চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে জাল টাকা ছড়ানোর অভিযোগে জুরু মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ২৬ মার্চ রবিবার বিকেলে উপজেলা সদরের চালের আড়ত থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে এ সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জুরু মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের বেল্লা গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল ছিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জুরু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি জাল নোট বহন ও বিনিময়ে করে প্রতারণা করে আসছেন। বিকেলে চারটি এক হাজার টাকার জাল নোট নিয়ে তিনি আড়তে চাল কিনতে যান। এসময় দোকানদাররা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তাকে আটকের পর আমি ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের দেখে মুখে ঢুকিয়ে তিনি জাল টাকা খেয়ে ফেলার চেষ্টা করেন কিন্তু পারেননি। এ ঘটনায় জুরু মিয়াকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পশ্চিমাঞ্চলের ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ ১৯ মামলার আসামি, মন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক ডাকাতকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ১৫ মার্চ শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি মাজার এলাকা থেকে র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জিয়া লতিফুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে নবীনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) ওবায়দুর রহমান ।
এদিকে, উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসরত লাখো মানুষের কাছে ‘মূর্তিমান আতঙ্ক’ খ্যাত মনেক ডাকাত আবারও গ্রেফতার হয়েছেন, এমন খবরে যেমন স্বস্তি বিরাজ করছে। তেমনি সে (মনেক) অতীতের মতো যেকোনো সময় আবারও জামিনে বের হয়ে এসে এলাকায় পুনরায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে পারে, এরকম আতঙ্কেও ভুগছেন উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলবাসী।
নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, সম্প্রতি একটি বিয়ে বাড়িতে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায় বাবা-ছেলেসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধের ঘটনার মামলায় ‘মূল নায়ক’ হিসেবে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ ১৬ মার্চ রবিবার চালান দেওয়া হবে। আশা করছি, এবার সহসা জেল থেকে সে ছাড়া পাবে না।
তিনি আরো জানান, চুরি, ডাকাতি, মাদক, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট ১৯ মামলার ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ আসামি এই মনেক ডাকাত। পুলিশ বারবার অভিযান চালিয়েও তাকে এতোদিন খুঁজে পায়নি। অবশেষে র্যাব পুলিশের যৌথ অভিযানে শনিবার তাকে গ্রেফতার করা হলো।
নবীনগর প্রতিনিধি :
জনপ্রতি ২ শতাংশ জমি ও প্রতিটি ঘর নির্মাণে সরকার বরাদ্দ দিয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। তবে সুবিধাভোগীরা সে ঘর বিক্রি করে দিচ্ছেন মাত্র ২০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায়। নবীনগরে ভূমিহীনদের জন্য দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর এভাবে বেচাকেনা চলছে। বরাদ্দের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। তবে প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৯৫টি ঘরের মধ্যে ছয়টি বিক্রি হয়ে গেছে। অন্তত ৩০টিতে ঝুঁলছে তালা। কিনে নেওয়া ব্যক্তিরা ঘরে বসবাস করছেন। গত রোববার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, প্রকল্পের ২ নম্বর গলির ৩ নম্বর ঘর বরাদ্দ পান মৃত আফছার উদ্দিনের স্ত্রী সাধনের নেছা। তাঁর ছেলে রুবেল মিয়া স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকায় শাহনাজ বেগমের কাছে বিক্রি করে দেন। রুবেল মিয়া বলেন, টাকার প্রয়োজনে ঘরটি বিক্রি করেছেন তাঁরা।
গলির ২ নম্বর ঘর বরাদ্দ পান গাজী মদনের স্ত্রী জুলেখা বেগম। ৩৫ হাজার টাকায় ইমন মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম ঘরটি কিনেছেন। ৯ নম্বর ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন মৃত ফজলুল মিয়ার স্ত্রী হেনা বেগম। তাঁর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকায় কিনে ঘরে বসবাস করছেন মৃত হামিদ মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম। ১৭ নম্বর ঘর বরাদ্দ পাওয়া ধরাভাঙা গ্রামের হাবিব মিয়া ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন থোল্লাকান্দি গ্রামের নার্গিস বেগমের কাছে। বড়িকান্দি গ্রামের ইকবাল হোসেন ১ নম্বর গলির ৯ নম্বর ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন। তিনি ৩৫ হাজার টাকায় একই গ্রামের কালন মিয়ার ছেলে মো. মোক্তার হোসেনের কাছে বিক্রি করেছেন।
২ নম্বর গলির বাম পাশের ৯ নম্বর ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন জমেলা বেগম। এ ঘর ৩০ হাজার টাকায় কিনে বসবাস করছেন হক মিয়া ও তাঁর পরিবার। এদিন প্রকল্পের প্রায় ৩০টি ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। অন্য বাসিন্দারা জানান, বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিরা ঘরে থাকেন না, আসেনও না। আর বসবাসকারী ব্যক্তিরা টাকা দিয়ে ঘর কেনার কথা স্বীকার করে জানান, তাঁদের কোনো বাড়িঘর নেই। আবেদন করেও ঘর বরাদ্দ পাননি। এ জন্য স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ঘর কিনে বসবাস করছেন।
২ নম্বর গলির ১৭ নম্বর ঘর কিনে মালিক হওয়া অসহায় নারগিস বেগম বলেন, তাঁর ঘরবাড়ি নেই। কষ্ট করে ২২ হাজার টাকা জোগাড় করে তিনি হাবিব মিয়ার কাছ থেকে ঘর কেনেন। তাঁর নামে দলিল করে দেবে বলে জানিয়েছে। ২ নম্বর গলির ২ নম্বর ঘর কেনা মালিক রহিমা বেগম বলেন, বরাদ্দের জন্য আবেদন করেও ঘর না পেয়ে কিনেছেন।
এ ছাড়া মোক্তার হোসেন, নাজমা বেগম, হক মিয়া ও শাহনাজ বেগমও ঘর কেনার কথা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে ঘর বিক্রি করা সুবিধাভোগী কাউকে না পাওয়ায় তাঁদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। বড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. লাল মিয়ার মোবাইল ফোন নম্বরে কল দিলেও তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। খুদেবার্তা পাঠালেও কোনো জবাব দেননি তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত নন। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সুপারিশ করা হবে।
স্থানীয় সংবাদকর্মী আক্তার হোসেন বলেন, ঘরগুলো বিক্রি হয়েছে। অনেকে আবার থাকেন না। অনেকের বাড়িঘর আছে। অথচ ভূমি ও ঘরহীন অনেকে বরাদ্দ পাননি। ঘর বরাদ্দের ব্যাপারে অনিয়ম হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানালেও আমলে নেননি।
এ বিষয়ে বড়িকান্দি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রোকসানা বেগম পরে কথা বলবেন বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, এটি ইউএনও ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাজ। এ বিষয়ে তাঁরাই ভালো জানেন। তিনি তালিকা অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান বলেন, তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি বিষয়টি অবগত হয়েছেন। বড়িকান্দি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা সদরে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি সারা দেশে সংঘটিত ধর্ষণের প্রতিবাদসহ আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়া হয়।
নবীনগর ইচ্ছাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্রী প্রথমে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নবীনগর সরকারি কলেজে এসে জড়ো হন।
জানা যায়, সম্প্রতি সারাদেশে সংঘটিত ঘনঘন ধর্ষণের প্রতিবাদসহ আইনশৃংখলার চরম অবনতির প্রতিবাদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়া হয়।
দুপুর ১টার দিকে নবীনগর ইচ্ছাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্রী প্রথমে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নবীনগর সরকারি কলেজে এসে একত্রিত হয়। এরপর কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীরা প্রচন্ড বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। এখানে ধর্ষকদের ফাঁসি দাবি করে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীদেরকে শ্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় ধর্ষকদের ফাঁসি দাবি করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররাও ছাত্রীদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
এ সময় কযেকজন ছাত্রী বক্তব্য রাখেন। পরে মিছিলটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রক্ষিণ করে। এসময় পথচারীদেরকেও হাত নাড়িয়ে মিছিলকারীদের সমর্থন জানাতে দেখা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
এতিম ছাত্রদের নিয়ে নবীনগরে যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে নবীনগরের একটি এতিমখানায় দৈনিক যুগান্তরের দুই যুগে পদার্পণ উপলক্ষে এতিম ছাত্রদের নিয়ে কেক কাটা, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি মোস্তাক আহাম্মদ উজ্জ্বলের উদ্যোগে নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ খানকায়ে কামাল্লা দরবার শরীফ হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্বপ্নদ্রষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দোয়া পরিচালনা করেন মাদ্রাসার হাফেজ মো. মিনহাজুল আবেদিন। দোয়া-মোনাজাতে এতিম ও হাফিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান সোহেল, সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল হক মমিন, বাড়াইল ইসলামি একাডেমির প্রধান শিক্ষক এরশাদুর রহমান, ইউপি সদস্য সেলিম এলাহী, মো. জুয়েল সরকার, মো. আবু মুছা, মো. সাজেদ সরকার, ওমর ফারুক, যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম পিন্টু, শ্যামল আহাম্মেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘যুগান্তর দেশ ও জাতির অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সুশাসন, বাক-স্বাধীনতায় উদার মানসিকতা, গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা, সামাজিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার, তথ্য অধিকার, ন্যায়বিচার, শান্তি-সমঝোতা, দেশপ্রেম, অসাম্প্রদায়িকতা, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক তথা সামগ্রিক সমৃদ্ধি অর্জনে সর্বদা সচেষ্ট ছিল এবং থাকবে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের কারণে যুগান্তর দেশের সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। এই পত্রিকায় রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, স্বাস্থ্যসহ সব বিষয় প্রকাশ করে থাকে। বিশেষ করে দুর্নীতি ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন গুরত্বসহকারে প্রকাশ করা হয়। এ পর্যন্ত আসতে অনেক স্বচ্ছতা ও দায়িত্বতাশীলতার সাথে কাজ করতে হয়েছে।’
এ সময় বক্তারা মরহুম নুরুল ইসলামের সহধর্মিণী যমুনা গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাড: সালমা ইসলাম এমপি এবং তার সুযোগ্য উত্তরসূরি যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম ও পরিচালকদের অকুণ্ঠ কর্ম অনুপ্রেরণায় আরো এগিয়ে যাওয়ার জন্য দোয়া করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন আব্দুল কুদ্দুছ নামের ওই ব্যক্তি।
আব্দুল কুদ্দুছ একই ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। আজ ৫ মে শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসপির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযুক্ত হোসেন সরকার (৪২) একই গ্রামের মৃত আব্দুল হাজিদ মিয়ার ছেলে। তিনি জোড়া খুন, গরু চুরিসহ ডজনখানেক মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আব্দুল কুদ্দুছের স্ত্রী সেলেনা বেগমের সঙ্গে হোসেন সরকার পরকীয়ায় লিপ্ত। সেলেনা বেগম পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ের জননী।
হোসেন সরকার ও সেলেনা বেগম অসামাজিক কাজে লিপ্ত উল্লেখ করে আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, এ বিষয়ে হোসেন সরকারকে সতর্ক করা হলে তিনি উল্টো তাকে হুমকি-ধমকি দেন।
গত ৩০ এপ্রিল সেলিনা বেগম ও হোসেন সরকার অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত হন বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, এর প্রমাণস্বরূপ ফোনের কল রেকর্ড আব্দুল কুদ্দুছের কাছে সংরক্ষিত আছে।
অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন সরকারের লালসার শিকার হয়ে তার প্রতিবন্ধী ছোট বোন অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন সরকার বলেন, ‘প্রতিবেশী আব্দুল কুদ্দুছ চাচার স্ত্রীর সঙ্গে আমার বিশেষ কোনো সম্পর্ক নেই। ওনার ছেলে এবং মেয়ের ফোন নম্বর আপনাকে পাঠাই। আপনি ইচ্ছা করলে তাদের সঙ্গে কথা বলে যাচাই করে দেখতে পারেন।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।