অনলাইন ডেস্ক :
গ্রামীণ, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক এবং টেলিটক, যেকোনো সিম থেকেই নিজের নামে নিবন্ধিত হওয়া সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো টাকার প্রয়োজন নেই।
সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে বা সিমের মালিক কে এই তথ্য অনেক সময় জানার প্রয়োজন হয়। তবে এটি একটি গোপনীয় ব্যাপার। শুধুমাত্র নিজের তথ্য ছাড়া অন্যের তথ্য জানার কোনো উপায় নেই। তবে কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন আছে তা জানতে পারবেন সহজেই। এজন্য ওই সিম এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর প্রয়োজন।
সিম রেজিস্ট্রেশন যাচাই করবেন যেভাবে
প্রথমে মোবাইল থেকে *১৬০০১# ডায়াল করুন। এরপর ফিরতি মেসেজে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের শেষের চারটি সংখ্যা চাওয়া হবে। সেখানে শেষের চারটি সংখ্যা দিয়ে সেন্ড করুন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যেই সিম থেকে জানতে চাচ্ছেন বা কোডটি ডায়াল করছেন তা অবশ্যই একই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা থাকতে হবে।
ফিরতি মেসেজেই ওই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা নম্বরের তালিকা দেয়া হবে। সেই তালিকায় সব নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু নম্বরগুলো সম্পূর্ণ দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে প্রতিটি নম্বরের শুরুর তিন ডিজিট এবং শেষের তিন ডিজিট দেখানো হয়।
সিমের বর্তমান ব্যবহারকারী কে জানার উপায়
নিজের সিম ছাড়া অন্যের সিমের মালিকানা যাচাই করার উপায় নেই। তবে এক্ষেত্রে সিমটি কে ব্যবহার করছেন সেটি জানার কয়েকটি উপায় রয়েছে। তবে এগুলো শতভাগ কার্যকর নয়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সিমের বর্তমান ব্যবহারকারী কে, সে সম্পর্কে একটি ধারনা পেতে পারেন।
এক্ষেত্রে ট্রুকলার নামের একটি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে জানতে পারবেন সিমের ব্যবহারকারী কে। এজন্য মোবাইলে ট্রুকলার অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে। এরপর একাউন্ট খুলে সাইন ইন করলেই হবে। তখন সিমের ব্যবহারকারী কে তা দেখতে পাবেন।
মূলত মোবাইলে থাকা সকল নম্বর নামসহ ট্রুকলার অ্যাপের সার্ভারে চলে যায়। ফলে অ্যাপটি ওই সব নম্বরের তথ্য জেনে যায়। মূলত সেই তথ্যের ভিত্তিতেই অ্যাপটি কাজ করে।
এছাড়া আরো একটি উপায়ে জানতে পারবেন সিমের ব্যবহারকারী কে। এজন্য প্রথমে ওই সিম নম্বর ফোনে সেভ করুন। তারপর হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো অ্যাপ ব্যবহার করুন। যদি ওই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে নাম দেখতে পাবেন। আর যদি ছবি দেওয়া থাকে তাহলে সেটিও দেখতে পাবেন।
চলারপথে ডেস্ক :
দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছর পর ফের ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস চালু করা হয়েছে। আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর বনানীতে এ দূতাবাসের উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে সঙ্গে নিয়ে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো এ দূতাবাস উদ্বোধন করেন। এ সময় দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ।
দূতাবাস উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দের মুহূর্ত। এটি কেবল একটি কূটনৈতিক বিষয় নয়, এটি আবেগপূর্ণ মুহূর্ত।
তিনি আরো বলেন, এই দূতাবাসের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হবে। পুনরায় দূতাবাস চালুর ফলে দুই দেশের সম্পর্কেও উন্নতি হবে।
১৯৭২ সালে আর্জেন্টিনার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে বাংলাদেশ। এরপর ঢাকায় দেশটির দূতাবাস খোলা হলেও ১৯৭৮ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ভারতের দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির কূটনৈতিক কার্যক্রম এবং ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে।
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা দূতাবাস খোলা হয়। কিন্তু এর কয়েক বছর পরই জান্তা সরকারের সময় অ্যাম্বাসি বন্ধ হয়ে যায়। তবে বাংলাদেশের মানুষ আর্জেন্টিনার জন্য অনবরত ভালোবাসা দেখিয়ে গিয়েছে। তারা আর্জেন্টিনাকে ভুলে যায়নি। এজন্য আমরা আবারও বাংলাদেশে দূতাবাস চালু করছি।
এর আগে নতুন দূতাবাসের উদ্বোধন এবং বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও গভীর করতে আজ সোমবার সকালে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো ঢাকায় আসেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। এটাই আর্জেন্টিনার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর।
আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক শেষে নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
চলারপথে ডেস্ক :
সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে আবারও সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘বিপদ আসতে পারে, সতর্ক থাকুন।’
আজ ০১ মার্চ বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এই সতর্কতার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন নির্দেশনা এবং বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান দেশের বাইরে থাকায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী কী ধরনের বিপদের বিষয়ে সতর্ক করেছেন- জানতে চাইলে ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক সংকটের কথাই বোঝাতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যান্য নিদের্শনা সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য সংকট মোকাবিলায় উৎপাদন এবং সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে। আমনের ফলন ভালো হয়েছে এবার। বোরো উৎপাদনে মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কোনোভাবেই যেন জমি পতিত ফেলে রাখা না হয় আবারও সেই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
চলারপথে ডেস্ক :
সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করায় একটি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিল এবং ৫টির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারায় ৫টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত এবং একটি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। ইতোপূর্বে কয়েকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ পরিচালনা নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করায় শিক্ষার্থী প্রতি পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ৭৬টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ (আশুলিয়া), নর্দার্ন ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ (ঢাকা), নর্দার্ন প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ (রংপুর), আইচি মেডিকেল কলেজ (উত্তরা) এবং শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের (রাজশাহী) কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আর কেয়ার মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর তদারকি করে। একইসঙ্গে অধিভুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তদারকি করা হয়। এছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন-২০২২ এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা, ২০১১ (সংশোধিত) অনুযায়ী গঠিত কমিটির মাধ্যমে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার মান তদারকি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক চোরাচালান, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ দমন করতে রেলওয়ে পুলিশকে আরো সক্রিয় হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রেলওয়ে পুলিশের সেবার মান বাড়ানোর বিষয়েও কাজ চলছে। আজ ২৬ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি সরদার তমিজউদ্দীন আহমেদ একথা বলেন। এর আগে তিনি আখাউড়া ও গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, রেলপথ ব্যবহার করে মাদক পাচার প্রতিরোধে রেলওয়ে পুলিশের উপস্থিতি আরো বাড়ানো হবে। যেসব স্টেশনে এখনো পুলিশ মোতায়েন নেই, সেসব স্থানে দ্রুত সময়ের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত আইজিপি আরও বলেন, কসবা রেলস্টেশনে একটি অস্থায়ী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন এবং আখাউড়া রেলস্টেশনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এতে করে রেলপথে মাদক নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে। সরদার তমিজউদ্দীন বলেন, এখন থেকে রেলওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ একসঙ্গে কাজ করবে। আমরা সবাই মিলে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করব।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি (এইচআরএম অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স), রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স শেখ মো. রেজাউল হায়দার, ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট কর্মকর্তা, রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স মো. গোলাম রউফ খান, পিপিএম (বার), সিলেট রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার
মোহাম্মদ মেহেদী হাসান,আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেলের তদারকি কর্মকর্তা মোঃ এরশাদুর রহমান,আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম. শফিকুল ইসলাম, স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট মো: নূর নবী,আখাউড়া রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী চৌকির (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে গ্রাম্য সালিশবৈঠকের মাধ্যমে স্ত্রী নয়ন বেগমকে তালাক দিয়ে মাত্র ৯ মাসের শিশুসন্তান ইসরাত জাহান ইভাকে অন্যত্র বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে বাবা ইকবাল মুন্সীর বিরুদ্ধে।
এদিকে সন্তানকে ফিরে পেতে থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও দুই সপ্তাহেও সুরাহা পাননি শিশুটির মা।
থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসারা গ্রামের আব্বাস মুন্সির ছেলে ইকবাল মুন্সির সঙ্গে একই উপজেলার পূর্ব দায়চারা গ্রামের মৃত শাহ আলম মোল্লার মেয়ে নয়ন বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ইকবাল মুন্সি তার স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন অজুহাতে একাধিকবার মারধর করে। এরই মধ্যে ইসরাত জাহান ইভা নামে এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়।
পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে গত ১৬ ডিসেম্বর গ্রাম্য সালিশবৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নয়ন বেগমের কাছ থেকে তালাক নিয়ে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখার অভিযোগ রয়েছে। পরে জোরপূর্বক ৯ মাসের শিশু ইসরাত জাহান ইভাকে মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় ইকবাল মুন্সির পরিবারের লোকজন।
নয়ন বেগম বলেন, আমার স্বামী আমাকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময়ে মারধর করত। সুখের আশায় সালিশের কাছে বিচার দিলেও উল্টো আমাকে তালাক দিতে বাধ্য করে। এমনকি তারা আমার সন্তানকেই কোল থেকে ছিনিয়ে নেয়। পরে আমি জেনেছি, আমার সন্তানকে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ওয়ারুক গ্রামে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় আমার স্বামী ইকবাল মুন্সি। আমি আমার সন্তানকে ফিরে পেতে চাই।
নয়ন বেগমের স্বামী ইকবাল মুন্সি জানান, নয়ন বেগমের সঙ্গে তার সালিশবৈঠকের মাধ্যমে তালাক হয়ে গেছে। আমাদের ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সুমন, আশু, জামাল, আবু তাহের, ফারুক হোসেন ও বাবুল নামে ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তালাকের পর শিশুসন্তানকে আমার জিম্মায় দেওয়া হয়। সন্তান বিক্রির যে অভিযোগ থানায় করেছে, সেটি সঠিক নয়। আমি আমার এক সম্পর্কের খালাতো বোনের কাছে সন্তানকে লালন-পালন করার জন্য দিয়েছি।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সুমন সোমবার দুপুরে জানান, শুনেছি শিশুটিকে পালক দেওয়া হয়েছে, বিক্রির বিষয় আমি জানি না।
সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন আজ সোমবার দুপুরে বলেন, প্রথম সালিশে আমি থাকলেও পরের বৈঠকে ছিলাম না। শিশুটির মা শিশুটিকে নেবে না বলায় তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জেনেছি। পরে কি হয়েছে সেই বিষয়ে আমি জানি না।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মো. মাহফুজ সোমবার দুপুরে জানান, শিশুটির বাবাকে সংবাদ দিয়েছি আসার জন্য। সে আসলে শিশুটিকে উদ্ধার করা হবে।