চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় স্বজন সমাবেশের আয়োজনে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার একটি রেস্টুরেন্টে স্বজনের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
ইফতার মাহফিলে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামসহ সব শহিদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্বজনদের শুভকামনা জানান। স্বজনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বজন সমাবেশ কসবা শাখার সভাপতি মো. আব্দুল হান্নান।
বিশেষ অতিথির হিসেবে আলোচনা সভায় বক্তব্যে রাখেন সাংবাদিক সোহরাব হোসেন, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডা. অরুপ পাল, ডা. জামাল চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রওনক ফারজানা রুবা, স্বজনের উপদেষ্টা যুগান্তর প্রতিনিধি বোরহান মো. ইনামুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্বজনের সহ-সভাপতি ডা. বিল্লাল হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নওশের আলম, অর্থ সম্পাদক কেএম বিল্লাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কল্যাণ সম্পাদক মো. মেহেদী, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক বায়েজিদ মিয়া, সদস্য মো. লোকমান হোসেন, সদস্য মো. হৃদয় মিয়া, সদস্য ইমা আক্তার, উপদেষ্টা সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. শাহনেওয়াজ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জুঁই আক্তার, রাখসান্দা রওনক, মো. খোরশেদ আলম, মো. শামিম, সাকিবুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৮ বাংলাদেশির একজন কসবার মো. রুক্কু মিয়া। ৭ লাখ টাকা ধার দেনা করে ২৭ মার্চ সোমবার সকালে সৌদি আরব গিয়েছিলেন তিনি। আর বিকেলে ওমরাহ করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
নিহত রুক্কু মিয়া ওরফে মো. রূপ মিয়া কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর ইউপির ওমরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার মৃত্যুর খবরে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন স্বজনরা। পরিবারের একটাই দাবি, প্রিয়জনের লাশ যেন দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হয়।
পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে ধার-দেনা করে সোমবার সকালে সৌদি আরবের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। সেখানে পৌঁছে বিকেলে ওমরাহ করার উদ্দেশে মক্কা যাওয়ার পথে আসির প্রদেশের আভা জেলায় স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে তাকে বহনকারী বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে রুক্কু মিয়াসহ ১৮ বাংলাদেশি প্রাণ হারান। মঙ্গলবার ভোরে সেখানকার এক স্বজনের মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। এরপর থেকে কান্না থামছে না কারোর।
নিহতের স্ত্রী মাসুমা আক্তার জানায়, ৭ লাখ টাকা ধার-দেনা করে পরিবারের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য সৌদি আরব গিয়েছিলেন। যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, কাজে যোগ দেওয়ার আগেই ওমরাহ করবেন। কিন্তু যাওয়ার পরের দিনই তার মৃত্যুর সংবাদ পাই।
স্বজনদের একটাই দাবি প্রিয়জনের লাশটি যেন দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হয়। এ ব্যাপারে পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য সহযোগিতা চেয়েছেন।
নিহত রুক্কু মিয়ার স্ত্রীসহ দুই ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৭) এলাকায় অটোরিক্সা চালায়। দ্বিতীয় ছেলে হৃদয় ৮ম শ্রেণিতে পড়ে। মেয়ে শিউলী আক্তার বিবাহিত।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উদ্যোগে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার রাস্তা মেরামত কাজের শতাধিক দুঃস্থ নারী শ্রমিকের আয়বর্ধক মূলক তিন দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পৌকশলী মো: সাইফুল ইসলাম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে তিন দিনব্যাপি আয়বর্ধক মূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সমাপ্ত হয়েছে।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: মেহেদি হাসান ভূঁইয়া, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তারেক মাহমুদ ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রুহুল আমিন সরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ট্রেনের ধাক্কায় তানজিল মিয়া (২৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। ২৮ মে মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার নোয়াপাড়া রেল ক্রসিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তানজিল পার্শ্ববর্তী নবীনগর উপজেলার কাইতলা গ্রামের মৃত আনিসুর রহমান জুয়েল মিয়ার ছেলে। এসময় অপর দুই আরোহীকে গুরুতর অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- জেলা কসবা উপজেলার পৌর এলাকার আড়াইবাড়ী গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে অলি মিয়া (২৫) ও একই গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে খাইরুল ইসলাম ওরফে শাওন (২৫)।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তানজিল মিয়া, অলি মিয়া ও খাইরুল ইসলাম ওরফে শাওন তারা তিন বন্ধু। মঙ্গলবার বিকালে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে তিনজনই ঘুরতে বের হয়েছিলেন। তারা গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বাগানবাড়ি এলাকায় গিয়েছিলেন। রাত আটটার দিকে ফেরার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কসবা উপজেলার নোয়াপাড়া রেলক্রসিংয়ে ট্রেন আসছে দেখেও দ্রুত পার হওয়ার সময় চট্টগ্রামগামী চট্টলা ট্রেনের সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে তিনজনই মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে তিনজনকেই উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানজিল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পরিবার জানায়, তানজিল মিয়া দুবাই প্রবাসী। এক মাস আগে ছুটিতে দেশে এসে বিয়ে করেন। আহত অলি মিয়া আগামী ১ জুন সৌদি আরবে যাওয়ার কথা। খাইরুল ইসলাম শাওন ব্যবসা করেন।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আজিজ আল মান্না বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় তিনজনই মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তানজিল মিয়া হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়। আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় একজন মারা গেছে। দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় তামান্না আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর লাশ তার শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে। তবে পরিবারের লোকজন বলছে তাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশারাবাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
তামান্না আক্তার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামের ফজর পাড়ার মৃত নান্নু মিয়ার মেয়ে। ১৪ বছর আগে তামান্না আক্তারকে কসবার বিশারাবাড়ি মৃত রঙ্গু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনের কাছে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। তাদের সংসারে আনিকা (১২) ও সিয়াম (২) নামে দুটি সন্তান আছে।
তামান্নার চাচা ওমর ফারুক অভিযোগ, যৌতুকের জন্য স্বামী আনোয়ার ও শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য লোকজন তামান্নাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
তাকে হত্যার পর মুখে বিষ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত সহযোগিতা দাবি করেন ওমর ফারুক।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় সোহেল রানা দুষ্টু (২৩) নামের এক হিজড়ার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৩০ জুন শুক্রবার গভীর রাতে কসবা-আখাউড়া সড়কের গোপীনাথপুর বাজারের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সোহেল রানা দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাবের আলীর ছেলে। তিনি কসবার গোপীনাথপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
কসবা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বাসেত জানান, রাতে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে গোপীনাথপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশ থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আজ ১ জুলাই শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ঘটনার তদন্ত চলছে।