চলারপথে ডেস্ক :
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরেক দফা বাড়িয়েছে সরকার। নতুন সময়সীমা অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হজের নিবন্ধন করা যাবে। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো সময় বাড়ানো হলো। কোটা পূরণ না হওয়ায় সরকার সময় বাড়িয়েছে। ২৭ মার্চ সোমবার নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী হজযাত্রী নিবন্ধ আজই শেষ হওয়ার কথা ছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়। কথা ছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন শেষ হবে। কিন্তু নিবন্ধনে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় সময় প্রথমে পাঁচদিন বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। এরপরও নিবন্ধনের হার ছিল খুবই কম। এ অবস্থায় নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ৭ মার্চ করা হয়। এভাবে বেশ কয়েকদফা সময় বাড়ানোর পর আজ ষষ্ঠবারের মত সময় বাড়ানো হল।
পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে হজ পালনে খরচ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমানো হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেছেন, সবাই মিলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে।
জেলা প্রশাসন আয়োজিত আইন-শৃংখলা সম্পর্কিত বিশেষ সভা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার বিকেলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, কেউ অনিরাপদ মনে করলে প্রশাসনকে জানাবেন। কেউ যাতে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি করতে না পারে এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, দেশটা আমাদের, সবাই দেশটাকে ভালোবাসতে হবে। সবার মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে।
সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কেউ শান্তি বিনষ্ট করলে তাকে ছাড় দেয়া হবেনা। সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ৬০ বিজিবির অধিনায়ক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড: কামরুজ্জামান মামুন, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড: আবদুল মান্নান, সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, জেলা হেফাজতে ইসলামীর সভাপতি মুফতি মোঃ মোবারকুল্লাহ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি দিলীপ কুমার নাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষন দেবনাথ, বিটিজেএ’র সভাপতি আল-আমীন শাহীন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রবীর চৌধুরী রিপন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সু-দীর্ঘকাল ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান আছে। কাউকে এই সম্প্রীতি নষ্ট করতে দেয়া হবেনা।
বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ও বিভিন্ন উপজেলার কিছু দুর্বৃত্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস দিয়ে, সামাজের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের ছবি বিকৃত করে ছবি আপলোড করে ও ফেসবুকে লেখালেখি করে সামাজিক অস্থিরতা ও ধর্মীয় উম্মাদনা ছড়াচ্ছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বক্তারা চট্টগ্রামের আইনজীবী হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বক্তারা জেলার প্রতিটি উপজেলায় প্রশাসনের উদ্যোগে আইন-শৃংখলা সম্পর্কিত বিশেষ সভা এবং শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশ করার দাবি জানান এবং আগামী শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইমামদেরকে বয়ান ও জেলার বিভিন্ন উপাসনালয়ে তাদের উদ্যোগে কেউ যাতে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সভা করার আহবান জানান।
সভায় আইন-শৃংখলা সম্পর্কিত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক দলের নেতৃবৃন্দ ও জেলার সূধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সবসময় দেশে ও বিদেশে মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
আজ ৫ জুলাই বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সদর দপ্তরে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি বাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়ায়।’
তিনি বলেন, বাহিনীর সদস্যরা পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শুধু দেশেই জনগণের পাশে দাঁড়ায় না, অধিকন্তু বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশনেও কাজ করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের মানবিক সদিচ্ছার কারণে, তারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সম্মান পায়। আমি খুব গর্ব বোধ করি, যখন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা তাদের দেশে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা করেন।’
প্রধানমন্ত্রী রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গার্ডগুলোর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি পিজিআরকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তাদের কাজ, দায়িত্ব ও নিষ্ঠা দেখে তিনি মুগ্ধ।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তিনি জানেন যে রেজিমেন্টের সদস্যরা সর্বদা পেশাদারিত্ব, আনুগত্য, শৃঙ্খলা ও আন্তরিকতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করে।
তিনি আরো বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টিসহ সকল প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবিলা করে দায়িত্ব পালনে আপনাদের আন্তরিকতা অত্যন্ত প্রশংসিত। এই সুনাম ধরে রাখতে আপনারা সততা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করবেন‒ এটাই আমার প্রত্যাশা।’
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ঝুঁকিপূর্ণ রক্ষীদের ঝুঁকি বিবেচনা করে প্রথমে পিজিআর-এর জন্য ঝুঁকি ভাতা চালু করে। ইতোমধ্যেই সরকার গণভবন সংলগ্ন ব্যারাক তৈরি এবং গার্ডদের পরিবারের জন্য ১৪ তলা ভবন নির্মাণের মাধ্যমে আবাসন সমস্যার সমাধান করেছে।
প্রসঙ্গত, জাতির পিতা ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই পিজিআর গঠন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর নিজস্ব উদ্যোগে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের জন্য উপযুক্ত সমর শক্তি গড়ে তুলেছিলেন।
সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে তাঁর সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সব বাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করেছি।
তিনি আরো বলেন, বাহিনীগুলোকে সক্ষম করা হয়েছে, যাতে করে তারা বৈশ্বিক বাহিনীগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশনে, যেখানে তারা অন্যান্য বিশ্ব বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতি-১৯৭৪-এর সাথে সঙ্গতি রেখে ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়ন করছে।
বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগের উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশকে এমনভাবে গড়ে তুলছি, যাতে কখনো অন্যের ওপর নির্ভর করে এগিয়ে যেতে না হয়। আগামী দিনেও দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে এই কামনা করি।’
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের পর উন্নয়ন সহযোগীরা এখন আর আগের বছরগুলোর মতো অনেক শর্ত দেয় না।
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খালেদ কামাল প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশে হেঁটে সকল অফিসার এবং জুনিয়র কমিশনড অফিসারদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী পিজিআরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন।
তিনি ভিভিআইপি দায়িত্ব পালনের সময় গুরুতর আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং পিজিআর সদস্যদের মধ্যে উপহার বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সংশ্লিষ্ট সচিব এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ভোটের চিন্তা থাকবে না । জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে আওয়ামী লীগ। লক্ষ্য স্থির রেখে পরিকল্পনার জন্য দেশে দারিদ্র্যতা হ্রাস পেয়েছে। মানুষের সেবা করলে জনপ্রতিনিধিদের কেউ হারাতে পারবে না। ভবিষ্যতে ভোটের চিন্তাও থাকবে না।
আজ ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়রদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ভোটের কোনো চিন্তা থাকবে না। মানুষ আপনাদের ওপর আস্থা রাখবে, বিশ্বাস রাখবে। এই কথাটা আপনারা মাথায় রাখবেন। জনসেবার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন, সেটাই আমরা চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য জাতির পিতা প্রথমে ইউনিয়ন পর্যায়ে দশ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তিনি সম্পন্ন করতে পারেননি। আমি সরকারে আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক করলাম। স্থানীয় লোক সেখানে জমি দেয়, আমরা ভবনের ব্যবস্থা করা, চিকিৎসার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে নিয়োগ দেই। ৩০ ধরনের ওষুধ আমরা বিনামূল্যে দিচ্ছি। আপনারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে এসব দিকে নজর দেবেন যেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো সঠিকভাবে চলছে কিনা। মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে কিনা। মানুষ সেবা পাওয়াটাই বড় কথা।
সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের কল্যাণে কাজ করে, জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করেছে তখনই এদেশের মানুষ কমপক্ষে এইটুকু পেয়েছে যে, আওয়ামী লীগ জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে। যে কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন করাটা সম্ভব হয়েছে। আমরা প্রত্যেকটা এলাকায় উন্নয়ন করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।
তিনি বলেন, গ্রাম বা তৃণমূলকে লক্ষ্য করে আমরা সব উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে থাকি। দেশের উন্নতি করতে হলে গ্রামকে উন্নত করতে হবে। গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করতে হবে। তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে, তাদের আর্থিক সচ্ছলতা আনতে হবে। আবার যদি শিল্পাঞ্চলের কথাও চিন্তা করি, তখন আমাদের ভাবতে হবে দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আমাদের পণ্য উৎপাদন করা। যাতে আমাদের নিজস্ব বাজার তৈরি হয়। মানুষ যাতে সেই সক্ষমতা অর্জন করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জনগণকে উন্নত সেবা দেওয়া, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলাই হচ্ছে সরকারের লক্ষ্য। গ্রামের মানুষ শহরের সব সুবিধা পাবে সেটাকে সামনে রেখে আমরা সব পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকে যার বয়স ১৫ বছর সে হয়তো ভাবতেও পারবে না যে, ১৫ বছর আগে অর্থাৎ ২০০৯ এর আগে বাংলাদেশ কি অবস্থায় ছিল। আজকের বাংলাদেশ সেখান থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, সবচেয়ে বড় কথা দারিদ্র্যের হার আমরা নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।
সরকারপ্রধান বলেন, অনেক দেশ চাইবে খাদ্য আমদানির মাধ্যমে তাদের ওপর নির্ভরশীল থাকি। তবে কোনো বড় দেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকবে না বাংলাদেশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিড়ালের সাথে খেলা করতে গিয়ে দোতলা থেকে পড়ে সাদাফ নামে চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৭ অক্টোবর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফতুল্লার কাশিপুর হাটখোলা এলাকা থেকে আহতাবস্থায় শিশুকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সাদাফকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শিশুর বাবা রাজু বলেন, সাদাফ (৪) বাসার দোতলায় বিড়ালের সঙ্গে খেলা করছিল। সেখান থেকে অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
২০২২ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল মঙ্গলবার প্রকাশ করা হবে। আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বক্তব্য রাখবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপি। উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
জানা যায়, বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধদিপ্তরের ওয়েবসাইট http://www.dpe.gov.bd/ এবং মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট http://www.mopme.gov.bd/ এবং স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা-থানা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় হতে পাওয়া যাবে।
২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিরি কারণে প্রাথমকি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি প্রদান করা সম্ভব হয়নি। গত বছরের ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশক্ষিা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ২০২২ সাল হতে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়।
৫ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের বৃত্তি পরীক্ষায় ৪ লাখ, ৮৩ হাজার, ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। মোট নম্বর ছিল ১০০ এবং সময় ছিল ২ ঘণ্টা।