মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :
‘আপা’ বলতেই ক্ষেপে গেলেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার নিরুপমা পাল! আর সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
কোনো এক সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কর্মীরা ‘আপা’ বলায় ক্ষেপে যান ওই চিকিৎসক।
রাগতস্বরে বলেন, ‘আপা’ না, তাকে ‘ম্যাডাম’ বলতে হবে।
সম্প্রতি ২৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বিপ্লব শান্ত নামে এক সংবাদকর্মী নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেন। যা মুহূর্তেই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, নিরুপমা পাল মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। সম্প্রতি সিংগাইরে একটি মারামারির ঘটনায় আহতদের ইনজুরি সার্টিফিকেটে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গত ২৪ মার্চ বিকেলে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদকর্মী তার বক্তব্য জানতে হাসপাতালে গেলে ওই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
২৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালে ওই চিকিৎসকের ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, আপা আপনার নাম কি? নিরুপমা পাল জানিয়ে ওই চিকিৎসক রেগে গিয়ে বলেন, আপনি আমাকে ‘আপা’ বলছেন কেন?
এসময় পাশ থেকে আরেকজন জানতে চান, তাহলে আপনাকে কি ‘ম্যাডাম’ বলতে হবে? তখন চিকিৎসক নিরুপমা পাল বলেন ‘হ্যা, অবশ্যই’। তখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, কেন আপনাকে ‘ম্যাডাম’ বলতে হবে? এসময় ওই নারী চিকিৎসক পাশের একজনকে বলেন, আচ্ছা উনি কেন আমাকে হ্যারাস করতেছে বলেন। তখন অন্য একজনকে বলতে শোনা যায় যে, আপনিই তো প্রথমে শুরু করলেন!
এ বিষয়ে জানতে চিকিৎসক নিরুপমা পালের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনটি তার স্বামী ডা. পার্থ রিসিভ করেন। তিনি বলেন, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও নিয়ে তার স্ত্রী মানসিকভাবে কিছুটা বির্পযস্ত। এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে চান না।
এদিকে বিষয়টি জানা আছে উল্লেখ করে মানিকগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মোয়াজ্জেম আলী বলেন, স্থানীয়ভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটা মিমাংসা হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফেনীর সোনাগাজীতে পানিতে ডুবে জান্নাতুল ফেরদৌস হুমায়রা নামের তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আজ ২২ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে সোনাগাজী পৌরসভা এলাকার ৬ নম্বার ওয়ার্ড তুলাতলী গ্রামের ফরায়েজী বাড়ির পুকুরে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শিশুটির পিতার নাম সাইফুল ইসলাম।
শিশুটির দাদা আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, সকালে মহিলারা পারিবারিক কাজে ব্যস্ত ছিলো। এরই মধ্যে হুমায়রাকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুরের পানিতে তাকে ভেসে থাকতে দেখা যায়। পরে হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উৎপল দাস জানান, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আইয়ুব আলী খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহ নগরীতে অভিনব কায়দায় একটি জুয়েলারি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩২ লাখ টাকা মূল্যের ৩০ ভরি সোনা লুট হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী মালিক। ১৭ জানুয়ারি বুধবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে নগরীর ৩২ নম্বর বাসাবাড়ী রোড ট্রাঙ্কপট্টি এসএস কমপ্লেক্সের কিরণ জুয়েলার্সে একটি চুরির ঘটনা ঘটে।
আজ ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন দোকানের মালিক শ্রী রিপন সেন।
তিনি জানান, ঘটনার পর সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে ৬/৭ জন অজ্ঞাত লোক দোকানের সাঁটারের সামনে চাদর ও ছাতা ধরে রেখে ৪টি তালা ভেঙে এক নারীকে দোকানের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে ৩০ ভরি সোনা লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় মার্কেটের নাইটগার্ড তাদের শব্দ শুনে বেরিয়ে এলে তারা আসামি ধরতে এসেছে বলে ডিবি পুলিশ বলে পরিচয় দেয়।
রিপন বলেন, সকাল ৮টার দিকে দোকান খুলে দেখি দোকানের সাটার ও কেচি গেট এবং কাউন্টারের তালা ভাঙা। তারা এ দোকান থেকে ৩০ ভরি সোনা ও ৫০ ভরি রোপার গহনা চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনার খবরে ডিবি ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলেও জানান ভুক্তভোগী রিপন সেন।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। খুব দ্রুত এই চোর চক্রকে ধরতে অভিযান চলছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যা করা সম্পর্কে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো.আছাদুজ্জামান খান কামালকে জানাচ্ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা ইকবাল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি ভিডিও দেখিয়ে ইকবাল নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলছিলেন, ‘গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করলে মরে একটা কিংবা আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।’
এই কথার মাধ্যমে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন যে, বিক্ষোভকারীদের গুলি করেও রাজপথ থেকে বিতাড়িত করা যাচ্ছে না। একজন মারা গেলেও কিংবা অন্যজন গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে গেলেও সাহস নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে বাকিরা ।
কামাল যার কাছ থেকে আপডেট নিচ্ছিলেন তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদস্য ইকবাল। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্য সাবেক মন্ত্রীকে একটি ভিডিও দেখাচ্ছিলেন, যেখানে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলি করার চিত্র দেখা যাচ্ছিল।
৪৩ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে পুলিশ সদস্য ইকবালকে বলতে শোনা যায়, গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করে, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।
উৎখাত হওয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনোযোগ দিয়ে সেই ভিডিও দেখছিলেন। কিছু একটা ভাবছিলেন। গুলি ও নিহতের দৃশ্য দেখে তার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এ সময় তার পাশে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিওটি কবে, কোথায়, কে ধারণ করেছেন তা জানা যায়নি। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনশ আসনের মধ্যে আরও একটিতে ভোট বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট বন্ধ করা হয়েছে। এর আগেও এই আসনের উপনির্বাচনের (একাদশ সংসদ) ভোট বন্ধ করেছিল ইসি।
আজ ৫ জানুয়ারি শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানান। কী কারণে এই আসনের ভোট বন্ধ করা হলো- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ আসনের প্রার্থীদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ডেপুটি স্পিকার প্রয়াত ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলী (ট্রাক)।
অন্য প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল আজাদ শীতল (ঈগল), বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) ও এনপিপির ফারুক মিয়া (আম)। আর ভোটের চার দিন আগে গত ৩ জানুয়ারি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার।
এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক মারা যাওয়ায় নওগাঁ-২ আসনের ভোট বন্ধ করে ইসি।গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এ বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে বৈধ প্রার্থী মারা গেলে তা বাতিল করা হবে।
এনিয়ে দুটি আসনের নির্বাচন বন্ধ করায় আগামী ৭ জানুয়ারি ২৯৮ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদ ভবনে নির্মিত ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি আজ ২৪ জুন সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের প্রথম লেভেলে স্থাপিত ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ছিলেন।
এ সময় ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ সংগ্রহশালায় প্রদর্শিত বিভিন্ন স্থিরচিত্র ও ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন স্পিকার।
পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টির প্রশংসা করেন এবং পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। তিনি জাতীয় সংসদে ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ স্থাপনের জন্য স্পিকারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিনন্দন জানান। পরে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ জাতীয় সংসদ সদস্যরা ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ পরিদর্শন করেন।
সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার এক অনন্য প্রয়াস ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’।
এখানে প্রথম কক্ষে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর, খোকা থেকে শুরু হয়ে তারুণ্যে মুজিব ভাই হয়ে ওঠা, ভারত ভাগ ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, উত্তাল ভাষা আন্দোলন ও ১৯৫০-এর দশকের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও ১৯৭০-এর নির্বাচন পর্যন্ত প্রদর্শিত হয়েছে।
১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিজয়ের প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে দ্বিতীয় কক্ষের ঘটনাপ্রবাহ এগিয়ে গেছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের দিকে। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে ৭ মার্চের ভাষণ, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ২৫ মার্চের গণহত্যা, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অকাতর সংগ্রাম এবং মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের আত্মত্যাগের ধারা বর্ণনা স্থান পেয়েছে এই কক্ষে।
তৃতীয় কক্ষে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের সঙ্গে আরো রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন, আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের পরিচিতি সুসংহত করার স্বর্ণালি ইতিহাস।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সংগ্রামী জীবন ও বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক জীবনের কিছু খণ্ডচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। এরপর বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্থান পেয়েছে।