চলারপথে রিপোর্ট :
উয়েফা আয়োজিত টুর্নামেন্ট থেকে গত মৌসুমে সবচেয়ে বেশি প্রাইজমানি পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে এক হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা আয় করে শীর্ষে রয়েছে তারা।
ক্লাবগুলোর আয়ের এই তালিকা প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগে অংশ নেওয়া ক্লাবগুলোর আয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। মোট ২০০ কোটি ইউরো প্রাইজমানি থেকে অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে ক্লাবগুলোকে। যেখানে সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে রিয়াল। ২০২১-২২ মৌসুমে তাদের আয় ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ৫৬৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
ক্লাবগুলোর এই আয় হিসাব করা হয়েছে কিছু নীতি মেনে। গ্রুপ পর্বের আয়, জয়ে পাওয়া বোনাস, সম্প্রচার স্বত্বের ভাগ এবং উয়েফার টুর্নামেন্টে অতীত ফলের ওপর নির্ভর করে অতিরিক্ত যে অর্থ দেওয়া হয়, সেসব হিসাব করেই এই আয়ের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বড় ও ছোট ক্লাবগুলোর আয়ে তারতম্য ঘটবে। উয়েফা আয়োজিত টুর্ণামেন্টে অতীতের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয় প্রাইজমানি। ফলে বড় দলগুলোর আয় বেশি হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। কাজের সুবাদে এই তরুণী সঙ্গে সিঙ্গাপুরে পরিচয় হয় বাংলাদেশি যুবক শামীম মাদবরের।
সেখানে থাকা অবস্থায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এভাবেই কেটে যায় দুই বছর। অবশেষে প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়েছে বিয়েতে।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর গ্রামে জাঁকজমকে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রেমযুগলের।
জানা গেছে, সিঙ্গাপুর থেকে গত ৩০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন শামীম মাদবর। বাড়িতে এসে ইন্দোনেশীয় তরুণীকে বিয়ে করার ইচ্ছার কথা পরিবারকে জানান তিনি। ভীনদেশি তরুণীকে বিয়ের বিষয়টি প্রথমে শামীমের পরিবার মেনে নেয়নি। পরে অনলাইনে ওই তরুণীরর সঙ্গে কথা বলে বিয়েতে মত দেন তারা। অবশেষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। শামীমের পরিবার তাকে সানন্দে গ্রহণ করেন। শুক্রবার বিয়ের হয় শামীম-ইহফার।
শামীম মাদবরের আত্মীয় সালমা আক্তার বলেন, ‘ইফহা ইন্দোনেশীয় হলেও কাজের সুবাদে সিঙ্গাপুরে থাকেন। তবে ওর পরিবার ইন্দোনেশিয়া থাকে। আমরা ফোনে ওই মেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছি। মেয়েটা খুবই ভালো। বাড়িতে ছেলের পরিবার প্রথমত বিয়েতে মত না দিলেও পরে সবাই রাজি হয়। মেয়ের পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারাও রাজি। পরে গত ১৭ তারিখে ইফহা বাংলাদেশে আসেন। ’
এদিকে ইন্দোনেশীয় তরুণীর বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। প্রায় ৮ শতাধিক মানুষের খাবার আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।
প্রতিবেশীরা বলেন, বিদেশি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায়। মেয়েকে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় করে।
শামীমের বাবা লাল মিয়া মাদবর বলেন, বিদেশি মেয়েকে আমার ছেলে পছন্দ করেছে। মেয়েও ছেলেকে পছন্দ করে। আমরা ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও বিয়েতে রাজি হয়েছেন। শামীম আসার কয়েকদিন পর বিদেশি মেয়েও বাড়িতে আসে। শুক্রবার শামীম ও আমার ছোট ছেলে সুমনের একত্রে বিয়ে দিয়েছি। একসঙ্গে অনুষ্ঠান করেছি। সবাই আনন্দিত। এখন ওরা ভালো থাকুক এই দোয়া করি।
শামীম বলেন, ‘ইফহা ইন্দোনেশীয়ান তরুণী। তবে সিঙ্গাপুর থাকে। ওখানে থাকা অবস্থাতে প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে দেখা হয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। প্রেমে গড়ায় সম্পর্ক। আমাদের কারো পরিবারই রাজি ছিল না। আমরা পরস্পরের পরিবারকে বুঝিয়েছি। পরে তারা বিয়েতে রাজি হয়।
ইফহা বলেন, আমি খুবই খুশি শামীমকে পেয়ে। ও খুবই ভালো মনের মানুষ। আমরা সিঙ্গাপুর যাব। ওখান থেকে ইন্দোনেশিয়া বেড়াতে যাব বাবা-মায়ের কাছে।
অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতেও হারলো বাংলাদেশ। এতে টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো ভারত। আজ ৯ অক্টোবর বুধবার দিল্লিতে ২২২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান তোলে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এর আগে টস জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুতে মেহেদী হাসান মিরাজকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক শান্ত। তিনি ১৫ রান দিলেও দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট এনে দেন তাসকিন আহমেদ। তার বল তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে দাঁড়ানো শান্তর হাতে ক্যাচ দেন সাঞ্জু স্যামসন। ৭ বলে ১০ রান করেছিলেন তিনি।
পরের ওভারের শেষ বলেও উইকেট পায় বাংলাদেশ। এবার শেষ বলে অভিষেক শর্মাকে বোল্ড করেন তানজিম হাসান সাকিব। ১১ বলে ১৫ রান করেছিলেন তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে গিয়েও উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। এবার মুস্তাফিজুর রহমানের বলে মিড অফে দাঁড়ানো শান্তকে ক্যাচ দেন ১০ বলে ৮ রান করা সূর্যকুমার যাদব।
পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৪৫ রান তোলে ভারত। কিন্তু এরপরও ভারতকে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। রিংকু সিং ও নিতিশ কুমার রেড্ডির ঝড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন বোলাররা। ৩৪ বলে ৭৪ রানের ঝড় তোলা নিতিশকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ।
পরে ২৯ বলে ৫৩ রান করা রিংকু সিংকে আউট করেন তাসকিন। এ ছাড়া ১৯ বলে ৩২ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৬ বলে ১৫ রান করেন রিয়ান পারাগ। সবশেষ ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করে ভারত।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন রিশাদ, সমান ওভারে ৫০ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। এ ছাড়া তাসিকন ও মুস্তাফিজ পেয়েছেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন টাইগার ব্যাটাররা। দলের হয়ে ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন ইমন। মিরাজও করেছেন ১৬ রান। এ ছাড়া বলার মতো তেমন কেউ রান করতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ভারত : ২০ ওভার ২২১/৯
বাংলাদেশ : ২০ ওভার ১৩৫/৯
ফল : ভারত ৮৬ রানে জয়ী
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা টি২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের শরফুদ্দোলা ইবনে শহীদ সৈকত। ২ জুন ওই ম্যাচে রিচার্ড ইলিংওয়ার্থের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন তিনি।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচের আম্পায়ার ছিলেন সৈকত। আইসিসির দুটি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আম্পায়ার্স প্যানেলে ছিলেন তিনি।
জাতীয় দলের সাবেক এ ক্রিকেটার এক বছরে এমার্জিং আম্পায়ার থেকে এলিট প্যানেলে নাম লেখান। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচের পারফরম্যান্স শীর্ষে নিয়ে গেছে তাঁকে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের বাঁক ঘোরানো তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা ও ফ্যাশন আইকন ছিলেন সালমান শাহ। আজ এই স্বপ্নের নায়ককে হারানোর ২৮ বছর। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই ১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সালমান শাহ।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পুলিশের একাধিক তদন্ত শেষে বলা হয়, তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। তবে তার পরিবার ও ভক্তরা এই তদন্ত কখনও গ্রহণ করেননি। বরং তাদের দাবি, সালমানকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য আজো উদঘাটিত হয়নি।
বলা হয়, সালমান শাহ ছিলেন কালোত্তীর্ণ নায়ক। কোনো কালের মধ্যে তিনি সীমাবদ্ধ ছিলেন না। তার ফ্যাশন সচেতনতা, স্টাইলিশ চলাফেরা সবসময়ের জন্য প্রযোজ্য। ভক্তদের চোখে তিনি ছিলেন ‘স্বপ্নের নায়ক’।
১৯৮৫ সালে বিটিভিতে মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘পাথর সময়’-এ একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসেবে সালমান শাহ’র ক্যারিয়ার শুরু হয়। পরবর্তীতে অভিনয় করেছেন বেশ কিছু টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনে।
১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে অমর এই নায়কের। এতে তার নায়িকা ছিলেন মৌসুমী। প্রথম সিনেমাতেই দর্শকদের মন জয় করে নেন সালমান। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মাত্র তিন বছরে সালমান শাহ অভিনয় করেছেন ২৭টি সিনেমায়। এর মধ্যে বেশিরভাগ সিনেমাই ছিল সুপারহিট। তালিকায় রয়েছে- ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘সুজন সখি’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘বিচার হবে’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘জীবন সংসার’, ‘আনন্দ অশ্রু’র মতো সিনেমা।
ক্ষণজন্মা এই নায়কের জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায়। তার পিতার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরী। সালমানের নানা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ অভিনয় করেছিলেন। অভিনয়ে সালমানের আসা নানার কারণেই।
সালমানের পারিবারিক নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সালমান বড় ছিলেন। ছোটবেলায় তিনি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী। ইমন নামে অভিনয় জীবন শুরু হয় বিটিভিতে শিশুশিল্পী হিসেবে। ১৯৮৬ সালে ছায়ানট থেকে পল্লীগীতিতে পাস করেছিলেন তিনি।
সালমান শাহ চলে গেছেন দুই যুগের বেশি সময় হয়ে গেছে। সে সময় থেকেই তাকে অনুকরণ করার চেষ্টা ছিল অনেকের মধ্যেই, যা এখনো চলমান। এ নায়ককে নিয়ে ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘পোড়ামন ২’-তে বর্তমান প্রজন্মের নায়ক সিয়াম আহমেদ একটি গান উপহার দিয়েছিলেন দর্শকদের। গানের শিরোনাম ছিল ‘নাম্বার ওয়ান হিরো’। এ ছাড়া সালমান শাহর সাবলীল অভিনয়ের দক্ষতার জন্য আজও বাংলা সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়করা তাকে তাদের আইডল মানতে দ্বিধা করেন না।
ভক্তদের হৃদয়ে এখনও অমর তাদের ‘স্বপ্নের নায়ক’। তার মতো কেউ ছিলেন না, কেউ নেই আর কেউ আসবেনও না। সালমান শাহ বেঁচে থাকবেন যুগ যুগ ধরে দর্শকদের অন্তরে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহতম বন্যায় কবলিত দেশ। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়িসহ আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। এই মানবিক বিপর্যয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। বানভাসিদের জন্য এগিয়ে এসেছেন দেশের প্রভাবশালী অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজলও।
অভিনেতা ডিপজল বরাবরের মতো এবারও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কুমিল্লা ও ফেনীতে ট্রাকে করে তার টিম ত্রাণ বিতরণ করেছে। নৌকায় করে দুর্গম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছে।
ডিপজলের পাঠানো ত্রাণের মধ্যে রয়েছে- বিশুদ্ধ পানি, বিস্কুট, চিড়া, গুড়, স্যালাইন, লাইটার, মোমবাতি, লুঙ্গি, শাড়িসহ প্রয়োজনীয় পণ্য। ডিপজলের এই ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয় করছেন তার সহকারী ফয়সাল।
তিনি বলেন, ‘ডিপজল সাহেব আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুরো ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার। আমরা তার নির্দেশমতো দিন-রাত পরিশ্রম করে পণ্য প্যাকেট করে ট্রাকে বন্যার্তদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।’ যতদিন প্রয়োজন ততদিন বন্যার্তদের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
যেকোনো দুর্যোগে এবং সাধারণ মানুষের সমস্যায় সবসময়ই পাশে দাঁড়ান ডিপজল। প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমার সময় সময় শত শত বাস বিনাভাড়ায় মুসল্লিদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন এই অভিনেতা। এ ছাড়া সারাবছরই চলচ্চিত্রে বেকার শিল্পী ও কলাকুশলীদের নানাভাবে সহযোগিতা করেন তিনি। ফলে চলচ্চিত্রে দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ডিপজল।
এর আগে, ২০২২ সালেও সিলেটের সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার সময় দুর্গত এলাকায় দশ ট্রাক পণ্য পাঠিয়েছিলেন ডিপজল। বরাবরই দেশের দুর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি। সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এবং অন্যদেরও পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান এই অভিনেতা।