চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার এককালে মৃৎশিল্পের সুনাম ছিল কিন্তু নানা প্রতিকূলতার বর্তমানে নবীনগরের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প বিপন্ন হতে চলেছে।
এ উপজেলার নারায়ণপুর, ভেলানগর, ইব্রাহিমপুর, শ্রীরামপুর, বিটঘর গ্রাম মৃৎশিল্পের প্রাণ কেন্দ্র ছিল। এ সব গ্রামে ন্যূনতম পক্ষে ৩০০০ মৃৎশিল্পী রাত দিন কাজ করত। তারা সুনিপুণ ভাবে হাড়ি, পাতিল, বাসন, ডাকনা, কলকে ও কলস, হরিন, হাতি, গরু,জলকাদা, মটকা, মুিক্ত, বসারপিড়ি, ঘোড়া ,বাঘ, ফুলদানী, টব ব্যাংক, প্রভৃতি তৈরি করত। তাদের তৈরি পুতুল শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নয় ঢাকা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ও সরবরাহ হত, কিন্তু বর্তমানে নানা প্রতিকূলতার শিকার হয়ে নবীনগরের মৃৎশিল্পীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এখন মাত্র শ’খানেক মৃৎশিল্পী তাদের পেশা কোনো মতে আঁকড়ে ধরে আছে। তাদের পেশার দৈন্যদশায় সংসার জীবনে বিরাট বিপর্যয় নেমে এসেছে। মাটির তৈরি জিনিষের স্থান দখল করে নিয়েছে এলুমনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈরি তৈজষপত্র। এর দাম বেশি হলেও অধিক টেকশয়। তাই গ্রামের সাধারণ মানুষ এলুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈরি তৈজসপত্র কিনে।
মৃৎশিল্পী জয় পাল জানান, “মৃৎশিল্প তৈরীর উপকরণের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়। ফলে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পে আমাদের ঋণের বোঝা ভারী হয়ে গেছে”। নানা প্রতিকূলতায় অনেকেই পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। তাই নবীনগর উপজেলার মৃৎশিল্প বর্তমানে প্রায় বিলুপ্তির পথে। তবে ১ বৈশাখ উপলক্ষে কয়েক জন মৃৎশিল্পী ব্যস্থ সময় পার করছেন। নবীনগর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ও স্থানীয় এনজিও হোপ এর সহযোগিতায় অত্র এলাকার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য স্থানীয় কারিগরদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় যদিও এর প্রতিফলন খুব একটা চোখে পড়েনি। ভবিষ্যতে যদি সরকারী ভাবে তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ করানো ও সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হয় তাহলে হয়তো এ শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশটাকে খাদে ফেলে দিয়ে গেছেন, সেখান থেকে দেশটাকে তুলতে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের মতন একজন নামি দামি খ্যাতিমান মানুষকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। গতকাল ৪ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ উলফত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে শাহাদাৎ বরণকারী সকল শহীদদের স্মরণে ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় প্রাঙ্গনে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া (৫) আসন থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কাজী নাজমুল হোসেন তাপস।
নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ, রতনপুর, সাতমোড়া ও শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনিসুর রহমান মঞ্জু, সাবেক মেয়র মাইনুউদ্দিন, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. শাহাবুদ্দীন, মফিজুর রহমান মুকুল, সালেহা বেগম, ইকবাল হোসেন মোল্লা, এমদাদুল বারী, মো. আলী আজম, মো. হযরত আলী, গোলাম মাওলা, রকিবুল ইসলাম, আবুল হোসেন, আপেল মাহমুদ, শামীম, শফিকুল ইসলাম, জাফর ইকবাল প্রমুখ। সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোঃ মূসা (৪৮) নামে এক কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বিদ্যাকুট গ্রামে এঘটনা ঘটে। মৃত মূসা বিদ্যাকুট গ্রামের কাসেম মিয়ার ছেলে। তিনি বিদ্যাকুট অমর বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সদস্য ছিলেন। নিহত মূসা মিয়ার ভাতিজা রায়হান আহমেদ বলেন, মূসা কাকা কনস্ট্রাকশন কাজের ঠিকাদার ছিলেন। বিদ্যাকুট পূর্বপাড়া খা বাড়ির একটি নতুন বিল্ডিয়ের কাজের সাইট দেখতে গিয়েছিল। ছাদের মধ্যে থাকা একটি বাঁকা রড সোজা করতে গেলে উপরে থাকা বিদ্যুতের তারে রড লাগলে তিনি বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ শাকিল আহমেদ সজিব বলেন, হাসপাতালে আনার পর ইসিজি করেছি। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় আসন্ন ৬ষ্ঠ পর্যায়ে আগামী ৫ জুন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ ৯ মে বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৯জন, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ৪ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
প্রার্থীরা হলেন চেয়ারম্যান পদে-সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস (আওয়ামীলীগ), কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু (আওয়ামীলীগ), মোহাম্মদ শাহ আলম (আওয়ামীলীগ), মোঃ ফারুক আহমেদ (বিএনপি সমর্থক), এইচ এম আল আমিন আহমেদ (আওয়ামীলীগ), আবদুল মতিন (দলীয় পরিচয় জানা যায়নি), মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান (আওয়ামীলীগ), মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির (আওয়ামীলীগ), মোছাম্মৎ নুরুন্নাহার বেগম (আওয়ামীলীগ)।
২১ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩১০জন। মনোনয়ন পত্র জমা শেষে বিকেলে রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল্লা আল মামুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের নবীনগর নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদলকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক সাঈদ।
আজ ২৪ ডিসেম্বর রবিবার বিকেলে সলিমগঞ্জ বাজারে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সময় তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।
নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সাঈদ বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। এবার নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা ও নৌকার ভোটারদের বিভক্ত না করে নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদলকে সমর্থন দিতেই নির্বাচন থেকে সরে এসেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
লতিফা বেগম (৪২) নামে এক গৃহবধূকে গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দিয়েছে তার দেবর জালাল মিয়া।
গতকাল রবিবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার উত্তর দাররা গ্রামে বাড়িতে পিঠা বানানোর সময় লতিফার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন জালাল।
এতে লতিফার সারা শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। লতিফার অবস্থা শংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা।
পারিবারিক কলহের জের ধরে ছোট ভাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত লতিফার স্বামী মো. জাকারিয়া।
তিনি জানান, চার-পাঁচ দিন আগে লতিফা বেগমের সঙ্গে জালালের স্ত্রীর কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যেও ঝগড়া হয়। এ ঘটনার জেরেই তার স্ত্রীকে পুড়িয়ে দিয়েছে জালাল। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে উত্তরদাররা গ্রামের জিন্নত আলী ব্যাপারির ছেলে জাকারিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় লতিফা বেগমের। তাদের দুই ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে আবুধাবি প্রবাসী। আর ছোট ছেলে কলেজে পড়ে। মো. জাকারিয়াও আবুধাবিতে থাকতেন। দেড় বছর আগে তিনি দেশে আসেন। লতিফা বেগমের গ্রামের বাড়ি একই উপজেলার কালঘড়া গ্রামে। তার পিতার নাম হেলাল সরকার।