অনলাইন ডেস্ক :
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুইটি হেলিকপ্টারের মধ্যে অল্পের জন্য মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা যায়। কিন্তু বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিতে প্রশিক্ষণ চলার সময় সেনাবাহিনীর দু’টি ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টারের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এ দুর্ঘটনায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন।
হেলিকপ্টারের ক্রুরা নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে এগুলো উড়াচ্ছিলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তাদের আশঙ্কা, এ ঘটনায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমগুলো আরো জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় আবহাওয়া স্বাভাবিক ছিল।
গত বছরের জুলাইয়ে ৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করে এ হেলিক্প্টার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হয়। কঠিন পরিস্থিতির বাস্তব ধারণা পাওয়া যাবে এমন ডিজাইন করে এটি তৈরি করা হয়েছে।
৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসেয়ার বৃহস্পতিবার সকালে টুইট করে বলেছেন, ‘ফোর্ট ক্যাম্পবেল থেকে খারাপ খবর এসেছে।’
যে ঘাঁটিতে হেলিকপ্টার দু’টির সংঘর্ষ হয়েছে সেটি নাশভিলের ৬০ মাইল উত্তর পূর্ব দিকের কেন্টাকি-টিনাসের ট্রিগ কাউন্টিতে অবস্থিত। ওই ঘাঁটিতে ১০১তম এয়ারবোর্ন রেজিমেন্ট এবং ১৬০ স্পেশাল অপারেশন এভিয়েশন রেজিমেন্টের সেনারা অবস্থান করেন।
ডব্লিউকেডিজেড রেডিও নামের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘হেলিকপ্টার দু’টি খুবই নিচে নেমে আসে, হঠাৎ করে – যখন বাড়ির কাছাকাছি চলে আসে, প্রচণ্ড শব্দ এবং বিকট বিস্ফোরণ হয়। হঠাৎ করে সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘আমরা ট্রাক থেকে নেমে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই, সেখানে গিয়ে দেখতে পাই, দু’টি হেলিকপ্টার পড়ে আছে।’
ট্রিগ কাউন্টির কারা পরিদর্শক জেমস হিউজ ডব্লিউকেডিজেড রেডিওকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে আধা মাইল দূরে থাকেন তিনি। তার ধারণা, হেলিকপ্টারগুলোর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।
ফোর্ট ক্যাম্পবেল ঘাঁটির মুখপাত্র ননডিস থুরমান নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১০টার দিকে ট্রিগ কাউন্টির, ৬৮ নম্বর মহাসড়কের কাছে দু’টি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।
তিনি আরো নিশ্চিত করেছেন, হেলিকপ্টারগুলো ছিল ব্ল্যাকহক মডেলের। আর এগুলো পরিচালনা করত ১০১তম এয়ারবোর্ন ডিভিশন।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফোর্ট ক্যাম্পবেল থেকে প্রথমবারের মতো একটি ইউএইচ-৬-আলফা ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টার মানুষ ছাড়াই উড়ানো হয়। বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনার সঙ্গে এই পোগ্রামের কোনো ত্রুটির সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা সেটি দেখা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হলো। পুটয়াখালীর বাউফলের মো. ইমরান হোসেনের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার নিকি উল ফিয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
আজ ০১ মার্চ বুধবার রাতে সাড়ে ৭টার দিকে ১০১ টাকা দেনমোহরে নিকিকে বিয়ে করেন ইমরান। স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা শহিদুল ইসলাম এই যুগলের বিয়ে পড়ান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশিকুর রহমানের সামনে উপস্থিত হয়ে এভিডেভিডের মাধ্যমে বিয়ের সম্মতি দেন নিকি। এরপর আইনজীবীর সহযোগিতায় বিয়ের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে বাউফলের উদ্দেশ্য রওনা হন।
দুই দেশের ভিন্ন ভাষাভাষীর দুজন মানুষের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর বিয়ের জন্য ২০১৭ সালে পটুয়াখালীর বাউফলে এসেছিলেন নিকি উল ফিয়া। তখন বিয়ের বয়স না হওয়ায় নিজ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় চলে যান তিনি।
পরে গত সোমবার ফ্লাইটে করে বাংলাদেশের শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন ওই তরুণী। ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে বুধবার সকালে পটুয়াখালীতে আসেন নিকি।
বাউফলের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বর্তমানে তার বয়স ২৫ বছর। আর নিকি উল ফিয়ার বয়স ২৩ বছর। নিকি ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার বাসিন্দা ইউলিয়ানতোর মেয়ে। তার মায়ের নাম শ্রীআনি।
ইমরান হোসেন বলেন, নিকির সঙ্গে আমার সাত বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমরা জজকোর্টে এসে বাংলাদেশি আইনে নিয়ম মেনে বিয়ের সম্মতি দিয়েছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উল ফিয়া বলেন, বাংলাদেশ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আজকের দিনের জন্য আমি খুব খুশি এবং আমি সারা জীবন বাংলাদেশে থেকে যাব।
ইমরানের মা মোসাম্মাদ বিথী আকতার বলেন, যেহেতু সে অন্য একটি দেশের মেয়ে আমাদের বাংলাদেশে এসেছে। আমার কাছে ভালো লাগছে। আমরা ছোট পরিসরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিয়ের আয়োজন করেছি।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য আগত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজে অভিষেক হতে যাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এ নিয়ে শীঘ্রই ওয়াশিংটনে সফরের পরিকল্পনা করেছেন নেতানিয়াহু। গতকাল ১৫ জানুয়ারি বুধবার রাতে এক টুইটে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
১৫ জানুয়ারি বুধবার এ খবর দিয়েছে জেরুসালেম পোস্ট।
আরও পড়ুন
টিউলিপের স্থলাভিষিক্ত হলো এমা রেনল্ডস
নেতানিয়াহু বলেন, ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি বহু জিম্মি এবং তাদের পরিবারের কষ্টের অবসানে সহায়তা করেছেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী তার মন্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ‘গাজা কখনো সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় হবে না’ বক্তব্যের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং গাজায় আটক সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। পরে নেতানিয়াহু বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি বাইডেনকে বন্দি চুক্তি এগিয়ে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ এবং তার সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকে মাস্ক, বেজোস ও জাকারবার্গ উপস্থিত থাকবেন
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্র এবং কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি-জিম্মি মুক্তির চুক্তি মেনে নিয়েছে ইসরাইল। চুক্তিটি আগামী রোববার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।
এই চুক্তির অধীনে, ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং বন্দি মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা দীর্ঘ সময় ধরে চলমান সংঘাতের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের উত্তর গাজার জাবালিয়ায় জাতিসংঘের পরিচালিত ‘আল-ফাখুরা’ নামে একটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে।
গতকাল শনিবার ভোরে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত ওই স্কুলটিতে ইসরায়েলী বাহিনীর অবিরাম হামলা থেকে বাঁচতে শত শত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।
গাজা থেকে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিনিধি তারেক আবু আজজুম জানান, স্কুলের ভেতর মরদেহ পড়ে আছে। মেডিকেল টিমগুলো আহতদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি আরো জানান, উত্তর গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত স্থল আক্রমণ থেকে বাঁচতে অনেক ফিলিস্তিনি সুরক্ষার জন্য ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের আশপাশে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আল-ফাখুরা স্কুলে আশ্রয় নেওয়া লোকেরা, যাদের অনেকের চিকিৎসা সমস্যা ছিল, তারা ভেবেছিল তারা সেখানে আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারে।
গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক ইসমাইল থাওয়াবতা।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অঞ্চলের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার্থে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন। আজ ১৬ মে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউনের সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে ইহসানুল করিম বলেন, এই অঞ্চলের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার্থে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এক প্রজন্মের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সাফল্যের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই সাফল্য বাংলাদেশকে উন্নয়ন-সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টাকে অনুপ্রাণিত করেছে।
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রে দুটি সফরের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিতীয় সফরে তিনি দেশটিতে বিস্ময়কর উন্নয়ন দেখেছেন।
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, আনুষ্ঠানিক উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ), কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
এ প্রসঙ্গে লি জাং-কিউন বলেন, ২০২০ সালে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১শ’ ৫০ কোটি মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে ৩শ’ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ২০২০ সালে ওডিএ ছিল ৫০ কোটি মার্কিন ডলার, যা এখন ৩শ’ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ খাত থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে আগ্রহী।
গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আমার হৃদয়ে আছে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর এ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
গত তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল ভারতের আগ্রা। শহরের একাধিক এলাকা জলমগ্ন। বৃষ্টির জেরে জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি এমনই, যে তাজমহলের ছাদ চুঁইয়েও পড়ছে পানি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, হাঁটুপানি জমেছে তাজমহল প্রাঙ্গণের বাগানেও। গত বৃহস্পতিবার থেকেই তাজমহল প্রাঙ্গণের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জলে ডুবে গিয়েছে তাজমহলের একটি বাগান। গোটা এলাকা জুড়ে শুধু পানি আর পানি। তাতেও উৎসাহী পর্যটকদের কমতি নেই। সেই দৃশ্য আবার মুঠোফোনে বন্দি করে রাখছেন কেউ কেউ! ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের (এএসআই) আগ্রা বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে তাজমহলের মূল গম্বুজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে পানি। তবে তিনি এও জানিয়েছেন, চিন্তার কোনও কারণ নেই। শনিবার এএসআইয়ের মুখ্য সুপারিনটেন্ডেন্ট রাজকুমার পটেল বলেছেন, ‘‘তাজমহলের মূল গম্বুজের ছিদ্রটি আমাদের নজরে এসেছে। পরিদর্শনের পর প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এটি ক্ষয়ের ফলেই তৈরি হয়েছে। স্থাপত্যে বড়সড় কোনও ক্ষতি হয়নি। আমরা ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করে গম্বুজের অবস্থা খতিয়ে দেখেছি। এখনই চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’
তাজমহল ইউনেস্কো দ্বারা অনুমোদিত বিশ্বের ঐতিহ্যমূলক স্থানগুলির অন্যতম। ১৬৫৩ সালে এই মোগল স্থাপত্যের নির্মাণকাজ শেষ হয়। প্রতি বছর অগণিত পর্যটক এর টানেই আগরা যান। ফলত তাজমহল আগরা-সহ সারা ভারতের পর্যটন মানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। স্থানীয় এক গাইড জানাচ্ছেন, তাজমহলকে ঘিরেই আমাদের মতো অনেকের কর্মসংস্থান। ফলে সরকারের উচিত এই স্মৃতিস্তম্ভের যথাযথ যত্ন নেওয়া।
প্রসঙ্গত, গত তিন দিন ধরেই ভারী বৃষ্টিতে ভিজছে দিল্লি এবং আগরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও জলমগ্ন রাজ্যের মফস্বল, গ্রাম। কোথাও কোথাও ডুবেছে চাষজমি। জলে ডুবেছে জাতীয় সড়কও। এর মাঝেই প্রকাশ্যে এল তাজমহলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সৌধের এই চিত্র।