চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ওভারটেক প্রতিযোগীতা করতে গিয়ে একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চালকসহ ১৩জন ইটভাটা শ্রমিক আহত হয়েছেন।
আজ ৩ এপ্রিল সোমবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের খাড়েরা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও আহতরা জানান, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার চয়নিকা ব্রিক ফিল্ডের ৩০ জন শ্রমিক দুটি পিকআপে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের মাধবপুরে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা এলাকায় একটি পিকআপ অপর পিকআপটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় গাড়িতে থাকা চালকসহ ১৩ শ্রমিক আহত হয়।
এ ব্যাপারে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত পিকআপ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক-কৃষাণীরা সার পেলেন পেয়েছেন।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৬ হাজার কৃষক-কৃষাণীর মাঝে এসব সার বিতরণ করা হয়। এদের মধ্যে বন্যায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ বায়েক ইউনিয়নের ৪ হাজার এবং অন্যান্য ইউনিয়নের ২ হাজার কৃষক-কৃষাণী রয়েছেন। প্রতি কৃষককে ১০কেজি ডিএফপি, ১০কেজি এমওপি সার ও রোপন খরচ বাবদ নগদ ১ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে সার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার।
কসবা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা বেগমের সঞ্চালনায় সার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিথ ছিলেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তারেক মাহমুদ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রুহুল আমিন সরকার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ভূইয়া, গোপিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভূইয়াসহ অন্যরা।
এসময় কৃষি উপসহকারীগণ ও উপকারভোগী লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক পাহাড়ি ঢল ও আকষ্মিক বন্যায় কসবা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৪ হাজার ৫শ ৮৩ হেক্টর জমি তলিয়ে যায়। রোপনকৃত আমন পচে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক। নষ্ট হয়ে যায় ওইসব এলাকার সকল ১০ হেক্টর পরিমান বীজতলা। এছাড়াও ১শ ৭৫ হেক্টর পরিমান রোপনকৃত সবজি নষ্ট হয়ে যায়। পানি চলে যাওয়ার পর চারা সংকটে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় কৃষক। দ্রুত বীজতলা তৈরী করতে গত ২৮ আগষ্ট কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক-কৃষাণীর মাঝে ৫ কেজি করে ধানের বীজ দেয়া হয়। স্থানীয় কৃষকরা বীজতলা তৈরি ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চারা সংগ্রহ করে রোপনের কাজ শুরু করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১৩ কেজি গাঁজা এবং ৮৩০ কেজি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৫ মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার বায়েক ও খাড়েরা ইউনিয়নে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সকিনা বেগম (৫০), একই উপজেলার খাড়েরা গ্রামের শিপন মিয়া (৩০) ও মাহবুবুর রহমান নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের জাহিদা বেগম (৩২) ও একই গ্রামের পারুল আক্তার (৩০)। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন জানান, বুধবার বিকেলে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বায়েক গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৩ কেজি গাঁজাসহ ৩ নারীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে খাড়েরা ইউনিয়নে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৮৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ শিপন ও মাহবুবকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় কসবা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাঈদা সুলতানা প্রিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। ওই পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন সুলতানা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় সাঈদা সুলতানা একক প্রার্থী হিসেবে থেকে গেলেন।
কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার মঙ্গলবার বিকেলে জানান, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় শুধু একজন প্রার্থী রয়ে গেলেন। যে কারণে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হবে। এরপরই তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষিত হবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আলোচিত ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলার স্বাক্ষী আজারুল ইসলাম হৃদয় (২৬) কে পিটিয়ে আহত করেছে হত্যা মামলার আসামীরা। ৮ মার্চ বুধবার রাত ৯টায় কসবা পৌর এলাকার শাহপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আজারুলের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই আহতের চাচা মোঃ শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে আনোয়ার হোসেন আনার (৪৫)কে প্রধান আসামী করে ৮ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও আহত আজারুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে শাহপুর গ্রামের চাচার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলার আসামীরা তার পথরোধ করে তাকে রড, লাঠি ও দা দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিৎকারে পথচারীরা ও আশপাশের লোকজন তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত আজারুল ইসলামের মা আছিয়া বেগম জানান, আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে তার স্বামী ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলা তুলে নেয়ার জন্য জন্য বাদীকে হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে। গত বুধবার তারা তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম মারধোর করে আহত করে। এ অবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল বেলা ১১ টায় ফারুক চৌধুরী স্থানীয় একজনের নামাজে জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আসামীরা তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি জেলা অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) তদন্তনাধীন রয়েছে। এই হত্যা মামলার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী হলেন ফারুক মিয়ার ছেলে আজারুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এই বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমরা আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, নিহত ফারুক চৌধুরী দৈনিক যায়যায়দিনের কসবা প্রতিনিধি মোঃ শাহ আলম চৌধুরীর ছোট ভাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
সংসদীয় আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতেন। এরপর যাদের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ, তাদেরকে টার্গেট করতেন। পরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নিকটাত্মীয় পরিচয় দিতেন। দাবি করতেন টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা আবু হানিফ তুষার ওরফে হানিফ মিয়া (৩৯) নামে এসব অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ও বিভিন্ন ভিডিও ও এডিট করা ছবি উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায়।
হানিফ মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কারও কাছে ৫০ কোটি, কারও কাছে ১০০ কোটি, কারও কাছে ৩০০ কোটি টাকা দাবি করতেন। আর তাদের কারও সঙ্গে দামি গাড়িতে করে দামি হোটেলে সাক্ষাৎ করতেন। ইতোমধ্যে মনোনয়ন পেতে ১০ থেকে ১১ জন তার সঙ্গে যোগাযোগও করেছে।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন বা পদোন্নতির আশ্বাস দিয়ে সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে বিপুল অংকের অর্থ দাবি করা হতো। ৩০ জনের অধিক ব্যক্তিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়াসহ প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার অধিক অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, আবু হানিফ দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নিকটাত্মীয় হিসেবে মিথ্যা পরিচয় ও সুসম্পর্কের কথা বলে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করে আসছিলেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে মনোনয়ন প্রাপ্তির মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দাবি করেন। চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন। প্রতারণা করার জন্য বিভিন্ন সময় নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করতেন হানিফ।
তিনি আরো বলেন, পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপস থেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য সেজে নিজ চক্রের সদস্যদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করতেন। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিজের ছবি এডিট করে বসাতেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, আবু হানিফ এইচএসসি পাশ, কিন্তু একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন বলে মিথ্যা পরিচয় দিতেন। ২০০৮ সালে মটরপার্টসের ব্যবসার সঙ্গে জড়ান। তুষার এন্টারপ্রাইজ পরিবহন নামে তার বেশ কয়েকটি বাস ও নিজের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য প্রাইভেট কার রয়েছে।
র্যাব জানায়, ২০১৪ সালের পর থেকে একজন সুপরিচিত রাজনীতিবিদের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণার কার্যক্রম শুরু তার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কৌশলে রাজনৈতিবিদ, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে নিজের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে পরিচিত হতেন। পরে সুসম্পর্ক তৈরি করে ছবি তুলতেন এবং প্রতারণার কাজে এই ছবিগুলো ব্যবহার করতেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের একাধিক মামলাও রয়েছে।