চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদর উপজেলার আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা আজ ২৭ মার্চ সোমবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা মুজিব, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেবব্রত কর, ইউপি চেয়ারম্যান আলামিনুল হক পাভেল, আবদুর রশীদ ভূঁইয়া, মোঃ মশিউর রহমান সেলিম, আবু সাঈদ, মোঃ নাছির উদ্দিন, সদর বিআরডিবির চেয়ারম্যান আবু কাউছার, পৌরসভার প্যানেল মেয়র হোসনে আরা বাবুল প্রমুখ।
সভায় সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগন ও আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আসন্ন রমজান মাসে বাজার মনিটরিং জোরদার, শহরের যানজট নিরসনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, শহরের সুপার মার্কেটের সামনের রাস্তাটি ছাতিপট্টি পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া ও শহরের মসজিদ রোডসহ কয়েকটি রাস্তাকে ওয়ানওয়ে করা ও ব্যাংকের শাখাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়াও মাদকদ্রব্যের বিক্রি বন্ধে পুলিশকে আরো সক্রিয় হওয়ার আহবান জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পদোন্নতি প্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেছেন, দীর্ঘ সময়ের কর্মক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারীদের যে ভালোবাসা পেয়েছি তা আজীবন আমার হৃদয়ের মধ্যে গাঁথা থাকবে।
তিনি বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে অতীতের মতো সকলে একটি ইউনিট হয়ে কাজ করতে হবে।
আজ ১ জুলাই সোমবার বিকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গনে কর্মকর্তা কর্মচারী কর্তৃক আয়োজিত মোঃ মাসুদ পারভেজ জেলা ও দায়রা জজ পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ (বিশেষ জজ) নিয়োগ হওয়ায় পদোন্নতি জনিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এঁর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপীর এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান রকির যৌথ সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্যে রাখেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ রায়হান ভূইয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখাওয়াত হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সাম্য, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির সুমনময় চৌধুরী, বেঞ্চ সহকারী শরীফুল আলম, অফিস সহায়ক জিয়াউল আমিন প্রমুখ।
অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে সকল বিচারক এবং কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিদায়ী পদন্নোতি প্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাসুদ পারভেজ এরঁ হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধভাবে একটি পুকুর ভরাটের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একটি ড্রেজার জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ ৪ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে শহরের পূর্বমেড্ডা তিতাসপাড়ার এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে তিতাসপাড়ার কালাগাজীর মাজার এলাকায় একটি বিশাল আকৃতির পুকুর ভরাট করে আসছিলো স্থানীয় প্রভাবশালীরা। নৌকা দিয়ে বালি এনে ড্রেজারের মাধ্যমে পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছিল।
খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ড্রেজার জব্দ করেন। অভিযানের খবর পেয়ে পুকুর ভরাটকারীরা পালিয়ে যায়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন ও সদর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, মেড্ডা কালাগাজী মাজার সংলগ্ন একটি পুকুর ভরাট করার খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় একটি ড্রেজার জব্দ করা হয়। ড্রেজারটি সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে পুকুর ভরাটকারীদের পাওয়া যায়নি। এজন্য কাউকে আটক করে জরিমানা করা সম্ভব হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জেলার শাখার উদ্যোগে লাল পতাকা সহকারে একটি মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। আজ ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪টায় স্থানীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড অসিত পালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি কমরেড এম এ রকিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড অ্যাডভোকেট অসিমত কুমার বর্দ্ধন, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান ও শ্রমিক নেতা কাজী ফেরদৌস রহমান প্রমুখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪টি সদস্য রাষ্ট্রই স্থায়ী এবং নিঃশর্ত যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা দিয়েছে। শুধু সাম্রাজ্যবাদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই ভেটো দিয়ে যুদ্ধ বিরতির বিপক্ষে নির্লজ্জভাবে অবস্থান নিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের সকল সদস্য রাষ্ট্রের মতামত, আন্তর্জাতিক রীতিনীতি চরমভাবে উপেক্ষা করে মার্কিনীদের এই ভেটো প্রয়োগ তাদের সাম্রাজ্যবাদি এবং জাগরণবাদী অবস্থান লগ্নভাবে বিশ্ববাসির সামনে আবারো প্রকাশিত হয়েছে। এই ভোটার মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসন আবারও প্রমাণ করল তারা মধ্যপ্রাচ্যেসহ সারা পৃথিবীতে শান্তি চায়না, যুদ্ধ চায়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মার্কিনীদের এই ভেটো প্রয়োগ ইসরাইলীদের প্যালেস্টাইনে গণহত্যাকে সমর্থন করেছে। আমরা অনতিবিলম্বে প্যালস্টাইন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা এবং প্যালেস্টাইনে নিঃশর্তভাবে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা চায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১২ এপ্রিল বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, শিক্ষক, গণমাধ্যম ও এনজিও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে অংশ গ্রহণকারীদের ১১টি দলে বিভক্ত করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর। দলগুলো হল স্মার্ট ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, স্মার্ট পাবলিক সার্ভিস, স্মার্ট ল এন্ড অর্ডার, স্মার্ট এডুকেশন, স্মার্ট সোশাল সার্ভিস, স্মার্ট সিটি এন্ড ভিলেজ, স্মার্ট এগ্রিকালচার, স্মার্ট হেলথ, স্মার্ট ট্রান্সপোর্টেশন, স্মার্ট ইউটিলিটি ও স্মার্ট এনভায়রনমেন্ট। পরে অংশ গ্রহণকারী দলগুলো স্মার্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিনির্মাণে নিজ নিজ দলের স্বপক্ষে প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
কর্মশালার শুরুতেই স্মার্ট ল্যান্ড ম্যানেজমেন্টের উপর একটি স্লাইড শো প্রদর্শন করেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো মোশারফ হোসেন।
তিনি বলেন, সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয় ১৯৪৭ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আনুমানিক ২০-২৫ লাখ দলিল রয়েছে। এসব দলিল স্ক্যান করে ডাটাবেইস তৈরির প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তিনি।
পাশাপাশি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নকশাকে সংরক্ষণ করে ই-নকশায় রূপান্তর করে ডাটাবেইস তৈরি করা হলে দলিল নিয়ে ভোগান্তি আর পোহাতে হবে না। কারণ, ভূমি কার্যালয়ের সকল কিছু এখন অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেছে। সকল নথি এখন গ্রাহকদের অনলাইনে সরবরাহ করা হয়। ভ‚মি কার্যালয়ের সকল কাজ ঘরে বসে করা যায়। শুধু সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের দলিলের কাজটি অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেলে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমবে। মানুষকে আর প্রতারিত হতে হবে না।
ভূমি নিয়ে মামলা সংক্রান্ত কারনে বছরের পর বছর বিচারের আশায় আদালতে সময় ব্যয় করতে হবে না। কর্মশালা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর।