চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রাকচাপায় ইতি রানী দাস (১৮) নামে এক তরুণী নিহত হয়েছেন। ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের ধরন্তি নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ইতি রানী দাস নাসিরনগর উপজেলার নাসিরনগর ইউনিয়নের রামচরণ দাসের মেয়ে। এই ঘটনায় মামলা করেছে পরিবার।
সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন জানান, সকালে সিএনজিযোগে ইতি রানী দাসসহ তার পরিবারের সদস্যরা নাসিরনগরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ধরন্তি নামক এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক সিএনজিটিকে চাপা দিয়ে চলে যায়৷ এই ঘটনায় ইতি মারা যান।
তিনি আরো জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটিকে আটকের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে শুভেচ্ছা মিছিল করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর আমীর ড. শফিকুর রহমানের ব্রাহ্মণবাড়িয়া আগমন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজ ১৪ অক্টোবর সোমবার বিকালে জামায়াতে ইসলামী সরাইল উপজেলা শাখার উদ্যোগে একটি মিছিল বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
জামায়াতে ইসলামী সরাইল উপজেলা শাখার সেক্রেটারী মো: এনাম খাঁ, সাবেক সভাপতি মাওলানা কুতুব উদ্দিন, উপজেলা সহকারি সেক্রেটারী তারিকুল ইসলাম, সহকারি সেক্রেটারী এবাদুল হক, সরাইল সদর ইউপি সহসভাপতি বরকত উল্লাহ, উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি রোমেল ও উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি রহমত আলীসহ উপজেলা জামায়াতে ইসলামী ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা শুভেচ্ছা মিছিলে উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের (আসন নং-৩১২) সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম প্রকাশ শিউলী আজাদের গত ১৯ জুন জাতীয় সংসদে দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে আজ রোববার সরাইলে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নাগরিক সমাজের ব্যানারে আওয়ামীলীগের সাবেক নেতারা। পাশাপাশি জাতীয় সংসদ থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম প্রকাশ শিউলী আজাদ এমপিকে অপসারনের দাবি জানান।
আজ ৯ জুলাই রবিবার সকালে সরাইল হাসপাতাল মোড় থেকে উপজেলা চত্বর পর্যন্ত দীর্ঘ কিলোমিটার মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে প্রায় ১ ঘন্টা ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
মানববন্ধন শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সরাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ ইসমত আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবদুল জব্বার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাহফুজ আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফেজুল আসাদ সিজার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একটি কুচক্রী মহল নেতা হওয়ার জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম প্রকাশ শিউলী আজাদের স্বামী এ.কে.এম ইকবাল আজাদকে হত্যা করেছে। ওই মহলটি ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের আসামী করে উপজেলা আওয়ামীলীগকে নেতৃত্ব শুন্য করার ষড়যন্ত্র করছে। তারা প্রকৃত খুনিদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। আর উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম প্রকাশ শিউলী আজাদ এমপি সংসদে দাঁড়িয়ে তার স্বামী হত্যা ঘটনায় নিয়মিত মিথ্যাচার করছেন।
বক্তারা বলেন, কতিপয় দুস্কৃতকারী ইকবাল আজাদকে হত্যা করেছেন। হত্যাকান্ড সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা। অথচ ৮জন মুক্তিযোদ্ধাসহ আমাদেরকে আসামী দিয়ে হয়রানি করছে।
বক্তারা বলেন, গত ১৯ জুন উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম প্রকাশ শিউলী আজাদ এমপি জাতীয় সংসদে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।
বক্তারা চ্যালেঞ্জ করে বলেন, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম প্রকাশ শিউলী আজাদ এমপির শ্বশুর আবদুল খালেককে (তৎকালীন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান) হত্যা করেছে মুক্তিযোদ্ধারা। তাঁর ভাসুর হুমায়ূন আজাদ মারা গেছেন সড়ক দুর্ঘটনায়।
বক্তারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম ইকবাল আজাদ হত্যা মামলার পুনরায় তদন্ত দাবি করে বলেন, প্রকৃত দোষীদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি অভিযোগপত্র দাখিল করতে হবে। পাশাপাশি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম প্রকাশ শিউলী আজাদ এমপিকে জাতীয় সংসদ থেকে অপসারনের দাবি জানান বক্তারা। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেন।
উল্লেখ্য, দলীয় কোন্দলের জেরে ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সরাইল উপজেলা সদরে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন সিনিয়র নহ-সভাপতি একেএম ইশবাল আজাদ। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আজাদ উপজেলা আওয়ামীলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিক উদ্দিন ঠাকুরসহ দলীয় ২১ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে যাওয়া মাত্রই সারাদেশে পাল্টে যায় দৃশ্য। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুলিশ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তার সব দায়িত্ব ছেড়ে নিজেদের জীবন নিয়েই সংকটে পড়ে পুলিশ। এমন অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানা পুলিশের পাশে থাকায় সরাইলবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পুলিশ।
গতকাল ৭ আগস্ট বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুবেল আখন। সেখানে তিনি লেখেন, প্রিয় সরাইলবাসি, ধন্যবাদ তোমাদেরকে। সরাইল থানার প্রতিটা পুলিশ সারা জীবন মনে রাখবে তোমাদেরকে। আমরা চির কৃতজ্ঞ তোমাদের কাছে। ভালোবাসা অবিরাম সরাইলের প্রতিটা মানুষের প্রতি।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, সরাইল থানা আমাদের, পুলিশ এখানকার অতিথি, থানায় যাতে হামলা না হয় সে বিষয়ে আমরা ব্যাপক তৎপর ছিলাম। সরাইল থানায় কোনো হামলা হয়নি।
উল্লেখ্য, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে ছাত্র-জনতাসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ। ওই আন্দোলনে গুলিতে নিহত হন কয়েকশ মানুষ। পরে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবরে রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব থানায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুলিশ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তার সব দায়িত্ব ছেড়ে নিজেদের জীবন নিয়েই সংকটে পড়ে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ইজারাকৃত বিলে রিং জাল দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকারের দায়ে তিন জনকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোশারফ হোসাইন উপজেলার শাহাজাদাপুর ইউনিয়নের শাপলা বিলে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ক্ষমতাপুর গ্রামের টুনু মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়াকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও একই উপজেলার আঁখিতারা গ্রামের হাফিজ মিয়ার ছেলে রায়হান মিয়া ও তার ভাই ফতু মিয়াকে ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোশারফ হোসাইন জানান, উপজেলার শাহাজাদাপুর ইউনিয়নের শাপলা বিলে অবৈধ রিং জাল ও ফিক্সড ইঞ্জিন ব্যবহার করে ইজারাকৃত বিল থেকে অবৈধভাবে মাছ শিকার করে আসছিলো কিছু ব্যক্তি। এতে করে মাছের স্বাভাবিক বংশ বিস্তারে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে, পাশাপাশি বিলের ইজারাদারও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে শাপলা বিলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে তিন জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের দখলে থাকা দুই হাজার মিটার রিং জাল ও দুটি নৌকা জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত সরকারি কাজে বিঘ্ন ঘটানোর দায়ে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারায় হাবিব মিয়াকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। বাকী দু’জনকে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন-১৯৫০ এর ৩ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ৫ ধারায় ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে জব্দকৃত রিং জাল আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় ও দুইটি নৌকা সরাইল থানার জিম্মায় দেওয়া হয়।