চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার ও শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আবদুল হাকিম মোতাঈদের ছেলে সুবেল মোতাঈদ (২৫), একই ইউনিয়নের মোঃ আবু ছিদ্দিকের ছেলে মোঃ রাসেল মিয়া (২৪), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার শাহপুর গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া ও একই উপজেলার বেঙ্গাডোবা গ্রামের অহিদুল্লাহর ছেলে মোঃ আনু মিয়া।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন জানান, শনিবার রাতে উপজেলার উচালিয়াপাড়া এলাকা ৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মিজান মিয়া আনু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে শুক্রবার রাতে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের জলিল শাহ’র মাজারের পশ্চিম পাশ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী সুবেল মোতাঈদ ও রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। গত শনিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিল শাপলা জলমহাল ইজারা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলার জেলেরা। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। নাসিরনগরের জেলেরা বলছেন, বংশ পরম্পরায় ওই বিলে মাছ ধরে তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করছেন। কয়েক দশক ধরে সরকারের কাছ থেকে ইজারাও নেন। সম্প্রতি এক রাজনৈতিক নেতার তদবিরে সরাইলের জেলেরা বিলটি ইজারা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁরা নাসিরনগরের জেলেদের মাছ ধরতে বাধা ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। অপরদিকে সরাইলের জেলেদের ভাষ্য, তাঁরা মিলেমিশে বিলে মাছ ধরতে চান।
৩৯৬ দশমিক ৬৫ একরের বিল শাপলা জলমহালটির অবস্থান নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের জেঠাগ্রামের পূর্ব পাশে। কাছেই তিতাস নদী। জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতিতে নিবন্ধিত জেলে ৫৩৮ জন। এ ছাড়াও অনিবন্ধিত আরও প্রায় ৭০০ জেলে এখানে মাছ ধরেন। সব মিলিয়ে ১২০০ জেলে পরিবারের সদস্য প্রায় ১০ হাজার। তাঁরা সবাই বিলের ওপর নির্ভরশীল। বিলের দক্ষিণে সরাইল উপজেলার শাহাজাদাপুর গ্রাম। শাহাজাদাপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নিবন্ধিত সদস্য ৪৯।
জেঠাগ্রামের প্রবীণ জেলে মিলন দাস মঙ্গলবার বলেন, ‘আমার বাপের জন্ম এই বিলের পাড়ে। আমার জন্মও। ছেলেমেয়েও জন্ম নিছে এ বিলের পাড়েই। আমরার আগের পুরুষ বিলের পাড় থাইক্যা মাছ ধরত।’ নিজেদের কোনো জমিজমা না থাকায় বিলের মাছ আর পরের জমিতে শ্রম বিক্রি করেই জীবন পার করছেন মিলন। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা বিল না পাই, মাছ ধরতাম না পারি, তইলে বাল-বাচ্চা (ছেলেমেয়ে) লইয়া না খাইয়া মরণ লাগব।’
তাঁর মতো এমন হাজারো জেলের আশঙ্কা–এবার না বিলের ইজারা সরাইলের শাহজাদাপুরের জেলেরা নিয়ে যান! এর কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি জলমহালটি ছয় বছরের (১৪৩০-১৪৩৫ বঙ্গাব্দ) উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইজারা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ জন্য আবেদন করে শাহাজাদাপুর গ্রামের তিতাস মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে–এমন আশঙ্কায় জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি কোনো সুপারিশ করেনি। তাই তিতাস সমিতির আবেদন বাতিলে সিদ্ধান্ত হয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বরের সই করা চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়। পরে জলমহালটি তিন বছর মেয়াদে নতুন করে ইজারা দিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় জেলা প্রশাসন। এতে আগ্রহী হয়ে তদবির শুরু করে শাহাজাদাপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি।
নাসিরনগরের জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতির নেতারা জানান, ১৯৭৭ সালে সমিতি গঠনের পর থেকে সরকার নির্ধারিত রাজস্ব দিয়ে তাঁরাই বিলটি ইজারা নিয়ে আসছেন। সম্প্রতি শাহাজাদাপুরের জেলেরা তা ইজারা নিতে চাইছেন। নাসিরনগর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ এর ৪(চ) অনুযায়ী স্থানীয় প্রকৃত মৎস্যজীবী সংগঠন, নিকটবর্তী বা তীরবর্তী মৎস্যজীবীদের জলমহাল বন্দোবস্ত প্রদান করতে হবে। এ হিসেবে জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতির এ অধিকার বেশি।
জেঠাগ্রামের জেলে হিরামন দাস বলেন, ‘বিলে মাছ ধরনের লাইগ্যা নতুন জাল, নৌকা কিনা হয়ছে এনজিও থেইক্যা (ঋণ নিয়ে)। এই গেরামের কয়েক হাজার মানুষ কোটি টাকা ঋণ নিছে।’ এভাবে ঋণ নিয়ে মাছ ধরে তা শোধ করেন জানিয়ে হিরামন বলেন, ‘আমরার এলাকার বিল যদি সরাইলের মানুষরে দিয়া দেয় তাইলে ঋণ শোধ করতে বসতঘরটাও বেইচ্যা দিয়ন লাগব।’
জেলে নয়ন দাসের ভাষ্য, ‘আমরার লোকজন বিলে গেলেই সরাইলের লোকজন মাইরধর করে। এহন হুনতাছি সরাইলের লোকেরা নাকি বিল লইয়া যাইব। এই বিলের লগে আমরার রক্ত মিশ্যা আছে। জান থাকতে বিল কেউরে নিতে দিমু না।’
জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, ইজারা বিষয়ে শুনানির জন্য গত ৭ মে জেলা প্রশাসন চিঠি দিয়েছে। সরাইলের জেলেদের সঙ্গে মিলেমিশে মাছ ধরারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের অভিযোগ, জলমহালের ইজারা সরাইলের জেলেদের পাইয়ে দিতে তদবির করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।
সরাইলের শাহাজাদাপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাস বলেন, ‘কাগজেপত্রে বিলের মৌজা নাসিরনগরের। মিলেমিশেই বিলের মাছ ধরতে চাই। আমরাও জেলে পরিবার। কিন্তু ওই এলাকার জেলেরা তাতে রাজি হচ্ছেন না।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি কারও পক্ষে কথা বলিনি। বিলটি নাসিরনগরের, এটা সবাই জানে। সরাইল ও নাসিরনগরের প্রকৃত জেলেরা যেন মিলেমিশে মাছ ধরতে পারে–সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে বলেছি।’ বিভিন্ন সময়ের কাগজপত্র ঘেঁটে বিলটি দীর্ঘদিন ধরে নাসিরনগরের জেলেরাই ইজারা নিয়ে মাছ ধরছেন বলে জানান উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকার। ইউএনও ফখরুল ইসলাম বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী নিকটবর্তী ও তীরবর্তী হিসেবে নাসিরনগর উপজেলার জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামই আসে।
বিল ইজারা দিতে রাজনৈতিক চাপের বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন। জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ অনুযায়ী যাঁরাই উপযুক্ত, তাঁরাই এ বিল (ইজারা) পাবেন।
সরাইল প্রতিনিধি :
সরাইলে চেকের মামলায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো. ফতেহ আলী নামের এক ইউপি সদস্য গ্রেফতার হয়েছেন। প্রয়াত আহমদ আলীর ছেলে ফতেহ আলী উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
আজ ২২ জানুয়ারি রবিবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার বছিউড়া গ্রামের কুদরত আলীর বাড়ি (ঠাকুর বাড়ি) থেকে তাকে গ্রেফতার করেছেন সরাইল থানার এস আই শাহীন পারভেজের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন আগে ফতেহ আলী সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকার একটি ইটভাটার মালিক থেকে শ্রমিক দেওয়ার কথা বলে বড় অংকের টাকা এনেছিলেন। এক সময় মালিক ফতেহ আলীর কাছে অনেক টাকা পাওনা হন। ফতেহ আলী ইটভাটার মালিকের ওই টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকেন। টাকা উদ্ধার করতে দীর্ঘদিন চেষ্টা করেছেন ভাটার মালিক। এক পর্যায়ে ইটভাটার মালিক নিরূপায় হয়ে ফতেহ আলীর বিরূদ্ধে সিলেটের ফেঞ্চুগজ্ঞ থানার চেকের মামলা করেন। মামলা নম্বর-৬১৬/২১। সিআর মামলা নম্বর-৩৫/২০। ওই মামলায় ফতেহ আলীর এক বছরের সাজা ও ২৭ লাখ টাকা জরিমানা করেন বিজ্ঞ আদালত হয়। সাজা নিয়েই কখনো প্রকাশ্যে কখনো গোপনে চলাফেরা করতেন ফতেহ আলী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, জনপ্রতিনিধি একটা সাইনবোর্ড। নানা অপরাধের সাথে জড়িত ফতেহ আলী। নারী মদ থেকে শুরূ করে মাদকের অভিযোগও আছে তার বিরূদ্ধে। গত ১০ জানুয়ারি ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। প্রসেস নম্বর-৮৫/২২, তারিখ- ১৫/০১/২৩ খ্রি. মূলে পরোয়ানাটি আসে সরাইল থানায়। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সাড়ে ৩ টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুদরত আলীর পাশের বাড়ি থেকে ফতেহ আলীকে গ্রেফতার করেছেন।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফতেহ আলীকে বিজ্ঞ আদালত এক বছরের সাজা দিয়েছেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলে তাকে গ্রেফতার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে প্রেরণ করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর এলাকা থেকে হত্যা মামলার পলাতক আসামি নজর মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
র্যাব-৯ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল গত ২ অক্টোবর দিবাগত রাতে ১৮:৩০ টায় সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার পলাতক অভিযুক্ত আসামি নজর মিয়া (৬০), পিতা- মৃত রহিম গার্ড মন্নু মিয়া, শাহবাজপুর, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামিকে সরাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও, উক্ত মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলের তরুণ শাহ মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে আসিফ (২৩) ছিলেন সৌদি আরবপ্রবাসী। সাড়ে তিন মাস আগে তিনি বাড়িতে আসেন। এর পর থেকে বাবা-মাকে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। রাজি হচ্ছিলেন না মা-বাবা। অবশেষে টাকা দিতে বাধ্য হন মা-বাবা। ৪ জুন মঙ্গলবার বিকেলে জেলা শহর থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে জাহিদুল একটি মোটরসাইকেল কেনেন।
আজ ৫ জুন বুধবার দুপুরে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রথম ঘুরতে বের হন। সঙ্গে ছিলেন দুই বন্ধু। বেলা পৌনে একটার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন জাহিদুল। এ সময় অপর দুই বন্ধু আহত হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ওটারটেক করতে গিয়ে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।
নিহত মো. জাহিদ মিয়া আসিফ (৩৭) সরাইল উপজেলার উত্তর কোড্ডা পাড়া এলাকার লিংকন মিয়ার ছেলে।
সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাস জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের সরাইল উপজেলার ধরন্তী এলাকায় এক মোটরসাইকেই চালক সিএনজি চালিত অটোরিকসাকে ওটারটেক করতে গিয়ে ধাক্কা লেগে রাস্তায় ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটর সাইকেল চালকের মৃত্যু হয়। মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট ছিল না। মৃতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে এক ইট ভাটাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১ এপ্রিল সোমবার দুপুরে উপজেলার শাহবাজপুর এলাকায় মেসার্স সুবর্ণ ব্রিকসকে এ জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফ নেওয়াজ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী জানান, জেলার সদর ও সরাইল উপজেলায় বিভিন্ন ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দুপুরে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর এলাকায় মেসার্স সুবর্ণ ব্রিকসে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না নিয়ে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিল। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে সুবর্ণ ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে আরো ৫টি ইটভাটার মালিককে সরকারি আইন মেনে ইটভাটা পরিচালার বিষয়ে সতর্ক করা হয়। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী প?রিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী, সরাইল থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।