চলারপথে ডেস্ক :
কসবায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে মোঃ রানা নামে এক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গতকাল সোমবার ভোরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের মনকসাই গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রানা মিয়া উপজেলার মনকশাইর গ্রামের মোঃ চুন্নু মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। রানার কাছ থেকে ২ টি রামদা, ১ টি লোহার চকিু, ১টি লোহার তৈরি কোরাবাড়ী (পিন তোলার যন্ত্র) উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় বেগম খালেদা জিয়া দন্ডিত হওয়ার পরে তার দন্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে দুইটা শর্তে মুক্ত করা হয়েছে। তিনি সেই দুই শর্ত মেনে নিয়ে মুক্তি পেয়েছেন এবং আজকেও তিনি সঠিকভাবে চিকিৎসা পাচ্ছেন।
তিনি আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে কসবা উপজেলা সদরে হাবিবুল ইসলাম মেমোরিয়াল হাই স্কুলের চারতলা বিশিষ্ট ভবনের প্রথমতলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, বেগম জিয়া এখন বিদেশে গেলেই তার অবস্থা ভালো হবে এ বিষয়টি আমার জানা নেই। কিন্তু আমি এইটুকু বলতে পারি আইন যা বলে তাতে তার যে দরখাস্ত সেটি আগেই নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এখন নতুন করে আর কিছু করার নেই। সে জন্যই তিনি এখানে চিকিৎসা পাচ্ছেন এবং সেই চিকিৎসাই তাকে গ্রহণ করতে হবে।
সাইবার সিকিউরিটি আইন নিয়ে জিএম কাদেরের মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জিএম কাদের সাহেব হঠাৎ বলে বসলেন, সাইবার সিকিউরিটির নাকি জনগণের কন্ঠরোধ করা হয়েছে।
জিএম কাদেরকে সাইবার সিকিউরিটি আইনটি পড়ে দেখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে তিনি দুটি জিনিস দেখতে পারবেন, একটি হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি আইনে বাংলাদেশ পেনাল কোর্ট সেই অপরাধ গুলো আছে। আর টেকনিক্যাল অপরাধগুলো যোগ করা হয়েছে। আর সবগুলো পেনাল কোডের অপরাধ গুলোকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে।
এখানে এমন কোন কথা নাই যেখানে গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধ করা হয়েছে। এই আইন শুধু করা হয়েছে যারা শুধু সাইবার ক্রাইম করে, যারা কম্পিউটারকে মানুওষর মান-ইজ্জত হরণ করার জন্য ব্যবহার করে। এই সব অপরাধকে বন্ধ করার জন্য।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভ‚ইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম. আমিমুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র এম.জি হাক্কানী, জেলা পরিষদ সদস্য এম.এ. আজিজ, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েলসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ড্রাগন ফল চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন প্রবাস ফেরত এ. কে. এম মহসিন। তার এই সফলতা দেখে স্থানীয় অনেকেই ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। ড্রাগন ফল চাষ করে তাঁর আর্থিক স্বচ্ছলতাও বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বিদ্যানগর গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে এ. কে. এম মহসিন দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে চাকুরি করে ২০১৮ সালে দেশে ফিরে আসেন।
পরে তিনি ২০২১ সালে বাড়ির পাশে তার পরিত্যাক্ত ৫ কানি (১৫০ শতাংশ) জমিতে ড্রাগন ফলের বাগান করেন। প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করে তিনি জমিতে ৬ হাজার ড্রাগন ফলের চারা রোপন করেন। প্রথম বছরেই তিনি প্রায় ১০ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেন।
এ. কে. এম মহসিন জানান, চলতি মৌসুমের শুরুতেই তার বাগানে ১ হাজার ২০০ কেজি ড্রাগন ফল উৎপাদন হয়। স্থানীয় বাজারে এই ফলগুলো আড়াই লাখ টাকা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, এ বছর তিনি প্রায় ২০ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে বাগান থেকেই ২শত টাকা কেজি দরে ড্রাগন ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, তিনি আশা করছেন এ বছরই বাগানে বিনিয়োগ করা টাকা তিনি তুলতে পারবেন। আগামী বছর থেকে তিনি ড্রাগন ফল বিক্রি করে লাভের মুখ দেখবেন। তিনি বলেন, তার সফলতা দেখে স্থানীয় অনেক তরুণই ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম বলেন, আমরা ড্রাগন ফলের চাষী এ. কে. এম মহসিনকে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগীতা দিচ্ছি। ড্রাগন চাষ লাভজনক হওয়ায় ও মহসিনের সাফল্য দেখে এলাকার অনেক তরুনই বর্তমানে ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৪৭ বোতল বিয়ার এবং ৪৭ বোতল বিদেশী মদসহ মোঃ শফিকুল ইসলাম (২২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার রাতে কসবা পৌর শহরের কসবা-শান্তিপাড়া পাকা রাস্তায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শফিকুল ইসলাম কসবা উপজেলার গঙ্গানগর গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে কসবা-শান্তিপাড়া রাস্তার পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তার সাথে থাকা ব্যাগ ও বস্তা তল্লাশী করে ৪৭ বোতল বিয়ারের ক্যান এবং ৪৭ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দেয়া হয়েছে। আজ রবিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা উল্টে সায়মুন (১২) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে।
আজ ৮ মার্চ বুধবার দুপুরে উপজেলার কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের কসবা-নয়নপুর আঞ্চলিক সড়কের আকছিনা বটতলী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সায়মুন কসবা পৌর এলাকার কৃষ্ণপুর গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, দুপুরে উপজেলার আকছিনা এলাকায় একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সায়মুন মারা যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ সিএনজি চালককে আটক করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি কৃষক আহত হয়েছেন। আজ ৬ জুন মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধ্বজনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ধ্বজনগর গ্রামের মৃত নূর আলীর ছেলে আরজান আলী ভুঁইয়া (৫৫) ও একই গ্রামের মৃত লোকমান ভুঁইয়ার ছেলে ইকবাল ভূঁইয়া (৪৫)।
সুলতানপুর ৬০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আশেক হাসান উল্লাহ বলেন, সকালে ওই দুই কৃষক ধ্বজনগর সীমান্তের সীমারেখার পাশে গরু চড়াচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে ছিটাগুলি নিক্ষেপ করে। এতে তারা আহত হলে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে তাদেরকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। বর্তমানে দুইজনই শঙ্কামুক্ত।
তিনি আরো বলেন, ঘটনাটির পরপর বিষয়টি বিএসএফ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আজ বিকেলে এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফ পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।