চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান,বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নারী মুক্তিযোদ্ধা বেগম দিলারা হারুনের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৪ এপ্রিল।
এ উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার সকালে প্রয়াতের কবরে ফাতেহা পাঠ, কোরআন খানি অনুষ্ঠিত হবে। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেশী দামে কাঁচা মরিচ বিক্রির দায়ে ৪ ব্যবসায়ীকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৩ জুলাই সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান পৌর এলাকার কাউতলী কাচা বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানকালে ব্যবসায়িদের ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ না করা, আড়ৎদাররা খুচরা ব্যবসায়িদেরকে কোনো ধরনের রশিদ সরবরাহ না করা এবং দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় ৪ ব্যবসায়িকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
জরিমানাপ্রাপ্তদের মধ্যে সততা বাণিজ্যালয়কে ৩ হাজার, মায়ের দোয়া সবজি আড়ৎদারকে ১ হাজার টাকা, সুমন সবজি আড়ৎদারকে ১ হাজার টাকা ও মোঃ জানু মিয়া সবজি আড়ৎদারকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান জানান, গত কিছুদিন ধরে বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ি নিজেদের ইচ্ছেমতো দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেন।
দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়াও কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে ভোক্তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাউতলী বাজারে অভিযান চালিয়ে ৪ ব্যবসায়িকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানকালে সদর থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বন্ধের দাবিতে আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ। সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে পূজা উদযাপন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহবায়ক সুনীল দেবের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সঞ্জিব সাহা বাপ্পীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ডাঃ মনোরঞ্জন দেবনাথ, তপন চৌধুরী, সুভাস দেবনাথ, নীতিশ রঞ্জন রায়, সাধন চৌধুরী, খোকন কান্তি, তপন দেব, রিপন বনিক প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার টার্গেট করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানেই এসব ঘটনা ঘটছে। মানববন্ধন থেকে এসব হামলা বন্ধ ও যে সব স্থানে হামলা হয়েছে এর সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধভাবে তিতাস নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজার ও বাল্কহেড জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু তোলার কাজে নিয়োজিত দুইজন ড্রেজার ও বাল্কহেড চালকসহ ছয়জনকে আটক করা হয়। পরে ড্রেজার ও বাল্কহেডের দুই চালককে দুই মাস করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। দন্ডপাওয়া দুই চালক হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার সুভারামপুর গ্রামের ইজাজুল ইসলাম ও মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান।
আজ ২৭ আগস্ট রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রাজকৃষ্ণপুর এলাকা থেকে এগুলো জব্দ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুলতানপুর ইউনিয়নের রাজকৃষ্ণপুর এলাকার তিতাস নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলো একটি চক্র। বিষয়টি জানতে পেয়ে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোশারফ হোসেন দুপুরে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি দুইজন ড্রেজার ও বাল্কহেড চালকসহ ছয়জনকে আটক করেন। পরে তিনি ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(গ) ধারা লঙ্ঘন করে নদী থেকে বিপণনের উদ্দেশ্যে বালু উত্তোলন করায় এবং ড্রেজিং এর কারণে নদীর তীর ভাঙ্গনের শিকার হওয়ায় আইনের ১৫(১) ধারায় আটক দুইজন ড্রেজার ও বাল্কহেড চালককে ২ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ও আটক চারজন শ্রমিককে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। জব্দকৃত ড্রেজার ও বাল্কহেড স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের জিম্মায় দিয়ে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা আদালত বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে আদালতে ফিরছেন। আজ মঙ্গলবার থেকে তাঁরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত ছাড়া বাকি আদালত গুলোতে যাবেন।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সাধারণ সভা শেষে আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আইনজীবী সমিতির ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাধারণ সভায় বসেন আইনজীবীরা। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে তাদের সভা।
দুপুরে সাধারণ সভা শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা সাংবাদিকদের বলেন, “সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাননীয় আইনমন্ত্রী মহোদয় আমাদের যে অনুরোধ করেছিলেন। তাঁর অনুরোধের প্রতি সবাই শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন এবং এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।
তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী ও আইন সচিব শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নন সমগ্র বাংলাদেশের আইন অঙ্গনের অভিভাবক। আমরা তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস স্থাপন করি। আমরা আগামীকাল (আজ) মঙ্গলবার আদালতে যোগদান করব। আমাদের বিষয়ে যা যা করার তাঁরা তা করবেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বাদে সবগুলো আদালতে যাব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সবগুলো দাবির কোনো কোনোটা পূরণ হয়েছে এবং বাকিটা পূরণ হবে বলে বিশ্বাস করি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিষয়ে হয়তো দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল সোমবার ব্যবস্থা নেয়া হলে আমরা কাল মঙ্গলবার থেকেই ওই আদালতে ফিরে যাব।
এর আগে গত রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্কিট হাউজে আইনজীবী নেতাদের সাথে আইনমন্ত্রীর অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর আইনজীবীরা নেতারা আদালতে ফেরার করার কথা জানান।
বৈঠকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক রবিউল হাসান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আল-আমিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান কানন, সাবেক সভাপতি শফিউল আলম লিটন, সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে আইনন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বর্জনের বিষয়টি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। আইনজীবীরা আদালত বর্জন প্রত্যাহার করবেন। আইনজীবীরা কাল আদালতে যাবেন।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আন্দোলনের শুরু থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। রবিবার মাননীয় আইনমন্ত্রী, আইন সচিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর মধ্যস্থতায় বিষয়টির সুরাহা হয়েছে।
এদিকে জজ আদালতের নাজির মুমিনুলকে গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিষ্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মোঃ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত আন্তঃজেলা বদলি সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে “প্রশাসনিক কারণ” দেখিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মোঃ মুমিনুল ইসলাম চৌধুরীকে চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে মুমিনুল ইসলামের বদলিকে অভিহিত করা হয় “মিউচ্যুয়াল ট্রান্সফার” হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এর অংশ হিসেবে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মোঃ ছানাউল্যা তালুকদার তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন।
উল্লেখ্য, আদালতের শীতকালীর ছুটির আগে গত ১ ডিসেম্বর আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন তিনটি মামলা না নেয়ায় ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন শুরু করেন আইনজীবীরা। ২ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি আদালতের কক্ষে ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে একদিনের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালন করে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
এ ঘটনার পর গত ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের কর্মসূচি শুরু করেন আইনজীবীরা। তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগে সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে ১৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে আইনমন্ত্রী আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আদালতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।
মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর ২৪ জানুয়ারির মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে দুই আদালত ব্যতিত (জেলা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত) সকল আদালতে ফিরে যান আইনজীবীরা। এতে আদালতের অচলাবস্থা দূর হয়।
গত ২৪ জানুয়ারির মধ্যে আইনজীবীদের দাবি পূরন না হওয়ায় তারা ওইদিন বিশেষ সাধারণ সভা করে তারা তাদের কর্মসূচি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। ৩০ জানুয়ারি মধ্যে তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় তাদের কর্মসূচি আবার ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি আইনজীবীরা তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় বিশেষ সাধারণ সভা করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।
এদিকে মাসাধিককাল ধরে আইনজীবীদের আদালত বর্জনের ফলে শত শত বিচারপ্রত্যাশী সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হৃদয় (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরের দিকে জেলা পৌর শহরের গোকর্ণঘাট এলাকার পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
হৃদয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের নরসিংসার গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে গোকর্ণঘাট এলাকার পশ্চিমপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে হৃদয় গোসল করে ভেজা কাপড় বারান্দার রশিতে শুকাতে দিচ্ছিলেন। এ সময় পাশে থাকা বিদ্যুতের তারের সঙ্গে ওই ভেজা কাপড়ের স্পর্শ লাগে। এতে হৃদয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন জানান, মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।