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের যারা বৈঠকে ছিলেন তারা আমাদের জাস্টিফিকেশনে খুশি। তারা বলছেন আর কোনো অসুবিধা নেই। এখন কেবিনেটে যাবে। পাশ হবে সংসদে। এটাই উনারা পাঠাবেন। ভেটিংয়ে আর বাদ যাচ্ছে না। কেবিনেট থেকে সংসদে যাবে। উনারা যদি মনে করেন কোনটা রাখবো, কোনটা রাখবো না, এতে তো কারোরই কিছু বলার নাই। আইন মন্ত্রণালয়েরও প্র্যাকটিক্যালি কিছু করার থাকবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, প্রত্যেকটা নির্বাচনে আমরা বলেই দেব কত শতাংশ ভোটারের আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে ইভিএমের ব্যালট ইউনিট ওপেন করতে পারবেন। কেননা, যার আঙুল নেই তাকে তো ভোট দেওয়ার সুযোগটা দিতে হবে। ১ শতাংশ একটি জাস্টিফাইড সংখ্যা। প্রতি নির্বাচনের আগে বিধি দ্বারা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। অতীতে নাকি ৫ শতাংশও দেওয়া হয়েছিল; এমন অভিযোগ অনেকে করেন। কাজেই জাস্টিফাইড একটা সংখ্যা দিলে কেউ আর বলতে পারবে না তাই আমরা ১ শতাংশ দিতে চেয়েছিলাম।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের আপত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসিনি। প্রত্যেক ভোটের আগে আমরা সার্কুলার দিয়ে দিতে পারবো। কমিশন যখন সার্কুলার দেয় সেটাও কিন্তু আইন। আমরা আরপিওতে পাচ্ছি না, তবে বিধি দিয়ে করতে পারবো। আমরা সার্কুলার দিয়েই আগে করেছি। একটা পরিপত্র দিয়ে দিলেই হবে।

ভোটে সাংবাদিকদের দূরে রাখার বিষয়ে কমিশনার বলেন, সাংবাদিকদের দূরে রাখতে চাই না। রংপুরে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটা আমরা দিইনি। কোথা থেকে যে হলো আমি নিজেও জানি না। হয়তো আগের কোনো নির্দেশনায় ছিল। সম্ভবত মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছিল। আমরা আপনাদের জন্য আরপিওতে ব্যবস্থা রাখছি। যন্ত্র কেড়ে নিলে শাস্তির প্রস্তাব করেছি।

কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই

আন্তর্জাতিক, জাতীয়, 23 April 2024, 1157 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।

banner

আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

পাঁচ চুক্তির মধ্যে আছে—উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দু’দেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

পাঁচ সমঝোতা স্মারকের মধ্যে আছে—কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

চুক্তিগুলোর মধ্যে প্রথমটিতে কাতারের পক্ষে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন হামাদ আল থানি ও বাংলাদেশের পক্ষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, দ্বিতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, তৃতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, চতুর্থটিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং পঞ্চমটিতে কাতার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান শেখ খলিফা বিন জসিম আল থানি ও বাংলাদেশের ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম সই করেন।

সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে সব কটিতে কাতারের পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সই করেন।

৭০ বছর বয়সে শিক্ষক শওকত আলীর দাম্পত্য জীবন শুরু

জাতীয়, 23 March 2023, 1568 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
অবশেষে দাম্পত্য জীবন শুরু করেছেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ৭০ বছর বয়সের চিরকুমার অবসরপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষক শওকত আলী হাওলাদার। তিনি এক কন্যা সন্তানের জননী বিধবা শাহিদা আক্তার নাজুকে (৩৫) বিয়ে করেছেন।

banner

রামপাল সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষক বিয়ের পর নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ত্রীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন। দ্রুত তা ভাইরাল হয়ে গেছে। অনেকে স্ত্রী নাজুর সঙ্গে শওকত আলী হাওলাদারে যুগল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে শুভ কামনা জানাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ কটু মন্তব্যও করছেন।
রামপালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক শওকত আলী হাওলাদারের বাড়ি উপজেলার জিগিরমোল্লায় হলেও তিনি হুড়কা গ্রামে বসবাস করেন। রামপাল কলেজে শিক্ষকতার পাশাপশি ভাইবোনদের মানুষ করতে তার সময়মতো বিয়ে করা হয়নি। পরিবারের সদস্যরা শওকত আলী হাওলাদারকে বিয়ের জন্য চাপ দিলেও তিনি সবসময় তা এড়িয়ে গেছেন। ভাইবোনেরা বিয়ে করে সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অবসরপ্রাপ্ত এই কলেজ শিক্ষক একাকিত্ব অনুভব করায় ৭০ বছর বয়সে এসে পার্শ্ববর্তী মোংলা উপজেলার মিঠাখালী এলাকার কন্যা সন্তানের জননী বিধবা শাহিদা আক্তার নাজুকে বিয়ে করেন।

গত শনিবার (১৮ মার্চ) ১০ লাখ টাকা দেনমোহরানা নিয়ে এবং নগদ পাঁচ লাখ টাকা ওয়াসিলে এ বিয়ে করেন শওকত আলী হাওলাদার। বিয়ের পোশাকে স্ত্রীর সঙ্গে তোলা সেই ছবি তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুই আইডিতে পোস্ট দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। রামপাল ছাড়িয়ে এই বিয়ের খরব এখন চায়ের দোকান, অফিসে আড্ডায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

শওকত আলী হাওলাদারের ছোট ভাই আব্দুল হালিম খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বড় ভাইয়ের কাছে মানুষ হয়েছি। সারাটা জীবন তিনি আমাদের সুখে দুঃখে বটবৃৃক্ষের মতো আগলে রেখেছেন। বড়ভাই কলেজ শিক্ষকতা থেকে অবসরে চলে আসায় এবং বর্তমানে আমরা নিজেদের পরিবার ও ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি অনেকটা একাকিত্ব বোধ করছিলেন। তার এই একাকিত্ব দূর করতে ও তাকে দেখভাল করতে এ সময় তার একজন সঙ্গিনী খুবই দরকার ছিল। এই পরিস্থিতে আমরা তাকে বিয়ের জন্য জোরাজুরি করলে তিনি একটা সময় এসে রাজি হন। এরপর আমরা মোংলা উপজেলার মিঠাখালি এলাকার এক কন্যা সন্তানের জননী বিধবা শাহিদা আক্তার নাজু (৩৫) সঙ্গে তাকে বিয়ে দিয়েছি। কনের আগের সংসারের মেয়েটার দায়িত্ব আমার বড় ভাই শওকত আলী নিয়েছেন। তারা বর্তমানে সুখে-শান্তিতে সংসার করছেন। পরিবারসহ নতুন বর ও কনে আগামীতে হজেও যাবেন। সংবাদমাধ্যমে দেশবাসীর কাছে এই নবদম্পতির জন্য দোয়া চাই।’

আদালত-বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি

জাতীয়, 5 December 2023, 761 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
সারা দেশের সব আদালত ও ট্রাইব্যুনাল এবং বিচারকদের গাড়ি ও বাসভবনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

banner

আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ চিঠি পাঠান।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে :
সম্প্রতি মহানগর দায়রা জজ আদালত, ঢাকা ও জেলা জজ আদালত এবং খুলনায় বোমা হামলা হয়েছে। ইতিপূর্বে কুমিল্লা আদালতে বিচারকের খাস কামরায় বিচারপ্রার্থীকে হত্যার ঘটনা ও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোতে সারা দেশের বিচারকরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দেশের বিচার ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ, বিচারকদের বহনকারী গাড়ি ও বাসভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অতি জরুরি।

প্রধান বিচারপতি সারা দেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ এবং বিচারকদের বহনকারী গাড়ি ও বাসভবনের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশনা দিয়েছেন। এমতাবস্থায় সারা দেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ, বিচারকদের বহনকারী গাড়ি এবং বাসভবনে সার্বক্ষণিক পুলিশি পাহারা ও পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েনসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।