মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :
‘আপা’ বলতেই ক্ষেপে গেলেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার নিরুপমা পাল! আর সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
কোনো এক সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কর্মীরা ‘আপা’ বলায় ক্ষেপে যান ওই চিকিৎসক।
রাগতস্বরে বলেন, ‘আপা’ না, তাকে ‘ম্যাডাম’ বলতে হবে।
সম্প্রতি ২৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বিপ্লব শান্ত নামে এক সংবাদকর্মী নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেন। যা মুহূর্তেই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, নিরুপমা পাল মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। সম্প্রতি সিংগাইরে একটি মারামারির ঘটনায় আহতদের ইনজুরি সার্টিফিকেটে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গত ২৪ মার্চ বিকেলে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদকর্মী তার বক্তব্য জানতে হাসপাতালে গেলে ওই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
২৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালে ওই চিকিৎসকের ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, আপা আপনার নাম কি? নিরুপমা পাল জানিয়ে ওই চিকিৎসক রেগে গিয়ে বলেন, আপনি আমাকে ‘আপা’ বলছেন কেন?
এসময় পাশ থেকে আরেকজন জানতে চান, তাহলে আপনাকে কি ‘ম্যাডাম’ বলতে হবে? তখন চিকিৎসক নিরুপমা পাল বলেন ‘হ্যা, অবশ্যই’। তখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, কেন আপনাকে ‘ম্যাডাম’ বলতে হবে? এসময় ওই নারী চিকিৎসক পাশের একজনকে বলেন, আচ্ছা উনি কেন আমাকে হ্যারাস করতেছে বলেন। তখন অন্য একজনকে বলতে শোনা যায় যে, আপনিই তো প্রথমে শুরু করলেন!
এ বিষয়ে জানতে চিকিৎসক নিরুপমা পালের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনটি তার স্বামী ডা. পার্থ রিসিভ করেন। তিনি বলেন, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও নিয়ে তার স্ত্রী মানসিকভাবে কিছুটা বির্পযস্ত। এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে চান না।
এদিকে বিষয়টি জানা আছে উল্লেখ করে মানিকগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মোয়াজ্জেম আলী বলেন, স্থানীয়ভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটা মিমাংসা হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
এপ্রিলের শেষ দিকে উপজেলা নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে খুলনার ফুলতলা রি-ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে উপজেলার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে প্রথম ধাপের নির্বাচন। সকলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের সকল রাজনৈতিক দল দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করতে চাইলে বিদ্যমান আইনের পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় রাজনৈতিক দল বা স্বতন্ত্র প্রতিনিধি নিয়ে নির্বাচনে কোনো বাধা নেই।
ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, নাগরিকসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। স্মার্টকার্ডে দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এর মাধ্যমে নাগরিক সম্পর্কে জানা যাবে। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল সেবার ক্ষেত্রে এর প্রয়োজন রয়েছে। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই স্মার্ট কার্ড উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এর ডাটাবেজ সুরক্ষিত, ব্যক্তির চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি এবং দশ আঙুলের ছাপ দিয়ে তৈরি।
তিনি আরও বলেন, এই স্মার্ট কার্ড ইতালি, সৌদি আরব, আমেরিকা ও আবুধাবি এই চারটি দেশের প্রবাসীদের বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও ১১টি দেশে বিতরণ করা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নতুন করে আলাদা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, খুলনা জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ২০ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ ২০ হাজার ভোটার স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন। এবার প্রায় ৯ লাখ ব্যক্তির মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে ফুলতলা উপজেলার ২ হাজার ৯২০ জনের মাঝে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন আইডিইএ এর প্রকল্প পরিচালক (২য় পর্যায়) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের পর ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা অপহৃত এক শিশুকে ৬ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহৃত শিশু টেকনাফের হ্নীলা মৌলভীবাজার নাইক্ষ্যংখালী গ্রামের মো. ইউনুস ও সাজেদা বেগমের ছেলে খায়রুল আমিন (১২)। শিশুটি মৌলভীবাজার ইসলামিক আজিজিয়া ফয়জুল উলুম মাদ্রাসার হিফজ খানায় পড়ালেখা করে। শিশু অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১ নারীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
তারা হলেন নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. আলম (২৭), মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে আহমদ হোসেন (৫২), আহমদ হোসেনের ছেলে মো. পারভেজ (২০), সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আজিজা খাতুন (২১)। এরা সকলেই হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা বড়বিল গ্রামের বাসিন্দা।
অপহৃত পরিবারের অভিযোগের বরাত দিয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল হালিম জানান, শুক্রবার সকাল ১০টায় হ্নীলা বাজার থেকে রঙ্গিখালী বন্ধু ফরহাদের বাসায় যাওয়ার জন্য হ্নীলা বাজার থেকে জনৈক আলমের ইজিবাইক (টমটম) গাড়িতে উঠে। পানখালী যাওয়ার পথে ভিকটিম খায়রুল আমিনের বন্ধু ফরহাদ (১২) এর সাথে দেখা হয়। ফরহাদ ভিকটিমকে তার বাসায় যাওয়ার জন্য বলে এবং কিছুক্ষণ পরে হ্নীলা বাজার থেকে আসার কথা বলে। ভিকটিম খায়রুল আমিনকে নিয়ে ইজিবাইক (টমটম) এর ড্রাইভার আলম পানখালী যাওয়ার পথে কৌশলে তার অপর সহযোগীকে গাড়িতে তোলে। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ভিকটিম খায়রুল আমিনকে টমটম গাড়ি নিয়ে রঙ্গিখালী পাহাড়ের ঢালায় নিয়ে যায়।
সেখানে ভিকটিম খায়রুল আমিনের হাত বেঁধে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। কিছুক্ষণ পর টমটম ড্রাইভার আলম তার গাড়ি নিয়ে সেখান থেকে চলে আসে। একই তারিখ রাত ১০টায় ভিকটিম খায়রুল আমিনকে পাহাড়ের উপরে তুলে অবস্থান করতে থাকে এবং রাত ১টায় ভিকটিম খায়রুল আমিনকে নিয়ে একজন অপহরণকারীর বাড়িতে চলে আসে। ভিকটিম খায়রুল আমিনকে অপহরণকারী সদস্য তার বাড়িতে নিয়ে আসলে ধৃত আজিজা খাতুন ভিকটিম ও তার স্বামীকে খাবার খেতে দেয় এবং তার বাড়িতে রাতে আটক রাখে।
পরদিন ১৭ জুন ভোরে ফজরের আজানের সময় টমটম ড্রাইভার আলমের গাড়িতে করে অপহরণকারীরা ভিকটিমকে পাহাড়ের পাদদেশে নিয়ে পুনরায় পাহাড়ের উপরে উঠে অবস্থান করতে থাকে এবং রাত ১টায় অপহরণকারীরা ভিকটিমকে সামনে রেখে তার মায়ের মোবাইলে ফোন করে ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এসময় অপহরণকারীরা ভিকটিমকে গাছের ডাল দিয়ে মারধর করে ভিকটিমের মাকে কান্না শোনায়।
ভিকটিমের মামা থানায় নিখোঁজ ডায়রি করার পর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়। অপহরণকারীদের অবস্থান জেনে স্থানীয় লোকজন ও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় দফায় দফায় পাহাড়ের উপর বিভিন্ন ঘর-বাড়ি তল্লাশি করা হয়। অপহরণকারীরা অত্যন্ত অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে।
টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপরেশন) আব্দুর রাজ্জাক নেতৃত্বে অফিসারসহ পুলিশ ফোর্সের একটি চৌকস অভিযানিক দল সার্বক্ষনিক উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখে। অভিযান পরিচালনাকালে ২০ জুন সন্ধ্যায় টমটম ড্রাইভার আলমকে আটক পূর্বক ভিকটিম উদ্ধারের জন্য পাহাড়ের উপর অভিযান চলমান রাখার এক পর্যায়ে মঙ্গলবার ভোর ৫টায় পাহাড়ের উপর ভিকটিমসহ অপহরণকারীদের সন্ধান পেয়ে তাড়া করলে অপহরণকারীরা ভিকটিম খায়রুল আমিনকে রেখে পালিয়ে যায়।
থানা পুলিশ সকাল সাড়ে ৫টায় ভিকটিম খায়রুল আমিনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ঘটনায় জড়িত অপহরণকারীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখে ভিকটিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। শিশু অপহরণ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. আলম (২৭), মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে আহমদ হোসেন (৫২), আহমদ হোসেনের ছেলে মো. পারভেজ (২০), সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আজিজা খাতুনকে (২১) আটক করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্রিকসকে বহুমুখী বিশ্বের বাতিঘর হিসেবে আবির্ভূত হতে হবে। আমাদের এই বহুমুখী বিশ্বে ব্রিকসকে একটি বাতিঘর হিসাবে প্রয়োজন। আমরা আশা করি আমাদের প্রতি প্রতিক্রিয়ার সময় এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আবির্ভূত হবে। আমাদের শিশু ও যুবকদের কাছে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে আমাদের জাতিগুলো সংকটে পড়তে পারে, কিন্তু কখনই পরাজিত হবে না।
জোহানেসবার্গের স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে ৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস লিডারস ডায়ালগ ‘নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব ব্রিকস’-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে ভাষণ প্রদানকালে তিনি একথা বলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসাও এ সংলাপে বক্তব্য রাখেন।
ব্রিকস প্লাস ডায়ালগের ফাঁকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে কুশল বিনিময় করেন। জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস, উগান্ডার ভাইস-প্রেসিডেন্ট, দক্ষিণ আফ্রিকার উপ-প্রধানমন্ত্রী, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুশল বিনিময় করেন।
গ্লোবাল সাউথ-এ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া তথাকথিত পছন্দ ও বিভাজনকে ‘না’ বলা উচিত। সার্বজনীন নিয়ম ও মূল্যবোধকে অস্ত্রে পরিণত করার প্রচেষ্টাকে আমাদের অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করতে হবে। আমাদের নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার চক্র বন্ধ করতে হবে। আমাদের সব ধরনের হুমকি, উসকানি ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমি বিপজ্জনক অস্ত্র প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে এসে বিশ্বব্যাপী জনগণের প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর প্রতি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে শান্তি, ন্যায়বিচার ও স্থিতিশীলতার জন্য আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। সকলকে একসাথে অবশ্যই আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ও প্রযুক্তির জন্য প্রত্যেকের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং জলবায়ু, ন্যায়বিচার, অভিবাসীদের অধিকার, ডিজিটাল ইক্যুইটি এবং ঋণ স্থায়িত্বের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান ব্রিকস চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ২২ আগস্ট জোহানেসবার্গে পৌঁছেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা ব্রিকস দেশগুলোর ঐতিহাসিক ১৫তম শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করেছে।
এর সদস্য দেশগুলো হচ্ছে- ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত দুর্নীতি দমনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, ‘এনআইডি নিয়ে কেউ যদি সচেতনভাবে অপরাধে যুক্ত হয়, আমাদের টলারোন্স জিরো হবে। আমরা ওই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে হস্তান্তর করতেও দ্বিধান্বিত হব না।’
আজ ২ মার্চ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এনআইডি এখন অনেকটাই সুষ্ঠু অবস্থায় এসে পৌঁছেছে, এটার গুরুত্বও বেড়েছে। এনআইডি কার্ড সংক্রান্ত অপরাধপ্রবণতাও বেড়েছে। যারা অতি চালাক তারা একাধিক কার্ড করে ফেলে। সম্পত্তি বেহাতের জন্য এটা করে থাকে।’
জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে তিনি বলেন, ‘ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ? ভোটকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন পড়েছিল বঙ্গবন্ধুর ডাকে। আমরা স্বাধীনতা পেলাম। এরপর সংবিধান পেলাম, যেখানে নির্বাচনের বিষয়টা আছে। নির্বাচন করতে গেলে ভোটারের প্রয়োজন হয়। এতে ভোটারের রায়েই যেন প্রতিনিধিত্ব আসে সেটাই লক্ষ্য।’
সিইসি আরো বলেন, ‘একটা বড় দল আসেনি। তাই অনেক ভোটার না এসে থাকতে পারে। আমরা কাজ হলো ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। সেদিক থেকে নির্বাচন কমিশনের ওপর বড় দায়িত্ব রয়েছে।আমাদের স্বাধীনভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। তবে যারা শক্তিশালী তারা অন্যের স্বাধীনতা পছন্দ করে না।’
এর আগে জাতীয় ভোটার দিবসের উদ্বোধন শেষে সিইসি জানান, সর্বশেষ হালনাগাদ শেষে দেশে ভোটারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জনে। চূড়ান্ত তালিকায় ছয় কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ জন পুরুষ, নারী পাঁচ কোটি ৯৭ লাখ চার হাজার ৬৪১ জন এবং ৯৩২ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাদেশা সুলতানা, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনশ আসনের মধ্যে আরও একটিতে ভোট বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট বন্ধ করা হয়েছে। এর আগেও এই আসনের উপনির্বাচনের (একাদশ সংসদ) ভোট বন্ধ করেছিল ইসি।
আজ ৫ জানুয়ারি শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানান। কী কারণে এই আসনের ভোট বন্ধ করা হলো- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ আসনের প্রার্থীদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ডেপুটি স্পিকার প্রয়াত ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলী (ট্রাক)।
অন্য প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল আজাদ শীতল (ঈগল), বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) ও এনপিপির ফারুক মিয়া (আম)। আর ভোটের চার দিন আগে গত ৩ জানুয়ারি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার।
এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক মারা যাওয়ায় নওগাঁ-২ আসনের ভোট বন্ধ করে ইসি।গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এ বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে বৈধ প্রার্থী মারা গেলে তা বাতিল করা হবে।
এনিয়ে দুটি আসনের নির্বাচন বন্ধ করায় আগামী ৭ জানুয়ারি ২৯৮ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।