অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই স্বৈরাচার সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। তাদের হাত থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না। শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, কেউ এই সরকারের নির্যাতন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।’
আজ ৩১ মার্চ শুক্রবার মিরপুর পল্লবী থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তারা সংগ্রাম করছেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। এমন একটি সরকার সবার ওপরে চেপে বসেছে যে মানুষের মর্যাদা দিতে জানে না, মানুষের জীবনের মূল্য দিতে জানে না। তারা যেকোনো উপায়ে হোক ক্ষমতা আকড়ে ধরতে চায়। কেউ বাদ যাচ্ছে না । সাধারণ মানুষও বাদ যাচ্ছে না। নওগাঁর একজন মহিলাকে কী কারণে র্যাব তুলে নিয়ে গেল তার কারণ এখনও জানা যায়নি।
ডিজিটাল আইনের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। এর ফলে একজন অসহায় নিরাপরাধ নারীকে জীবন দিতে হলো। এর দায় কে নেবে? এর সম্পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে। প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধেই শুধু মামলা নয়, এই সরকার আরো তিনজন সম্পাদককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। তারা হলেন- সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান। অসংখ্য নেতাকর্মীকে নির্যাতন-হয়রানি করছে। সাংবাদিকরাও রক্ষা পাচ্ছে না। আজকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা- কোনোটাই নেই দেশে।
তিনি বলেন, সরকার আবারও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেনি, কিন্তু রাজনৈতিক দলের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। তারা আবারও একটা নতুন নির্বাচনের পায়তারা করছে। ‘১৪ ও ‘১৮ সালের মতো রাতে ভোট করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু সেটি এদেশের জনগণ হতে দেবে না।
এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ দলটির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনদিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। বৃক্ষরোপন ও বৃক্ষ বিতরণের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
২১ জুন শুক্রবার বেলা ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সীতানগর বালুরমাঠ এলাকায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শতাধিক মানুষের মধ্যে ফলদ-বনজ বৃক্ষ বিতরণ ও রোপণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন পিপি, আওয়ামীলীগে নেত্রী অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, আবদুল খালেক বাবুল, স্বপন রায়, অধ্যক্ষ আবুল কালাম, সুজন দত্ত, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরিন ফাতিহা জুই, পৌর কাউন্সিলর মিজান আনসারী, সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আলী আজম ও ইউপি সদস্য নিশিকান্ত ঋষী।
অনলাইন ডেস্ক :
খুনের মাধ্যমে জিয়া পরিবারের উত্থান হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যের নির্মমভাবে হত্যা করে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তার ছেলে তারেক জিয়া গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জন মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। তাদের উত্থানই হয়েছে খুনের মাধ্যমে।
আজ ২৫ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ আড়ানী মনোমোহিনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক উন্নয়ন করে চলেছেন। এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা কুপি, চেরাগ বাতি চেনে না। কারণ দেশে এখন শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি।
ঢাকায় ইতোমধ্যে মেট্রো রেল চালু হয়েছে। এ ছাড়া অনেকগুলো মেগাপ্রকল্প চলমান। অথচ মির্জা ফখরুল বলেন- দেশে উন্নয়ন হয়নি।
বিএনপির সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ইদানীং লক্ষ করছি বিএনপি নেতাদের গলায় হতাশার সুর।
কারণ তারা ভেবেছিল তাদের সব চাওয়া পূর্ণ করে নির্বাচন হবে। তারা বিদেশিদের সাপোর্ট পাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দেশ তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। কারণ শেখ হাসিনার প্রতি সব দেশের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে এ দেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমরা আজ যে স্কুল মাঠে শোকসভা করছি, এই স্কুল থেকে পড়ালেখা করে তৎকালীন মন্ত্রিত্ব করেছেন প্রভাষ চন্দ্র লাহিড়ী। এ অঞ্চলের মানুষ ক্রীড়া ও সংস্কৃতিপ্রিয় মানুষ।
তিনি বলেন, সকাল থেকে এখানে বৃষ্টি হচ্ছে। তার পরও মানুষ যেভাবে শোকসভায় সাড়া দিয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে ২০০৮ সালের নির্বাচনের ন্যায় এবারও আওয়ামী লীগে গণজোয়ার আসবে। এ দেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। যত দিন বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়তে না পারব তত দিন আমরা ক্ষমতায় থাকব।
শোকসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আদিবা আনজুম মিতা ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলফোর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য জিন্নতুন নেছা তালুকদার, বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ, আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী, চারঘাট পৌর মেয়র একরামুল হক, বাঘার পাঁচজন ইউপি চেয়ারম্যান, বাঘা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা খাতুন লতা, রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান রেন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।
আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সকালে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তাঁর কার্যালয়ে প্রার্থী ও তাদের মনোনীত প্রতিনিধিদের কাছে প্রতীক বরাদ্দ দেন।
৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে ০৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগগঞ্জ) আসনে ০৭ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে ০৮ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) আসনে ০৫জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনে ০৪জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ থেকে বহিষ্কৃত আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান পেয়েছেন (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ শাহনুল করিম পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোঃ ইসলাম উদ্দিন পেয়েছেন ( মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ বকুল হোসেন পেয়েছেন ( হাতুড়ি প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) : এই আসনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মঈন উদ্দিন মঈন পেয়েছেন (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূইয়া পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ আবুল হাসনাত পেয়েছেন (মিনার প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ রাজ্জাক হোসেন পেয়েছেন (আম প্রতীক), তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হোসেন তুষার পেয়েছেন (সোনালী আঁশ), সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোঃ জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন (ঈগল প্রতীক) ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও পেয়েছেন (কাঁচি প্রতীক), ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ মোঃ নূরে আজম পেয়েছেন (মোমবাতি প্রতীক), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোঃ আবদুর রহমান খান (ওমর) পেয়েছেন (মশাল প্রতীক), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী পেয়েছেন (বটগাছ প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ পেয়েছেন (আম প্রতীক), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির সোহেল মোল্লা পেয়েছেন (একতারা প্রতীক) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) জামাল রানা পেয়েছেন (নোঙ্গর প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান পেয়েছেন (আম প্রতীক) ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ মোবারক হোসেন পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী জামাল সরকার পেয়েছেন (একতারা), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম মামিনুল হক সাঈদ পেয়েছেন (ঈগল প্রতীক), ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ মেহেদী হাসান পেয়েছেন (মিনার প্রতীক), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক) ও তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান পেয়েছেন (সোনালী আঁশ প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬ (বাঞ্ছারামপুর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক) ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী কবির মিয়া পেয়েছেন (একতারা প্রতীক) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী সফিকুল ইসলাম পেয়েছেন (আম প্রতীক)।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে পতনযাত্রা শুরু করতে গিয়ে বিএনপি নিজেদের পতনযাত্রা শুরু করবে। সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির পতনযাত্রা যমুনা কিংবা বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে ডুবে যাবে। আর চট্টগ্রামে করলে কর্ণফুলী নদী কিংবা বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে দেওয়া হবে।
আজ ২১ অক্টোবর শনিবার নগরীর শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও কৃতী শিক্ষার্থী সবংর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ২৮ তারিখ নাকি বিএনপি সরকারের পতনযাত্রা শুরু করবে, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নয়া পল্টন অফিসের সামনে থেকেও সরকারের পতনযাত্রা শুরু করতে চেয়েছিল, সেটি গোলাপবাগের গরুরহাটে গিয়ে মারা পড়েছিল।
তিনি বলেন, বিদেশি শকুনের দৃষ্টি যখন দেশের ওপর পড়েছে তখন রাজনীতির কাকেরা তাদের সহযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই শকুন আর রাজনীতির কাকের হাত থেকে দেশটাকে রক্ষা করতে হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ জনতা ও রাজপথের দল, আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করার জন্য। ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে বিরোধী দলে থেকে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমরা জানি, রাজপথে কিভাবে মোকাবিলা করতে হয়। যারা বোরকা পড়ে হাইকোর্টে জামিন নিতে হাজির হন আর কারও ভেলকিতে গর্তে ঢুকে যান, তারা কতটুকু আন্দোলন করবেন আমরা জানি।
তিনি বলেন, সিলেটে বিএনপি সমাবেশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতারা জ্বালাময়ী বক্তৃতা করে বলেছেন, দেশের মানুষ এখন খেতে পারছে না। এরপর সেই সমাবেশে যিনি খাবার সাপ্লাই দিয়েছিলেন তিনি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়ে বললেন, আমি ১০ হাজার লোকের বিরিয়ানি পাকিয়েছিলাম, ১২ হাজার মানুষ খেয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নিজেরা মোরগ বিরিয়ানি খেয়ে সমাবেশে বললেন, দেশের মানুষ খেতে পারে না। বিএনপির সমাবেশ হলো একটা পিকনিক, বিরিয়ানি খাবার জন্যই তারা জনসভায় সমবেত হয়, ২৮ তারিখে একটা বড় পিকনিক করতে চায় ওরা। আমরা পিকনিক থেকে ওদেরকে বুড়িগঙ্গায় নৌকা বাইচে পাঠিয়ে দেব ইনশাল্লাহ।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ফিলিস্তিন বিষয়ে বলেন, ফিলিস্তিনে শিশুদেরকে পাখির মতো শিকার করা হচ্ছে। হাসপাতালে বোমা নিক্ষেপ করে আটশ’ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের গীর্জাও রেহাই পায়নি।
তিনি বলেন, সেখানে হামলা চালিয়ে ১৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে, সেখানে প্রতিদিন হত্যা করা হচ্ছে। বিএনপি দেশ পরিচালনা করার স্বপ্ন দেখে। যখন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে। শকুনরা নাখোশ হতে পারে সেই ভাবনায় তারা কোনো কথা বলে না। ওরা আবার দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখে। এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মানবতার বিরুদ্ধ যখন অপরাধ সংঘঠিত হয় তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা পৃথিবী প্রতিবাদ জানায়। তখনও বিএনপি নিশ্চুপ থাকে। তারা দেশের সমস্ত সম্পদ শকুন লুট করে নিলেও নিশ্চুপই থাকবে। এদের হাতে দেশটাকে তুলে দেয়া যাবে না।
বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সভাপতি জাবেদ জাহাঙ্গীর টুটুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিয়া মনসফ।