চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে জাল টাকা ছড়ানোর অভিযোগে জুরু মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ২৬ মার্চ রবিবার বিকেলে উপজেলা সদরের চালের আড়ত থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে এ সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জুরু মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের বেল্লা গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল ছিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জুরু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি জাল নোট বহন ও বিনিময়ে করে প্রতারণা করে আসছেন। বিকেলে চারটি এক হাজার টাকার জাল নোট নিয়ে তিনি আড়তে চাল কিনতে যান। এসময় দোকানদাররা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তাকে আটকের পর আমি ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের দেখে মুখে ঢুকিয়ে তিনি জাল টাকা খেয়ে ফেলার চেষ্টা করেন কিন্তু পারেননি। এ ঘটনায় জুরু মিয়াকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সাবেক সদস্য মো. নাছির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৭ অক্টোবর রোববার রাতে নবীনগর পৌর সদর ভূমি অফিসের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ২৮ অক্টোবর সোমবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ শামিম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় মো. নাছির উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের সংবাদে আন্দোলনকারীদের ভেতরে ঢুকে কতিপয় দুষ্কৃতকারী থানাসহ সরকারি দপ্তরে ভাঙচুর, লুটপাট ও পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। এ ঘটনায় গত ১০ অক্টোবর পুলিশ বাদী হয়ে এক থেকে দেড় হাজার অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, সহিংসতার ঘটনায় যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের গ্রেফতার করা হবে।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের আরো পাঁচ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- নবীনগর উপজেলার কাইতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈকত আলী, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মলাই মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম অনিক, জিনদপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার বিল্লাল হোসেন ও লাউরফতেপুর ইউনিয়নের মেম্বার নাছর মিয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামে ১৯৭১ সালে ১০ অক্টোবর পাক হানাদার বাহিনী মহান মুক্তিযোদ্ধে ৪৩ জনকে একসাথে নির্মমভাবে হত্যার ৫৪তম দিবস উপলক্ষ্যে এক স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আজ ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার ১নং বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামের আত্নদানকারী শহীদদের স্মরণে গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তায়ন কমিটি আয়োজনে পাগলা নদীর তীরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের ৭১ স্মৃতিসৌধ এবং খারঘর গণকবর জামে মসজিদ ও মাদরাসার সামনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহ্ফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
খারঘর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্টানে খারঘর গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তায়ন কমিটি সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ ইমরুল কায়েস সুমনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম।
গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তায়ন কমিটি সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ জীবনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ অতিথি বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর ডা. আসাদুজ্জামান রিফাত, নবীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু মুছা, নবীনগর থানা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) সজল কান্তি দাস,নবীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এডভোকেট রেজাউল করিম সবুজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোখলেছুর রহমান, খারঘর যুদ্ধে যুদ্ধাহত রিনা বেগম,সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, রজব আলী মোল্লা, বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার, বড়াইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দীন মীর, বড়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার শিকার বাংলাদেশে যতগুলো গণকবর রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম খারঘর গণকবর। এটি বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহ্যবাহী জায়গা। এই জায়গাটি স্বাধীনতা পরবর্তী অনেকেই ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত সরকার কাছে এই এলাকা মুক্তিযোদ্ধা ও তরণ প্রজন্মের ও খারঘর গণকবর সংরক্ষণ কমিটির দাবি একটি গণকবর কমপ্লেক্স নির্মাণ ও অবহেলিত ৪৩ জন শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন করা।
বক্তারা আরো বলেন, খারঘর অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার রয়েছে যাদের পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করতে গিয়ে শহীদ ও আহত হয়েছেন। সেই শহীদ ও আহত পরিবার সদস্যদের প্রতি সরকারের মানবিক দৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২০ মে সোমবার সকালে জেলা নির্বাচন অফিস এবং বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার কর্তৃক উপজেলা চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত (মহিলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
আগামী ০৫ জুন এই তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত (মহিলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার হতে তিনটি উপজেলায় সরগরম নির্বাচনী আমেজ তৈরী হয়েছে। এদিন সকালে সংশ্লিষ্ট এলাকার সকল প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নিজ নিজ কর্মী সমর্থক সহকারে জেলা এবং উপজেলা নির্বাচন অফিস গুলোতে ভিড় জমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের আনারস প্রতীক তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী পছন্দ করায় লটারীর মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। পরে প্রার্থীরা কর্মীদের আনন্দ মুখর মিছিলে প্রতীক প্রচার করে এলাকায় ফিরে যান। দুপুর দুইটা হতে প্রতীক সম্বলিত লিফলেটসহ প্রচারণা মাইকিং শুরু হয়েছে তিনটি উপজেলায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর প্রেসক্লাবের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৩৯ তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে দুই দিনব্যাপি আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্র ও শনিবার প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ও মহিলা ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপি এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী।
প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এমএ মান্নান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)আবু মুছা, অফিসার ইনচার্জ আবদুর রাজ্জাক, প্রধান আলোচক প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আবু কামাল খন্দকার।
প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রাসেল, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাজু, পৌর বিএনপি সভাপতি ওবায়দুল হক লিটন, পৌর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম বাশার, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি সাবেক সভাপতি মোর্শেদুল ইসলাম লিটন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম সবুজ, প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূইয়া মিনাজ, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি জহিরুল হক বুলবুল প্রমুখ। দ্বিতীয় পর্বে শনিবার মহিলা কলেজ মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠার ৩৯ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে নবীনগর প্রেসক্লাব পরিবারের মিলনমেলা অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী।
উদ্বোধন শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর শিশুদের দৌড় প্রতিযোগিতা, স্মৃতি প্রতিযোগিতা ও মহিলাদের মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা, শেষে স্মৃতিচারণ আলোচনা সভা ও ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহধর্মিনী প্রিয়াঙ্কা সরকার, অফিসার ইনচার্জ আবদুর রাজ্জাক, প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা আবু কামাল খন্দকার, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)শুক্লা রানী ভট্টাচার্য, প্রতিষ্ঠাকালিন সদস্য জাকির হোসেন রাসেল, এম কে কিবরিয়া রিপন, তৌহিদুল ইসলাম, জাকারিয়া সরকার তসলিম, মোঃ মলাই মিয়া, মোঃ আতাউর রহমান। সভাপতিত্ব করেন শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন, সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূইয়া মিনাজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কান্তি কুমার ভট্টাচার্য, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কল্লোল প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ফুটবল একাডেমিকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে ব্যারিস্টার হাবিবুর রহমান হাবিব ফুটবল একাদশ।
আজ ১৭ জুন শনিবার বিকেলে উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন কালঘরা খেলার মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাবিবুর রহমানের আয়োজনে অর্ধলাখ দর্শকের সমাগমে টান টান উত্তেজনায় এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
খেলা উপভোগ করতে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় ব্যক্তি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে এক নজর দেখতে নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্ধলাখ দর্শকের সমাগমে ম্যাচটি আরও উপভোগ্য হয়ে উঠে।
প্রীতি ফুটবল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ডা. শফিকুর রহমান, রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন, এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি হাসান জাবেদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামস আলম প্রমুখ।