চলারপথে রিপোর্ট :
তারুণ্যের চেতনায় এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে আখাউড়ায় স্বেচ্ছায় রক্ত দানের সংগঠন ‘আত্মীয়’ এর সাংগঠনিক সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় পৌরসভা ভবনের তৃতীয় তলায় এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংঠগঠনের ২ শতাধিক সদস্য অংশ নেয়। এসময় সংগঠনের রক্তদাতাদের জন্য নতুন টি-শার্টের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আইইডিসিআরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ শাহ আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আত্মীয় এর রক্তদাতা পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান সমন্বয়ক সমীর চক্রবর্তী সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আত্মীয়ের রক্তবীর পৌর কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ইমরান।
এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হিমেল খান, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. আবদুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, শিক্ষক নেতা মৌসুমী আক্তার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন বক্তব্য রাখেন।
এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: লুৎফর রহমান, চিকিৎসক আল মুক্তাদির ফয়সাল, আইয়ুব চৌধুরী, মো: আলাউদ্দীন, এনামুল হক মামুন, প্রেসক্লাব সভাপতি দুলাল ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক হান্নান খাদেম, মাই টিভির প্রতিনিধি জালাল হোসেন মামুন, সহঃ অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবির, আত্মীয়ের সাবেক সমন্বয়ক শেখ দিপু, সুজন সাহা, হৃদয় দেব, এমআরআই রাকিব, এমদাদ কিবরীয়াসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সংগঠনটি সত্যিকার অর্থেই গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
এসময় তারা আত্মীয়ের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সকল কার্যক্রমে যুক্ত থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় অগ্নিকান্ডে একটি ঘর পুড়ে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে একটি গাভী গরু মারা গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সোয়া আটটার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ^র গ্রামে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। প্রাথমিকভাবে রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুণের সূত্রপাত বলে ধারনা করছে ফায়ার সার্ভিস।
ভূক্তভোগী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রাত সোয়া আটটার দিকে ধলেশ^র গ্রামের আলী আমজাদ চৌধুরীর একটি চারচালা টিনের রান্না ঘরে আগুন লাগে। এসময় বাড়ির লোকজন তারাবির নামাজ পড়ছিলেন। আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়লে ঘরের লোকজন বের হয়ে দেখে আগুন জ¦লছে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে।
বাড়ির লোকজন স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিয়ে রাত পোনে ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ওই ঘরে থাকা একটি অন্তস্বত্বা গাভী গরু, কয়েকটি মুরগি মারা যায়। কিছু কাঠ এবং একটি পানির পাম্প মেশিন আগুনে পুড়ে গেছে। এতে ২/৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছেন বাড়ির মালিক। এ ব্যপারে জানতে চাইলে আলী আমজাদ চৌধুরীর ছেলে মোঃ শওকত চৌধুরী বলেন, রাতে সবাই যখন নামাজ পড়ছিল তখন হঠাৎ করে রান্না ঘরে আগুন লাগে। এতে একটি গাভী গরুসহ ঘরের ভিতরের মালামাল পুড়ে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার মুনিম সারোয়ার বলেন, রাত পোনে নয়টা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রাথমিকভাবে রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারনা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ভোট কেন্দ্রের নাম ও খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত খসড়া তালিকাটি উপজেলা নির্বাচন অফিস, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটার স্থানান্তর ও হালনাগাদ কার্যক্রম চলবে।
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী আখাউড়ায় ১ টি পৌরসভা ও ৫ টি ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪৪ টি এবং ভোট কক্ষ ২৬৫ টি। মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ২৫ হাজার ১৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৩ হাজার ৮৭১ এবং মহিলা ভোটার ৬১ হাজার ১৪৫ জন। পূর্বের ৫টি কেন্দ্রের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, খসড়া ভোট কেন্দ্রের উপর যদি কারো কোন দাবি, আপত্তি বা সুপারিশ থাকে তাহলে ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন করতে হবে। এরপর আর কোন আপত্তি গ্রহন করা হবে না। ১১ সেপ্টেম্বর আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ।
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হবে। স্থান পরিবর্তিত ৫ টি কেন্দ্র হলো জাহানারা বেগম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আখাউড়া টেকনিক্যাল আলীম মাদরাসা, রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুরপুর রুটি আব্দুল হক ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঘোলখার রানিখার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র। স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাদ দেওয়া হয়েছে টানপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসা, পীর শাহ সুলতান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবগ্রাম, নুরপুর ক্যাপ্টেন মাহবুব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ঘোলখার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার সুফিয়া সুলতানা বলেন, গত নির্বাচনে ৪৪ টি কেন্দ্র ছিল। এবছরও তাই আছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় ৫টি কেন্দ্র স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব বিষয়ে কারো কোন আপত্তি থাকলে ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ লিখিত আবেদন করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ভোটের লড়াইয়ে আপন দুই ভাই একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। পৌর শহরের খড়মপুরস্থ প্রখ্যাত আওলিয়া কল্লা শহীদ (র.) মাজার শরীফ পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে উত্তর পাড়া থেকে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই সহোদর।
তারা হলেন বড় ভাই মোঃ মলিন খাদেম (আনারস) ও ছোট ভাই মোঃ খোকন খাদেম (মোরগ)। খোকন খাদেম বর্তমানে কমিটির সদস্য।
একই পদে দুই ভাই প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় ভোটারদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ নভেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মাজার কমিটি সূত্রে জানা গেছে, কল্লা শহীদ (র.) মাজারটি বাংলাদেশ ওয়াকফ্ এস্টেট এর তালিকাভুক্ত একটি দরগাহ শরীফ। ই. সি. নং ৪৫৬৬। ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি মাজার পরিচালনা করে। পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক ওই কমিটির সভাপতি এবং আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিনিয়র-সহ সভাপতি। গ্রামের ৭টি পাড়া থেকে ৪২ জন প্রার্থী হয়েছেন। প্রত্যেক পাড়া থেকে ৩ জন করে ২১ জন সদস্য নির্বাচন করবেন ভোটাররা। পরবর্তীতে সদস্যের ভোটে একজন সাধারণ সম্পাদক ও একজন সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। ওয়াকফ প্রশাসকের সুপারিশক্রমে ২ জন সদস্য মনোনয়ন দেওয়া হয়। কমিটির মেয়াদ ৩ বছর।
এদিকে মাজার কমিটির নির্বাচনে আপন দুই ভাই প্রার্থী হওয়ার আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ ভোটারদের ভাষ্য, একই পরিবার থেকে দু’জন প্রার্থী হওয়ায় বিষয়টি অশোভন দেখাচ্ছে। এতে তাদের নিজেদের ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাবে। ভোটাররাও বিভ্রান্ত হবে। দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বের সুযোগ নিবে অন্যান্য প্রার্থীরা। ফলে নির্বাচনে জয়লাভ করা উভয়ের জন্য কঠিন হবে। কিন্তু এক ভাই প্রার্থী হলে দুই ভাইয়ের সম্বলিত শক্তিতে জয়লাভ করা সহজ হতো।
উত্তর পাড়া থেকে অপর প্রার্থীরা হলেন মোঃ কামরুল হাসান (দেয়াল ঘড়ি), মোঃ বাহাদুর খাদেম (চশমা), রোজবেল খাদেম (আম), সাকির খাদেম (হারিকেন) ও জাকির খাদেম (কলস)।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই সরগরম খড়মপুরের পাড়া মহল্লা। প্রার্থীদের ছবি ও প্রতীক সম্বলিত মিনি পোষ্টারে ছেয়ে গেছে গ্রামের পাড়া মহল্লা। বাসা বাড়ির দেয়াল, বিদ্যুতের খুঁটি ও দোকান-পাটে প্রার্থীদের পোস্টার লাগানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে প্রচার প্রচারণা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। নিজ নিজ প্রতীকে ভোট চাচ্ছেন ভোটারদের কাছে।
জানতে চাইলে, মলিন খাদেম বলেন, দুই ভাই নির্বাচন করলেও সমস্যা নাই। ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে ভোট দিবেন।
অপর দিকে ছোট ভাই মোঃ খোকন খাদেম বলেন, কেউ ষড়যন্ত্র করে বড় ভাইকে প্রার্থী করেছে। তবে আমি সব সময় পাড়ার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম। আশা করি ভোটাররা আমাকে মূল্যায়ন করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুমতিতে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় ৩ হাজার ২২৫ কেজি ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হয়েছে।
আজ ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে ১টি পিক-আপ ৭০টি কার্টুন ভর্তি ইলিশ মাছ নিয়ে আগরতলায় প্রবেশ করে। এছাড়াও আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে আগরতলায় আরও ইলিশ যাওয়ার কথা রয়েছে।
মাছের রপ্তানীকারক ঢাকার যাত্রাবাড়ির মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ। ত্রিপুরার আগরতলার বিমল রায় মাছগুলো আমদানি করেছেন। মাছের সিএন্ডএফ করেছে আখাউড়ার প্রীতম এন্টারপ্রাইজ।
প্রীতম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ মনির হোসেন বাবুল বলেন, প্রতি কেজি মাছ ১০ ডলার দরে রপ্তানি করা হয়েছে। রপ্তানীকৃত মাছের মূল্য ৩২ হাজার ২৫০ ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩৬ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা।
এদিকে আজ বিকালে আরও ১ হাজার ৫০০ কেজি মাছ ত্রিপুরায় পাঠানোর কথা রয়েছে। ঢাকার এসএস কর্পোরেশন ত্রিপুরার আগরতলার কৃষ্ণপদ রায়ের কাছে ইলিশ মাছ রপ্তানী করছে।
মাছের সিএন্ডএফকারী প্রতিষ্ঠান এফ.এ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ শাহনেওয়াজ মিয়া শানু বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেঃ টন করে ইলিশ মাছ রপ্তানীর অনুমতি দিয়েছে। তারই অংশ মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ ৩ হাজার ২২৫ মেঃ টন ইলিশ মাছ রপ্তানী করেছে। বিকালে এসএস কর্পোরেশনের আরও ১ হাজার ৫০০ টন মাছ আগরতলায় পাঠানো হবে। যাত্রাবাড়ীর রপ্তানীকারক ফিস বাজারও এ বন্দর দিয়ে ইলিশ রপ্তানী করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরে অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে লাগেজ পার্টি। শেষ পর্যন্ত তারা কাস্টমস কর্মকর্তাসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেছে। নিয়ে গেছে কোটি টাকার অবৈধ পণ্য।
আজ ১৫ মার্চ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কাস্টমস অফিস ও আখাউড়া-আগরতলা সড়কে দু’দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ কামরুল পারভেজ আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকি দুই আহত হলেন, কাস্টমসের সিপাহি পদে কর্মরত মো. জুম্মন ও মো. ইমন মিয়া।
সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িতসহ স্থানীয় প্রভাবশালী লাগেজ পার্টির চক্রটিকে ওই মামলায় আসামী করা হতে পারে বলে জানা গেছে গেছে।
স্থানীয় ও আহতদের সূত্র জানায়, বেলা সোয়া তিনটার দিকে ভারত ফেরত এক বা একাধিক যাত্রী সাত-আটটি ব্যাগে করে প্রচুর মালামাল নিয়ে আসেন। নিয়ম অনুসারে কাস্টমসের লাগেজ স্ক্যানিংয়ের কক্ষে না নিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে ফেলা হয়। তখন কাস্টমসের পক্ষ থেকে এসব পণ্য স্ক্যানিং কক্ষে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় স্থানীয় চক্রটি। তারা এ নিয়ে কাস্টমসের লোকজনের সঙ্গে বাগবিতন্ডার জড়িয়ে পড়েন। এরই ফাঁকে মালামাল নিয়ে ওই অটোরিকশা দ্রুত চলে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষও তাদের পিছু নেয়। বিজিবি ক্যাম্প পার হওয়ার পর অটোরিকশাটিকে আটক করে কাস্টমসের লোকজন। তখন পেছনে থেকে মোটর সাইকেলে এসে কয়েকজন যুবক কাষ্টম্স কর্মকর্তাদের উপর হামলা করে। এতে কাস্টমসের তিনজন আহত হন। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে আহত একজন আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেয়।
আহত সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মো. কামরুল পারভেজ বলেন, সাত-আটটি ব্যাগে বিপুল পরিমাণ মালামাল ছিলো। স্ক্যানিং করতে রাজি না হয়ে তারা উল্টো ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে অটোরিকশা নিয়ে চলে যায়। কিছুদূর যাওয়ার পর অটোরিক্সাটি আটক করা হলে ওই এলাকার কবির, আওলাদ, হৃদয়সহ কয়েকজনের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মাল নিয়ে আসা যাত্রী ভারতীয় নাকি বাংলাদেশি সেটি জানা যায়নি। তবে তাদের সঙ্গে স্থানীয় একটি বড় চক্র রয়েছে। হামলায় তিনিসহ তিনজন আহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি এ ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত সেটি জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান। হামলাকারিসহ তাদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।