চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে মো. আজি মাহমুদ (২৩) নামে এক সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সেনাসদস্যের কাছ থেকে নগদ টাকা মুঠোফোন, স্বর্ণালংকারসহ লুটে নিয়েছে ৪১ হাজার টাকার মালামাল। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের ইসলামাবাদ নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরই মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অভিযানে নেমে পড়ে সরাইল থানা পুলিশ। এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক করে ২ সিএনজি চালককে। মহাসড়কে চলাচলকারী ৪০টি সিএনজিচালিত অটোরিক্সাও আটক করে থানায় আসে পুলিশ। এ ঘটনায় সেনা সদস্য নিজে বাদী হয়ে সরাইল থানায় গতকাল ভোরে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ, ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্র জানায়, সেনা সদস্য আজি মাহমুদ গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে সরাইলের বিশ্বরোড মোড় থেকে চান্দুরা যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সায় ওঠেন। ওই সিএনজিতে আগেই আরো ২ জন যাত্রী বসা ছিল। চালকসহ ওই সিএনজিতে ৪ জন ছিল।
মুহূর্তের মধ্যে যাত্রীবেশে ডান পাশে বসা ডাকাত মাহমুদকে ছুরি ধরে। বাম পাশের ডাকাতও সেনা সদস্যের ওপর হামলা চালায়। ডাকাতদের সঙ্গে সেনা সদস্যের ধস্তাধস্তি চলে। একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে সেনা সদস্যের বাম হাতের ৪টি আঙ্গুলের অংশ বিশেষ কেটে যায়। এ সময় ডাকাতরা তার কাছ থেকে নগদ ৭শ’ টাকা, আইডি কার্ড নং-১৬২০৮৬২, হাওয়াই ৬ প্রাইম মুঠোফোন সেট, নতুন কাপড় ভর্তি ২টি ব্যাগ ও একটি স্বর্ণের আংটিসহ প্রায় ৪১ হাজারেরও অধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়। ঘটনার পরই মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে পুলিশ ৪০টি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা থানায় নেয়। ঘণ্টা খানেক পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সিএনজি চালক সেন্টু লাল দাস ও রিপন মিয়া নামের দুই সিএনজি চালককে আটক করে। বাদীর শনাক্ত মতে পুলিশ প্রাথমিকভাবে সেন্টু লালকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নগদ ছয় লাখ টাকা, মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সুমন মিয়া নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার খাটিহাতা এলাকা থেকে আশুগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের একটি দল সুমনকে আটক করে। আটককৃত সুমন মিয়া ওই এলাকার সোলেমান মিয়ার ছেলে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর ইমতিয়াজ মাহমুদ খান।
সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, সুমন দীর্ঘদিন ধরে খাটিহাতা এলাকায় মাদক ব্যবসার করে আসছিলেন। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সেনা সদস্যরা তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে তার কাছ থেকে নগদ ছয় লাখ ৬৩ হাজার ৪১০ টাকা, এক হাজার ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২২ বোতল এস্কাফ সিরাপ, ১০ গ্রাম গাঁজা, ছয়টি দেশীয় অস্ত্র ও তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করে। উদ্ধারকৃত মাদক ও টাকা সহ তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফফর হোসেন জানান, আটক মাদক ব্যবসায়ী ও উদ্ধারকৃত আলামত থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে মার্কেট নির্মাণ ও বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে বারিউড়া গ্রামবাসীর লোকজন জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।
এদিকে বিষয়টির তদন্তে গিয়ে সরকারি জায়গায় স্থাপনা থাকার বিষয়টি ধরা পড়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তার নজরে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ বিগত কয়েক বছর ধরে তার পুলিশ অফিসার ছেলে ও নিজের প্রভাব খাটিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা বারিউড়া মৌজায় এস এ দাগ নাম্বার ১৭২এর বেশ কিছু অংশ জোরপূর্বক দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে রেখেছে। এছাড়া অনেকের কাছে দোকানের পজিশন বিক্রি করেছে। তার এই অবৈধ জায়গা দখলের কারণে ওই মহাসড়কের মধ্য দিয়ে বারিউড়া গ্রামে চলাচলকারী ভোক্তা, ক্রেতা ও জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। এমনকি বাসস্ট্যান্ডের জায়গা দখল করায় লোকাল বাস ও দূরপাল্লার বাস নির্দিষ্ট স্থানে না থেমে বাজারের মাঝখানে থামতে হচ্ছে। যার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রী ও জনসাধারণ।
এ অবস্থায় জনস্বার্থে মহাসড়ক ও এর আশেপাশের জায়গা দখলমুক্ত করতে মনসুর চেয়ারম্যানের দখল করা মার্কেট ও দোকানপাট উচ্ছেদের জন্য গ্রামবাসী প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
এ বিষয়ে গ্রামবাসীরা জানান, ছোটবেলায় আমরা দেখেছি এখনে একটা ব্রিজ ছিল। ব্রিজের নিচ দিয়ে পণ্যবাহী নৌকা চলাচল করত। রাস্তার কাজ করতে গিয়ে ব্রিজের নিচের অংশ বন্ধ হয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যান এই সরকারি জায়গা দখল করে এখানে মার্কেট নির্মাণ করেন। দখল করা মার্কেটের বিভিন্ন দোকানের পজিশন বিক্রি করেছেন তার কাছের আত্মীয় স্বজনের কাছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ বলেন, আমি কোনো সরকারি জায়গা দখল করি নাই। গ্রামের কিছু লোকজন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমাকে হেও করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছে।
ছেলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সে ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার ছেলে এ বিষয়ে কোনো জায়গায় কোনো ফোন করেনি। তার বিষয়ে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা মিথ্যা। সে তার কর্মস্থলে চাকরি করছে।
এদিকে, শনিবার দুপুরে দখল করা জায়গা পরিদর্শন করতে যান উপজেলা কৃষি অফিসার মো. একরাম হোসেন। এ সময় তিনি সরকারি জায়গায় স্থাপনা থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখলের যে অভিযোগটি উঠেছে আমরা সে বিষয়টি তদন্ত করতে এসেছি। তদন্ত কাজ চলমান। জায়গার পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রশাসন ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে তদন্তের প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি বলেন, জনগণের কামলা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে জনগণ আমাকে ৫ বছরের জন্য কামলা হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি যদি ভাল কাজ করি তবে পরবর্তীতে আমার প্রমোশন হবে। আর আমি যদি কাম না করে কামচোরা হয় তবে পরবর্তীতে আমাকে জনগণ সরিয়ে দিবে। আমি শতভাগ কাজ করব ইনশাল্লাহ।
১৫ জানুয়ারি সোমবার বিকালে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি মঈন উদ্দিন মঈন সরাইল উপজেলায় ল’ ইন অর্ডারে যারা আছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আম জনতার এমপি। দল মত নির্বিশেষে সকলে আমার এলাকায় রাতে বাড়িতে শান্তিতে ঘুমাবে। সরাইল-আশুগঞ্জ আমার এলাকায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না। যদি কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে সেটা ভিন্ন কথা।
তিনি উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনারা আপনাদের মতো কাজ করে যাবেন। আপনাদের কাজে আমি ইন্টারফেয়ার করব না। তবে, আমার এলাকায় কারও খবরদারি চলবে না। যারা ইলেক্টেড তাদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে আপনারা কাজ করবেন। কারও সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি হউক এটা আমি চাই না। অনৈতিকভাবে আপনাদের উপর কেউ প্রভাব বিস্তার করলে কিংবা আপনাদের কাজে বাধাঁ দিলে, আমি এটা টলারেন্স করব না।
এলাকার রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নে কাবিখাসহ সরকারি স্তূপ বরাদ্দের ব্যাপারে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এখানে কোনো ঘুষ লেনদেন চলবে না। আমি শিক্ষকের সন্তান। আমার দাদাও ছিলেন একজন শিক্ষক। কোনো হারামের টাকা যেন আমার এখানে না যায়। আর কোনো কন্টাক্তারের ফাইল নিয়ে আমার এখানে আসা আমি লাইক করব না। ফাইনাল ম্যাসেজ হিসেবে সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আই ওয়ান্ট হান্ড্রেট পারসেন্ট ওয়ার্ক। ওয়ার্ক টুগেদার টু সি সরাইল আশুগঞ্জ মডেল অব বাংলাদেশ।’
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভায় সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সরাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সরাইল উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মো: আবু হানিফ মিয়া, সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো: ইসমত আলী ও আওয়ামী লীগ নেতা মো: মাহফুজ আলীসহ সরাইল উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দসহ অন্যান্য স্তরের বিশেষ ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আশুগঞ্জ স্থলবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন চারলেন প্রকল্পের কারণে বিতরণ পাইপ লাইনের ত্রুটি সংশোধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কিছু অংশে এবং সরাইল উপজেলায় ৯ দিন গ্যাস সরাবরাহ বন্ধ থাকবে।
আগামী ২০ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ২৮ নভেম্বর সকাল ৬টা নাগাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা থেকে উত্তর দিকে সরাইল উপজেলা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আজ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শঙ্কর মজুমদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়ককে চারলেন মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ইউটিলিটি সিফটিংয়ের আওতায় ঘাটুরা টিবিএস থেকে সরাইল বিশ্বরোড পর্যন্ত নির্মিত ছয় ইঞ্চি ব্যাসের চার বার চাপের মূল বিতরণ গ্যাস পাইপ লাইনে ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
২০ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত এ ত্রুটি সংশোধনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সেজন্য ওই সময়ে ঘাটুরা থেকে উত্তর দিকে সরাইল পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। বিশেষ কারণে নির্ধারিত সময় পরিবর্তন হলে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।