চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর রেলস্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি রেলওয়ের পক্ষ থেকে চার সদস্যবিশিষ্ট এবং অপরটি করা হয়েছে জেলা প্রসাশকের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট।
১৬ এপ্রিল রবিবার রাতে জেলা প্রসাশক শামীম আলম গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জেলা প্রসাশক শামীম আলম বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খন্দকার আশফাকুজ্জামান, নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রায়হান মেহবুব, লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি জসীম উদ্দিন ও স্টেশনমাস্টার জামাল আহমেদ।
এ কমিটিকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রেলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান জানান, রেলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ট্রাফিক কর্মকর্তাকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ, ১৬ এপ্রিল রবিবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে হাসানপুর রেলস্টেশনে থেমে থাকা মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’ ট্রেন। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন ও ছয়টি কোচ লাইনচ্যুত হয়। আহত হন অর্ধশতাধিক যাত্রী।
অনলাইন ডেস্ক :
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এয়ারপোর্ট থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে ঢাকাকে মনে হয় ইউরোপ। আর নামলেই আমাদের বাসগুলো দেখলে মনে হয় গরিব গরিব চেহারা। জীর্ণ, মুড়ির টিন চলছে। গায়ে লেখা- আল্লাহর নামে চলিলাম। মালিক সমিতিকে বলব, এসব গাড়ি কীভাবে চলে ঢাকা শহরে?’
আজ ২২ অক্টোবর রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নিরাপদ সড়ক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
সড়ক পরিবহন বাস্তবায়নের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইন করলাম। কিন্তু বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া এত বিলম্বিত করেছি, দুঃখজনক। আইন আছে, প্রয়োগ নাই, এমন আইনের দরকার কী?’
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান, বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-র চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন,নির্বাচন আসলেই যারা নানান অজুহাতে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন তাদের আওয়ামী লীগ করবার দরকার নেই। তারা আল্লাহর ওয়াস্তে স্বেচ্ছায় আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিলে খুব ভালো হয়। তবে গত নির্বাচনে যারা আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুর ১২ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান ও সাবেক কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিয়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই জেলা পরিষদের উপনির্বাচন ও আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে পরামর্শক্রমে আমরা একক প্রার্থী দেয়ার চেষ্টা করবো। তিনি আওয়ামী লীগকে উপজেলা ও পৌর এলাকার ওয়ার্ড পর্যায় থেকে সম্মেলন করে নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনে গতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সম্মেলন করার প্রতি তাগিদ প্রদান করেন। তিনি বলেন,সংগঠন শক্তিশালী ও উজ্জীবিত রাখতে সম্মেলনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন,আমরা দলীয় কর্মসূচী ও নির্বাচন নিয়ে মাঠ দখলে রাখতে চাই,অন্য কাউকে মাঠ দখল করতে দেয়া হবেনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, পিপি এড. মাহবুবুল আলম খোকন, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা তানজিন আহমেদ, মহসিন মিয়া, কাজী মোরশেদ কামাল,বাবুল মিয়া, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড. শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, জেলা কৃষকলীগ যুগ্ম-আহবায়ক সেলিম ভূঞা ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল।
সভায় সদ্য প্রয়াত প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আবু হোসেন এর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ চায়না দোয়ারী, জাল, ঘন বেড় জাল ও কারেন্ট জাল ধ্বংস করা সহ আটককৃত ৫ জেলেকে জরিমানা করেছে গোয়ালন্দ উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে পদ্মা নদীর কুশাহাটা, অন্তারমোড়সহ বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, অভিযানকালে অবৈধভাবে পদ্মায় নদীতে মাছ শিকারের জন্য পেতে রাখা ৫০টি চায়না দোয়ারী, ১টি বড় ঘন বেড় জাল, ১ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ২৫ কেজি জাটকা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ জব্দ করা হয়। পরে দুপুওে দৌলতদিয়া ১ নম্বও ফেরিঘাটে জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং মাছগুলো স্থানীয় একটি এতিম খানায় বিতরণ করা হয়। আরো জানা যায়, ধ্বংসকৃত জালগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। এসময় উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭ জন জেলের মধ্যে ৫জন জালের মালিক প্রত্যেককে ২ হাজার কওে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাকী ২ জন নাবালক হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
দৌলতদিয়া ১ নম্বও ফেরিঘাটে আগুনে জাল পোড়ানোর সময় উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রিট মো. জাকির হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান প্রমুখ।
অভিযান পরিচালনায় অংশ নেন গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা রাজবাড়ী সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব, নৌপুলিশের একটি দলসহ উপজেলা মৎস্য অফিসের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা রাজবাড়ী সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব বলেন, বুধবার সকাল থেকে আমরা পদ্মা নদীতে অবৈধ জাল দুয়ারী, কারেন্ট জাল ধ্বংসে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। তারই অংশ হিসাবে আজ সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার অবৈধ জাল জব্দ করে তা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছি এবং ৫ জন জেলেকে ১০ হাজার টাকা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, চায়না দুয়ারি দিয়ে দেশীয় মাছ ধ্বংস করে দিচ্ছে অসাধু জেলেরা। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ সময় গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জাকির হোসেন বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছের জন্য হুমকি এই চায়না দোয়ারী। এ চায়না দোয়ারী সব ধরনের ছোট-বড় মাছ ধরা পড়ে। অবৈধ এই জাল ব্যবহারের ফলে মাছ ও জলজ প্রাণীর প্রজাতি বিলুপ্ত হওয়ার পথে। এসব জাল ব্যবহারের ফলে খাল, বিলের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে এবং জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। তাই মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে এসব জাল ধ্বংসে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
এখন থেকে সপ্তাহের ছয়দিন খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই হিসেবে শনিবারও খোলা থাকবে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অন্যান্য কর্মদিবসের মতোই পুরোদমে ক্লাসও চলবে এ দিনে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।
আজ ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা প্রজ্ঞাপনে চারটি নির্দেশনা দেওয়া হয়। তার মধ্যে অন্যতম শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা।
অন্য তিনটি নির্দেশনা হলো-
১. আগামী ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
২. তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
৩. শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।
পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার।
২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় আরো এক সপ্তাহ বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি জানান অভিভাবকদের একটি অংশ। কেউ কেউ অনলাইনে ক্লাস চালুর দাবিও তোলেন।তবে সার্বিক দিক বিবেচনায় ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস চালুর নির্দেশনা দিলো সরকার।
অনলাইন ডেস্ক :
আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সবসময় দেশের জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে এবং জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পি। তাহলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য উভয়ই বাস্তবায়ন হবে বলেও জানান তিনি। আনিসুল হক বলেন, কারও চোখের দিকে তাকিয়ে কিংবা কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা করে ভালো আইন তৈরি করা যায় না।
আজ ৫ মে রবিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২৪-২৫ এর খসড়া চূড়ান্তকরণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মানসম্পন্ন আইন প্রণয়নে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, লেজিসলেটিভ কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি লেজিসলেটিভ ক্যাডার সার্ভিস গঠনের বিষয়েও কাজ করতে হবে।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কর্মকর্তাদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘লজ অব বাংলাদেশ’ লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের খুবই জনবান্ধব একটি কাজ। এর মাধ্যমে জনগণ মুহূর্তেই বাংলাদেশে প্রচলিত সকল আইন দেখে নিতে পারেন। এখন ‘লজ অব বাংলাদেশ’ এর আলোকে ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে জারিকৃত সকল এসআরও ও অন্যান্য বিধি-বিধানের সংকলনে অনলাইন ভিত্তিক ‘রুলস অব বাংলাদেশ’ তৈরি করা গেলে জনগণ খুবই উপকৃত হবে। এটি খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করতে হবে।
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে উভয় বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।