চলারপথে ডেস্ক :
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোন আলোচনা নয়, সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি। আজ ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আওয়ামী লীগ জানে কিভাবে আন্দোলন করতে হয় বা প্রতিহত করতে হয়।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, তাদের দেশের মানুষের প্রতি আস্থা নেই, তাদের আস্থা বিদেশীর উপর। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ আবারও শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।
পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নং ওয়ার্ডের তিন হাজার দুস্ত অসহায় পরিবারের মাঝে ইদ উপহার বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন ৫৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল নুরে আলম, ৫৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মোহাম্মদ হোসেন, ৫৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল সাইদুল মাদবর প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে বাস্তবতা বিবর্জিত আখ্যা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই বাজেট মানুষের মধ্যে কোনো স্বস্তি আনতে পারে নাই। এখন ভিক্ষা করতে গেলেও টিন নম্বর লাগবে।
কারো আয় করমুক্ত সীমার নিচে রয়েছে, অথচ সরকারি সেবাগ্রহণের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিল বা টিআইএনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, এমন সেবাগ্রহীতাদের ন্যূনতম কর দুই হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।
এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন ভিক্ষা করতে গেলেও টিন নম্বর দিতে হবে। বাজারে গেলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। এদেরকে (সরকার) বিদায় করতে হবে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
আজ ২ জুন শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় দেশের একটি জাতীয় পত্রিকার কার্টুন দেখিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একজন ভিক্ষুক, তার দুই পা কাটা, তিনি একটা থালা নিয়ে ভিক্ষা করছেন, আর বুকের মধ্যে একটা বোর্ডে লাগিয়েছেন তার টিন নম্বর। অর্থাৎ যারা আয়কর বহির্ভূত তাদেরও দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে। তাদের টিন নম্বর দিতে হবে। এখন ভিক্ষা করতে হলেও টিন নম্বর লাগবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এইভাবে সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করে পকেট কেটে উন্নয়নের নামে মেগা প্রজেক্ট করছে। আর সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে হাহাকার করছে। এই পরিস্থিতিতে এটা একটা বাস্তবতা বিবর্জিত বাজেট। এই সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না।
বাজেটকে গোঁজামিলের বাজেট উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রী (অর্থমন্ত্রী) বলছেন চমৎকার বাজেট। সরকার বলছে সুন্দর বাজেট। কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া বলছে, এই বাজেট মানুষের মধ্যে স্বস্তি আনতে পারে নাই।
অর্থনৈতিক সংকটে যে বাজেট হওয়া দরকার ছিল সেই বাজেট দিতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, কীভাবে টাকা আসবে, কোথা থেকে আসবে তার সুস্পষ্ট কিছু বলা হয়নি বাজেটে। এটা ওদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এরা সব সময় মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করে টিকে থাকতে চায়। আজও তারা এই কাজ করেছে।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা দেন। নইলে জনগণ কীভাবে পদত্যাগ করাতে হয় তা ভালোভাবে জানে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ছয়টি নির্বাচনী আসনে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, জাকের পার্টি, ওয়াকার্স পার্টি ও জাসদসহ নয়জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমানের কাছে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এদিকে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে শাহজাহান আলম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারকারীরা হচ্ছেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কাজী মাসুদ আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের জাসদ প্রার্থী আক্তার হোসেন সাঈদ এবং জেলার ছয়টি আসনের জাকের পার্টির ছয়জন প্রার্থী।
জাকের পার্টির প্রার্থীরা দলের সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কথা জানালেও জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীরা ব্যক্তিগত কারণে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানান।
চলারপথে ডেস্ক:
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বাসে অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না, তারা সন্ত্রাসী হয়ে গেছে।
এটা রাষ্ট্রের ওপর আঘাত, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এদের প্রতিহত করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসীদের নির্মূলে আমরা বদ্ধপরিকর।
আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর রাজনীতি এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে ব্রিগেড ৭১।
হাছান মাহমুদ বলেন, ২৮ অক্টোবর সমাবেশের নামে বিএনপি পুলিশ হত্যা করেছে, ৩২ জন সাংবাদিককে আহত করেছে। যারা এগুলোর মূলহোতা, তাদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। আমরা জানি তাদের কিভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এখন তারা কর্মসূচি ঘোষণা করছে অনলাইনের মাধ্যমে। সেই কর্মসূচির মূল হচ্ছে অবরোধের নামে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো। মানুষের ওপর আক্রমণ করা। এরা দেশ-জাতি-সমাজের শত্রু। এজন্যই তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত এই গ্রেপ্তার অব্যাহত থাকবে।
বিএনপি রাজনীতিকে অপরাধনীতি বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপি সারা দেশে সন্ত্রাসের তাণ্ডব শুরু করেছে। ইসরাইল বাহিনী যে কায়দায় গাজায় হাসপাতালে আক্রমণ চালিয়েছে একই কায়দায় পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ চালানো হয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্সে হামলা চালিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরা কি মানুষ? এরা কি রাজনৈতিক কর্মী? এদের নেতারা কি রাজনৈতিক দলের নেতা? তারা (বিএনপি) হিংস্র হায়নার চেয়েও খারাপ। তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে লড়তে হবে। ১৯৭১ সালে যেভাবে পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছে তেমনিভাবে এখন তাদেরও প্রতিরোধ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, অভ্যুদয়ের পর থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল। বিদেশি শক্তির সঙ্গে মিলে এরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে তাদের অপচেষ্টা কিছুটা সফল হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে আওয়ামী লীগ ২১ বছর এদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরিয়ে আনার কাজে অনেকেটাই অগ্রসর হয়েছিলাম। ২০০১ সালে আবারও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আন্তর্জাতিক শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতায় আসে। দেশ আবার পিছিয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে জনগণের ভোটে ভূমিধস বিজয়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। সেই থেকে দেশ আজ পর্যন্ত দেশ উন্নয়নের ধারার এগিয়ে চলছে। আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোতে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেছে। আজ মনাব উন্নয়ন, অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্য সুচকে আমরা পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি। ২০২১ সালে ডিজিপি পার ক্যাপিটা ইনকামে ভারকেও পেছনে ফেলেছি। পাকিস্তানের শাসকরা এখন বাংলাদেশে উন্নয়ন দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন ব্রিগেড ৭১ এর আহ্বায়ক রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব ব্যারিস্টার সৌমিত্র সরদার। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন বীর প্রতীক লে. কর্ণেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা নিয়ে হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য প্রদান করেছেন।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি নেতাদের নির্লজ্জ মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা নিয়ে বক্তব্যে বিএনপির ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের অপতৎপরতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। নির্বাচন নির্দিষ্ট কোনো দলের জন্য অনুষ্ঠিত হয় না বা কোনো দলের জন্য থেমে থাকে না। সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ভুল রাজনীতির কারণে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া বিএনপি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতেই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লাগাতার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পেয়ে বিএনপি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের পথে রাজনীতি করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাসের নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, যুদ্ধাপরাধী ও বিদেশি এজেন্টদের সমন্বয়ে গঠিত বিএনপি কোনো দিনই গণতন্ত্রকে ধারণ করেনি। তারা হ্যাঁ/না ভোট ও ভোটারবিহীন প্রহসনমূলক নির্বাচন আয়োজন, রউফ, সাদেক ও আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন, ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের পথে হেঁটেছে বারবার।
তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি তাদের ভুয়া ভোটার ব্যাংক নষ্ট হওয়ায় এবং পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের সুযোগ না থাকায় নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পায়। বিএনপি গণতন্ত্র, নির্বাচন ও জাতীয় অগ্রগতিকে ধারণ করে না, উল্টো গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্রকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে যাদের হাত ধরে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্ট হয়েছে; হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি সূচনা হয়েছে আজ তারা গণতন্ত্রের কথা বলে! হাওয়া ভবনের দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনের গডফাদার এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক দর্শনে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের কোনো প্রত্যয় নেই। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশের মানুষকে শোষণ করেছে; গণবিরোধী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। বহিরাবরণে লুটপাটতন্ত্রের নীতি ও অন্তরে অগণতান্ত্রিক মানসিকতা ধারণ করে বিএনপি সবসময় শাসন করেছে। তাই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তাদের চোখে পড়ে না। এ পর্যন্ত দেশের মানুষের স্বপ্নের যেসব মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, সেসব প্রকল্প নিয়ে তারা নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিএনপির গাত্রদাহ থেকেই প্রমাণিত হয় তাদের রাজনীতি কেবল ক্ষমতা দখলের; জনকল্যাণের জন্য নয়। আমরা বিএনপি নেতাদেরকে আহ্বান জানাই, তাদের রাজনৈতিক দর্শনের চশমার লেন্স পরিবর্তনের জন্য। তাহলেই তারা দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রা দেখতে সক্ষম হবেন।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সর্বদা গণতান্ত্রিক নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধকে ধারণ করে রাজনীতি করে আসছে। আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দীর্ঘ স্বৈরশাসনের নাগপাশ থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেৃতত্বেই বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত হয়েছে। আওয়ামী লীগ এদেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মজবুত ভীত রচনায় বদ্ধপরিকর।
জায়েদুল কবির ভাঙ্গি, গাজীপুর :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেছেন, বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নারীরা ঢাল হিসেবে কাজ করেছেন। ঘর-সংসার সামলে রাজপথের আন্দোলনে প্রথম সারিতে অবদান রেখেছেন তারা। তাই নারী নেতৃত্বের অবদানকে স্বীকার করে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে।
আজ ১৯ জুন বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর জেলা মহিলা দলের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নারীদের মূল্যায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার ২৪ নাম্বারে নারীদের যথাযোগ্য মর্যাদার কথা বলেছেন। তা বাস্তবায়ন হলে গণতান্ত্রিকভাবেই নারীদের মূল্যায়ন বাড়বে এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেবে।
তিনি আরো বলেন, কাপাসিয়ার কৃতীসন্তান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত নেতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ্ জাতিকে বারবার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। হান্নান শাহ্ ছিলেন আমার ভাসুরের মতো। তিনি মির্জা আব্বাসের বড় ভাইয়ের ভূমিকা পালন করেছেন। কাপাসিয়ার সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা করেছিলেন। রেখে যাওয়া তার সুযোগ্য উত্তরসূরি কাপাসিয়ার অভিভাবক উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ আমার সন্তানতুল্য। আমি তাকে অনেক স্নেহ করি।
পরিবারের ঐতিহ্যকে ধারণ করে সবার সাথে সৌজন্যতা রক্ষা করে চলছেন। বিগত আন্দোলনে জেল-জুলুম ও হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। তাকে আপনারা আগামী দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন। তিনি গাজীপুর জেলা মহিলা দল, তথা কাপাসিয়া উপজেলা মহিলা দলসহ সব ইউনিটের নেতাদের একটি সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
কাপাসিয়া সদরে অবস্থিত মডিউল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসির সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল গাজীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদিকা গুলনাহার বেগমের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ্ রিয়াজুল হান্নান, জেলা বিএনপির সদস্য ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা, ঢাকা মহানগর মহিলা দল নেত্রী তাবাসসুম টুম্পা, জেলা বিএনপির সদস্য আজগর হোসেন খান, কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও বিআরডিবি চেয়ারম্যান মো. সেলিম হোসেন আরজু প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কাপাসিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জুনায়েদ হোসেন লিয়ন, সদর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. মহিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেল, বিএনপি নেতা মফিজ উদ্দিন, মেহেদী হাসান বাচ্চু প্রমুখ।