চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম আলোর পাঠক সংগঠন বন্ধু সভার উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সহমর্মিতার ঈদ উপহার হিসেবে নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৭ এপ্রিল সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঈদের সহমর্মিতার ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়।
পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক অধ্যাপক বিভূতিভূষণ দেবনাথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদুল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সাংবাদিক মফিজুর রহমান লিমন, সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদৎ হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ বলেন, বন্ধু সভার সদস্যরা নিজেরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে তহবিল গঠন করে সহমর্মিতার ঈদের নতুন পোশাক কিনেছেন। প্রতি বছরই বন্ধুসভার সদস্যরা এই কাজটি করে আসছেন। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সী ব্যক্তিদের জন্য তারা নতুন কাপড় পছন্দ করে কিনে বিতরণ করেন। এবছর বন্ধু সভার সদস্যরা ৩০ হাজার টাকায় ৬০জনের হাতে সহমর্মিতার ঈদের নতুন পোশাক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বন্ধুসভার সভাপতি তুলি গোস্বামী, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, সদস্য মোঃ মাইনুদ্দিন রুবেল, ইকবাল হোসেন, সাদ হোসেন, অনন্যা সাহা, মাজহারুল করিম অভি, আরেফিন শোভন, তুহিন ইসলাম, শারমিন আক্তার, সবুজ মোল্লা, জয় ইসলাম, জারা জেনি, তানজিলা আক্তার, শাহরিয়ার তানজিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার নিহত নাইমা আক্তারের বাবা বিল্লাল মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রাম থেকে নাইমা আক্তার (১৩) ও মাইমুনা আক্তার (১৫) নামের দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসার দুই শিক্ষক হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার (২৮) ও হাফেজ রায়হান খন্দকার (২৬) সহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার সদর উপজেলার পয়াগ গ্রামের আব্দুল খায়ের খন্দকারের ছেলে।
মামলার পর পর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসায় গত ৬ মাস যাবত নাইমা আক্তার ও ২০২১ সাল থেকে মাইমুনা আক্তার পড়াশুনা করে আসছে। অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার পর মাদ্রাসা এক সপ্তাহের জন্যে বন্ধ থাকায় তারা দুইজন বাড়িতে চলে যায়। মাদ্রাসা খোলার পর গত ২৩ আগস্ট তাদের দুইজনকে যার যার পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসায় এনে শিক্ষকদের কাছে দিয়ে যায়। কিন্তু পরদিন ২৪ আগস্ট সকালে মাদ্রাসা থেকে মোবাইলের মাধ্যমে জানানো হয় নাইমা ও মাইমুনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই খবরে মাদ্রাসায় গিয়ে সিসি টিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে তা দেখানো হয়নি। তাদের দুইজনকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই অবস্থায় গত ২৭ আগস্ট ভোরে সাদেকপুরে নাইমা ও মাইমুনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর দুইজনের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। মরদেহের অবস্থা ও বর্ণিত আলামতের প্রেক্ষিতে বাদী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন দুই মাদ্রাসার ছাত্রীকে দুই শিক্ষক সহোদর হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন জানান, হত্যা মামলার পর মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন থানায় ৩২ বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৯ অক্টোবর রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাজধানীতে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এরপরই দেশব্যাপী হরতাল ঘোষণা করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা ও চেষ্টা চালানো হয়। জেলার অনেক জায়গায় ককটেল নিক্ষেপ করে। এসব ঘটনা পুলিশ ৬৯ জনকে আটক করে। পরে রবিবার জেলার আট থানায় এক হাজার ৪২জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ এবং গ্রেফতারদের আদালতে পাঠায়।
রবিবার রাত ব্যাপী জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে আরো ৩২জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে জেলার নাসিরনগরে ছয়জন, বাঞ্ছারামপুরে ছয়জন, বিজয়নগরে ৪জন, সদরে আটজন ও নবীনগরে আটজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে ৩২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে আগেও মামলা ছিল। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাস ফিল্ডের কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে সবীর মিয়া (৪২) নামে এক প্রতারককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের শান্তিনগর থেকে সোমবার দুপুরে তাকে আটক করা হয়। সবীর মিয়া জেলার কসবা উপজেলার বাদৈর গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, সবীর মিয়া বেশ কিছুদিন ধরে পৌর এলাকার ভাদুঘর ও সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে নিজেকে গ্যাস ফিল্ডের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে অভিযান চালান। এ সময় গ্যাস সংযোগের কাগজপত্র দেখতে চাইতেন তিনি।
সুযোগ বুঝে গ্যাস সংযোগে অনিয়ম হয়েছে মর্মে ভয় দেখিয়ে লাইন কেটে দেওয়ার হুমকি দিতেন। এরপর অনেকে টাকা দিয়ে তার সঙ্গে রফাদফা করতেন। পাশাপাশি নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কথা বলে অনেক মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।
পরে লোকজন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সবীর মিয়া গ্যাস ফিল্ডের কর্মকর্তা নন, প্রতারক। সবীর মিয়া সোমবার সকালে আবারো শান্তিনগর এলাকায় গিয়ে কয়েকটি বাড়িতে গ্যাস সংযোগের কাগজ ও চুলা দেখতে চাইলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ওসি আসলাম হোসাইন বলেন, অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
একটি নান্দনিক সাহিত্য সংকলন-‘তিতাস পাড়ের পদ্য পাতায় পদ্মাসেতু’র মোড়ক উন্মোচন হলো।
আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। এসময় মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, অধ্যাপক-লেখক মানবর্দ্ধন পাল, অধ্যক্ষ বিভূতি ভুষণ দেবনাথ, কবি মনির হোসেন, কবি আমির হোসেন, কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়, কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস, কবি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি হাজী মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা বারের পিপি এডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন প্রমুখ।
এসময়, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে আমি সালাম ও শুভেচ্ছা জানালাম।
এসময় তিনি পৃথিবীর বুকে বাংলার গর্ব পদ্মাসেতু নিয়ে এই বিশেষ সংকলনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুই বাংলার খ্যাতিমান ও জনপ্রিয় বাচিকশিল্পী মো. মনির হোসেন।