চলারপথে ডেস্ক :
ঢাকার বায়তুল মোকাররমের স্বর্ণের মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় আগুনের ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যুতের লাইনে আগুন লেগেছিল বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৫২ মিনিটে ঘটনাটি ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে যায়। তবে তার আগেই আগুন নিভে গেছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা শাজাহান শিকদার।
শাজাহান শিকদার বলেন, ইউনিটগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই বায়তুল মোকাররমের স্বর্ণের মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় লাগা আগুন নিভে গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে আবহাওয়া ঠাণ্ডা রাখতে রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটানোর সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা পর্যায়ে জনগণের মাঝে স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান, শাহীন আক্তার, মজিবুর রহমান চৌধুরী, সালাউদ্দিন মাহমুদ ও আশ্রাফুন নেছা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে জরুরি ভিত্তিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার পূর্বাভাস এবং সার্বিক সহযোগিতায় স্বচ্ছতা আনতে ‘বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর’ এবং ‘বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরকে’ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভুক্ত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছে কমিটি। বৈঠকে ইউনি ব্লক প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ এবং আট মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় অবকাঠামো নির্মাণে বিল্ডিং কোড ব্যবহারের পরামর্শ প্রদানের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে টিআর কাবিখার মাধ্যমে গ্রামের মজা পুকুর খনন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে মাছ চাষ বৃদ্ধি এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চার দিন আগে হালকা বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতায় সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে চট্টগ্রাম নগরবাসীকে। জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে নগরবাসী বারবার আকুতি জানিয়ে আসছে। কিন্তু বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের ঘোষিত নতুন অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব পায়নি এই সমস্যা।
এই খাতে এক দশক ধরে যেভাবে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, ঘোষিত বাজেটেও এর ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়েছে। খাল, ছড়া, নালা, নর্দমা রক্ষণাবেক্ষণসহ জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বরাদ্দ রাখা হয়েছে বাজেটের মাত্র দেড় শতাংশ। যদিও নগর পরিকল্পনাবিদরা নিয়মিত খাল-নালা পরিষ্কারের পাশাপাশি নানা উদ্যোগের কথা বলে আসছেন। অপ্রতুল বরাদ্দে তা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন তাঁরা।
নগরের আন্দরকিল্লার পুরোনো নগর ভবন মিলনায়তনে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ১ হাজার ৮৮৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। এর মধ্যে খাল, ছড়া, নালা, নর্দমার রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) এই খাতে ২৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও খরচ হয়েছে মাত্র ৭ কোটি টাকা।
নগরে খাল রয়েছে ৫৭টি ও নালা ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। প্রকল্পটির আওতায় ৩৬টি খাল ও ৩০০ কিলোমিটার নালা খনন ও সংস্কার করা হবে। নগরের বাকি ২১টি খাল ও ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার নালা নিয়মিত পরিষ্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। এই অপ্রতুল বরাদ্দ দিয়ে তা রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অথচ ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী। এটি তাঁর তৃতীয় বাজেট। তিন অর্থবছরের বাজেটে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে বিশেষ কোনো বরাদ্দ রাখতে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে তিনি বলছেন, খাল-নালাগুলো সংস্কারে নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কমছে বাজেটের আকার
২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ হাজার ১৬১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার বরাদ্দ ২৭৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা কমেছে। এর আগের অর্থবছরেও ৩২০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা কমিয়ে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল।
সরকারের অনুদান কমছে
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বাজেটে সরকারের অনুদান ক্রমান্বয়ে কমে আসছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে উন্নয়ন অনুদান প্রত্যাশা ৮৯৪ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে প্রত্যাশা ছিল ১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। বিপরীতে মিলেছে ৬৪১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। নিজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৫০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে আয় ধরা হয়েছিল ৯০৪ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেট অনুসারে সিটি করপোরেশনের আয় হয়েছে ৫০৬ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে বাজেট বিবরণী উপস্থাপন করেন অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. ইসমাইল। উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি অশান্তি সৃষ্টি না করে তাহলে বিএনপি কখনও অশান্তি সৃষ্টি করবে না। শান্তির লক্ষ্যেই বিএনপির প্রতিষ্ঠা। আর লুটপাটের জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা। বিএনপি কখনও চুরি-লুটপাটে বিশ্বাস করে না। বিএনপির এই আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। এ দেশের মানুষের মুক্তি, শান্তি ও দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যেই এই আন্দোলন।’
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর টাউনহল মোড়ে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তেল, গ্যাস, চাল, ডাল, বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো এবং ১০ দফা দাবি আদায়সহ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে।
এ সময় মির্জা আব্বাস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র মুক্ত করতে হবে। এ দেশের মানুষের কথা বলতে দিতে হবে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সেখানে যে জিতবে সেই ক্ষমতায় যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সেই নির্বাচন করবে না।
‘বিএনপি’র পাশে কোনো বন্ধু নাই’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের জবাবে বিএনপির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দেশের বাইরে আমাদের কোন প্রভু নাই, আমাদের বন্ধু আছে। আর দেশের বাইরে যদি বন্ধু না-ই থাকে তাহলে প্রয়োজনও নাই। দেশের সাধারণ মানুষ বিএনপির বন্ধু।
ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, শরীফুল আলম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ।
বক্তব্য শেষে পদযাত্রাটি টাউন হল থেকে শুরু হয়ে নতুন বাজার, আমলাপাড়া হয়ে গঙ্গাদাস গুহ রোডস্থ বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন স্ত্রীর অস্ত্রোপচারের জন্য টাকা দরকার। টাকা তুলতে একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাহবাগ এলাকার বুথে যান আতাউর রহমান (৬০)। সেখানে আগে থেকেই একজন অপরিচিত ব্যক্তি ছিলেন। বুথে এটিএম কার্ড প্রবেশ করিয়ে টাকা তুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন আতাউর। সাহায্য করার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে এটিএম কার্ড নেন ওই ব্যক্তি। আতাউরকে একই রঙের আরেকটি কার্ড ধরিয়ে দিয়ে কৌশলে গোপন নম্বর (পিন) জেনে সটকে পড়েন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর আতাউর রহমানের মুঠোফোনে পাঁচবারে এক লাখ টাকা তুলে নেওয়ার বার্তা আসে।
আতাউর রহমানের প্রতারিত হওয়ার ঘটনাটি গত জুন মাসের। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়লের টিএসসি এলাকার একটি বুথে টাকা তুলতে গিয়ে একই ধরনের সমস্যায় পড়েন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক উম্মে আতিয়া। তাঁকেও সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন আগে থেকে এটিএম বুথের ভেতরে থাকা এক ব্যক্তি। টাকা তুলতে সাহায্য করার কথা বলে তাঁর কার্ড অদলবদল করেন তিনি।
উম্মে আতিয়া ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বলেন, ‘টাকা তুলতে গিয়ে দেখি, এটিএম বুথে কার্ড প্রবেশ করছে না। তখন বুথের ভেতরে থাকা এক ব্যক্তি সাহায্য করার কথা বলে আমার কাছ থেকে এটিএম কার্ডটি নেন। তাঁর হাতেও একটি কার্ড ছিল। কয়েক সেকেন্ড পরে আমাকে কার্ড ফেরত দেন। সেই কার্ড দিয়ে আমি আবার টাকা তোলার চেষ্টা করি। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে কার্ডের গোপন নম্বর দেখে ফেলেন ওই ব্যক্তি।’
টাকা তুলতে না পেরে বুথ থেকে ফিরে আসেন জানিয়ে উম্মে আতিয়া বলেন, ‘কিছুক্ষণ পরে আমার মুঠোফোনে ৫০ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার বার্তা আসে। পরে আমি বিষয়টি ব্যাংক ও পুলিশকে জানাই।’
এ দুটি ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে শহিদুল ইসলাম ও মামুন মাতুব্বর নামের দুই জনকে শনাক্ত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। ঢাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে বৃহস্পতিবার তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবি জানায়, শহিদুল ও মামুনই ওই দুই ঘটনায় এটিএম কার্ড হাতিয়ে নিয়ে টাকা তুলে নিয়েছিলেন। এটিএম বুথগুলোর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা ২০১৫ সাল থেকে এভাবে মানুষের এটিএম কার্ড নিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। এক্ষেত্রে তাঁরা নারী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু বানাতেন। দিনে যখন বুথের নিরাপত্তাকর্মীরা খাবার খেতে যান, তখন বুথে ঢুকে লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করেন। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বুথের নিরাপত্তাকর্মীদের টাকা দিয়ে এ কাজ করতেন।
এ বিষয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বলেন, টাকা তুলতে কোনো ব্যক্তি এটিএম বুথে প্রবেশ করার আগে শহিদুল বুথে ‘মোবাইল ব্যাংকিং অপশন’ চালু করে রাখতেন। যেসব ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা আছে, সেগুলোতেই শুধু এই অপশন চালু রাখা যায়। শহিদুল অপশনটি চালু রাখায় গ্রাহক কার্ড বুথে প্রবেশের চেষ্টা করলে তা ফিরে আসত। তখন শহিদুল টাকা তুলতে সাহায্য করার কথা বলে গ্রাহকের কার্ড নিয়ে নিজের কাছে থাকা একই ধরনের কার্ড গ্রাহককে দিতেন। কৌশলে কার্ডের পিন নম্বরও জেনে নিতেন। পরে গ্রাহকের কার্ড দিয়ে টাকা তুলে নিতেন শহিদুল।
ডিবি সূত্র জানায়, শহিদুল প্রতারণার ঘটনায় আগেও চারবার গ্রেফতার হয়েছেন। জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও একই অপরাধে জড়িয়েছেন তিনি। শুধু ঢাকায় নয়, দেশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তিনি এই প্রতারণা করেন। এভাবে প্রতি মাসে পাঁচ থেকে ছয়টি প্রতারণা করেন। তা থেকে দুই থেকে তিন লাখ টাকা আসত তাঁর।
ডিবি কর্মকর্তাদের তথ্য মতে, শহিদুল এসএসসি পাস করে একসময় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। একপর্যায়ে নিজেই এটিএম প্রতারণার এই কৌশল শেখেন। পরে পোশাক কারখানার চাকরি ছেড়ে দিয়ে একটি চক্র গড়ে তোলেন। তিনি যখন বুথের ভেতরে থাকেন, বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে কে বুথে প্রবেশ করছেন, সেই তথ্য তাঁকে দেন মামুন। অষ্টম শ্রেণি পাস মামুন এক সময় চা বিক্রি করতেন। শহিদুলের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর এই চক্রে জড়ান তিনি।