চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। হতদরিদ্র মানুষদের ভূমিসহ বসতবাড়ি নির্মাণ করে প্রমাণ করছে আওয়ামী লীগ গণমানুষের সরকার। এই প্রথম ভূমিহীন ঘরহীন লোকগুলো সামনের ঈদটিতে নিজ ভূমি ও ঘরে ঈদ আনন্দ উপভোগ করবে। বাংলার সাধারণ মানুষের আশার এবং ভরসার শেষ আশ্রয় হিসেবে শেখ হাসিনাকেই পাশে পায়।
আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক আয়োজিত স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, সহকারি কমিশনার কাজী আতিকুর রহমান, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তার, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম, উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি স্মাট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ২২ শ্রাবণ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিদায়ের দিন। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে বাংলা সাহিত্য ও কাব্যগীতির এই শ্রেষ্ঠ রূপকার পরলোকগমন করেন। ৮০ বছর বয়সে তার এ মৃত্যু দেহান্তর মাত্র। কারণ তার কাজের মধ্য দিয়ে তিনি আজও বিরাজমান।
বাঙালির জীবনে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আছেন সবসময়। তার বাণী ও সুর অমিয় এক সুধা হয়ে ধরা দেয় জীবনের নানা বাঁকে। তারই লেখা গান আমাদের জাতীয় সংগীত।
মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যে মানবজীবনের পথচলার সমাপ্তি তাকে বরণ করে নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি তার ‘মৃত্যুঞ্জয়’ কবিতায় লিখেছেন, ‘যত বড়ো হও,/তুমি তো মৃত্যুর চেয়ে বড়ো নও/আমি মৃত্যুর চেয়ে বড়ো এই শেষ কথা বলে/যাব আমি চলে।’
আরেক জায়গায় তিনি লিখেছেন, ‘মৃত্যু দিয়ে যে প্রাণের মূল্য দিতে হয়/সে প্রাণ অমৃতলোকে/মৃত্যু করে জয়।’ নিজের কথার মতোই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সৃষ্টির মধ্য দিয়ে বাঙালির মণিকোঠায় ঠাঁই করে নিয়েছেন। তিনি আজও বাঙালির মানস গঠনে, চেতনার উন্মেষের প্রধান অবলম্বন।
‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে তিনি প্রথম এশীয় হিসাবে ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। দেশজ শিক্ষাব্যবস্থা বিকাশের লক্ষ্যে তিনি গড়ে তোলেন শান্তি নিকেতন ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রামীণ সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে কৃষির উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। বাংলায় আলু, ভুট্টা ইত্যাদি চাষের সূচনা ঘটে তারই উদ্যোগে।
দরিদ্র কৃষককে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যে নোবেল পুরস্কারের অর্থে কৃষি ব্যাংকের কাজ শুরু করেন। বঙ্গভঙ্গ রদ করার দাবিতে হিন্দু-মুসলমানদের নিয়ে রাখিবন্ধন কর্মসূচিতে রাজপথে নেমে আসেন।
১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধি দিলেও ১৯১৯ সালে পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগে ব্রিটিশ বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। যে কোনো ক্রান্তিকালে তার গান, কবিতা, উপন্যাস, গল্প আমাদের ধৈর্য ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়।
কর্মসূচি : রবীন্দ্রপ্রয়াণ দিবসে ছায়ানটের আয়োজনে ‘আঘাত করে নিলে জিনে’ শীর্ষক আয়োজন থাকছে। আজ ছায়ানট মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে এ আয়োজন। অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত। অনুষ্ঠানটি ছায়ানটের ফেসবুক পেজে সরাসরি অনলাইনে দেখা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস আজ। ৪৭ বছর আগে ১৯৭৬ সালের এই দিনে (১৬ মে) মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ভারত নির্মিত ফারাক্কা বাঁধের প্রতিবাদ এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পদ্মা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ফারাক্কা অভিমুখে লাখো জনতার লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। লংমার্চ শেষে কানসাট হাইস্কুল মাঠে বিশাল সমাবেশে বক্তব্য দেন মওলানা ভাসানী। সেই থেকে ১৬ মে ফারাক্কা দিবস নামে পরিচিতি লাভ করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ১৮ কিলোমিটার উজানে ১৯৭৫ সালে ভারত ফারাক্কা বাঁধ উদ্বোধন করে। এর প্রতিবাদে মওলানা ভাসানীর লংমার্চ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে। সে সময় চুক্তি অনুযায়ী, পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি পূরণ না হওয়ায় মরূকরণের দিকে যাচ্ছিল বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। যদিও সে অবস্থার এখনও পরিবর্তন হয়নি।
১৯৯৬ সালে ভারত-বাংলাদেশের ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি অনুযায়ী খরা মৌসুমে জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে বাংলাদেশকে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ সে পানি পায়নি।
পাউবোর কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, এ বছর উজানে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় পদ্মা নদীতে পানি বেড়েছে। পরিবেশবিদ ও সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শাহনেওয়াজ সালাম বলেন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য এখনও হুমকির মুখে। এসব থেকে রক্ষা পেতে নতুন করে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি হওয়া দরকার।
এদিকে ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস যে কোনো অধিকার আদায়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
নিজের পায়ে ভর করে হাঁটতে পারতেন না। কখনো মা-বাবা ও বন্ধুদের কোলে চড়ে, কখনো হুইলচেয়ার বা স্টিলের লাঠিতে ভর করে পড়াশোনা শেষ করেন মো. ইমতিয়াজ কবির (২৪)। এরপর একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ইমতিয়াজ আর অফিসে যাবেন না। কখনো মায়ের কোলে চড়ে বসবেন না। প্রাণ খুলে হাসবেন না। আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বেলা তিনটায় চট্টগ্রাম নগরের এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন ইমতিয়াজ কবিরের ফুফাতো ভাই মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, ইমতিয়াজ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। সর্বশেষ ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন। নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। এসব রোগ নিয়ে তাঁকে ৫ ফেব্রুয়ারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আর আজ মৃত্যু হয়েছে। মাহমুদুর রহমান জানান, ইমতিয়াজের মৃত্যুর পর তাঁর মা–বাবার আহাজারি থামছেই না। একমাত্র বোন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ভাইকে হারিয়ে বোনটিও দিশাহারা। এখন ইমতিয়াজের ঘরজুড়ে কেবলই স্মৃতি। পড়ে আছে জামা, জুতা ও বইপত্র।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেছিলেন ইমতিয়াজ। গত জুন মাসে প্রতিবন্ধকতা জয়ী ইমতিয়াজ তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক জাপানি তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি কোডল্যাব এফজেডসির ঢাকা অফিসে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছিলেন ইমতিয়াজ। গত বছরের ১ আগস্ট জাতীয় দৈনিকে ‘বাবা ও বন্ধুদের কোলে চড়ে পড়াশোনা করা ইমতিয়াজ এখন পেশাদার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার’ শিরোনামে ইমতিয়াজকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
ইমতিয়াজদের বাড়ি নড়াইলে। তবে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে বসবাস করে আসছেন। ইমতিয়াজের ঢাকায় চাকরি হওয়ার পর তাঁর সবকিছু গুছিয়ে দিতেই মা চট্টগ্রাম থেকে রাজধানীতে গিয়েছিলেন। তাঁর বাবার নাম ইনামুল কবীর। ইমতিয়াজের ফুফাতো ভাই মাহমুদুর রহমান জানান, দুই মাস ধরে ইমতিয়াজ চট্টগ্রামে থাকছিলেন। অসুস্থতার কারণে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে এসেছিলেন তিনি। এখন ইমতিয়াজের মরদেহ নড়াইলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার সকালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ইয়াসমিন নাহার ২০১৩ সাল থেকে চট্টগ্রামের কৃষ্ণকুমারী সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। তবে তাঁর চাকরি এখনো স্থায়ী হয়নি। তাঁর স্বামী ইনামুল একসময় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০১৮ সালের পর তাঁর পক্ষে পূর্ণকালীন এই চাকরি আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে তিনি খণ্ডকালীন একটি কাজ করছেন। ছেলে ইমতিয়াজ চাকরি পাওয়ায় পরিবারটি নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর বাস্তব হলো না।
জন্মগতভাবেই ইমতিয়াজের ডান পা বাঁকা ছিল। পরে দেশে-বিদেশে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। পায়ে দেওয়া হয় প্লাস্টার। প্লাস্টার খোলার সময় তাঁর পা ভেঙে যায়। পরে তাঁর দুই পায়ে সমস্যা দেখা দেয়। মেরুদণ্ডের হাড়েও সমস্যা দেখা দেয়। এইচএসসি পরীক্ষার আগে একবার তাঁর শরীরের পুরো বাঁ পাশ অবশ হয়ে গিয়েছিল। ইমতিয়াজ সোজা হয়ে বসতে পারেন না। হাতেও পুরোপুরি শক্তি পান না।
মা ইয়াসমিন বলেছিলেন, একপর্যায়ে ছেলের শারীরিক সীমাবদ্ধতার বিষয়টি মেনে নেন। মনস্থির করেন, প্রতিবন্ধকতার কারণে ছেলে যাতে কোথাও পিছিয়ে না পড়ে। ছেলেকে ভালো স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন। নিজের শারীরিক কষ্ট ভুলে পড়াশোনার জন্য ছেলেকে কোলে নিয়ে পাঁচতলা পর্যন্ত উঠেছেন। আর ছেলের মধ্যেও জীবনে ভালো কিছু করার প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি সব সময় কাজ করছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি বলেছেন, গত ১৫ বছরে দেশের পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্প ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে গেছে। এ সময়ে আমাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বেড়েছে। উন্নয়নের এ ধারাকে এগিয়ে নিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের নির্বাহী কমিটির সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক আগ্রহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহর নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। নতুন নতুন রুট চালু করা হয়েছে। আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা-রোম ফ্লাইট চালু হবে। আরও রুট চালুর জন্য নতুন এয়ারক্রাফট কেনার কথাও ভাবা হচ্ছে। দেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোও ভালো করছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সব বিমানবন্দর আধুনিকায়ন করার কাজ চলমান। এ বছরই অক্টোবর মাসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক থার্ড টার্মিনাল চালু হবে। নতুন রাডার স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে দেশের সমগ্র আকাশসীমা নজরদারির আওতায় আসায় আমাদের আকাশসীমা দিয়ে চলাচলকারী উড়োজাহাজ হতে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে। শীতকালে প্রায়ই কুয়াশার কারণে ফ্লাইট ডাইভারশন করতে হয়। এই ডাইভারশন যাতে করতে না হয় তার জন্য আইএলএস সিস্টেম আপগ্রেড করা হচ্ছে।
এছাড়া মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে, কোনো ফ্লাইট ডাইভারশনের প্রয়োজন হলেও তা যেন দেশের ভিতরেই করা হয়। এজন্য শীতকালের ওই সময়ে সিলেট এবং চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট ২৪ ঘণ্টা অপারেটিং থাকবে।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে ভূমিকা রাখছে তা যাতে আরও বৃদ্ধি পায় সেজন্য আমরা কাজ করছি। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, যুগ্ম সচিব সাঈদ কুতুব, এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি তানজিম আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লবসহ নির্বাহী কমিটির সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
অর্থায়নের সুদহার কমাতে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৪ মার্চ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ও এডিবির অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী জানান, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তা প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে। বর্তমানে এডিবির ক্রমবর্ধমান অবদান দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এডিবির পোর্টফোলিওতে বাংলাদেশ এখন তৃতীয় বৃহত্তম গ্রাহক।
‘এডিবি আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। গত ৫০ বছরে আমাদের উন্নয়নে এডিবির বিশেষ সহযোগিতা রয়েছে’ বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এডিবির উদার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এসময় তিনি সংকটকালীন সময়ে সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
সরকার প্রধান বলেন, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আমি দক্ষতা উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, আইসিটি ভিত্তিক উদ্যোক্তা, মানসম্পন্ন অবকাঠোমো, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবসম্পদ উন্নয়নের ওপর কৌশলগত গুরুত্বারোপসহ অর্থায়নে নমনীয় পদ্ধতি এবং উদ্ভাবনী অর্থায়নের জন্য এডিবির প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বেসরকারিখাতকে কাজে লাগানো একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যা বিনিয়োগবান্ধব ব্যবসার পরিবেশ তৈরিতে অবদান রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
‘আমি আশা করি, এডিবির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও সৃদৃঢ় হবে, শক্তিশালি হবে।’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী