চলারপথে রিপোর্ট :
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম বলেন, শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির নেতৃতে গত ১ দশকের বেশি সময় ধরে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার মানুষের সহায়তা আমাদেরকে আমৃত্যু বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে।
আজ ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে যাওয়ার সময় সীমান্তের শূণ্য রেখায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স (সিভিল সোসাইটি) পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে কাজ করে তাদের আমন্ত্রণে আগরতলা যাচ্ছি। আগরতলার পলো টাওয়ার হোটেলে একটি সভা হবে। সভায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ত্রিপুরার ম‚খ্যমন্ত্রী থাকার কথা রয়েছে।
সভায় এই অঞ্চল দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি, মানুষের যাতায়াতের সুবিধার বিষয়ে আলোচনা করবো। তছাড়া রেল যোগাযোগ, সড়ক যোগাযোগে বিনিয়োগ হচ্ছে এগুলো আপডেট করবো।
সামনের দিনে আরও কিছু কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। তিনি আরও বলেন সীমান্তের ১০০ মিটারের ভেতরে সাধারণত কোন স্থাপনা করার নিয়ম নাই। কিন্তু ভারত-বাংলাদেশ উভয় উভয়ের উপর নির্ভরশীল। তাই আমরাও ছাড় দিয়েছি।
ভারতও ছাড় দিয়েছে। বাংলাদেশের সাথে উত্তর-প‚র্ব ভারতের ৭টি রাজ্যের বাজার তৈরি হয়েছে। তাদের ক্রমবধর্মান উন্নতি হচ্ছে। এটাকে আমাদের বাজারের সাথে সম্পৃক্ত করতে চাই। এজন্য কানেক্টিভিটির কোন বিকল্প নাই। সেটার উপায় খোঁজা, দেখা।
এ পর্যন্ত দু’পক্ষের সরকার যতটুকু করেছে এটা কতটুকু প্রভাব ফেলেছে সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সামনের দিনে কাজ করা। এমন একটি ধারণা নিয়ে যাচ্ছি।
বিএসএফ’র আপত্তির কারণে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণ কাজ ৬ বছর ধরে বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপডেট আছে। শিগ্রই দেখবেন। অপেক্ষা করেন সমাধান দেখবেন।
এসময় মন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন নাঈম রাজ্জাক এমপি, সহকারি পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, মোঃ আল আমিনুল ইমাম, পরিচালক স্টেট মিনিস্টার অফিস।
ভারতে প্রবেশকালে সীমান্তের শূণ্য রেখায় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ। এর আগে তিনি ঢাকা থেকে সড়ক পথে আখাউড়া চেকপোষ্টে এসে পৌঁছেন। এসময় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ আতিকুল ইসলাম, আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ সদস্যদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছেন, নির্দিষ্ট তারিখ দেওয়া হবে, এর মধ্যে কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে যোগ না দিলে তাদেরকে পলাতক ঘোষণা করা হবে।
আজ ১১ আগস্ট রোববার সচিবালয়ে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বুধবার বিকাল ৪টায় পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে সব ইউনিটের সদস্যকে কাজে যোগদান করতে নির্দেশ দেন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পিওএম, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএনস), সব মেট্রোপলিটন এবং জেলা পুলিশ লাইনস, অন্যান্য পুলিশ স্থাপনাসহ বিশেষায়িত সব পুলিশ ইউনিটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ফোর্সের শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড পুনরুদ্ধার এবং পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, এই সময়ের মধ্যে সব মেট্রোপলিটন, জেলা, নৌ, রেলওয়ে ও হাইওয়ে থানার অফিসার ও ফোর্সকে স্ব স্ব ইউনিটের পুলিশ লাইনসে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অপারেশনস কন্ট্রোলরুম সক্রিয় করা, দায়িত্ব বণ্টন করা এবং সারা দেশের সাথে কার্যকর যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ফোর্সের মনোবল বৃদ্ধি এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের দাফন/সৎকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।
আইজিপি ময়নুল ইসলাম বলেন, আশা করছি, অচিরেই এ পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সবার সহযোগিতা আহ্বান করেন তিনি। থানাগুলোকে ঠিকঠাক করতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সচেতন মানুষ, সাংবাদিকসহ সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটি নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি করার নির্দেশ দেন আইজিপি। সামাজিকমাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত বা অ্যাসোসিয়েশনের নামে কোনো ধরনের বিবৃতি, ব্যাজের ছবি বা কোনো ধরনের মন্তব্য করতেও নিষেধ করেছেন ময়নুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সাজার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিলে আদালত তা আমলে নেবেন।
এই বিধান যুক্ত করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এই আইনটির রিপোর্ট সংসদে উত্থাপন করেছে।
আজ ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সাইবার নিরাপত্তা বিল–২০২৩ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণায় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সুপারিশ চূড়ান্ত করে কমিটি। এছাড়া বিলের ৩২ নম্বর ধারা বাদ দেওয়াসহ কয়েকটি ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
বিলে নতুন একটি ধারা যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোনো ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না জেনেও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহলে তা হবে একটি অপরাধ। এই অপরাধে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রয়েছে সে দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যদি এই আইনের একাধিক ধারায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেন, তাহলে ওই ধারায় বর্ণিত অপরাধগুলোর মধ্যে মূল অপরাধের জন্য যার দণ্ডের পরিমাণ বেশি হয় সেটাই দণ্ডের পরিমাণ হিসাবে নির্ধারণ করা যাবে।
এ বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল এই অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করতে পারবেন।
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে এই সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে। ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সাইবার নিরাপত্তা বিল সংসদে উপস্থাপন করা হয়। এরপর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এছাড়া বিলের ২১ ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা সংক্রান্ত অপরাধের কথা বলা আছে। এখানে ‘পতাকার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা বা’ এর স্থলে ‘পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক’ শব্দ প্রতিস্থাপন করা হবে। বিলের ৩২ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট যুক্ত করা হয়েছিল। ডিজিটাল মাধ্যমে কেউ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যক্টভুক্ত অপরাধ করলে তার সাজার বিধান করতে এটি যুক্ত করা হয়েছিল। বিলের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া আছে পুলিশকে। এখানে সংশোধনী এনে বলা হচ্ছে, এই ধারায় সাবইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তার জায়গায় পুলিশ পরিদর্শক পর্যায়ের কর্মকর্তা বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতার করতে পারবেন।
উপস্থাপিত বিলের ৮ ধারায়ও সংশোধনী আনা হচ্ছে। ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য–উপাত্ত অপসারণ ও ব্লক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এই ধারায়। এখানে আগে বলা ছিল যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘প্রতীয়মান’ হয় ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা উহার কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করার জন্য, মহাপরিচালকের মাধ্যমে, বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে। এখানে প্রতীয়মান শব্দের জায়গায় ‘তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে, বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে’ প্রতিস্থাপন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক এপিএস অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনকে গ্রেফতার করেছেন ঢাকা পল্টন থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে ঢাকার কাকরাইল অরোরা স্পেশালাইড হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রাশেদুল কাওসার জীবন কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কোনাঘাটা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুর রশিদ ভূইয়ার ছেলে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
আজ ২০ অক্টোবর রবিবার তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলা, কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে ভাংচুর, হত্যাসহ বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেয়। আন্দোলন কর্মসূচিতে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা বিএনপি কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হতে থাকে। আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে এই মামলার অন্যান্য আসামী ও আটককৃতসহ ৫/৬ শ লোক ত্রাস সৃষ্টি করে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর, ককটেল বিষ্ফোরণ ও গুলিবর্ষন করে। ওই সময় এতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গুরুত্বপুর্ণ কাগজপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ প্রায় ৪৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়। ওই ঘটনার সময় মকবুল হোসেন নামে এক বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা যায়। ওই ঘটনায় পল্টন থানায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ মামলা রুজু হয়। মামলা নং- ৪৮। ওই মামলায় তাকে গতকাল শনিবার রাতে গ্রেফতার করে পল্টন থানা পুলিশ। পরে আজ রোববার তাকে বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরন করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রিপন দাস জানান, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার জীবনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কসবা থানায় কোনো মামলা হয়নি। তাকে ঢাকার পল্টন থানার একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে আগামী ৫ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ ৪ জুন রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশব্যাপী তীব্র তাপদাহের কারণে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, অতি শিগগির নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে দেশে ব্যবহৃত অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট।
নতুন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনার পর এ ঘোষণা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিটিআরসি জাতীয় পরিচিতি ও নিবন্ধিত সিম কার্ডের সঙ্গে ট্যাগিং করে প্রতিটি মোবাইল ফোন নিবন্ধনের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সেবাগ্রহণ বা প্রদান নিশ্চিত করা, অবৈধভাবে উৎপাদিত বা আমদানিকৃত মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ করার উদ্দেশে এনইআইআরের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের চুরি ও অবৈধ ব্যবহার রোধ হবে।
এনইআইআরের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করতে শিগগির অবৈধ মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক হতে বিচ্ছিন্ন করা হবে। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে বৈধতা যাচাই করে নিতে হবে।
মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে মেসেজ অপশন থেকে KYD<space>15 ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে (উদাহরণ স্বরূপ: KYD 123456789012345) ১৬০০২ নম্বরে পাঠালে হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করা যাবে।
গত ১৬ জানুয়ারি বিটিআরসিতে এক সভায় নতুন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দেশে অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।