চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি পথে সড়কের ধারে হঠাৎ দৃষ্টি আটকে যায় পথিকের। থমকে দাঁড়িয়ে দেখেন জাতীয় পতাকার আদলে সাজানো হয়েছে ধানক্ষেত। আগ্রহ নিয়ে তারা এ সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রুপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামের সৌখিন কৃষক রনজিৎ সাহার ধান ক্ষেতে এমন চিত্রের দেখা মেলে।
চলতি বোরো মৌসুমে নিজের প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে সবুজ ও বেগুনি রঙের ধানের চারা দিয়ে তৈরি করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি। পার্থক্য শুধু লালের জায়গায় বেগুনি বৃত্ত। নতুন জাতের এ ধানের নাম ‘পার্পল লিফ রাইস’।
কৃষক রনজিৎ সাহা বলেন, প্রথমে সুতা দিয়ে মেপে জমিতে জাতীয় পতাকার গঠন তৈরি করি। এরপর সে অনুযায়ী রোপণ করি দুই জাতের ধানের চারা। দেশ ও পতাকার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেই আমার এই আয়োজন।
পথচারী আলমগীর হোসেন বলেন সবুজ-বেগুনিতে এতো সুন্দর ধানের জমি আর দেখিনি। লোক মুখে শুনে জমি দেখতে এখানে আসা। যিনি এই জাতীয় ধান আবাদ করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
পথচারী সিরাজুল ইসলাম রুবেল বলেন, ফসলের মাঠে সবুজ-বেগুনিতে জাতীয় পতাকা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। কাকলী আক্তার বলেন, ধানক্ষেতের চারপাশে সবুজ রঙের ধান আর মাঝখানে বেগুনি রঙের ধান রোপণ করায় দেশের জাতীয় পতাকার আদল হয়েছে। দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, একজন কৃষক দেশের প্রতি ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে তার জমিতে জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি ধান ক্ষেতে ফুটিয়ে তুলেছেন। কাজটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার জানিয়ে তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এ উপজেলায় বেগুনি রঙের ধানের আবাদ শুরু হয়। সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ধানের নাম পার্পল লিফ রাইস। এ ধানের গাছের পাতা ও কাণ্ডের রঙ বেগুনি। তাই এটি রঙিন ধান হিসাবে পরিচিত।
অনলাইন ডেস্ক :
নতুন যুগে পা রাখলো লঙ্কান ক্রিকেট। অবশেষে ওয়ানডেতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান পেলো তারা। আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বিধ্বংসী এক ডাবল হাঁকিয়েছেন পাথুম নিশাঙ্কা।
ওপেনিংয়ে নেমে একদম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকার কীর্তিও গড়েছেন নিশাঙ্কা। ১৩৯ বলে তার ২১০ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসটিতে ছিল ২০টি চার আর ৮টি ছক্কার মার।
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়লেন নিশাঙ্কা। এই ফরম্যাটে ডাবল সেঞ্চুরি করা বিশ্বের দশম ব্যাটার তিনি।
ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরির ঘটনা আছে আজসহ ১২টি। এর মধ্যে ভারতের রোহিত শর্মা একাই হাঁকিয়েছেন তিনটি।
নিশাঙ্কার চোখ ধাঁধানো ইনিংসে ভর করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়েছে লঙ্কানরা। আভিষ্কা ফার্নান্ডোর সঙ্গে ওপেনিং জুটিতেই ১৮২ রান তুলে দেন নিশাঙ্কা। ফার্নান্ডো সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন বল সমান ৮৮ রানের ইনিংস খেলে। এছাড়া ৩৬ বলে ৪৪ করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, আজকের ছোট্ট-ছোট্ট সোনামনিরা আগামী দিনে বাংলাদেশের অভিভাক হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলার বিকল্প নেই। প্রশিক্ষনের মেধা ভবিষতে দেশের জন্য বিলিয়ে দিবে। আশা করি আজকের ক্ষুদে খেলোয়াড়গন আগামী দিন জাতীয় পর্যায়ে যাবে।
জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত আজ ৩১ জানুয়ারি বুধবার বেলা ১২টায় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৩-২৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পর্যায়ে অনুর্ধ্ব-১৬ বালক ও বালিকাদের মাস ব্যাপী এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও কবি দেওয়ান মারুফ, ফুটবল প্রশিক্ষণের কোচ মোঃ রিপন মিয়া, এ্যাথলেটিক্স এর কোচ দিলিপ চন্দ্র দাস।
অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি মোঃ আবুল কাসেম। এসময় অনুর্ধ্ব-১৬ বালক ও বালিকা এ্যাথলেটিক্স ও ফুটবল প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি সনদ বিতরণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের হায়দ্রাবাদে পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় লক্ষ্য দিয়েও জয় নিশ্চিত করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। এদিকে ১০ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
শ্রীলঙ্কার ৩৪৫ রানের জবাবে ইমাম-উল-হক ও বাবর আজম দুজনেই ফিরে যান দলীয় ৩৭ রানে। এরপর যা ঘটেছে– সেটি পাকিস্তান কেন ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট! লঙ্কান ব্যাটার কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার জোড়া সেঞ্চুরির জবাবে পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আব্দুল্লাহ শফিকও ম্যাজিক ফিগার পূর্ণ করেছেন। যার ওপর ভর করে ১০ বল হাতে রেখেই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান টপকানোর রেকর্ড গড়েছে বাবরের দল।
স্পোর্টস ডেস্ক :
লোকশান এড়াতে সুপার ফোরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছিল। কাজেও লেগেছিল দিনটি। কিন্তু এশিয়া কাপের ফাইনালে সম্প্রচার স্বত্ত্বের ব্যবসায় লালবাত্তি জ্বললো। লঙ্কানদের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ফেলে ১০০ ওভারের ম্যাচ ২২ ওভারের মধ্যে শেষ করল ভারত। ১০ উইকেটের বিশাল জয়ে রোহিত শর্মার দল ঘরে তুলল এশিয়া কাপের রেকর্ড অষ্টম শিরোপা।
ফাইনালে পা রাখা পর্যন্ত দারুণ ক্রিকেট খেলেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে হারানোর পর ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করেছে। সেটাই এশিয়া কাপের ফাইনালের লড়াই জমার আভাস দিয়েছিল। কিন্তু শুরুর আগে শেষ হয়ে কলম্বোর গ্যালারিতে বসা ও টিভি পর্দার দর্শকদের হতাশ করলো তারা।
রোববার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় এশিয়া কাপের ষষ্ঠ শিরোপা জয়ী শ্রীলঙ্কা। জাসপ্রিত বুমরাহ তুলে নেন কুশল পেরেরাকে।
এরপর স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা শিবিরে বড় ধাক্কা দেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। তিনি নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিয়ে চার উইকেট তুলে নেন। একে একে সাজঘরে ফেরান পাথুন নিশাঙ্কা (২), সাদিরা সামারাবিক্রমা (০), চারিথা আশালঙ্কা (০) ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে (৪)।
পরে আরও দুই উইকেট দখলে নেন ২৯ ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং করা সিরাজ। ডানহাতি এই পেসার দাশুন শানাকা (০) ও কুশল মেন্ডিসকে (১৭) বোল্ড করে দেন। ২১ রানে ক্যারিয়ারে সেরা ৬ উইকেট তুলে নেন। বাকি তিন উইকেট হার্ডিক পান্ডিয়া দখল করে লঙ্কানদের ১৫.২ ওভারে ৫০ রানে অলআউট করে দেন।
জবাব দিতে নেমে ভারতের দুই তরুণ ওপেনার শুভমন গিল ও ইশান কিষাণ ৬.১ ওভারে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। কিশান ১৮ বলে তিন চারে ২৩ ও শুভমন ১৯ বলে ছয় চারে ২৭ রান করেন। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ফাইনালে সর্বোচ্চ ২৬৩ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটে জয়ের রেকর্ড গড়েন।
অন্যদিকে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওয়ানডে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পার্লে ২১তম ওভারে ৪৩ রানে ধসে গিয়েছিল তারা। শ্রীলঙ্কা অল্পের জন্য ওই লজ্জাসহ ওয়ানডের সর্বনিম্ন ৩৫ রানে অলআউটরে লজ্জা থেকে রেহায় পেয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে যাত্রা শুরু করে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। আজ ভারতকে উড়িয়ে দেয় ৩-১ গোলে। এই জয়ে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।
নেপালের কাঠমান্ডুতে ম্যাচের শুরু থেকেই ভারতের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। যার ফলে ম্যাচের ৯ মিনিটেই আলপি আক্তারের গোলে এগিয়ে যায় লাল-সবুজরা। অনেকটা দূর থেকে নেওয়া আলপি আক্তারের শট ঝাপিয়ে তালুবন্দী করার চেষ্টা করেন ভারতের গোলরক্ষক সুরজমুনি কুমারি। তার হাতে লেগে বল জালে জড়ায়। অনেকটা ভাগ্যের জোরেই গোলটি এসেছে।
প্রথামার্ধে এক গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। ৫৫ মিনিটে সমতায় ফেরে তারা। ডানপ্রান্তে প্রায় বাইলাইন থেকে আনুশকা কুমারীর সরাসরি শট দূরের পোস্টের ভেতরে লেগে গোল হয়।
৭৮ মিনিটে দারুণ গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন সুরভী আকন্দ প্রীতি। মধ্যমাঠ থেকে বল পেয়ে দুই ডিফেন্ডারকে গতিতে পরাস্ত করে বক্সে ঢুকে গোলকিপারের পাশ দিয়ে লাল-সবুজ দলের মুখে আবারও হাসি ফিরিয়ে আনেন।
৮৯ মিনিটে বাংলাদেশ তৃতীয় গোল করে ভারতকে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে দেয়। অনন্যা মুরমুর কর্নারে গোলকিপার ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেনি, বলে চলে আসে পেছনে। সেখানে অন্য ডিফেন্ডারদের মাঝ থেকে অর্পিতা বিশ্বাস আলতো শটে জাল কাঁপান।
দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। শেষ ম্যাচে ৮ মার্চ ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।