চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁর দলের নেতাদের আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে দলকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি যে কোনো ধরনের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। অনেকেই এমন গতিতে একটি দেশের অগ্রগতি চায় না, তাই তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে।’
আওয়ামী লীগের সারা দেশের জেলা শাখার নেতাকর্মীরা আজ ১২ এপ্রিল বুধবার গণভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। খবর বাসসের
তিনি বলেন, তাঁর সরকার ২০০৯ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর পরিশ্রমের কারণে দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে এবং অতি-দরিদ্রের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার দ্রুততম সময়ে দারিদ্র্যের হার আরও দুই বা তিন শতাংশ কমিয়ে আনার প্রচেষ্টাকে আরও গতিশীল করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো অতি-দারিদ্রতা থাকবে না।’ তিনি আরো বলেন, তাঁর সরকার বিনা খরচে বাড়ি প্রদান, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া এবং দেশবাসীর অবস্থার পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ সবকিছুই করছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তাঁর দল ক্ষমতায় এলে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়।
জাতীয় নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে উল্লেখ করে তিনি আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করে জনগণের কল্যাণে আরও সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা চাই আওয়ামী লীগের সংগঠন আরও শক্তিশালী হোক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছেন- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাই আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি দলীয় নেতা কর্মীদের স্মরণ করিয়ে দেন যে- দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে। কারণ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মতো রাজনৈতিক দলগুলো সামরিক স্বৈরশাসকের পকেট থেকে গঠিত হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মতো দল মাটি ও মানুষের দল নয়।
গত ১৪ বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়নের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও বাসস্থানের মতো প্রতিটি খাতে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে।
পদ্মা সেতুর সুফল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ পেলেও বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন না বলে প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতা ও তাদের সমমনাদের কঠোর সমালোচনা করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘তারা কোনো উন্নয়ন দেখছে না। তারা প্রতিদিনই এমনকি রমজানের দিনেও উচ্চকণ্ঠে মিথ্যা কথা বলছে। কেন তারা এমন করছে আমি তা বুঝতে পারছি না।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, তাঁর সরকার জনগণের জন্য কাজ করেছে আর এ কারণেই জনগণ তাঁর দলকে ভোট দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কোনো ভোট কারচুপির প্রয়োজন নেই, কারণ তারা সবসময় জনগণের সেবা করে তাদের আস্থা অর্জন করে ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ কখনোই ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আসে না।’
তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচনের কথা বলছে, তারা বন্দুকের মুখে ক্ষমতায় এসেছে।তাই, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি, এ নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিল ২৯ আসন।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘বিএনপি এখনও তাদের আগের অবস্থানে অটল রয়েছে। অথচ দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করে আওয়ামী লীগ তার অবস্থানকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল রাতে বাবা-মা, ভাইসহ সর্বস্ব হারানোর পর তিনি দেশবাসীকে নিজের কাছের মানুষ ভেবে তাদের জন্য কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। আমি যা কিছু করেছি তা মানুষের জন্য করেছি।’
সবকিছু হারিয়ে দেশে ফিরে আসার পর আশ্রয় দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা (দলের লোকজন) আমার পাশে থাকলে আমি জনগণের জন্য কাজ করতে পারবো।’
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের দেশীয় খেলাধুলাগুলোর চর্চা বেশি বেশি করে করা উচিত। এই খেলাধুলার মধ্য দিয়ে শরীরচর্চা হয়। খেলাধুলা হলে বাচ্চাদের মধ্যে ছোটবেলা থেকে ঐক্যের মনোভাব গড়ে ওঠে। তাই আমরা এ বিষয়ে আরো বেশি মনোযোগী হয়েছি।
ছেলে এবং মেয়েদের জন্য বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা টুর্ণামেন্ট শুরু করেছি। মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও খেলাধুলা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।’
দেশের সব বিভাগীয় শহরেই একটি করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) কেন্দ্র করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খেলাধুলায় আমাদের ছেলে-মেয়েদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হলে উন্নত প্রশিক্ষণ দরকার।
এ জন্য দেশের সব বিভাগীয় শহরে একটি করে বিকেএসপি করা হবে। ইতিমধ্যে এর কাজও শুরু হয়েছে।’
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখন প্রশিক্ষক তৈরি করতে হবে।
সে জন্য প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে একটা করে বিকেএসপি গড়ে তুলতে হবে। এটা আটটা বিভাগে আটটা হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ছোটবেলা থেকে ভালো ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারলে তারা দক্ষতার পরিচয় দিতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা খুবই এগিয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে।
ফুটবলে ভুটানকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে। আমরা প্রত্যেক উপজেলায় খেলার মাঠ, মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করছি। আরো কয়েকটা বাকি আছে। উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত মিনি স্টেডিয়াম করেছি একটা লক্ষ্য নিয়েই যে খেলাধুলা হবে, প্রতিযোগিতা হবে। আমি মনে করি, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার আয়োজন করলে ছেলে-মেয়েরা মন-মানসিকতায় উদার হবে। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে।’
খেলাধুলার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা নিজে খেলাধুলার প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী ছিলেন। জাতির পিতার উদ্যোগেই এই শীতকালে শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। জাতির পিতার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের পরিবারটি সব সময় খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত। আমার বাবাও নিজে ফুটবল খেলতেন। আমার ভাই কামাল এবং জামাল নিজেও খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।’
স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম, রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. হুমায়ুন কবির, ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমন্বয়কারী ড. মুহম্মদ মনিরুল হকসহ দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, শিক্ষা অফিসার ও ক্রীড়া কর্মকর্তরা উপস্থিত হয়েছেন।
‘খেলাধুলায় স্মার্ট দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা সমিতি ৫২তম এই শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। গত জানুয়ারিতে সারা দেশে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে প্রায় সাত লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে চূড়ান্ত পর্বের খেলায় অংশগ্রহণে সারা দেশের ৮২৪ জন রাজশাহী এসেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী এর ব্যবস্থাপনায় রয়েছে।
ছয় দিনব্যাপী এই ক্রীড়াযজ্ঞের সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
এই প্রতিযোগিতায় ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য আলাদা ইভেন্টে অ্যাথলেটিকস, দৌড়, বর্শা নিক্ষেপ, দীর্ঘ লাফ, চাকতি নিক্ষেপ, গোলক নিক্ষেপ, দড়ি লাফ ইভেন্টসহ হকি, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন একক ও দ্বৈত, সাইক্লিং ইভেন্টে জাতীয় স্কুল, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির শীতকালীন খেলার মহারণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এই আটটি ডিসিপ্লিনে সারা দেশ থেকে আট শতাধিক ছাত্রছাত্রী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। চূড়ান্ত পর্বে চারটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে- চারটি ফুলের নামে।
এগুলো হলো- রাজশাহী ও দিনাজপুর ‘চাঁপা’ অঞ্চল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ ‘পদ্ম’ অঞ্চল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা ‘বকুল’ অঞ্চল এবং খুলনা ও বরিশাল ‘গোলাপ’ অঞ্চল। বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নানা ধরনের ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত আমরা ক্ষমতায় ছিলাম এবং আছি। আমাদের সময় ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র অব্যাহত আছে। আমরা শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান সব কিছুর জন্য কাজ করে মানুষের হৃদয় জয় করে তাদের ভোট পাই। আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না।
আজ ১ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে ঢাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। রাজধানীর ধানমণ্ডির কলাবাগান ক্রীড়া চক্র মাঠে জনসভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে তারা নির্বাচন বর্জন করছে, বর্জন করাটা খুব স্বাভাবিক।
ভোট চুরি করতে পারে না, নির্বাচন করবে না। কারণ এর আগে তো ভোট চুরি করে অভ্যস্ত, চুরি করা ভোট দিয়েই তো তাদের সৃষ্টি। ক্ষমতা দখল, ক্ষমতা চুরি, ভোট চুরি এ ছাড়া তো তারা আর কিছু পারে না। সে জন্য নির্বাচন করতে চায় না, নির্বাচন বানচাল করবে।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া, নির্বাচন বন্ধ করার সাহস নেই। তবে তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, এটা আমার কথা না, হাইকোর্টের আদেশ আছে, হাইকোর্টের রায় আছে যে ওই বিএনপি জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল অবৈধ, এরশাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ। তারাই ভোট চুরি করে, তারাই ভোট চুরি ছাড়া জিততে পারে না। ২০০৮-এর নির্বাচনে সেটা প্রমাণিত সত্য।
এখন আবার তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, কেন নির্বাচন বানচাল করবে?’
ঢাকায় ১৫টি নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি এই ১৫টা রত্ন আপনাদের সামনে তুলে দিলাম। তারা আপনাদের সেবা করবে, ঢাকার মানুষের সেবা করবে।’
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
চলারপথে ডেস্ক :
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা হবে শনিবার। পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে এই সভা হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররমের সভাকক্ষে অনুষ্ঠেয় সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। টেলিফোন নম্বর : ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭। ফ্যাক্স নম্বর: ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১।
সূত্র : বাসস
ডেস্ক রিপোর্ট :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার দুই আসামির ফাঁসি বৃহস্পতিবার রাতে কার্যকর হতে পারে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে এ ধরনের আভাস পাওয়া গেছে। তবে এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। তবে প্রস্তুতি চলছে বলে জানানো হচ্ছে।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল জলিল বলেন, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। কবে কখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে, সেটা আমি বলব না। এটা জেলকোডে নেই। তবে এটুকু বলতে পারি যে, এ মাসের মধ্যেই রায় কার্যকর হবে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, রায় কার্যকরের জন্য ইতোমধ্যে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। জল্লাদদের নিয়ে কয়েক দিন ধরে মহড়াও চলছে। একই মঞ্চে দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। এ মঞ্চে একসঙ্গে একাধিক আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সুযোগ আছে। মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের ক্ষেত্রে কী করা হবে, সেটি কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।
২০০৮ সালে এ মামলার রায় ঘোষণার পর থেকেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের বরখাস্ত হওয়া সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ড. তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। পদোন্নতি না পাওয়ার ক্ষোভে মিয়া মহিউদ্দিন একই বিভাগের অধ্যাপক তাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক কোয়ার্টার থেকে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হয়েছিলেন অধ্যাপক তাহের আহমেদ। ২ ফেব্রুয়ারি তার লাশ বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয়। এ হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালতের বিচারক চারজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। এছাড়া দু’জনকে খালাস দেওয়া হয়। পরে দণ্ডপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও আসামি নাজমুল আলম ও তার স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়।
আপিলে সাজা কমে যাবজ্জীবন হওয়া দুই আসামির দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায়ই বহাল রাখেন। অন্যদিকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির স্বজনরাও দণ্ড কমাতে একের পর এক আইনগত প্রক্রিয়া চালিয়ে যান। সবশেষ গত মঙ্গলবার জাহাঙ্গীরের ভাইয়ের করা একটি রিট খারিজ হয়ে যায়। এখন আসামিদের দণ্ড কার্যকরে আইনগত বাধা নেই।
রায় কার্যকর করার আগে মঙ্গলবার দুই আসামির পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ‘শেষ সাক্ষাৎ’ করার সুযোগ দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। দুই আসামির স্বজনরাই তাদের সঙ্গে দেখা করেন। স্বজনরা এভাবে সাক্ষাৎ করার পর থেকেই দণ্ডপ্রাপ্তরা মুষড়ে পড়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন ছিদ্দিক বলেছেন, যাত্রীদের চাহিদার বিবেচনায় মেট্রোরেলের যাতায়াতের সময় ১০ মিনিট থেকে কমিয়ে ৮ মিনিটে নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে তা কার্যকর হবে।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে ‘সিগন্যাল সিস্টেমে’ ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। সকালে ট্রেন চলাচল শুরুর পর চারটি ট্রিপ শেষে এই সমস্যা দেখা দেয়। তবে এ সমস্যার কারণে ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়নি, যাত্রা বিলম্ব হয়।
এম এন ছিদ্দিক বলেন, আর কিছুদিন পরেই রমজান শুরু হবে। তখন আমরা কিছু কর্মসূচি দেব। কারণ তখন অফিস টাইম চেঞ্জ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের এখন ১৫২ বার ট্রেন যাতায়াত করছে। যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় আমরা আরো ২৬ বার যাতায়াত বৃদ্ধি করে দিচ্ছি। যে সময়টায় পিক আওয়ার হয়, তখন হেডওয়ের সময়টা ১০ মিনিট থেকে ৮ মিনিটে নিয়ে এসেছি, যা আগামী শনিবার থেকে কার্যকর হবে।
বর্তমানে মেট্রোরেলে গড়ে ২ লাখ ৭০ হাজার যাত্রী চলাচল করছে জানিয়ে জনাব সিদ্দিক বলেন, সবার ভেতরে একটা কনফিউশন থাকে যে, কোন ট্রেন কখন উত্তরা বা মতিঝিল থেকে ছাড়ে? আমরা এ ব্যাপারটা পৃথক করে দিয়েছি। উত্তরা থেকে মতিঝিলের দিকে যে ট্রেন যাওয়া আসা করে, সেখানে আগে ১০ মিনিট পরপর ২টি ট্রেন যাতায়াত করত। এখন তিনটি ট্রেন যাতায়াত করবে। আর মতিঝিল থেকে উত্তরার দিকে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে ৮টা পর্যন্ত ১০ মিনিট পরপর ট্রেন পাওয়া যাবে। এটা স্পেশাল অফ পিক। তারপর সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৮ মিনিট পরপর ট্রেন চলবে।