চলারপথে রিপোর্ট :
৪৭ লাখ টাকার সুপারি ডাকাতি করলেও মাত্র এক হাজার টাকার মোবাইল ফোনের লোভ সামলাতে পারেননি। ট্রাক চালকের এই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ডাকাতির রহস্য উন্মোচন, ডাকাত দলকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়। আজ ৯ এপ্রিল রবিবার সকালে পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান।
পিবিআই জানায়, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার হারুয়া এলাকায় ট্রাক ভর্তি ৪৭ লাখ টাকার সুপারি ডাকাতি হয়। ডাকাত দলের সদস্যরা চালকের হাত-পা ও মুখ বাঁধে ট্রাকটি কিশোরগঞ্জের ভৈরব হাজী হাসমত আলী কলেজের কাছে পৌছায়। সেখানে চালক বাবুলকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে ট্রাক নিয়ে চলে যায় ডাকাতরা।
এ ঘটনা মেসার্স জুলেখা ট্রান্সপোর্টের মালিক কামাল হোসেন ২৪ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে নারায়নগঞ্জ থেকে ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। চলতি বছরের ৫ মার্চ মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। পরে চালক বাবুলের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ডাকাত দলের সদস্য বাগেরহাটের শুভ শেখকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়।
তার তথ্যমতে পটুয়াখালীর মো. বাপ্পি (৩০), রিগান খান (২৬), চাঁদপুরের মামুন প্রধানকে (৪০) গ্রেফতার করে পিবিআই। তারা গত শনিবার ময়মনসিংহ আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার বলেন, ডাকাতিতে ছয়জন অংশ নিয়েছিল। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুড়িগ্রামের উলিপুরে একটি অটোরিক্সার চাপায় পড়ে এক শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। নিহত শিশুর নাম ফাহিমা বেগম (৬)। ঘটনাটি ঘটেছে দুপুরে উপজেলার ধরনী বাড়ী ইউনিয়নের কেকতির পাড় নামক গ্রামে। নিহত ফাহিমা ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের কেকতির পাড় গ্রামের ফুল মিয়ার কন্যা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও স্থানীয়রা জানান,ওই গ্রামের অটো রিক্সা চালক আব্দুল হামিদ বাড়ীর পাশে রাস্তায় তার রিক্সাটি রেখে তার নিজ বাড়ীতে প্রবেশ করেন। এ সময় রিক্সাটি ভুলক্রমে চাবি অন করে রেখে যান।এরপর ওই অটোরিক্সায় শিশু ফাহিমাসহ কয়েকজন শিশু চরে বসে।কিছুক্ষণ পর তারা একে অপরে অটো রিক্সার চাবি ঘুরাঘুরি করতে থাকলে অটো রিক্সাটি চলতে গিয়ে উল্টে যায়।এসময় রিক্সার নিচে শিশুটিকে পড়তে দেখে এলাকার লোকজন দৌড়ে এসে তাকে উদ্ধার করে । তবে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
ঘটনার পর উলিপুর থানার এসআই আতিকুল ইসলাম ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। পারিবারিকভাবে কোন অভিযোগ না থাকায় তার স্বজনকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মর্তুজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়কে টোলঘরের পাশে বিভিন্ন গাড়ির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করছে ট্রাফিক পুলিশের দুইটি টিম। মোটরসাইকেলের হেলমেট, অন্যান্য গাড়ির কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র না পেলেই দেওয়া হচ্ছে মামলা। এসময় সড়কে ট্রাফিক পুলিশ দেখে টোলঘরের উল্টো পথে যাওয়ার সময় পালাতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।
আজ ১৫ মে সোমবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর টোল প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে। এতে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে মোটর সাইকেলের চালকের হাতে জখম হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পরে পালানোর চেষ্টা করা মোটর সাইকেল আরোহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রানিহাটি এলাকার জহরুল ইসলামের ছেলে মো. নাজমুল হককে আটক করে পুলিশ ও স্থানীয়রা। এসময় তার দেহ তল্লাশি করে ট্রাফিক পুলিশ। পরে আইন লঙ্ঘন করার দায়ে কয়েকটি ধারায় মামলা দেয় ট্রাফিক পুলিশ। এসময় তার মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।
বিপরীত দিক থেকে আসা মোটর সাইকেলের চালক আব্দুর রহিম পলাশ বলেন, স্বাভাবিক গতিতে টোল ঘর পার হচ্ছিলাম। হঠাৎ করে উল্টোপথে তীব্র গতিতে বিপরীত দিক থেকে একটি মোটর সাইকেল এসে সরাসরি ধাক্কা দেয়। এসময় গাড়ি নিয়ে পড়ে যাই। হাতে ও গাড়ির সামনের দিকে আঘাত লেগেছে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা এসে আমাদের উদ্ধার ও নাজমুলকে আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শী জাহিদ হাসান জানান, ঘটনাটি দেখে প্রথমে আমাদের ধারণা হয়েছিল, তার কাছে অবৈধ কিছু থাকার কারণে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে আরেকটি গাড়িতে ধাক্কা দেয়। কিন্তু পরে পুলিশ গাড়ি ও তার দেহ তল্লাশি করে কিছুই পায়নি।
নাজমুল হক বলেন, আমার গাড়ির কাগজপত্র সবই আছে। কিন্তু তা বাসায় রয়েছে। এমনকি সাথে হেলেমেটও ছিল না। তাই মামলার ভয়ে উল্টোপথে পালাতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটর সাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগে।
ট্রাফিক সার্জেন্ট গাজিউল ইসলাম বলেন, বিকেল থেকে সেতু চত্বরে বিশেষ অভিযান চলছে। জনগণের জানমাল নিরাপত্তার জন্য আমরা কাজ করছি। সে (নাজমুল) বলতে পারতো সমস্যা রয়েছে। আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে দেখতাম। কিন্তু তা না করে উল্টোপথে পালিয়ে যাওয়ার সময় একটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়। পরে স্থানীয়রা ও পুলিশের সদস্যরা তাকে আটক করে। এসময় তার কাছে হেলমেটসহ কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রতি মাসের বিক্রয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ডিসেম্বর মাসের জন্য ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আগামীকাল থেকে বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে। একইসাথে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীর মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হচ্ছে।
আগামীকাল বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনারের কার্যালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
উল্লেখ্য, সারা দেশে এক কোটি নিম্ন-আয়ের মানুষ টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারী। গত ৯ নভেম্বর টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারীর মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়। আগামীকাল থেকে বিতরণ করা হবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায়। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জায়গায় টিসিবির স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।
এদিকে ডিসেম্বর মাসে টিসিবির কার্ডধারী একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল অথবা কুঁড়ার (রাইস ব্র্যান) তেল, পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি মসুর ডাল, দুই কেজি পেঁয়াজ ও এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার সয়াবিন বা কুঁড়ার তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং প্রাপ্যতা সাপেক্ষে প্রতি কেজি আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৫০ টাকা ও চিনি ৭০ টাকা দামে বিক্রি করবে টিসিবি।
কার্ডধারীরা নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত জায়গা থেকে পণ্য নিতে পারবেন।বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
১৯৪৮ সালে পাকিস্তানিরা বাঙালির মাতৃভাষার অধিকার কেড়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়ার পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল দেশের স্বাধীনতার কথা আপনি কখন থেকে চিন্তা করেন। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ১৯৪৮ সালে যখন মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার পাকিস্তানিরা কেড়ে নিয়েছিল সেদিন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ওদের সঙ্গে আর থাকবো না।
তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই কিন্তু স্বাধীনতা। একজন নেতা নিজের জীবনের সব বিসর্জন দিয়ে একটি জাতির জন্য দিনের পর দিন অধিকার বঞ্চিত-শোষিত মানুষের কথা বলতে গিয়ে বারবার কারাবরণ করেছেন। জেলজুলুম-অত্যাচার সহ্য করেছেন। যে লক্ষ্য তিনি স্থির করেছিলেন, সেই লক্ষ্য সামনে রেখে একটার পর একটা পদক্ষেপ নিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ৫৪ সালে নির্বাচনও করেছেন, ৫৬ সালে তিনি জাতীয় পরিষদে ছিলেন। নিয়ম মেনেই কিন্তু এগিয়ে গেছেন। একটি লক্ষ্য স্থির রেখে। যেটা কখনও তিনি মুখে উচ্চারণ করেননি। কিন্তু একটি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা বা তাদের সংগঠিত করা, ঐক্যবদ্ধ করা এটা একটি কঠিন কাজ ছিল। সেই কঠিন কাজ তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করে যান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটাই আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। যে কাজটা তিনি করতে গিয়েও করতে দেওয়া হয়নি। ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। কাজেই এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা জয়বাংলা স্লোগানে বিশ্বাস করে না, ৭ মার্চের ভাষণকে যারা প্রেরণা বলে মনে করে না, তার অর্থ তারা স্বাধীন বাংলাদেশই চায় না। তারা দেশের উন্নয়ন চায় না। দেশের মানুষের অর্থ-সামাজিক উন্নতি চায় না।
তিনি আরও বলেন, তাদের কেন মানুষ ভোট দেবে। সেজন্যই তারা বারবার ইলেকশন বানচাল করে কীভাবে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে, বারবার অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করে দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা পৌঁছেছে জাতিসংঘের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে গত জুলাই ও আগস্টের শুরুতে দেশজুড়ে সংঘটিত হয় নৃশংসতা। সেই সময়ের ঘটনাগুলো তদন্তের জন্যই ২১ আগস্ট বুধবার মধ্যরাতে ঢাকায় এসে পোঁছায় দলটি। প্রাথমিক ভাবে এই দলটি বাংলাদেশে প্রায় এক সপ্তাহের সফরে এসেছে বলে জানা গেছে।
জাতিসংঘের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের আজ ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালেই যাওয়ার কথা রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহর সাথে বৈঠক করার কথা। তিনি বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে সহকারী পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে কাজ করছেন। প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানের বিষয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের হাইকমিশনার দপ্তরের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দল।
এ সময় ঢাকায় এসে অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে কাজের ধারা, প্রক্রিয়া, শর্তসহ সব বিষয় চূড়ান্ত করবে।
ফলে ঢাকায় যে দলটি এসেছে, সেটিই যে জাতিসংঘের মূল তথ্যানুসন্ধানী দল, এটা এখনো বলার সময় আসেনি। এনিয়ে গতকাল পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, জাতিসংঘের দলটি উপদেষ্টাদের সাথেও দেখা করবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি কর্তৃপক্ষ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করবে।
অন্যদিকে প্রথমে জাতিসংঘের কারিগরি, নাকি তদন্ত দল আসবে, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বিষয়টি এখনো জাতিসংঘ থেকে আমাদের জানানো হয়নি। আশা করছি, প্রাথমিক দল হিসেবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দলটি আলোচনা করবে। মূলত বাংলাদেশের কোন কোন ক্ষেত্রে সহযোগিতা লাগবে এবং একই সঙ্গে জাতিসংঘের দলটি বাংলাদেশে এলে তাদের কী ধরনের সহযোগিতা লাগবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে।’