প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নেত্রকোনা জেলা আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের সৌজন্য স্বাক্ষাত

রাজনীতি, 30 March 2023, 953 Views,

নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গণভবনে ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক।

banner

জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান লিটন বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গনভবনে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান লিটন বলেন, বিশ্বমানবতার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থবার মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করবে। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচনে জেলার ৫টি আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিশাল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করা হবে বলে আমরা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছি।

Leave a Reply

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

বাঞ্ছারামপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য Read more

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল Read more

রাইস কুকারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক : মাগুরার সদর উপজেলার টিলা গ্রামে রাইস কুকারে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

চলারপথে রিপোর্ট : সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় Read more

নাসিরনগরে মৎস্য আড়তে অভিযান, নিষিদ্ধ পিরানহা…

চলারপথে রিপোর্ট : বিক্রির জন্য রাখা নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন চাঁদাবাজ গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর নামক এলাকায় চাঁদাবাজির Read more

সড়ক মেরামতের সপ্তাহ না পেরোতেই উঠে…

চলারপথে রিপোর্ট : সড়ক মেরামতের এক সপ্তাহ না পেরোতেই ইতিমধ্যে Read more

কসবায় গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে এস আই Read more

শাস্তি পেলেন ঋষভ পন্ত

অনলাইন ডেস্ক : আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট Read more

বাংলাদেশে গুগল পে এর উদ্বোধনী

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর Read more

যে কাজে নেক আমল নষ্ট হয়

ইসলাম ডেস্ক : মানুষের জীবনের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক হলো Read more

আওয়ামীলীগের প্রার্থী মোকতাদির চৌধুরী এমপির ইশতেহার ঘোষণা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, রাজনীতি, 28 December 2023, 1129 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেছেন।

banner

আজ ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেন।

নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি পরিকল্পিত নগরায়ন (দৃষ্টি নন্দন ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ও আইন-শৃংখলা ও সুশাসনের (নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপর জোর দেন। আগামী নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে তিনি ৮.৭% থেকে প্রায় শুন্য শতাংশে নামিয়ে আনার আশ্বাস দেন।

র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নির্বাচনী ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ একটি বিএসসি নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠা, একটি সরকারি কৃষি কলেজ স্থাপন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য পর্যাপ্ত ছাত্রাবাস ও যাতায়তের জন্য বাসের ব্যবস্থা, বিজয়নগরে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) স্থাপন, একটি ট্যাকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা, একটি সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা ও একটি আইটি পার্ক স্থাপন, ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং সিটিস্ক্যান, এমআরআইসহ আধুনিক যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধকরণ, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে একটি অর্থোপেডিকস ও ট্রমা হাসপাতাল ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির একটি কিডনী হাসপাতাল নির্মাণ, হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে আন্তঃ বিভাগ স্থাপন, বক্ষব্যাধি ও/যক্ষ্মা হাসপাতাল আধুনিকায়ন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় অত্যাধুনিক মাতৃসদন স্থাপন, তিতাস নদীর পূর্বপাড়ে পরিকল্পিত উপশহর গড়ে তোলা, সদর উপজেলার নন্দনপুরের বিসিক শিল্পনগরীকে একটি পূর্নাঙ্গ “ শিল্প পার্কে” রূপান্তর, মফস্বল ও প্রান্তিক এলাকায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপনে উৎসাহ প্রদান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিকায়ন, ট্রেন এবং ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, শহরের ভাদুঘর পৌর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন, একটি ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণ, ইজিবাইক ও রিকসার জন্য আলাদা আধুনিক স্ট্যান্ড নির্মাণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিনত করা।

তিতাস গ্যাসের প্রাপ্ত আয়ের ২% ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিল্প উন্নয়নে বিনিয়োগ, প্রবাসীদের জন্য একটি হাউজিং এস্টেট তৈরীর পরিকল্পনা, সাংবাদিকদের জন্য একটি আবাসন প্রকল্প, সদর ও বিজয়নগরে আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুর-স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মান, শিল্পকলা একাডেমীর আধুনিকায়ন, একটি বহুমুখী ক্রীড়া একাডেমী প্রতিষ্ঠা।

ইশতেহারে স্বাস্থ্যকর ব্রাহ্মণবাড়িয়া (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ), গতিশীল ও সমৃদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া (যোগাযোগ ও অবকাঠামো), খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া( কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন), শিক্ষিত ও দক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া (শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন), দারিদ্রমুক্ত, কর্মচঞ্চল ব্রাহ্মণবাড়িয়া (দারিদ্য বিমোচন, কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ উন্নয়ন), স্বনির্ভর ব্রাহ্মণবাড়িয়া (প্রবাসী কল্যাণ), চৌকস ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সম্প্রীতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া (খেলাধূলা, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ ও পর্যটন) ও সম্প্রীতির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ( ধর্মীয় সহনশীলতা) কথা বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সহ-সভাপতি তাজ মোঃ ইয়াছিন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেনসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

আমরা ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব: জিএম কাদের

রাজনীতি, 6 May 2023, 949 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দিয়েছি। আমরা পাঁচ সিটিতেই জিততে চাই। আমাদের প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা আছে। কিন্তু ভোটারদের অনেক প্রশ্ন-ভোটাররা বলছে আমরা ভোট দিতে পারব তো? আমরা ভোট দিলে সেই ভোট গণনা হবে তো? নাকি আওয়ামী লীগ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে? এটাই বাস্তবতা। এটা বুঝতে এখন খুব জ্ঞানী হতে হয় না। গ্রামের কৃষক থেকে রিকশাওয়ালা পর্যন্ত এই প্রশ্ন করছে।

banner

তিনি আরও বলেন, যারা গণতন্ত্রের নামে বড় বড় কথা বলে, যারা মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলে, তারাই ভোটের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা সৃষ্টি করেছে? রাজনীতি নিয়ে মানুষের মধ্যে বিতৃষ্ণা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, সাধারণ মানুষ মনে করে আমরা ভোট দেই বা না দেই, সরকার সমর্থকরাই জিতে যাবে। মানুষের মনে শঙ্কা, ভোট দিতে গেলে মার খেতে হবে কিনা, বাড়িতে হামলা হবে কিনা। শঙ্কা ও হতাশা দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে। দেশের মানুষকে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য করছে। এমন বাস্তবতা থেকে আমরা দেশকে উদ্ধার করতে চাই।

আজ ৬ মে শনিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জিএম কাদের এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা জনগণের পক্ষে থাকব। জনগণ যা চায় আমরা তাই করব সংসদ নির্বাচনে। আমরা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। মানুষের ভাতের অধিকার দরকার হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ খেতে পারছে না। মানুষ আধাপেট খেয়ে জীবনযাপন করছে, সামনে হয়তো আরও খারাপ দিন আসছে। যেসব দেশকে আমরা খারাপ দেশ বলি, আমাদের অবস্থা এখন তাদের চেয়েও খারাপ। তাই ভাতের অধিকার নিশ্চিত করতেই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ভালো কাজ করলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে এখনো অপপ্রচার চলছে। কেউ বলছে, আমরা কারও বি-টিম। আমরা সব সময় দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছি। আমরা কখনোই কারও বি-টিম হতে কাজ করি না। কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে কাজ করি না। জাতীয় পার্টির রাজনীতি কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে নয়।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে তখন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের দাবি তোলেন। তারা ক্ষমতায় থাকলে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায়। ক্ষমতায় গেলেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেহারা এক। ১৯৯৬ সালে আমরা মানুষের ভোটাধিকারের প্রশ্নে ৫ জানুয়ারির ভোট বর্জন করেছিলাম, আওয়ামী লীগও তখন ভোট বর্জন করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে। বিএনপির মতোই আওয়ামী লীগও নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে ছক এঁকেছে। নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিতে প্রয়োজন মতো সংবিধান সংশোধন করেছে। আওয়ামী লীগ নেত্রী বলেছিলেন, আমরা আজীবন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন ভালো হতে পারে না। এখন আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান ছাড়া নির্বাচন হবে না। আসলে, ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জনগণের রায়কে ভয় পায়। আবার ক্ষমতায় গেলে বিএনপিও একই কাজ করবে।

সভায় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রমাণ করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি জিতলে আওয়ামী লীগ বলে কারচুপি হয়েছে। আবার আওয়ামী লীগ জিতলে বিএনপি বলে ভোটে কারচুপি হয়েছে। আসলে, বর্তমান ব্যবস্থায় দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এমপি, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু প্রমুখ।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন জনবান্ধব করার চেষ্টা চলছে: আইনমন্ত্রী

রাজনীতি, 15 April 2023, 919 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে ডেস্ক :
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই আইনের সঠিক ব্যবহার এবং আইনটি জনবান্ধব করার চেষ্টা চলছে। এ কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের আয়োজনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিতর্ক’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। শনিবার রাজধানীর বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

banner

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সরকারের কাছে যে সুপারিশ পাঠিয়েছে, তাতে আইনটির দুটি ধারা (২১ ও ২৮) পুরোপুরি বাতিল এবং আটটি সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের টিমের সঙ্গে আমাদের দেশের একটি টিম (লেজিসলেটিভ সচিবকে প্রধান করে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে) করে দেওয়া হয়েছে। আলোচনা করে তারা একটি টেকনিক্যাল নোট পাঠিয়েছে।’

টেকনিক্যাল নোট -এর তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ধারা বাতিল করতে বলছে, কিন্তু সেটি আমার পক্ষে সম্ভব না। স্পষ্ঠভাবে বলতে চাই, আমাদের বাস্তবতায় ২১ ধারা প্রয়োজন রয়েছে; যা আলোচনায় উঠে এসেছে। আলোচনায় ওই আইনের অধীনে বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের রক্ষাকবচের কথাও উঠে এসেছে, সেটি অবশ্যই আমরা হাইলাইট করব।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাখ্যার কথা বলছেন, এই যে ধারাগুলো এবং কিছু টেকনিক্যাল ধারা; এগুলোর একটি সুবিধা আছে। সুবিধাটা হচ্ছে, এই যে ধর্মীয় অনুভুতি, স্বাধীনতা এগুলোর বিষয়ে অপরাধের বিষয়টি আগে দণ্ডবিধিতে ছিল; এমন বহু (আদালতের) রায় আছে। যেখান থেকে ব্যাখ্যাগুলো নেওয়া যায়। আমি মনে করি, প্রশিক্ষণে (আইন প্রয়োগের বিষয়ে) জোর দেওয়া উচিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার মামলাতে এ ধরনের ব্যাখ্যা আছে। এক্ষেত্রে যারা মামলা তদন্ত করেন এবং যারা মামলা করেন, আইনজীবীরা এই ব্যাখ্যার বিষয়ে কাজ করতে পারবেন।’

আলোচকদের উদ্দেশ করে আনিসুল হক বলেন, ‘আপনারা বলতে পারেন যদি ব্যাখ্যাটি জানেন, তাহলে আইনের মধ্যে আনছেন না কেন? এর উত্তর হলো যদি সেসব (ব্যাখ্যা) আইনের মধ্যে আনা হয়, তাহলে আইনটি অনেক বড় হয়ে যাবে। সেজন্যই আইনের ব্যাখ্যার বিষয়টি বিচার বিভাগের ওপর দেওয়া হয়েছে। আমাদের সৌভাগ্য যে আজকে এসব ব্যাখ্যার জন্য অন্য কোথাও যেতে হয় না, বই খুললেই পাওয়া যায়। এসবই প্রতিষ্ঠিত সিদ্ধান্ত।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটা যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল, সেটা যে রকম চলছে তাতে কিছু অপব্যবহার হয়েছে। এই আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে, যা আপনারা সবাই স্বীকার করছেন। কিন্তু একটা গোষ্ঠী আছে, যারা এই আইনটিকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে প্রচার করে। আমি নিশ্চিতভাবে বলছি, তারা এই আইন নিয়ে জনগণের কাছে যায় না। তারা ওয়াশিংটন ডিসি, ব্রাসেলস এবং জেনেভাতে গিয়ে বলে এই আইনটা খারাপ। তারা এখানে বলে না। কারণ তারা জানে যে, এখানে বললে হালে পানি পাওয়া যাবে না। আমি বলব, এই আইনটি সংখ্যালঘুদের আঘাত রোধের জন্য নয়, এটি সারা দেশের জনগণের জন্য।

 

খালেদা জিয়া সুস্থ হলে বাকি সাজা খাটতে হবে: আইনমন্ত্রী

জাতীয়, রাজনীতি, 11 June 2023, 1540 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাই তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তিনি একজন দণ্ডপ্রাপ্ত তাই তার দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর যদি তিনি সুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে তাকে বাকি সাজা খাটতে হবে।

banner

আজ ১১ জুন রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ল রিপোর্টার্স ফোরাম’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোন সুযোগ নেই। পাশাপাশি পলাতক তারেক রহমান একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তিনিও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

দশবছর পর জামাত ঢাকায় সমাবেশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদেরকে অনুমতি দেওয়ার মালিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অতএব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করুন।

অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামাতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামাতের বিচার করার জন্য যথেষ্ট তথ্যপত্র রয়েছে। তবে তারা বিচারে যতক্ষণ পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে অপরাধী দল হিসেবে বলা যাবে না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার এবং সঞ্চালনা করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা।

আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা ও ফোরামের অন্য নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টার ড. ইউনূসের সাথে সংলাপে যেসব দাবি জানাল বিএনপি

জাতীয়, রাজনীতি, 5 October 2024, 543 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

banner

আজ ৫ অক্টোবর শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে সংলাপ শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়।

এতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানায় বিএনপি।

সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি।

তিনি বলেন, বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যাতে নির্বাচন সংস্কার কমিশনে না যায়, সেকথা আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি। আমরা বলেছি যে, ফ্যাসিস্ট সরকারের ভুয়া ভোটে নির্বাচিত সকল ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করতে বলেছি। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে যেসব প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনার ছিল, তাদের ভুয়া ও ব্যর্থ নির্বাচন, পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন করার অভিযোগে আইনের আওতায় আনার কথা বলেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান ওনাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার।

বিএনপির দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব বলেন, বিষয়গুলো অত্যন্ত সহযোগিতার সঙ্গে তারা দেখছেন। তারা মনে করেন, আমাদের দাবিগুলো জনগণের দাবি, আমাদের দাবিগুলো তাদেরও দাবি।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে সংবিধান ধ্বংস ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের ‘মূল হোতা’ অভিহিত করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

প্রশাসনের ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর কর্মরত আছেন জানিয়ে তাদের অপসারণ, জেলা প্রশাসক নিয়োগে নতুন তালিকা এবং যেসব জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের নিযোগ বাতিল, ফ্যাসিবাদের সময়ের চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বাতিলের কথা বলেছেন বলে জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তবর্তী সরকারের মধ্যে দুই-একজন আছেন, যারা বিপ্লব-গণঅভ্যুত্থানের যে মূল স্পিরিট তাকে ব্যাহত করছেন, তাদের সরানোর কথা বলেছি। আমরা গত ১৫ বছর ধরে সরকারি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বঞ্চিতদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি নিশ্চিত করার জন্য বলে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, আামরা বলেছি যে, বিচার বিভাগের হাইকোর্ট বিভাগে এখন পর্যন্ত পরিবর্তন হয়নি। হাইকোর্ট বিভাগে বেশির ভাগ নিয়োগই ছিল দলীয় ভিত্তিতে এবং প্রায় ৩০ জন বিচারক বহাল তৈবিয়তে কাজ করছেন এখনো। এদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওিয়ার জন্য বলেছি। দলকানা কিছু বিচারক আছেন, তাদের অপসারণের কথা বলেছি। একই সঙ্গে অতিদ্রুত পিপি ও জিপি নতুনভাবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা লক্ষ করেছি, যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে… দুর্নীতি অথবা হত্যার সুনির্দিষ্ট মামলায় যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে। এটা খুব উদ্বেগজনক। এই বিষয়টা আমরা দেখার জন্য বলেছি।

তিনি বলেন, ২০০৭ সাল থেকে শেখ হাসিনার শাসনামল পর্যন্ত সকল মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা ও প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, শুনতে পাই, কিছু জায়গায় সাবেক মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে, কার সহযোগিতায় পালাচ্ছে এই বিষয়গুলো দেখার জন্য বলেছি।

তিনি বলেন, আজকে পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভারতে আছেন। ভারতে থেকে তাকে কেন্দ্র করে, তার মাধ্যমে যে সমস্ত ক্যাম্পেইন চলছে, যে সমস্ত অপপ্রচার চলছে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য এবং তাকে ওই অবস্থা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা সরকারকে অনুরোধ করেছি, তারা যেন ভারত সরকারের সাথে আলোচনা করে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে কারা আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের একটি দল এসেছে বাংলাদেশে। যারা বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে জড়িত আছেন তারা জাতিসংঘের টিমকে সেভাবে সহযোগিতা করছেন না। এ বিষয়ে আমরা বলেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, সনাতনী কিছু মানুষ সবাই না, তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জনগণকে উস্কে দিচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। হিন্দু কমিউনিটির ওপর নির্যাতন হচ্ছে ইত্যাদি কথা বলছে, যা সর্বৈব মিথ্যা। এটা তাদের সুদূর পরিকল্পনা। এই কথাগুলো গুরুত্বের সাথে বলেছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

সংলাপে অংশ নেওয়া বিএনপির অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান ও সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এতে সরকারের দিক থেকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ, আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।