চলারপথে রিপোর্ট :
নেত্রকোনায় আজ ৭ এপ্রিল শুক্রবার গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
তারা হলো– বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের গিরীন্দ্র সূত্রধরের মেয়ে দিয়া সূত্রধর ও দীপক সূত্রধরের মেয়ে মেঘলা সূত্রধর। তারা বাট্টাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। অন্যজন দুর্গাপুরের চন্ডিগড় ইউনিয়নের মউ গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মাহাবুব।
জানা গেছে, শিশু দিয়া সূত্রধর ও মেঘলা সূত্রধর শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশের কংস নদে গোসল করতে নেমে ডুবে যায়। পরে খোঁজাখুঁজি করে ওই নদ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া দুর্গাপুর চারিয়া মাসকান্দার পূর্বপাড়া গ্রামে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া মাহাবুব একই দিন দুপুরে বাড়ির সামনে পুকুরে গোসল করতে নেমে ডুবে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক দুই শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক আবদুল হান্নান জানান, পানিতে ডুবে শিশু মাহবুবের মৃত্যু হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে আগামীকাল ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শহীদি মার্চ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আজ ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
সারজিস আলম জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এই ‘শহীদী মার্চ’ করা হবে। মার্চ-টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বিকাল ৩টায় শুরু হবে। সংবাদ সম্মেলন থেকে গেল জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের সদস্যদের অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরে মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এসময় লুণ্ঠিত ৪৭ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল ফোনসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ছোরা ও কাঁচি এবং অস্ত্র বহনের ব্যাগ তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, দক্ষিণ) মো: মাহবুব উজজামান জিএমপির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কুনিয়া তারগাছ এলাকার শহিদুল শেখের ছেলে সাগর শেখ (২৪), একই এলাকার মৃত শাহজাহানের ছেলে রতন (২০) ও সজল দাসের ছেলে শান্ত দাস (১৯), চান্দুরা এলাকার মৃত মিজানের ছেলে মো. হাশেম (২৩), একই এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে শ্যামল আহমদ (২১) এবং হামিদুর রহমানের ছেলে শাহীন (২০)।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, দক্ষিণ) মো: মাহবুব উজজামান জানান, গত ২২ আগস্ট রাত সোয়া দুইটার দিকে সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন গাজীপুরা এলাকার সেটার্ন গার্মেন্টসের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটি মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে ৭/৮জন সশস্ত্র ডাকাত। এসময় তারা ওই মাইক্রোবাসের সামনের ও সাইডের গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে এবং দুই আরোহীকে মারপিট ও আতংক সৃষ্টি করে। ডাকাতেরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মাইক্রোবাস আরোহীদের কাছ থেকে নগদ ৯৫ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল লুণ্ঠন করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বুধবার টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের একাধিক টিম এ ঘটনায় কুনিয়া, তারগাছ ও চান্দুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ওই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৪৭ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল ফোনসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ছোরা ও কাঁচি এবং অস্ত্র বহনের ব্যাগ উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে যাত্রীবেশে, পথচারী সেজে সঙ্গবদ্ধ ভাবে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে ডাকাতি করে আসছিল। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারায় নির্মিত এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের (১৩২০ মেগাওয়াট) এক নম্বর ইউনিটে উৎপাদিত ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বুধবার দুপুর ২টা থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। এদিকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর পর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে ২১০ মেগাওয়াট (নেট) বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট সুত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুর ২টা থেকে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের এক নম্বর ইউনিট থেকে ১ মেগাওয়াট দিয়ে সরবরাহ শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ তা ১০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়। এবং রাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেয় জাতীয় গ্রিড সঞ্চালন কর্তৃপক্ষ তথা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ- পিজিসিবি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ ইউনিট জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের এনএল ডিসির নির্দেশ ও চাহিদা অনুসারে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এ ছাড়া উক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ নম্বর ইউনিটের কমিশনিং কার্যক্রম চলমান আছে। এদিকে শীঘ্রই দুই নম্বর ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে। এদিকে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি দুপুর ১টা ৫৬ মিনিটে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টটি জাতীয় গ্রিডের ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
এ বিষয়ে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের উপ-প্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল) প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান বলেন, ‘বুধবার দুপুর ২টা থেকে পিজিসিবি জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ নেওয়া শুরু করে। ১ মেগাওয়াট দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও ধীরে ধীরে উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়তে থাকে। রাতে পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেবে পিজিসিবি। যদিও ১ নম্বর ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ।’
এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান সমন্বয়ক ফারুক আহমদ বলেন, ‘এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হলেও সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কারণে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা নেই। এই প্রযুক্তিতে কম কয়লা পুড়িয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। বাংলাদেশের শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় এই বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও এসএস পাওয়ারের মধ্যে চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বলা হয়, ২৫ বছর ধরে পিডিবি এই কেন্দ্রে উৎপাদিত সব বিদ্যুৎ কিনবে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২.৫০৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার, ঋণের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১.৭৮২ বিলিয়ন ইউএস ডলার, ইকুইটির পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৭২৪.৬৭৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার। বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারায় স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এস আলম গ্রুপের (৭০%) এবং চীনের সেপকো থ্রি’র (৩০%) যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করা অতীতের চেয়ে এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রযুক্তির সাম্প্রতিক প্রসার ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে বাড়ছে নতুন নতুন হুমকি। ফলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনগুলো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা এখন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ও বিপজ্জনক অঞ্চলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে, সেজন্য তাদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আজ ২৯ মে বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, নারীর অধিকার ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে আমাদের পদক্ষেপ ‘উইমেন স্পিচ অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাজেন্ডা’ তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অন্যতম বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষী দেশ হিসেবেও পরিচিতি লাভ করছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩ হাজার ৩৮ জন নারী শান্তিরক্ষী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জাতিসংঘের শান্তি মিশন সম্পন্ন করেছেন। এখন দাবি আসছে, আরো নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করার। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল নিজেই আমাকে বলেছেন, আমরা যেন আরও বেশি করে নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করি।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ও জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছি। যেখান থেকে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকের অনুকরণে বর্তমানে সেন্ট্রাল আফ্রিকায় জাতিসংঘের শান্তি মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশের রক্ষীদের সহায়তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট ফস্টিন আর্চেঞ্জ তোয়াদেরার নামে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। যার নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু-তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিক। বিদেশের মাটিতে জাতির পিতার নামে এমন সম্মাননা বাংলাদেশের জন্য একটি গৌরবের অধ্যায়।
অস্ত্র তৈরি ও প্রতিযোগিতা না করে সেই অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মানুষদের রক্ষার জন্য ব্যয় করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দ্বন্দ্ব সংঘাত যুদ্ধ আজ বিশ্বশান্তি বিঘ্নিত করছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় ইসরাইলের হামলায় হাজার হাজার নিরীহ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা ইত্যাদি মানবজাতির জন্য এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি ঠিক জানি না এই সংঘাত বা এই যুদ্ধ মানবজাতির জন্য কি কল্যাণ বয়ে আনছে। অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিনিয়ত যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, মানুষের জীবনও তত বেশি দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে নারী-শিশু, তারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে। যুবকেরা অকাতরে জীবন দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব কিছু সমাধান করতে চাই। বিশ্বের এক বিশাল সংখ্যক মানুষ এখনো দারিদ্রসীমার নিচে রয়েছে। কোটি কোটি মানুষ দু’বেলা খাবার পায় না, শিশুরা শিক্ষা পায় না, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। যারা অস্ত্র তৈরি ও অস্ত্র প্রতিযোগিতায় এত অর্থ ব্যয় করছে, তাদের কাছে আমার আহ্বান, আমরা শান্তির কথা বলি কিন্তু সংঘাতে লিপ্ত হই কেন?
সরকারপ্রধান বলেন, এই যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, এই অর্থ যদি ক্ষুধার্ত মানুষের আহারের ব্যবস্থায়, শিক্ষায় ব্যবহার করা হতো, চিকিৎসায় ব্যবহার করা হতো তাহলে মানুষের জীবনমান আরও উন্নত হতো, মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচতে পারত। কিন্তু এই সংঘাত মানুষকে আরও কষ্টের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সংঘাত নয়, যদি কোনো সমস্যা থাকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা, সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কাজ। অস্ত্র তৈরি আর প্রতিযোগিতা, এই অর্থটা যেসব দেশ এখনো জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে, সেই জলবায়ু অভিঘাত থেকে মানবজাতিকে রক্ষার জন্য সেই ফান্ডে দিতে পারে এবং ক্ষুধার্ত ও শিক্ষা বঞ্চিতদের জন্য ব্যবহার করতে পারে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশে আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনী কাজ করছে, তাদের রাষ্ট্র প্রধান, সরকার প্রধান বা মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা হয়, প্রত্যেকেই আমাদের শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আর এই প্রশংসা শুনে সত্যিই আমার গর্বে বুক ভরে যায়।
তিনি বলেন, জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে আমরা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি। শান্তিরক্ষা মিশন ছাড়াও আমরা অন্য আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে অবদান রেখে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার জন্য উপহার হিসেবে ৫০০ কেজি হিমসাগর আম পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১০০টি কার্টনে করে আমগুলো ত্রিপুরায় পাঠানো হয়।
স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় আগরতলাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ উপহারের আমগুলো গ্রহণ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরূপ আমগুলো ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে পৌঁছে দেবেন।
আমগুলো পাঠানোর ক্ষেত্রে আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমস ক্লিয়ারিংসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে।
আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, প্রতি বছরই প্রধানমন্ত্রী এমন উপহার পাঠিয়ে থাকেন। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেরই নিদর্শন এটি। আমি আমগুলো ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেব। এ উপহারের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
এ সময় স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব রেজাউল হক চৌধুরী ও মো. আল আমিন এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রাজীব উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।