চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক চোলাচালান, মোটর সাইকেলের বৈধ কাগজপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে আখাউড়া থানা পুলিশ।
আজ ২৯ মার্চ বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আখাউড়া-সুলতানপুর সড়কের খড়মপুর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এসময় গাড়ির লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকায় এবং মোটর সাইকেলে দুয়ের অধিক আরোহী থাকায় ২০টি মামলায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক সেবীরা এ সড়ক ব্যবহার করে আখাউড়া সীমান্তে আসে। মাদক সেবনসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বাইপাস সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। বুধবার সকাল থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত অভিযান চলাকালে মোটর সাইকেলের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হয়। এসময় বিভিন্ন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ২০টি মামলায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলামের নেতৃত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সার্জেন্ট ফজলে রাব্বি, সাব ইন্সপেক্টর মোবারক আলম, সাব ইন্সপেক্টর মোবারক আলী সাব ইন্সপেক্টর মোঃ আলমগীর, এএসআই উৎপল, এএসআই রনি বরুয়াসহ পুলিশ সদস্যরা।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, মাদক ব্যবসায়ী এবং অপরাধীরা যাতে এ সড়ক ব্যবহার করে মাদক চোলাচালান না করতে পারে এজন্য পুলিশ চেকপোষ্টে অভিযান পরিচালিত করছি। আখাউড়াকে মাদকমুক্ত করার জন্য আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
টিউবওয়েলের মাথা (মাটির উপরের অংশ) নেই ৬/৭ মাস ধরে। কে বা কারা খুলে নিয়ে। এরপর আরলাগানো হয়নি। টিউবওয়েল না থাকায় পানি পানে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের দুতলায় পানির ব্যবস্থা রাখা হলেও অনেকটা হেঁটে সিঁড়ি ভেঙ্গে দুতলায় গিয়ে পানি পান করা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টকর। আবার অনেক সময় জগে পানিও থাকে না। ফলে তৃষ্ণা পেলে বিদ্যালয় গেইটের বাইরে চা-দোকানে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। তবে ছাত্ররা বাইরে যেতে পারলেও ছাত্রীরা পারে না। ফলে তৃষ্ণা চেপেই ক্লাশে বসে থাকতে হয়। পানির অভাবে বিড়ম্বনায় পড়েন বিদ্যালয়ে অপেক্ষমান অভিভাবকরা। এমন চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের। দ্রুত টিউবওয়েল স্থাপনের দাবী ছাত্রছাত্রীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার সবচেয়ে প্রাচীণ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির বয়স শত বছরেরও বেশি। আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানের পাশাপাশি স্থানীয় ছেলে-মেয়েরাও এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। উপজেলার একমাত্র সরকারি স্কুল এবং ফলাফল ভালো হওয়ায় এ স্কুলে পড়ার জন্য ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের আগ্রহ বেশি। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে এক হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো এত বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পানির পানের জন্য একটি টিউবওয়েল নেই। বিগত ৬/৭ মাস আগে টিউবওয়েলের উপরের অংশটি কে বা কারা খুলে নিয়ে গেছে। এর পর আর মাথা লাগানো হয়নি। এজন্য পানি পান সহ অন্যান্য প্রয়োজনে পানি ব্যবহার করতে পারছে না ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা। পানি পানের জন্য বিদ্যালয়ের বাইরে চা-স্টল এবং মসজিদের টিউবওয়েল ব্যবহার করছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু মেয়েরা বাইরে যেতে না পারায় পানির জন্য বেশি কষ্ট করছে। তবে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দুতলায় জগে পানি রাখা হয়। ছাত্রছাত্রীরা প্রয়োজনে দুতলায় গিয়ে পানি খেয়ে আসতে পারে। তবে ছাত্রছাত্রীর তুলনায় তা পর্যাপ্ত নয়। অনেক সময় জগের পানি শেষ হয়ে গেলে পানির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আবার অনেক সময় পানি না পেয়ে ফিরে আসতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। এদিকে, তীব্র গরমে হঠাৎ একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে গেলে দ্রুত পানি দেওয়ার মত কোন ব্যবস্থা নাই।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, টিউবওয়েলের উপরের অংশটি নাই। জানতে চাইলে কয়েকজন ছাত্রছাত্রী বলে, ৬/৭ মাস ধরে টিউবওয়েল নষ্ট। পানি খেতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। খেলাধুলা করার পরে হাত-পা ধুতে পারি না। দুতলায় গিয়ে অনেক সময় পানি পাই না। এসময় এক নারী অভিভাবক বলেন, গরমের মধ্যে খুব পানি তৃষ্ণা পায়। কিন্তু স্কুলের টিউবওয়েল না থাকায় পানি খেতে পারি না। হঠাৎ একটা ছেলে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যে পানি দেওয়া তবে সে রকম ব্যবস্থাও নাই। একটা সরকারি স্কুলে এতদিন যাবত টিউবওয়েল নষ্ট। এটা কি শিক্ষকদের নজরে পরে না। তিনি দ্রুত টিউবওয়েল মেরামতের জন্য দাবী জানা।
এদিকে পানির পানের গুরুত্ব বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হিমেল খান বলেন, পানির অপর নাম জীবন। পানির অভাবে শরীরে পানি শূণ্যতা দেখা দিতে পারে। হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। প্রস্রাব জ্বালাপোড়া ইনফেকশন হতে পারে। কিডনি ফেইলিউরও হতে পারে। তাছাড়া এখন তীব্র গরমে প্রচুর ঘাম বের হচ্ছে। তাই এসময় প্রচুর বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। এ ব্যাপারে রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা ছেলেমেয়েদেরকে বলেছি বাড়ি থেকে বোতলে করে পানি নিয়ে আসার জন্য। তাছাড়া দুতলায় জগে পানি রাখা থাকে। ছাত্রছাত্রীরা এসে পানি পান করে। টিউবওয়েলটি কয়েকবার মেরামত করা হয়েছে। আবারও করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তোরণ নির্মাণের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হানিফ মিয়া (৪৫) নামে এক ডেকোরেটর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ডেকোরেটর মালিক সেলিম মিয়া (৪২) আহত হয়েছে।
২০ জানুয়ারি শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে আখাউড়া থানা মসজিদের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হানিফ মিয়া পৌরশহরের কলেজ পাড়ার মৃত আতর আলীর পুত্র। তিনি ১ ছেলে মেয়ের জনক। আহত ডেকোরেটর মালিক সেলিম মিয়া রাধানগর ভাড়া বাসায় থাকে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংবর্ধনা উপলক্ষে তোরণ নির্মাণ করছিলেন ডেকোরেটর শ্রমিকেরা। ২৭ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা।
প্রত্যক্ষদর্শী ইলিয়াস মিয়া বলেন, হানিফ মিয়া আমার পূর্ব পরিচিত। আমি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ছিলাম হানিফ মিয়া গেইটের উপরে উঠে গেইট বানানোর কাজ করছিল। হঠাৎ দেখি হানিফের হাত দিয়ে ধোঁয়া উড়ছে। সেলিম মিয়া বাঁশ ধরা অবস্থায় কাঁপছে। তৎক্ষনাৎ আমি আরেকটা বাঁশ দিয়ে সেলিমকে সজোরে বারি দিয়ে সরিয়ে দেই। আমিও শট পাই। এসময় হানিফ মিয়া উপর থেকে নীচে সড়কে পড়ে যায়।
আহত সেলিম মিয়া বলেন আইনমন্ত্রীর সংবর্ধনা উপলক্ষে অর্ডার পেয়ে গেইট নির্মাণ করছিলাম। তখন হানিফ মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ইকরাম চৌধুরী বলেন ৫ টা ১০ মিনিটে হানিফ মিয়াসহ দুইজন আহত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে। আমরা রোগীর ইসিজি করে কোন রেসপন্স পাইনি। ব্ল্যাড প্রেসার পাইনি। হাসপাতালের আনার আগেই হানিফ মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। সেলিম মিয়া শঙ্কা মুক্ত আছে।
আখাউড়া থানার ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন শ্রমিকরা কার গেইট নির্মাণ করছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকরা।
আজ ৪ অক্টোবর শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে তিন শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।
১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক মো. আবু জাফর, সহকারি শিক্ষক মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ শাহজালাল, মো. সেকের মিয়া, জান্নাতুল ফেরদৌস, বিল্লাল আহমেদ, মাহবুবুল আলম, মো. সামসুল আলম, মো. রফিকুল ইসলাম, নজরুল হক চৌধুরী, মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ এ সময় বক্তব্য রাখেন।
প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই ও মৌসুমী আক্তার এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, আমাকে অর্থনৈতিক মুক্তি দাও আমি সমৃদ্ধ জাতি গড়ে দেব। যোগ্যতা থাকা সত্বেও সহকারি শিক্ষকদের গ্রেড নিচে। সহকারি শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এ সরকার যেহেতু বৈষম্য বিরোধী সরকার সেহেতু অচিরেই দাবি পূরণ করা হবে বলে আশা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বিজিবির অভিযানে ৫৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা সীমান্ত এলাকা থেকে এসব ওষুধ জব্দ করা হয়। তবে এ সময় চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ. এম.জাবের বিন জব্বার জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে গঙ্গাসাগর বিওপির টহল দল ২০২৪/৫ এস পিলারের ৫০০ গজ অভ্যন্তরে বাউতলা এলাকায় চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় চোরাকারবারিরা ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা বস্তাভর্তি ওষুধ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বস্তা থেকে ১৪ হাজার পিস নাইমি সোলিড ট্যাবলেট ও এক লাখ ৫৩ হাজার ৬০০ পিস সিনিকি জেড ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মূল্য তালিকা না থাকায় ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২৯ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে পৌর শহরের সড়ক বাজারে মুদিমাল ও কাঁচা মালের দোকানীকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী। আদালতকে সহযোগিতা করেন আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: শফিকুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে সোমবার শহরের সড়ক বাজারে মুদিমাল ও কাঁচা মালের দোকানে অভিযান চালানো হয়।
এসময় মূল্য তালিকা না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে লোকনাথ সবজি ভান্ডারকে ৫ হাজার ও মাসুদ স্টোরকে ৩ হাজার টাকা জরিমানাসহ সর্বমোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানকালে দোকানীদের বেশি দামে মুদিমাল বিক্রি না করতে মৌখিকভাবেও সতর্ক করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।