চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে জের ধরে বড় ভাই আব্দুর রহমান ভূঁইয়াকে (৫২) পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
হত্যাকারী তার আপন ছোট ভাই খলিলুর রহমান ভূঁইয়া ও তার ২ ছেলে। সোমবার রাতে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নুনাসার গ্রামে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রহমান ওই গ্রামের আব্দুল কাদের ভূঁইয়ার ছেলে। এ ঘটনায় খলিলুর রহমানের দুই মেয়ে ইমা ও হাবিবাকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে ছোট ভাই খলিলুর রহমান সঙ্গে বিরোধ চলছিল বড় ভাই আব্দুর রহমানের। জায়গা সম্পত্তি নিয়ে উভপক্ষের একাধিক মামলাও চলছে।
গতকাল সোমবার পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে যায়। মামলায় ছোট ভাই খলিলুর রহমানের দুই ছেলেকে আসামি করেন আব্দুর রহমান।
এনিয়ে সোমবার দিনের বেলায় দুই ভাইয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যায় ইফতারের পর আব্দুর রহমান মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাড়িতে আসলে খলিলুর রহমান ও তার ছেলেরা অতর্কিত হামলা চালায়।
একপর্যায়ে আব্দুর রহমানকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন তারা। এসময় স্বজনরা আব্দুর রহমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম জানান, পারিবারিক সম্পত্তির বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যরা পালিয়েছে। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের উজানিসার এলাকায় অবাধে চলছে মাটি কাটার ধুম। গত দু’সপ্তাহ ধরে নাজুয়া এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে এই মাটি কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রোপাইটার সুমন খানসহ ওই চক্রটি আইন না মেনেই নদীর তীরবর্তী মাটিসহ পাশে থাকা ধরখার-উজানিসার সেতুর পিলারের গা ঘেঁষে মাটি কেটে নিচ্ছে। এতে যে কোনো সময় গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সে সঙ্গে বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবল তোরে আশেপাশের এলাকায় ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রভাবশালী একটি চক্রটি সিন্ডিকেট করে খাল খননের নামে প্রতারণার মাধ্যমে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাটি কেটে নিয়ে যায়। বেশ কয়েকটি ভেকু মেশিন দিয়ে অন্তত ৩০ ফুটেরও বেশি গভীর করে মাটি কেটে তা বিক্রি করছে পার্শ্ববর্তী জেলার কোম্পানিগঞ্জের একটি ব্রিকস ফিল্ডে। তারা নদীর পাড় ও সরকারি জায়গার পাশিপাশি আশপাশ এলাকার ব্যক্তি মালিকানা জায়গার মাটিও নির্বিচারে কেটে বড় বড় গভীর গর্তের সৃষ্টি করেছে। এতে বর্ষা মৌসুমে নদীর পাশে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ওই এলাকায় ভাঙন দেখা দিতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদ মিয়া বলেন, সুমন নামে এক ঠিকাদার গত দু’সপ্তাহ ধরে আমার মালিকানা জায়গা ও ব্রিজের আশপাশের সরকারি খালি জায়গায় ভেকু মেশিন দিয়ে রাতে দিন মাটি কাটছে। মাটি গভীরতা করে কাটার ফলে ব্রিজের পিলার যেকোনো সময় ধসে যেতে পারে। দ্রুত অবৈধ মাটি কাটা বন্ধে আমি প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
হাবিব মিয়া নামে এক বাসিন্দা বলেন, একটি চক্র সিন্ডিকেট করে এক প্রভাবশালীর নেতার ছত্রছাত্রায় মাটি কাটছে। আমরা কয়েকবার বাঁধাও দিয়েছি। পরে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করলেও পুনরায় আবার মাটি কাটছে। এ ছাড়া কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি যা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। এর নীচের অংশে মাটি কাটার ফলে সেতুটি এখন হুমকির মুখে রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সেতুর পিলার ঘেঁষে মাটি কাটার ফলে সেতুটি এখন হুমকির মুখে পড়বে। মাটি সরিয়ে নেওয়া হলে যে কোনো সময় ব্রিজটি বসে যেতে পারে। সেতুটি রক্ষায় দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, মাটি কাটার বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, তিতাস খনন প্রকল্প চললেও যে জায়গায় মাটি কাটা হচ্ছে সেখানে এখনো তিতাস খনন কাজ শুরু হয়নি। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে নাজুয়া এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার সুমন খান বলেন, আমি অন্য ঠিকাদারদের কাছ থেকে সাব কন্টাক্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়ার্কওডার পেয়ে এই কাজ করছি। তবে কারো ব্যক্তির জায়গার মাটি আমি কাটিনি।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
লাইসেন্স দেখাতে না পারায় ৮ স্বর্ণ ব্যবসায়িকে জরিমানা করা হয়েছে। আজ ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভার সড়ক বাজার এলাকায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফয়সল উদ্দিন।
আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন জানায়, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পৌরসভার সড়ক বাজার এলাকার স্বর্ণের দোকান গুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এসময় ডিলিং লাইসেন্স দেখাতে না পারায় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ি রঞ্জিত বনিক, অসিম কুমার বিশ্বাস, রঞ্জিত পাল, আসিম পাল, কাজল চন্দ্র দাস, সুমিত বনিক, প্রদীপ সাহা, নান্টু বনিক নামে ৮ জন ব্যবসায়িকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ফয়সল উদ্দিন জানান, উপজেলা প্রশাসনের এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ব্যবসায় অনিয়ম ধরা পড়লে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় সুধীজনদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা,জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী জনসচেতনতা, বাল্য বিবাহ বন্ধকরণ, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও স্থানীয় পর্যায়ে কৃষিপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ হাবিবুর রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নূরে আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওয়াহিদ সারোয়ার, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আবু ইউসুফ নূরুল্লাহ, প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ তারেক, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি মোঃ রফিকুল ইসলাম, মাদরাসার সুপার কাজী কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদী, ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা কাজী মাইনুদ্দিন, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি প্রমুখ।
বক্তারা, আখাউড়া পৌরশহরের যানজট নিরসন, ফুটপাত হকার দখল মুক্ত, দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ, মাদক পাচার রোধ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নত করণে জেলা প্রশাসনের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান আখাউড়াকে জনবান্ধব করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য পৌর মেয়র ও ইউএনওকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রাখতে হবে। নীতি নৈতিকায় সবাইকে কাজ করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুস্থ বিনোদনের জন্য যা যা করা দরকার তাই করা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোন টেটা বল্লম থাকবে না। কেউ টেটা বল্লম তৈরি করতে পারবে না। ভোক্তাদেরকে গুজবে কান না দেওয়ার আহবান জানান। প্রশাসনকে বেশি বেশি বাজার মনিটরিং করার নির্দেশ দেন তিনি। সবার সামনে পজেটিভ ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে তুলে ধরতে হবে। এজন্য তিনি জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। আলোচনা শেষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানকে শুভেচ্ছা স্মারক ক্রেস্ট দেওয়া হয়। পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
পরে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান উপজেলা পরিষদ চত্বরে ২টি বনজ ও ঔষধী গাছ রোপন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
৬ ডিসেম্বর আখাউড়াবাসীর জন্য স্মরণীয় দিন। ১৭৭১ সালের এই দিনে আখাউড়া এলাকার মানুষ পাকিস্তানি বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভারত সীমান্তবর্তী হওয়ায় মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে এই এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের সম্মুখযুদ্ধ হয়। ১৯৭১ সালের ২৩ আগস্ট পাকিস্তানি বাহিনী আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগরে গণহত্যা চালায়। ওই দিন একই গ্রামের ২৭ জনসহ ৩৩ জনকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে হানাদাররা। ১৮ এপ্রিল আখাউড়া রণাঙ্গনে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোস্তফা কামাল।
১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর উপজেলার আজমপুর ও রাজাপুর এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ হয়। ৩ ডিসেম্বর হওয়া যুদ্ধে দখলদার বাহিনীর ১১ সেনা নিহত ও মুক্তিবাহিনীর ২ জন শহীদ হন। ৪ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী মিলে আখাউড়া আক্রমণ করে। ওই দিন আজমপুরে শহীদ হন লেফটেন্যান্ট ইবনে ফজল বদিউজ্জামান।
৫ ডিসেম্বর সারা দিন ও রাত যুদ্ধের পর ৬ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয় আখাউড়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফেরার পথে তিন শিশুকন্যাসহ খালেদা আক্তার রিতু নামে এক গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার সিঙ্গারবিলে ঘটনাটি ঘটেছে।
আজ ৮ জুন শনিবার দুপুরে এ ঘটনায় নিখোঁজ গৃহবধূর বাবা আব্দুল আউয়াল ভুঁইয়া বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। নিখোঁজ গৃহবধূ খালেদা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দ্বিজয়পুর গ্রামের আতাউর রহমান ভূঁইয়ার স্ত্রী। রিতুর বাবার বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার মিরাশানী (ভূঁইয়া বাড়ি) গ্রামে। তার তিন শিশুকন্যা হলো- তাবাসসুম আক্তার (১০), তানিশা আক্তার (৭) এবং হুমায়রা আক্তার (৫)। এর আগে ৭ জুন শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন তারা।
নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী আতাউর রহমান ভূঁইয়া জানান, গত রবিবার তার স্ত্রী তিন কন্যাকে নিয়ে তাদের বাড়ি থেকে বিজয়নগর উপজেলার মিরাশানী (ভূঁইয়া বাড়ি) তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যায়। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা আখাউড়ায় তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে পরিচিত এক অটোরিকশাযোগে বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল বাজারে আসেন। পরে এ অটোরিকশা থেকে নেমে অজ্ঞাতপরিচয় অন্য একটি অটোরিকশাতে ওঠে। পরে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও স্ত্রী ও সন্তান বাড়িতে না পৌঁছালে তিনি তার শ্বশুরকে ফোন করে জানতে পারেন তারা সকালেই বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়েছেন। তখন আশপাশের আত্মীয়-স্বজন, হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
অটোচালক সুমন বলেন, আমি তাদের বাড়ির সামনে থেকে সিঙ্গাবিল বাজার পর্যন্ত নিয়ে আসি। পরে আখাউড়া বাইপাস পর্যন্ত যাওয়ার জন্য অন্য একটি অটোরিকশায় তুলে দেই।
বিজয়নগর থানার ওসি আসাদুল ইসলাম জিডি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এক গৃহবধূ তিন সন্তানসহ নিখোঁজের ঘটনায় দুপুরে একটি জিডি করেছে তার বাবা আব্দুল আউয়াল। বিষয়টি নিয়ে আমাদের তদন্ত চলছে।