নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গণভবনে ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান লিটন বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গনভবনে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান লিটন বলেন, বিশ্বমানবতার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থবার মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করবে। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচনে জেলার ৫টি আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিশাল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করা হবে বলে আমরা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন জেলা বিএনপি ও যুবদল। দুপুরে আখাউড়া উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকা আখাউড়া স্থলবন্দর, কর্ণেল বাজার, ইটনা, আইরল, হাওড়া বেড়ি বাঁধ এবং বিকেলে কসবা উপজেলার প্রত্যন্ত বায়েক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বানবাসি মানুষের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সফিকুল ইসলাম, এড. গোলাম সারওয়ার খোকন, এড. আনিসুল ইসলাম মঞ্জু, এ.বি.এম. মমিনুল হক, জেলা বিএনপি’র কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, আলী আজম, পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক ভিপি জহিরুল ইসলাম লিটন, সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, শ্রমিক দলের সভাপতি হেফজুল বারী প্রমুখ।
জেলা বিএনপি ও যুবদলের ২ হাজার পরিবারের মাঝে চাল, তেল, ডাল, আটাসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর ব্যাগ প্রদান করা হয়।
নেতৃবৃন্দ জানান, বিএনপি জনগণের দল। বিএনপি সব সময় জনগণের পাশে ছিল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আখাউড়া ও কসবায় বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী নিয়ে এসেছি।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে ‘সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট’ বলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় গণমাধ্যমে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট। এটা হলো মূল কথা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য এখন কমছে।’
সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম ভাঙতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। দ্রব্যমূল্য এখন বেশ কিছু ক্ষেত্রে কমতে শুরু করেছে। বাজেটটা এমনভাবে করা হয়েছে যে, মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।’
প্রস্তাবিত বাজেটকে জনবান্ধব বলার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এই বাজেট প্রণীত হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেছেন। জাতীয় সংসদে ‘দেড় দশকের উন্নয়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক বাজেট বক্তৃতা দেন তিনি।
এটি দেশের ৫২তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪তম ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট।
অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচন, ময়মনসিংহ সিটির সাধারণ নির্বাচন ও পৌরসভার নির্বাচনসহ মোট ২৩৩টি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন। এসব নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ মার্চ।
আজ ২৪ জানুয়ারি বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এই নির্বাচনগুলোর তফসিল ঘোষণা করেন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে আগামী ৯ মার্চ সাধারণ ও উপ-নির্বাচন মিলিয়ে ২২৩টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সিটি করপোরেশন একটি, সিটি করপোরেশনের শূন্যপদে চারটি, পৌরসভার সাধারণ পদে তিনটি, পৌরসভার শূন্যপদে উপ-নির্বাচন ১৫টি, ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ১৩টি এবং ১৯০টি বিভিন্ন শূন্যপদে উপ-নির্বাচন, জেলা পরিষদের শূন্যপদে নির্বাচন ৭টি-সবমিলিয়ে ২৩৩টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি সচিব জানান, ২৩৩টি নির্বাচনের মধ্য রিটার্নিং অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি। রিটার্নিং অফিসে মনোনয়ন বাছাই হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। রিটার্নিং অফিস থেকে মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থিতা আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ হবে ৯ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
চলারপথে ডেস্ক :
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দিয়েছি। আমরা পাঁচ সিটিতেই জিততে চাই। আমাদের প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা আছে। কিন্তু ভোটারদের অনেক প্রশ্ন-ভোটাররা বলছে আমরা ভোট দিতে পারব তো? আমরা ভোট দিলে সেই ভোট গণনা হবে তো? নাকি আওয়ামী লীগ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে? এটাই বাস্তবতা। এটা বুঝতে এখন খুব জ্ঞানী হতে হয় না। গ্রামের কৃষক থেকে রিকশাওয়ালা পর্যন্ত এই প্রশ্ন করছে।
তিনি আরও বলেন, যারা গণতন্ত্রের নামে বড় বড় কথা বলে, যারা মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলে, তারাই ভোটের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা সৃষ্টি করেছে? রাজনীতি নিয়ে মানুষের মধ্যে বিতৃষ্ণা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, সাধারণ মানুষ মনে করে আমরা ভোট দেই বা না দেই, সরকার সমর্থকরাই জিতে যাবে। মানুষের মনে শঙ্কা, ভোট দিতে গেলে মার খেতে হবে কিনা, বাড়িতে হামলা হবে কিনা। শঙ্কা ও হতাশা দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে। দেশের মানুষকে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য করছে। এমন বাস্তবতা থেকে আমরা দেশকে উদ্ধার করতে চাই।
আজ ৬ মে শনিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জিএম কাদের এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা জনগণের পক্ষে থাকব। জনগণ যা চায় আমরা তাই করব সংসদ নির্বাচনে। আমরা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। মানুষের ভাতের অধিকার দরকার হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ খেতে পারছে না। মানুষ আধাপেট খেয়ে জীবনযাপন করছে, সামনে হয়তো আরও খারাপ দিন আসছে। যেসব দেশকে আমরা খারাপ দেশ বলি, আমাদের অবস্থা এখন তাদের চেয়েও খারাপ। তাই ভাতের অধিকার নিশ্চিত করতেই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ভালো কাজ করলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে এখনো অপপ্রচার চলছে। কেউ বলছে, আমরা কারও বি-টিম। আমরা সব সময় দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছি। আমরা কখনোই কারও বি-টিম হতে কাজ করি না। কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে কাজ করি না। জাতীয় পার্টির রাজনীতি কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে নয়।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে তখন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের দাবি তোলেন। তারা ক্ষমতায় থাকলে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায়। ক্ষমতায় গেলেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেহারা এক। ১৯৯৬ সালে আমরা মানুষের ভোটাধিকারের প্রশ্নে ৫ জানুয়ারির ভোট বর্জন করেছিলাম, আওয়ামী লীগও তখন ভোট বর্জন করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে। বিএনপির মতোই আওয়ামী লীগও নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে ছক এঁকেছে। নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিতে প্রয়োজন মতো সংবিধান সংশোধন করেছে। আওয়ামী লীগ নেত্রী বলেছিলেন, আমরা আজীবন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন ভালো হতে পারে না। এখন আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান ছাড়া নির্বাচন হবে না। আসলে, ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জনগণের রায়কে ভয় পায়। আবার ক্ষমতায় গেলে বিএনপিও একই কাজ করবে।
সভায় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রমাণ করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি জিতলে আওয়ামী লীগ বলে কারচুপি হয়েছে। আবার আওয়ামী লীগ জিতলে বিএনপি বলে ভোটে কারচুপি হয়েছে। আসলে, বর্তমান ব্যবস্থায় দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এমপি, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির তৃতীয় দিনে ৭৩৩টি ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। এতে দলটির আয় হয়েছে তিন কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
আজ ২০ নভেম্বর সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তৃতীয় দিনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আজ সরাসরি ৭০৯টি ও অনলাইনে ২৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।
শনিবার সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। মনোনয়নপত্র বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আট বিভাগের জন্য স্থাপন করা হয় ১০টি বুথ। সেখান থেকে ফরম বিক্রি করা হয়। মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা নেওয়ার কার্যক্রম চলবে ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত।