অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরও ১৬ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২৯ মার্চ বুধবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
নিহত ১৮ বাংলাদেশি হলেন-
১। রুকু মিয়া, পিতা: কালা মিয়া, থানা/উপজেলা: কসবা, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া;
২। মো. ইমাম হোসাইন রনি, পিতা: মো. আব্দুল লতিফ, থানা/উপজেলা: টঙ্গী, জেলা: গাজীপুর;
৩। খাইরুল ইসলাম;
৪। মো. রাসেল মোল্লা;
৫। মো. নজরুল ইসলাম, পিতা: কাউসার মিয়া, থানা: কোতয়ালী, জেলা: যশোর;
৬। রুহুল আমিন;
৭। সবুজ হোসাইন, পিতা:মো. হারুন, উপজেলা: রায়পুর, জেলা: লক্ষ্মীপুর;
৮। মো. হেলাল উদ্দিন, নোয়াখালী;
৯। মোহাম্মদ আসিফ, উপজেলা: মহেশখালী, জেলা: কক্সবাজার;
১০। শাফাতুল ইসলাম, উপজেলা: মহেশখালী, জেলা: কক্সবাজার;
১১। শাহিদুল ইসলাম, পিতা: মো. শরিয়ত উল্লাহ, উপজেলা: সেনবাগ, জেলা: নোয়াখালী;
১২। তুষার মজুমদার;
১৩। মামুন মিয়া, পিতা: আব্দুল আউয়াল, উপজেলা: মুরাদনগর, জেলা: কুমিল্লা;
১৪। মিরাজ হোসাইন;
১৫। গিয়াস, পিতা: হামিদ, উপজেলা: দেবিদ্বার, জেলা: কুমিল্লা;
১৬। মো. হোসাইন, পিতা: কাদের হোসাইন, উপজেলা: রামু, জেলা: কক্সবাজার;
১৭। সাকিব, পিতা: আব্দুল আউয়াল;
১৮। রানা মিয়া।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বুধবার রাতে জানিয়েছেন, সৌদি আরবে যেই বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, তাতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৪ জন। বাস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরও ১৬ বাংলাদেশি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সূত্র জানায়, সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ওমরাহ যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত হয়েছেন। গত ২৭ মার্চ ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাসটি একটি সেতুর ওপরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একপর্যায়ে বাসটি উল্টে আগুন ধরে যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আসির প্রদেশ ও আভা শহরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী ওই সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারানোয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কা যাচ্ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে মোবাইল চুরির সময় চার নারীকে আটক করেছেন আনসার সদস্যরা।
আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই চার নারীকে আটক করার পর হস্তান্তর করা হয়েছে শাহবাগ থানায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) উজ্জ্বল ব্যাপারী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের কাছ থেকে কৌশলে মোবাইল চুরি করতেন আটক চার নারী। আজ মোবাইল চুরি করার সময় এক নারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে আমাদের আনসার সদস্যরা। পরে ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সিসি ফুটেজ দেখে আরও ৩ জনকে আমরা ধরি।
তিনি বলেন, বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হককে জানানো হলে তিনি পুলিশকে জানান। পরে শাহবাগ থানায় চার নারীকে হস্তান্তর করা হয়।
ডেস্ক রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতীক পাওয়া মাত্রই প্রাথীরা তাদের প্রচারণা শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে প্রার্থীদের মানতে হবে ইসির নির্দেশনা। সেখানে সেখানে পোস্টার, সভা-সমাবেশ করা, যখন-তখন মাইক ব্যবহারসহ নানা ধরনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হবে প্রার্থী ও ভোটারদের।
এসব নিয়ম মানাতে নির্বাচন কমিশন জারি করেছে বিধিনিষেধ।
প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ ও এর সংশোধনী (২০১৩) মেনে চলার জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে পাঠানো ওই নির্দেশনা লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল করা যাবে না।
কিংবা কোনো শোডাউন করা যাবে না; মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ও মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না। সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় অবস্থিত দালান, বিল্ডিং, গাছ, বেড়া, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটিতে বা যানবাহনে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না; তবে দেশের যেকোনো স্থানে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল রশিতে ঝুলিয়ে টাঙানো যাবে।
আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা অন্য কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করা যাবে না; মাইকে নির্বাচনী প্রচারণা দুপুর ২টা হতে রাত ৮টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে; নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রার্থীর ছবি বা প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণামূলক কোনো বক্তব্য বা কোনো শার্ট, জ্যাকেট, ফতুয়া ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না; নির্বাচনী ক্যাম্পে কোনো কোমল পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন বা কোনো উপঢৌকন প্রদান করাও যাবে না।
বিধিমালায় আরো বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানে চাঁদা বা অনুদান দেওয়া যাবে না; সরকারি ডাকবাংলো, রেস্টহাউস, সার্কিট হাউস বা কোনো সরকারি কার্যালয়কে কোনো দল বা প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে প্রচারের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না; নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচনও করা যাবে না।
নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো গেট বা তোরণ নির্মাণ করা যাবে না কিংবা চলাচলের পথে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না; নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ৪০০ বর্গফুটের বেশি স্থান নিয়ে কোনো প্যান্ডেল তৈরি করা যাবে না; নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বিদ্যুতের সাহায্যে কোনো প্রকার আলোকসজ্জা করা যাবে না; কোনো সড়ক কিংবা জনগণের চলাচলের স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প করা যাবে না।
বিধিমালায় পোস্টার ঝুলিয়ে লাগানোর কথা বলা হলেও নির্বাচনের সময় দেয়াল লিখনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু দেয়াল নয়, কোনো দালান, থাম, বাড়ি বা ঘরের ছাদ, সেতু, সড়কদ্বীপ, রোড ডিভাইডার, যানবাহন বা অন্য কোনো স্থাপনায়ও প্রচারণামূলক কোনো লিখন বা অঙ্কন করা যাবে না।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টার ও ব্যানার সাদাকালো হতে হবে; পোস্টারের সাইজ অনধিক ৬০ বাই ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যানার অনধিক ৩ বাই ১ মিটার হতে হবে। পোস্টার বা ব্যানারে প্রার্থীর নিজের প্রতীক ও ছবি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক প্রকাশ করা যাবে না বলেও বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রার্থীকে আইনে নির্ধারিত ব্যয়সীমার মধ্যে থেকে প্রচারে নির্বাচনী ব্যয় করতে হবে। এবার ভোটারপ্রতি ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ১০ টাকা। তবে কোনো আসনে ভোটার সংখ্যা যাই- হোক না কেন সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থীরা। এই ব্যয় একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাব থেকে বহন করতে হবে। সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে প্রতিদিনের ব্যয় ভাউচারসহ সংরক্ষণ করে নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।
প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আচরণবিধি মেনে প্রার্থীদের প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, আমাদের বার্তা একটিই। প্রত্যেক প্রার্থী যেন নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা করেন। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশে নির্বাচন মনিটারিংয়ে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে প্রার্থী ও তাঁদের অনুসারীদের।’ এ ক্ষেত্রে প্রার্থিতাও বাতিল হতে পারে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি কুকি-চিনের সদস্যদের হায়ার করে দেশের স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৬ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঈদ সামগ্রী বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্যসহ সবদিক দিয়ে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এটাকে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন সদস্যদের হায়ার করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে বিএনপি।
বিএনপির ভারত বিরোধিতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, এটা হচ্ছে তাদের পেরোনো রাজনীতি। কারণ, ভারত হচ্ছে মুক্তিসংগ্রামে আওয়ামী লীগের পরম বন্ধু। ভারতের সহযোগিতায় মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা পাকিস্তানকে পরাজিত করেছি। তাদের প্রশিক্ষিত ৯৪ হাজার সেনা সদস্য মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনীর কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে। সুতরাং ভারত বিরোধিতা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের একটি অংশ। তিনি বলেন, বিএনপি ভারত বিরোধিতা ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ঈদেও তারা ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করবে। তারা ঈদে যে সমস্ত মসলা ব্যবহার করবে এর শতকরা ৯০ ভাগ মসলা ভারত থেকে আসবে। ভারতীয় মসলা ছাড়া তাদের চলবে না। নিজ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রসঙ্গ টেনে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিকাংশ বিএনপি নেতা-কর্মীর ভারতের আগরতলার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য আছে। সুতরাং এটা তাদের ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ইস্যুতে দেশের জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। ভারত বিরোধিতায় নেই। ভারত ভারতের মতো করে আছে। আমরা আমাদের মতো করে আছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মো. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, ওসি আসাদুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এর আগে মন্ত্রী বিজয়নগর উপজেলার দশটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি এলাকার সার্বিক খোঁজখবর নেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসন জনপ্রতিনিধিসহ সবার প্রতি আহ্বান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস আজ। হাত ধোয়াকে জীবনযাপনের অংশ করে নেওয়া অর্থাৎ অভ্যস্ত করানোর লক্ষ্যে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এ দিবস পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো হাত ধোয়ার সুফল সম্পর্কে মানুষকে জানানো। এবার হাত ধোয়া দিবসের প্রতিপাদ্য ‘হাতের পরিচ্ছন্নতায় এসে সবে এক হই’।
২০০৮ সাল থেকে দিবসটির সূচনা। ওই বছর ১৫ অক্টোবর সুইডেনের স্টোকহোমে বিশ্ব পানি সপ্তাহে জিএইচপি বিশ্বব্যাপী আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম এ দিবসটি পালন করা হয়। পরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দিবসটি প্রতি বছর পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশেও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের কথা রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকার পতনের একদফা আন্দোলন এবং শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বিভিন্ন থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে থানাসহ বিভিন্ন ইউনিট এবং ডিউটিস্থল থেকে অস্ত্র লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব অস্ত্র উদ্ধারে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ ১ সেপ্টেম্বর রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইতোমধ্যে কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর লুট হওয়া অস্ত্র ফেরত দিতে আহ্বান জানিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। এসব লুট হওয়া অস্ত্র এবং গোলাবারুদ ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফেরত না দিলে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ সদর দপ্তর।
এছাড়া এর আগে বেসামরিক জনগণকে গত ১৫ বছরে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। সূত্র : যুগান্তর