চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি বাটযুক্ত স্টিলের চাপাতি, ১টি লোহার হাতল কুড়াল ও ২টি রামদা উদ্ধার করা হয়।
২ এপ্রিল রবিবার গভীর রাতে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইলের ধর্মতীর্থ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ৩ এপ্রিল সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলেন, উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের কাংকুরপাড়ার বাবুল মিয়ার ছেলে সফিক মিয়া (২৭), একই গ্রামের মৌলভী পাড়ার মোঃ রহিম মিয়ার ছেলে মোঃ সেলিম মিয়া (৩০), উপজেলার ধর্মতীর্থ গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে মোঃ ইদ্রিস মিয়া (৪০) ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার নিটাওল গ্রামের মৃত মানিক মিয়ার ছেলে মোঃ জালাল (২৫)।
পুলিশ জানায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাত দেড়টার দিকে পুলিশ অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, রবিবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় আরো ৮/১০ জন ডাকাত পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত ইদ্রিস মিয়ার বিরুদ্ধে ৬টি ও মোঃ সফিক মিয়ার বিরুদ্ধে ৪টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। সোমবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলার সোনালী ব্রিকস এবং ভি, আই, পি ব্রিকসকে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবিনের নেতৃত্বে সরাইল উপজেলায় অবৈধ দুই ইটভাটায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে দেখা যায়, সোনালী ব্রিকস এবং ভি আই পি ব্রিকসকে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ২ লক্ষ টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় ও ফাইয়ার বিগ্রেড এর মাধ্যমে ব্রিকস এর আগুন নিভিয়ে দেয়া হয়। অভিযানে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবিন।
এ সময় সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কায়ছার আলম, পুলিশ সদস্য, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাঙ্গা ভুলে গ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ব্যানার হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিশু শিক্ষার্থীরা।
গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া একদল শিশু শিক্ষার্থী এই কর্মসূচি পালন করে। জানা যায়, উপজেলার পল্লী এলাকা পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। একাধিকবার হামলা সংঘর্ষ ভাঙচুর ও মামলার ঘটনাও ঘটেছে। রাত দিন ২৪ ঘণ্টাই একটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকতো গ্রামবাসী। গত ১৮ই এপ্রিল একটি খাস জমির দখলকে কেন্দ্র দু’দল গ্রামবাসী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে যোগ দেয়। আহত হয় শতাধিক নারী-পুরুষ। পুলিশ গ্রেপ্তার করে ২০ জনকে। পরে কয়েকশত লোককে আসামি করে পুলিশ মামলা করে।
গ্রেপ্তার এড়াতে নারী-পুরুষ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। গ্রামে বৃদ্ধ, অসুস্থ ও শিশু ছাড়া আর কাউকে খুব একটা চোখে পড়ে না। মাঝে মধ্যে পুলিশ হানা দেয়। ২-৪ জনকে ধরে আনে। এতে করে আতঙ্কে গোটা গ্রামেই এখন বিরাজ করছে ভুতুড়ে অবস্থা। একটি মাধ্যমিক ও দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পূর্বের তুলনায় অনেক কমে গেছে। বিষয়টি ওই গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীদের মনে দাগ কেটেছে। তারা অনেক ভেবে-চিন্তে গতকাল সাদা কাগজে লেখা ব্যানার নিয়ে গ্রামীণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে। এসময় তদের হাতে লেখা ছিল, ‘দাঙ্গা নয়, শান্তি চাই’, ‘ডু নট কোয়ারেল’, ‘দল বেঁধে স্কুলে যেতে চাই’। শিশু শিক্ষার্থীরা জানায়, ঘরে বাবা নেই, ভাই নেই। মাও লুকিয়ে থাকেন। স্কুলে শিক্ষার্থী নেই। বিকালে ইচ্ছামতো খেলতে পারছি না। এভাবে আর ভালো লাগছে না। আমরা ঝগড়া চাই না। সকলে মিলে গ্রামে শান্তি এনে দেন। সকল মানুষকে গ্রামে এনে দেন।
কলেজের প্রভাষক মো. এলাই মিয়া বলেন, ওই শিশুদের আকুতি ও মনের চাওয়া আমাদের বুঝতে হবে। তাদের চাওয়াটাকে পাওয়ায় পরিণত করতে কাজ করতে হবে। শিশুরা শান্তি চায়। গ্রামের সকল সরদার মাতব্বরকে মন খুলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। প্রয়োজনে পাশের গ্রামের লোকজনকে কাজে লাগিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এক ডজন মামলার আসামী ও চিহ্নিত চোর আসাদ উল্লাহ প্রকাশ কাউছার মিয়া-(৩৭) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি প্রাইভেটকার জব্দ ও বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণালংকার (২ ভরি ৫ আনা) এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আজ ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার অনন্দা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসাদ উল্লাহ প্রকাশ কাউছার মিয়া সরাইল উপজেলার রানীদিয়া গ্রামের মোঃ তাজুল ইসলামের ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার অন্নদা মোড়ে চেকপোষ্ট বসানো হয়। এ সময় চেকপোষ্ট এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি প্রাইভেটকারের গতিবিধি সন্দেহ হলে প্রাইভেটকারসহ আসাদ উল্লাহ প্রকাশ কাউছারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীর তল্লাশী করে বিভিন্ন প্রকারের স্বর্ণ অলংকার যার ওজন (২ ভরি ৫ আনা) ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, বুধবার রাতে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামের ফজলু মিয়ার ঘরে থেকে এই স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন চুরি করে কাউছার। সে একজন পেশাদার চোর।
এ ব্যাপারে বিরুদ্ধে ১২টি চুরির মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ২৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মোঃ মনিরুজ্জামান (২৯) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুট্টাপাড়া মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মনিরুজ্জামান নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার নোয়াবপুর গ্রামের মোঃ বাচ্চু মিয়ার ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুট্টাপাড়া মোড়স্থ বিশ্বরোড মোড়গামী সিএনজি ষ্ট্যান্ডের সামনে পাকা রাস্তার উপর হইতে ওই যুবক তাহার কাধে ঝুলানো একটি লাল কালো রংয়ের স্কুলে ব্যাগে ২৫ বোতল ফেন্সিডিল বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। গোপন সংবাদ ভিত্তিতে সরাইল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।