চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বোনাসের টাকা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আখাউড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
আজ ২৬ মার্চ রবিবার সকালে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন প্রদত্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার তাঁর বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিজয় দিবস উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ৫ হাজার টাকা করে বোনাস দিয়েছেন। কিন্তু ৩ মাস পেরিয়েও গেছে এখনও আমরা সেই বোনাসের টাকা পাইনি। আমলারা বলতেছে, আখাউড়ায় নাকী তিন জন মুক্তিযোদ্ধা জীবত আছে। বিষয়টি জানার পর আমার হতভম্ব হয়ে ইউএনও সাহেব এবং ডিসি সাহেবের কাছে গিয়েছি। ইউএনও সাহেব এবং ডিসি সাহেব আমাদের কথা শুনে মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছে। আমরা পর পর তিন বার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সচিব সাহেবের সাথে দেখা করেছি। সচিব আমাদেরকে আপনারা নিশ্চিত থাকার অনুরোধ বলেছিলেন এই মাসের ১৫ তারিখ টাকা পাঠিয়ে দিবেন। কিন্ত ডিসেম্বর গিয়ে মার্চ মাসের আজ ২৬ তারিখ। আমরা এখনও বোনাসের টাকা পাইনি।
এসময় তিনি স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজনীতিবিদদেরকে সতর্ক করে বলেন, আমলারা আখাউড়ার মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে এধরনের কার্যকলাপ করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে তিনি প্রশাসনকে অনুরোধ করে বলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যেন এ ধরনের আচরণ না করা হয়। নতুবা শক্ত কর্মসূচি দেওয়ারও হুঁসিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ করেন বিষয়টি গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য।
এসময় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধারাও তাঁর বক্তব্যের সাথে সহমত পোষন করেন।
আখাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সৈয়দ জামসেদ শাহ’র কাছে এ ব্যপারে জানতে বলেন, আখাউড়ায় প্রায় ২৩০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবিত রয়েছেন। আমরা বিজয় দিবসের প্রধানমন্ত্রীর বোনাসের টাকা এখনও পাইনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ‘বিজয় দিবস ভাতা’র নামে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে ৫ হাজার টাকা প্রদান করছে সরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মূল্য তালিকা না থাকায় ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২৯ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে পৌর শহরের সড়ক বাজারে মুদিমাল ও কাঁচা মালের দোকানীকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী। আদালতকে সহযোগিতা করেন আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: শফিকুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে সোমবার শহরের সড়ক বাজারে মুদিমাল ও কাঁচা মালের দোকানে অভিযান চালানো হয়।
এসময় মূল্য তালিকা না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে লোকনাথ সবজি ভান্ডারকে ৫ হাজার ও মাসুদ স্টোরকে ৩ হাজার টাকা জরিমানাসহ সর্বমোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানকালে দোকানীদের বেশি দামে মুদিমাল বিক্রি না করতে মৌখিকভাবেও সতর্ক করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদুল আযহার আর মাত্র দুদিন বাকি। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ঈদের ছুটি। টানা ৭ দিনের ছুটি পেয়ে অনেকেই ছুটছেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। সেই জেরে আজ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ছিল ভারতগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
আখাউড়া চেকপোস্টে ইমিগ্রেশনে আজ ১৪ জুন দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অপেক্ষা করছেন কয়েকশ মানুষ। তাদের সেই লাইন ডেস্ক থেকে বারান্দা পেরিয়ে পৌঁছেছে ইমিগ্রেশন ভবনের বাইরের প্রধান সড়কে। তীব্র গরম আর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন তারা। অন্যদিকে যাত্রীদের চাপে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের।ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ঈদে টানা ৭ দিনের সরকারি ছুটি পাওয়ায় ভারতে ভ্রমণকারী এবং চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। যশোরের বেনাপোল বন্দরের ভিড় এড়াতে অনেক যাত্রী আখাউড়া চেকপোস্ট ব্যবহার করছেন। তবে এখানে এসেও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদের ছুটি শুরুর দিন শুধু শুক্রবারই প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে গিয়েছেন।
ভারতগামী কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন পর ভিসা পেয়েছেন। তাই ঈদের ছুটিতে ভারতের দর্শনীয় স্থান ঘুরতে যাচ্ছেন। তবে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবনটি ছোট এবং জরাজীর্ণ হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী পদক্ষেপের দাবি জানান তারা।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ খায়রুল আলম জানান, ঈদের ছুটির কারণে চাপ অনেকটা বেশি। সাধ্যমতো যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১২ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে আসেন। তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে গিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেন। ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় তাদেরকে দেশে পাঠানো হয়েছে।
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন সুনামগঞ্জ জেলার জয় হরি রায়ের স্ত্রী। জবা রানী রায় ও তার ছেলে জগদীশ রায়, নেত্রকোনা জেলার কুদরত আলীর মেয়ে মোছা. বিউটি, চাঁদপুর জেলার আবু তাহেরের ছেলে রিয়াদ হোসেন, যশোর জেলার মো. সুবহান মিয়ার মেয়ে বিনা বেগম, একই জেলা মো. আজাদ শেখের ছেলে শেখ সাদি, নওগা জেলার মো. শাহীর আলীর মেয়ে শাহিনা বেগম, জামিলপুর জেলার মো. নরুল ইসলামের ছেলে মো. শামীম মিয়া ও তার ভাই সোহান মিয়া, একই জেলার আকবর আলীর ছেলে মো. ফারুক হোসেন, একই জেলার মো. ফারুক হোসেন ও তার স্ত্রী আসমা বেগম, ঝালকাটি জেলার বিল্পব চন্দ্র অধিকারীর মেয়ে তৃষ্ণা অধিকারী।
দেশে ফেরা এক মেয়ের মা বলেন, আমার মেয়ে ফিরে এসেছে এজন্য আমি খুশি। দালালের মাধ্যমে ভারতে গিয়েছিল বলে তিনি জানান।
ভারত ফেরত জামালপুরের এক নারী (আসমা বেগম) বলেন, আমাকে গার্মেন্টস্ কাজ দেওয়ার কথা বলে আমাকে নিয়ে যায়। বলেছিল ৪০ হাজার টাকা বেতন দিবে। আখাউড়া চেক পোষ্টের সীমান্ত রেখায় উপস্থিত স্বজনরা ভারত ফেরত বাংলাদেশীরদেরকে গ্রহণ করেন।
এসময় আখাউড়া উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার উপস্থিত ছিলেন। ব্র্যাক মাইগ্রেশন ম্যানেজার সজিব কুমার পান্ডে, ডেপুটি ম্যানেজার শায়লা শারমিন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, ত্রিপুরার সংবাদ পত্রে প্রায়ই দেখছি ত্রিপুরার সীমান্ত দিয়ে নারী এবং শিশু পাচারের ঘটনা ঘটছে। যেহেতু ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের একটি বড় সীমান্ত রয়েছে। অনেক জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। দুষ্কৃতিকারীরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এসব কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি দুদেশই এ বিষয়ে আরও তৎপর হবেন।
তিনি আরো বলেন, ১২ জন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরবর্তীতে তারা ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে সেখানে একাধিক সেন্টারে রাখা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এঁর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান পুষ্প স্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবনী নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হিমেল খান, পৌর কাউন্সিলর মোঃ বাবুল মিয়া প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬ জন দুঃস্থ ও অসহায় মহিলাকে আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সেলাই মেসিন বিতরণ করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আবু ইউসুফ নুরুল্লাহ, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা শিপ্রা নাথ, সমবায় কর্মকর্তা দুবরাজ রবি দাস, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ লুৎফুর রহমান।
উল্লেখ্য, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল রেনু। তার পিতার নাম শেখ জহুরুল হক ও মাতার নাম হোসনে আরা বেগম।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক যুবলীগ সদস্যের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
হামলাকারীরা ঘরের দরজা-জানালাসহ মূল্যবান জিনিষপত্র ভাংচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেছে।
এসময় বাড়ির নারীদেরকে অকথ্য গালাগাল ও মারধরের চেষ্টা করেছে হামলাকারীরা।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের করুয়াতলী পূর্বপাড়ার মোঃ আলাল মিয়ার বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সে ওই গ্রামের মৃত আকরাম আলীর পুত্র এবং সদ্য ঘোষিত আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য।
হামলার ঘটনায় আলাল মিয়া বাদী হয়ে তিনজনকে অভিযুক্ত করে রোববার দুুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযুক্তরা হলো একই গ্রামের মৃত করম আলীর পুত্র জুম্মান মিয়া (৩২), নায়েব আলীর পুত্র রনি মিয়া (২৮) ও এমরান মিয়ার স্ত্রী নাছরিন বেগম (২৭)।
বাদীর লিখিত অভিযোগে বলা হয়, জায়গা সম্পত্তি নিয়া আলাল মিয়া ও জুম্মান মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
বিষয়টি সমাধানের জন্য আলাল মিয়া স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে বিচার প্রার্থী হয়।
এতে জুম্মান মিয়া আরও ক্ষিপ্ত হয়ে মাদকাসক্ত রনি ও তার সাঙ্গপাঙ্গদেরকে নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আলাল মিয়ার বাড়ি-ঘরে হামলা করে। মূল্যবান জিনিষপত্র ভাংচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা ভয় ভীতি দেখিয়ে চলে। এঘটনার পর থেকে আলাল মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য আলাল মিয়া আমার কাছে আবেদন করে।
আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ২২ মে মাপঝোঁকের তারিখ ধার্য্য ছিল। এর আগে আলাল মিয়ার বাড়িতে হামলা হয়েছে। এটা বিচার কার্যকে বাধাগ্রস্থ করার পায়তারা তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত রনি মাদকাসক্ত ও উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির। এর আগে সে একটি বিচারের রায় অমান্য করে। আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো) আসাদুল ইসলাম বলেন, উভয়পক্ষের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এ ব্যপারে একটি পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।