চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিক ও সূধী সমাজের উদ্যোগে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভার) শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানবন্ধনে শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়। আজ ১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও এশিয়ান টিভির নিজস্ব প্রতিবেদক হাবিবুর রহমান পারভেজের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম, সাংবাদিক আবদুন নূর, আল-আমিন শাহীন, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সিপিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, ওর্য়াকার্স পার্টির সদস্য কমরেড নজরুল ইসলাম, জেলা যুবমৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাসির মিয়া, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বাবুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুবেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয় প্রেসক্লাবের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী ও প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদৎ হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিককে আটক করে দেশ চলতে পারে না, গণতন্ত্র টিকতে পারে না। সাংবাদিকদের টার্গেট করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং সংখ্যালঘুদের আটকের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার হচ্ছে। দেশে ডিজিটাল আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে। সাংবাদিক শামসের বিরুদ্ধে দায়ের করা ডিজিটাল মামলার কোনো প্রাইমেসি নেই।
বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কালো আইন উল্লেখ করে অবিলম্বে সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার, সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি ও বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাতশালা স্টেশনের কাছে আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আনুমানিক ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবপ জানা যায়নি।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একরু সূত্র জানায়, ফায়ার সার্ভিসের একটি দল সকাল ১১টার দিকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, ভাতশালা এলাকায় একজন ট্রেনে কাটা পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে ওই ব্যক্তি কোন ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার একটানা ২২ বছরের সফল পৌর চেয়ারম্যান মৌড়াইল এর কৃতিসন্তান, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, নাট্য ব্যক্তিত্ব, সাবেক এন এম এ, শিক্ষানুরাগী, সাংস্কৃতির পুরোধা ব্যাক্তিত্ব গণ মানুষের নেতা আজিজুর রহমান মোল্লা ওরফে জারু মোল্লার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৪ মার্চ পালিত হয়েছে। মরহুমের পরিবারবর্গ কোরানখানি ও মিলাদ মাহফিল এর মাধ্যমে উনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। মরহুম জারু মোল্লা ১৯৮৭ সালের ৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। মরহুম জারু মোল্লার সুযোগ্য পুত্র সাবেক সফল পৌর মেয়র ও জেলা বি এন পির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি জেলাবাসীর কাছে উনার পিতার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া চেয়েছেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্জ্য থেকে সার ও জ্বালানি উৎপাদনের জন্য নবনির্মিত প্লান্ট উদ্বোধন ও পৌরসভার কাছে এটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ ২০ মার্চ সোমবার দুপুরে পৌর শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় স্থাপিত প্লান্টটির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আব্দুল হামিদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক মীর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির।
এতে সভাপতিত্ব করেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস।
পরে প্লান্টটি পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত এ প্লান্টটি প্রতিদিন ১২ টন জৈব বর্জ্য থেকে ৫০০ কেজি জৈব সার ও এক টন প্লাস্টিক ও পলিথিন থেকে ৫০০ লিটার অপরিশোধিত তরল জ্বালানি উৎপাদন করতে সক্ষম। এক কোটি ৪৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্লান্টটি স্থাপনের ফলে বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাসহ পরিবেশ সুরক্ষিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া থেকে ১৫ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের ১০দিন পর ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৯-এর সিপিসি-১ হবিগঞ্জের সদস্যরা। আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের আনোয়ারপুর গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী বোরহান উদ্দিন (২৮)কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বোরহান উদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ভাটামাথা গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে।
ভিটটিম সদর উপজেলার একটি স্কুলের ছাত্রী। তার বাড়ি সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে। দুপুরে উদ্ধারকরা স্কুল ছাত্রীকে র্যাবের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় হস্তান্তর করার পর পুলিশ ওই স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করে। শুক্রবার বিকেলে র্যাব সিপিসি-১-হবিগঞ্জ থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা র্যাব-৯-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগে করে জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১১ টার সময় তার কন্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া থেকে অটোরিক্সা দিয়ে শহরের কাউতলী যাওয়ার পর কাউতলী গ্রামের গলিপথে যাওয়ার পর বোরহান উদ্দিনসহ তার অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন সহযোগী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রের ভয়ে দেখিয়ে তার কন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তিনি এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ও র্যাব-৯-এর সিপিসি-১ হবিগঞ্জ ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব সদস্যরা ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযানে ও ছায়া তদন্ত শুরু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের আনোয়ারপুর গ্রাম থেকে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী বোরহান উদ্দিন (২৮)কে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে র্যাব-৯-এর সিপিসি-১-হবিগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারকৃত বোরহান উদ্দিন বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক। তিনি একজন লেবাসধারি ইমাম। তিনি সদর উপজেলার একটি মসজিদে ইমামতি করেন। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ওই ছাত্রীকে নানাভাবে ফুসলানোর চেষ্টা করে আসছিলেন। তাকে ফুসলাতে না পেরে পরবর্তীতে সহযোগীদের নিয়ে তাকে অপহরণ করেন।
গ্রেফতারকৃত বোরহান উদ্দিন প্রকৃতপক্ষে একজন অপহরণকারী ও ধর্ষক। এর আগেও সে ১০ বছরের এক শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত হন। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ- একটি ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা চলমান রয়েছে। (মামলা নং- নাঃ শিঃ ২৪৪/১৯ ইং ও আখাউড়া থানার মামলা নং-০১, তারিখ ০১/০২/২০১৯ইং জিআর-৩৭/১৯)। ওই মামলায় সে দীর্ঘ ১১ মাস হাজতবাস করে জামিনে মুক্ত পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে আবারো একই ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহরাব আল হোসাইন বলেন, শুক্রবার দুপুরে র্যাবের পক্ষ থেকে উদ্ধার করা স্কুল ছাত্রী ও গ্রেফতারকৃত বোরহান উদ্দিনকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ও বোরহান উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।