চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের অফিসের ছাদে ৫০টি ফলজ ও ফুলের চারা রোপনের মাধ্যমে ছাদ বাগানের আজ ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম এর উদ্বোধন করেন। শক্তি ফাউন্ডেশনের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্থার কর্ম এলাকা ৫৫ টি জেলায় ছাদ বাগান কর্মসূচির আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের অফিসের ছাদে বাগান করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভিন, শক্তিফাউন্ডেশনের সিনিয়র ডিরেক্টর ও হেড অব ট্রেনিং মোঃ নজরুল ইসলাম, জোনাল হেড মোঃ নাজমুল হক, রিজিওনাল হেড আল মামুন, এরিয়া সুপার ভাইজার মোঃ কামরুল হাসান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতা ও পুলিশের উপর হামলাসহ থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও অস্ত্র লুটপাট সংক্রান্ত মামলায় মোহাম্মদ হরমুজ আলী (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ৫ অক্টোবর শনিবার অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ মিডিয়া উইংস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস রিলিজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোহাম্মদ হরমুজ আলী (৬০) ৯নং ওয়ার্ড সেন্দ, রামরাইল ইউপি’র মৃত রহিজ মিয়ার ছেলে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় বিস্ফোরক আইনের ৩/৬ মামলা রুজু করা হয়।
উল্লেখ্য, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ ৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি।
গত মঙ্গলবার পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টিকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। একই দিনে এর সঙ্গে আরো দুটি পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অন্য দুটি পণ্য হলো মধুপুরের আনারস ও ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টিকে গত ৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ ও ৩০ নম্বর শ্রেণিতে পণ্যটি জিআই-৭৫ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে পণ্যটির স্বীকৃতি মিলেছে।
এই স্বীকৃতির ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি আন্তর্জাতিকভাবে ভাবমূর্তি বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এতে গুণগত পরিবর্তন ও বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রও তৈরি হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
ভোলার দুই শ বছরের ঐতিহ্যবাহী মহিষের দুধের কাঁচা দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ভোলার জেলা প্রশাসক পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ নম্বর শ্রেণিতে পণ্যটি জিআই-৫৫ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মহিষের দুধের কাঁচা দই জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে পণ্যটির স্বীকৃতি মিলেছে।
সাগর আর নদীবেষ্টিত দ্বীপ জেলা ভোলার মানুষের জীবনমানে রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। খাবারেও রয়েছে নিজস্বতা। এরই অংশ হিসেবে এ জেলা দীর্ঘকাল ধরে পরিচিতি পেয়েছে মহিষের দুধের কাঁচা টক দই, যা স্থানীয়ভাবে ‘মইষা দই’ নামে পরিচিত। ভোলা জেলা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী জানান, বিষয়টি ভোলাবাসীর জন্য আনন্দের।
এ স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ভোলায় মহিষ পালনকারী ও দই উৎপাদনকারীদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, ‘ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দইয়ের যে স্বীকৃতি সেটি অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই ভোলার ঐতিহ্য। এটি অন্য জেলার হতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করে এটি ফিরে পেয়েছে।
জিআই-৫৫ নম্বরে এটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। ভোলাবাসী এটি নিয়ে গর্বিত। এর মাধ্যমে এটির বৈশ্বিক স্বীকৃতি মিলেছে। জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রথমত এই পণ্যটি ভোলার বলে চিহ্নিত হলো। দ্বিতীয়ত, এই স্বীকৃতির মাধ্যমে পণ্যটির বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধা বাড়ল। এই দধি এখন দেশের বাইরেও রপ্তানি করা যাবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে দধি উৎপাদনে মানের উন্নতি হবে। কেননা জিআই স্বীকৃতি পণ্যের মান নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে।’
পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দধিসহ তিনটি পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর অধিদপ্তর থেকে এসংক্রান্ত তিনটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, বাকি দুটি পণ্য হলো মধুপুরের আনারস ও ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই। আরো বেশ কয়েকটি পণ্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও তারা এখনো সার্টিফিকের ফি জমা না দেওয়ায় তাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়নি। সেগুলো খুব দ্রুত হয়ে যাবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম রেজা হাবিবকে চোখের জলে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে। এর আগে তাঁর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ জুলাই শুক্রবার বাদ জুমা শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এ জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযার পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম রেজা হাবিবের মরদেহ দলীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।
এর আগে মাননীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রয়াত সেলিম রেজা হাবিবের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
প্রয়াত এই নেতার জানাযায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, হাজী হেলাল উদ্দিন, কামরুজ্জামান আনসারী, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ মহসিন, তানজিন আহমেদ, আইন সম্পাদক অ্যাড. মফিজুর রহমান বাবুল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কাজী আবুল কালাম, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল খালেক বাবুল, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক স্বপন রায়, সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, অ্যাড. লোকমান হোসেন, হাসান সারোয়ার, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আউয়াল, জামাল খান। এছাড়া নামাজে জানাযায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন উপস্থিত ছিলেন।
জানাযা শেষে তাকে এলাকার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কালোব্যাজ ধারণ, কবর জিয়ারত, পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও তাবারুক বিতরণের মাধ্যমে জীবন ফাউন্ডেশন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে ৪২তম ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলন ও শহীদ পলু দিবস উদযাপিত হয়েছে। জীবন ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ২৭ নভেম্বর দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের পশ্চিম পাইকপাড়াস্থ অসুস্থ সাংবাদিক মোঃ মোখলেছুর রহমান জীবন এর উপস্থিতিতে জীবন ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মোঃ আসিফুর রহমান রোজেন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু, মাসিক ম্যাগাজিন তিতাস বার্তা সম্পাদক এম এ মতিন সানু, সাংস্কৃতিক সংগঠক মো. আনিছুল হক রিপন।
জেলা আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এড. শেখ মো. জাহাঙ্গীর, অবঃ সৈনিক কল্যাণ সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ শামসুল আলম বাবু, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জি এস) মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন জিয়া কারদার নিয়ন। জেলা আন্দোলনে শহীদ ওবায়দুর রউফ পলু’র বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মোঃ জায়েদুল করিম। আলোচকগণ তাদের বক্তব্যে ১৯৮৩ সালে সংগঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আন্দোলনের ইতিহাস জানার জন্য বর্তমান প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলনের স্মৃতির ধারক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের ধারাবাহিক কর্মসূচির আওতায় ভোরে ফজর নামাজের পর জেলা সদরের বিভিন্ন মসজিদে জেলা আন্দোলনে শাহাদাৎ বরণকারী ওবায়দুর রউফ পলু’র বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত, সকালে জেলা উন্নয়ন পরিষদ নেতাকর্মীদের কালোব্যাজ ধারণ, শহরতলীর শেরপুরস্থ পলু’র কবর জিয়ারত, তাঁর পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করা হয়। এরপর সন্ধ্যায় জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুছ মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। কবর জিয়ারত, দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ সারোয়ার কাইছার টিপু।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শফিকুর রহমান, এড. তৈমুর রেজা মোঃ শাহজাদ ভূঁইয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ’র পিতা মীর মোস্তাফিজুর রহমান, দৈনিক ফ্রন্টিয়ার সম্পাদক আব্দুল মালেক, লায়ন মোঃ আসিফুর রহমান রোজেন, মানবাধিকার কর্মী মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল, এড. কফিল উদ্দিন আহমেদ।
সাংস্কৃতিক সংগঠক আনিছুল হক রিপনের উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু, শামছুল আলম বাবু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী মাউন পিয়াস, কার্যকরী সদস্য এড. শেখ জাহাঙ্গীর, মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ বাবুল চৌধুরী, প্রকাশনা সম্পাদক আলী হায়দার তুষার, সদর উপজেলা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি প্রফেসর মোঃ মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জিয়া কারদার নিয়ন, ইউনেস্কো ক্লাব সভাপতি আমির হোসেন ফারুক, জেলা মুজাহিদ কমিটির সভাপতি সৈয়দ আনোয়ার আহমেদ লিটন, জেলা উন্নয়ন পরিষদের সাবেক সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন মালদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান প্রমুখ। কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সাবেক প্রচার সম্পাদক হাফেজ শাহ মোহাম্মদ উল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন শহীদ ওবায়দুর রউফ পলু’র নামে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, শহীদ পলু সড়ক নামকরণ কার্যকর বাস্তবায়ন, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও পাবলিক মেডিকেল কলেজ, জেলা পর্যায়ের যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান এখনো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালু হয়নি তা দ্রুত এখানে চালু করার দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারি আনুকূল্য পেলে শহীদ পলু ছাত্রাবাসটি সংস্কার বা পুণঃনির্মাণ করে নতুন ভাবে চালু করা হবে। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এখনো অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড হতে বঞ্চিত রয়েছে। জেলা উন্নয়ন পরিষদের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অসমাপ্ত উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হবে বলে আমি আশাবাদি। দোয়া শেষে তাবারুক বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জেলাব্যাপী পরিচালনা করবার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ১০১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ ২২ নভেম্বর বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান ও সাবেক কমিটির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে চেয়ারম্যান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ও সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিনকে কো-চেয়ারম্যান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটিতে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সিনিয়র সদস্যবৃন্দ, দলীয়ভাবে নির্বাচিত সকল পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, প্রত্যেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা পর্যায়ের সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ সদস্য হিসাবে থাকবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর পরিচালনায় সিনিয়র সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ও সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন সহ সাবেক কমিটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।