অনলাইন ডেস্ক :
প্রযোজক ও ব্যবসায়ীদের নানাভাবে প্রতারণা, অর্থ আত্মসাত এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উঠতি মডেল, অভিনেত্রী তাসনিয়া রহমানের নামে। কয়েকজন ভুক্তভোগী তার ব্যাপারে এমন অভিযোগ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রযোজক নেতা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, তার সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় করা সাধারণ ডায়েরির একটি অংশে ঐ প্রযোজক নেতা অভিযোগ করেছিলেন, তার সাবেক স্ত্রী অভিনয় করতে ইচ্ছুক তাসনিয়া নামের একটি মেয়েকে সিনেমার নায়িকা বানানোর আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন মহলে নিয়ে যান। দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার প্রতিবেদনে এমন একটি ইঙ্গিতপূর্ণ তথ্য আসার পর শোবিজ অঙ্গন বিশেষ করে এফডিসিতে কানাঘুষা শুরু হয় কে এই তাসনিয়া?
তিনি আরো জানান, তার সঙ্গে তাসনিয়া রহমানের প্রেমের সম্পর্ক হয়েছিল। সে কৌশলে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি, ভিডিও তুলে রাখে। পরে তাকে সেগুলো দেখিয়ে একের পর টাকা আদায় করতে থাকেন। এ পর্যন্ত তাকে তিনি বেশ কয়েক লাখ টাকা দিয়েছেন। এরপরও তার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না তিনি।
আরেকটি মাধ্যম জানাচ্ছে, এফবিসিসিআই-এর এক সাবেক পরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছিলেন এ মডেল-অভিনেত্রী। তবে আদালতে দাখিল করা পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যবসায়ী নির্দোষ প্রমাণিত হন। মামলায় জিততে না পেরে তাসনিয়া তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতেই নিজের সঙ্গে তার ছবি ফেসবুকের কাভারে ব্যবহার করছেন বলে ব্যবসায়ীর ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করছে। ওই ব্যবসায়ী এ বিষয়ে আইনি সহায়তা নেবেন বলেও জানা গেছে।
আরো একটি অভিযোগ উঠেছে তাসনিয়ার বিরুদ্ধে। কয়েকবছর আগে তাসনিয়ার ভয়ে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন এক আইটি ব্যবসায়ী। কিছুদিন ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে একই বাসায় থেকে ছিলেন তাসনিয়া। পরে বিবাহিত ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গর্ভপাতের অভিযোগে মামলা করার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন।
এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী গণমাধ্যমে নানা তথ্য প্রমাণ পাঠিয়ে জানান, তার স্বামীর সঙ্গে তাসনিয়া অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। পরে পারিবারিক চাপে তাকে ছাড়তে রাজি হন ওই ব্যবসায়ী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাসনিয়া তার কাছে মোটা অংকের টাকা চাচ্ছে। অন্যথায় মিডিয়ার কাছে ওই ব্যবসায়ীর পরিচয় প্রকাশ করার হুমকি দিয়েছেন।
আরেকজন উপস্থাপিকা তার স্বামীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছিলেন। তাসনিয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে বেশ কিছু কল রেকর্ড, কথোপকথনের স্ক্রিনশট গণমাধ্যমে এসেছে।
বিষয়গুলো নিয়ে তাসনিয়া রহমান বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যে। কেউ যদি প্রমাণ দেখাতে পারে কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছি তাহলে অভিযোগগুলো মাথা পেতে নেব। কারণ কেউ কোনও প্রমাণ দেখাতে পারব না যে কারো এক টাকা মেরে দিছি। আমি মুদি দোকানেও বাকি রাখি না, কারণ আল্লাহ না করুক যে কোনও সময় আমি মারা যেতে পারি। এভাবে যদি অভিযোগ করা হয় তাহলে আমি শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলবো।
প্রসঙ্গত, অভিনয়ের নতুন মুখ তাসনিয়া রহমান। কিছু চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ওয়েব সিরিজেও কাজ করা হয়েছে তার। নির্মাতা অমিতাভ রেজার ‘মুন্সিগিরি’ সিরিজের একটি চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় ছিলেন।
চলারপথে ডেস্ক :
বর্তমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এই দলের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ছিল না জয়ের রেকর্ড। একবারের মোকাবিলায় ৮ উইকেটে হার। সেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অন্যরূপে দেখা গেল বাংলাদেশকে।
চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টাইগারদের সামনে স্রেফ উড়ে গেল বাটলার শিবির। বাংলাদেশ পেয়েছে ৬ উইকেটের দাপুটে এক জয়, দুই ওভার হাতে রেখেই। তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশের লিড ১-০ ব্যবধানে। জয়তু টাইগার শিবির।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে দুই ওভার হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ, ১৫৮/৪।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও আট বছর পর দলে ফেরা রনি তালুকদার। কুরান, ওকস, আর্চার নিজেদের প্রথম ওভারে মার খাওয়ার পর চতুর্থ ওভারে আসেন স্পিনার আদিল রশিদ। এসেই উইকেট পান তিনি। বোল্ড করে দেন ১৪ বলে ২১ রান করা রনিকে। তার ইনিংসে ছিল চারটি চারের মার।
এরপর সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। পঞ্চম ওভারে আর্চারের বলে ওকসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১০ বলে দুই চারে ১২ রান করেন বাংলাদেশ ওপেনার। শান্ত ও হৃদয়ের বিধ্বংসী জুটি। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে চট্টগ্রামে ঝড় তুলে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে করে রানের চাকা ঘুরান তিনিই। উডের এক ওভারে টানা চার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচে রোমাঞ্চকর আবহ তৈরি করেন। ২৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন শান্ত। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তৃতীয় পঞ্চাশ এটি তার।
এরপরই অবশ্য বিদায় নেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা তৌহিদ হৃদয়। মঈন আলির বলে কুরানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১৭ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৪ রান করেন হৃদয়।
ফিফটির পর আগাতে পারেননি শান্ত। উডের বলে হয়ে যান বোল্ড। ৩০ বলে আট চারে ৫১ রান করে ফেরেন শান্ত। পঞ্চম উইকেটে হাল ধরেন সাকিব-আফিফ। এই জুটিতেই শেষ পর্যন্ত সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। ২৪ বলে ছয়টি চারে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১৩ বলে দুই চারে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে বল হাতে একটি করে উইকেট নেন জফরা আর্চার, আদিল রশিদ, মার্ক উড ও মঈন আলি।
বাংলাদেশ দল : রনি তালুকদার, লিটন কুমার দাস (উইকেটকিপার), নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান।
অনলাইন ডেস্ক :
জিতলেই ইতিহাস। প্রথমবার বিশ্বকাপ শিরোপা ছোঁয়ার অনুভূতি। কারণ প্রথমবার ফিফা নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখে ইংল্যান্ড ও স্পেন। যে লড়াইয়ে ১-০ গোলে জিতে ইতিহাস গড়েছে স্পেন। স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ায় স্বপ্নের সোনালি শিরোপা উৎসব করেছে লা রোজিরা।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে স্পেনের ওলগা কারমনা গোল করেন। তার ওই গোলেই স্বপ্নের শিরোপা হাতে উঠেছে লা রোজিদের হাতে। বিশ্বকাপের সপ্তম ফুটবলার হিসেবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। এছাড়া পঞ্চম দেশ হিসেবে স্পেনের নারীরা ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সর্বাধিক চারবার নারীদের ফিফা বিশ্বকাপ জিতেছে। জার্মানি দু’বার ঘরে তুলেছে বিশ্বকাপের শিরোপা। বিশ্বকাপের সোনালি শিরোপা হাতে উঠেছে নরওয়ে এবং জাপানের হাতেও।
শেষ বাঁশি বাজতেই ভূপাতিত হয়ে পড়েন ইংল্যান্ড ফুটবলাররা। উল্লাসে মাতেন স্পেনের মেয়েরা।
অন্যদিকে দু’বার দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলে শিরোপা বঞ্চিত থাকতে হলো কিংবদন্তি সারিনা উইগম্যানের। ফুটবল কোচিংকে সহজ বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। দলকে টানা চার আসরের ফাইনালে তুলেছেন। নেদারল্যান্ডসকে ইউরো জেতালেও বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেও শিরোপা জেতাতে পারেননি তিনি।
ইংল্যান্ডের সঙ্গেও হলো তা-ই। লায়নেসদের দায়িত্ব নিয়ে ইউরো জিতিয়েছেন সাবেক এই ফিজিক্যাল ইডুকেশন টিচার। কিন্তু বিশ্বকাপের শিরোপা জেতাতে পারলেন না। অন্যদিকে স্পেনও দেখিয়ে দিয়েছে ফুটবল কৌশলে পিছিয়ে নেই তারাও। তাদের পজিশন প্লেয়িংয়ের কাছে খেই হারালে ম্যাচে ফেরা কঠিন।
স্পেন নারী দলের কোচ জর্জ ভিলদার দল বলের দখলেই শুধু এগিয়ে ছিল না আক্রমণেও তার দল ছিল ঢের এগিয়ে। গোল মুখে ইংল্যান্ডের আট শটের তুলনায় ১৩টি শট নিয়েছে লা রোজিরা। এর মধ্যে লায়নেসদের মাত্র তিনটি শট ছিল গোল হওয়ার মতো। স্পেন ভয় ধরানো শট নিয়েছে আটটি।
স্পোর্টস ডেস্ক
টানা দ্বিতীয় জয়ে সুপার সিক্স পর্ব নিশ্চিত করল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আরিফুল ইসলামের সেঞ্চুরিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল তারা।
এরপর বল হাতে দারুণ অবদান রাখলেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও অন্য বোলাররা। আর তাতেই প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের যুবারা।
২০২৪ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ ১২১ রানের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্লুমফন্টেইনে টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৯১ রান সংগ্রহ করে তারা। এরপর যুক্তরাষ্ট্রকে ১৭০ রানেই অলআউট করে দেন বাংলাদেশের বোলাররা।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য স্বস্তির ছিল না। দলীয় ২৯ রানেই ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিকের (১৩) উইকেট হারায় তারা। এরপর অবশ্য আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি লড়াই চালিয়ে চান চৌধুরী মো. রিজওয়ানকে নিয়ে। তাদের জুটি বড় হওয়ার আগেই অবশ্য বিদায় নেন শিবলি (২৭)।
শিবলির বিদায়ের পর রিজওয়ান ও আরিফুল মিলে ভালো জুটি গড়েন। সেই জুটিও ভাগে দলীয় ১০০-এর আগেই। ৪০ বলে ৩৫ রানের ইনিংস আসে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। তবে এরপর বিপদ হতে দেননি আরিফুল ও আহরান। দুজনের ১২২ রানের জুটিই বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেয়।
আহরার ফেরেন ৪৯ বলে ৪৪ রান করে। আর আরিফ খেলেন ১০৩ বলে ৯ চারে সাজানো ১০৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে। এছাড়া লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি খেলেন ১৭ বলে ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংস।
বল হাতে যুক্তরাষ্ট্রের বোলার আর্য গার্গ ৩টি এবং আরিন নাদকার্দি নেন ২টি উইকেট।
জবাব দিতে নেমে যুক্তরাষ্ট্র সুবিধা করতে পারেনি শুরু থেকেই। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। ওপেনার প্রান্নাভ ছেত্তিপালায়াম ও উৎকর্ষ শ্রীবাস্তব ছাড়া বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে দাঁড়াতেই পারেননি দলটির অন্য ব্যাটাররা। প্রান্নাভ ৫৭ রান করতে খেলে ফেলেন ৯০ বল। আর ৪৯ বলে ৩৭ রান করেন উৎকর্ষ। কিন্তু আর কেউ তাদের সঙ্গ দিতে না পারায় বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
বল হাতে বাংলাদেশ দলের রাব্বি ১০ ওভারে ৩১ রান খরচে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন ইকবাল হোসেন ইমন, শেখ পারভেজ জীবন, রাফি উজ্জামান রাফি, এবং আরিফুল ইসলাম।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
অবশেষে বিচ্ছেদ ঘটল হলিউডের পাওয়ার কাপল খ্যাত ব্র্যাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলির। দীর্ঘ আট বছরের আইনি লড়াইয়ের পর বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছেন এই জুটি; যার ফলে এই চূড়ান্ত বিচ্ছেদ।
অ্যাঞ্জেলিনার আইনজীবী জানিয়েছেন, জোলি ও পিট চূড়ান্ত বিবাহবিচ্ছেদে স্বাক্ষর করেছেন। তবে পিটের আইনজীবী তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। সূত্র : বিবিসি
২০১৬ সালে দাম্পত্যজীবনের ইতি টানতে এর আগে বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয় সামনে এনে বিচ্ছেদের জন্য মামলা দায়ের করেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। কারণ হিসেবে ‘অমিমাংসিত মতবিরোধের’ কথা জানিয়েছিলেন তারা। তাদের রয়েছে ৬ সন্তান। একসময় তাদের অভিভাবকত্ব কে নেবেন, এই নিয়ে তিক্ত লড়াই শুরু হয় জোলি ও পিটের। ২০২১ সালে আদালত তাদের সন্তানের যৌথ অভিভাবকত্বের সিদ্ধান্ত দেয়।
ভক্তদের কাছে ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’ নামে পরিচিত এই দম্পতি ২০০৫ সালে মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ সিনেমার সেটে একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন, যেখানে তাদের সম্পর্কের শুরু হয় এবং পরে তা প্রেমে পরিণত হয়।