চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের অফিসের ছাদে ৫০টি ফলজ ও ফুলের চারা রোপনের মাধ্যমে ছাদ বাগানের আজ ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম এর উদ্বোধন করেন। শক্তি ফাউন্ডেশনের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্থার কর্ম এলাকা ৫৫ টি জেলায় ছাদ বাগান কর্মসূচির আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের অফিসের ছাদে বাগান করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভিন, শক্তিফাউন্ডেশনের সিনিয়র ডিরেক্টর ও হেড অব ট্রেনিং মোঃ নজরুল ইসলাম, জোনাল হেড মোঃ নাজমুল হক, রিজিওনাল হেড আল মামুন, এরিয়া সুপার ভাইজার মোঃ কামরুল হাসান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা গতকাল রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বিশিষ্ট নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ, জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান তানিম, খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেবব্রত কর প্রমুখ।
সভায় আজ ১০ এপ্রিল থেকে হেলমেটবিহীন মোটর সাইকেলে ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনে কোন পাম্প থেকে জ্বালানী তেল সরবরাহ না করা, লাইসেন্সবিহীন ও খুচরা জ্বালানী তেলের দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকেট কালোবাজারী বন্ধে রেলওয়ে স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও রেলওয়ে স্টেশনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। সভায় রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী ছাড়া অহেতুক কাউকে ঘুরাফেরা না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
সভায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে জেলায় কোন অবস্থাতেই যেন বাসের টিকেটের দাম বৃদ্ধি না করা হয়, মহাসড়কে কোন ধরনের চাঁদাবাজী যেন না করা হয় সে ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
সভায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে কোন অবস্থাতেই যেন মহাসড়কে যানজট না হয়, এবং কোন যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হলে তা সাথে সাথে অপসারণ করার জন্য প্রয়োজনীয় রেকার প্রস্তুত রাখার জন্য হাইওয়ে থানাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
সভায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কের খনাখন্দ অবিলম্বে সংস্কার করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। ঈদের সময় মহাসড়কে যেন ট্রাকে করে যাত্রী পরিবহন না করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপকে খেয়াল রাখার দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
সভায় ঈদের আগে তিনদিন ও ঈদের পরে ৩দিন মহাসড়কে কোন অবস্থাতেই যেন সিএনজিচালিত অটোরিকসা চলাচল না করে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়।
সভায় জেলায় কোন অবস্থাতেই যেন মালবাহী পাওয়ার ট্রিলার রাস্তায় চলাচল করতে না পারে সেজন্য পাওয়ার ট্রিলার চলাচল বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়। সভায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে বাজার মনিটরিং জোরদার করার জন্য জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। এছাড়াও শহরের যানজট নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগন,বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যানগন, নির্বাহী অফিসারগণ, বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রগনসহ আইন-শৃংখলা রক্ষা কমিটির সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন আইনজীবীরা।
আজ ৯ এপ্রিল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় “ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমাজের” ব্যানারে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কালেক্টরেট ও জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণ প্রদক্ষিণ শেষে বারভবন সংলগ্ন গোলচত্বরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ মোঃ জামালের সভাপতিত্বে আইনজীবীদের এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অ্যাডভোকেট বশির আহমেদের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে গাজায় ইসরায়েলী গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অনতিবিলম্বে এ গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে ফিলিস্তিনবাসীদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি অকৃত্রিম সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জু, অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির মিয়া, অ্যাডভোকেট জিবরাইল, অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী, অ্যাডভোকেট যতন শর্মা, অ্যাডভোকেট ইয়াসমিন, অ্যাডভোকেট আবদুন নূর প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে মার্কিন মদদে গাজায় ইসরায়েলী মানবতাবিরোধী, বর্বরোচিত অব্যাহত গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, দখলদার ইসরায়েল নির্মমভাবে ও নির্বিচারে নিরীহ নারী ও শিশুদের হত্যা করে বর্বরতার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে, যা কোন বিবেকবান মানুষ কোন অবস্থায় সমর্থন করতে পারে না। তাই অনতিবিলম্বে এ গণহত্যা বন্ধের জন্য জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে গোটা বিশ^ সম্প্রদায়কে এককাট্টা হয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী হত্যা মামলায় ছাত্তার মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেছে আদালত।
আজ ১৭ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র দায়রা ও জেলা জজ শারমিন নিগার এই রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত ছাত্তার মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের হিন্দুপাড়ার মৃত সানু মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষনার সময় আসামি ছাত্তার মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৮ মে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের হিন্দুপাড়ায় ছুরিকাঘাতে খুন হন চার সন্তানের জননী জোসনা বেগম। এ ঘটনায় জোসনা বেগমের পিতা আবদুল মন্নাফ বাদি হয়ে নিহত জোসনার স্বামী ছাত্তারসহ ৪জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ মামলার আসামী ছাত্তারকে গ্রেফতার করে। পুলিশ ছাত্তারকে আদালতে হাজির করলে সে ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
একই বছরের ৫ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার ৪জন আসামীর মধ্যে ৩জনের কোন সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় প্রধান আসামী ছাত্তারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালত সকল সাক্ষি, প্রমাণ বিচার বিশ্লেষণ করে প্যানেল কোড ৩০৪ এর পার্ট-১ অনুযায়ী আসামী ছাত্তারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। ইতিমধ্যে সে যে হাজতবাস করেছে তা সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রেলপথে চলাচলরত আন্তঃনগর ‘কালনী এক্সপ্রেস’ ট্রেন শিগগিরই যাত্রাবিরতি করবে। ১৫ জানুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, ‘কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন থামানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা কার্যকর হবে।’
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু, চট্টগ্রাম-জামালপুর-চট্টগ্রাম রুটের ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ ও ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের ‘কালনী এক্সপ্রেস’-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি এবং বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানানো হচ্ছিল। এ বিষয়ে জেলা নাগরিক ফোরাম গত কয়েক বছর ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন
কৃষিজমি থেকে মাটি কাটার দায়ে দুইজনকে জেল-জরিমানা
বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ ব্যাপারে গেল বছরের ২ অক্টোবর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি দেন, যাতে জেলার ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরা হয়। জেলা প্রশাসকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রেল যোগাযোগের সংযোগস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রীদের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। ট্রেনের আসন সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে বা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল ভ্রমণ করছেন। ভীড়ের কারণে টিকেটধারী যাত্রীরা নির্ধারিত বিরতির সময়ে ট্রেনে উঠতে পারছেন না এবং ট্রেনে ওঠার জন্য নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় যানজটে চরম দুর্দশার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ট্রেনকেই তাদের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে।
ওই চিঠি দেওয়ার পরও জেলা প্রশাসক তার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। সর্বশেষ গত ১২ জানুয়ারি রেল সচিবের সাথে টেলিফোনে কথা বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলযাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপর দ্রুতই রেল সচিব এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন।
আরও পড়ুন
আখাউড়ায় জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত
এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো জেলা প্রশাসনের পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির বিষয়টি উঠে আসে। ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রেল সচিবকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার এক বছর পার হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে জেলা নাগরিক ফোরাম তাদের রেল যাত্রাবিরতির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। ২০২৩ সালের ১৫ জুন এবং ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেলওয়ে সচিব বরাবর স্মারকলিপি দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম।
আরও পড়ুন
জমিতে সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, আমরা প্রায় পাঁচ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি, তবে তেমন কোনো সুফল পাইনি। শুনতে পেলাম রেল মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির আংশিক পূরণ করেছে। কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি হবে, এটি আমাদের জন্য একটি সুসংবাদ। তবে আমাদের মূল দাবি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে একটি স্পেশাল ট্রেন চালু করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৪টি ক্লিনিককে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৫ জুলাই বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন শহরের কুমারশীল মোড় এলাকায় অবস্থিত নবজাতক শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১০ হাজার টাকা, আলিফ জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা, গ্রীন ভিউ স্পেশালাইজড হসপিটালকে ১০ হাজার টাকা ও আল-খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তায় বুধবার দুপুরে জেলা সদরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে বিভিন্ন অনিয়ম, অব্যস্থাপনা, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রাখা ও অপরিস্কার-অরিচ্ছন্নতার দায়ে চারটি ক্লিনিককে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও কয়েকটি ক্লিনিককে সর্তক করা হয়। অভিযানকালে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের সহকারী সার্জন ডা. সম্বিতা চক্রবর্তী ও সদর মডেল থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।