চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে মোঃ জুলহাস (২৫) ও আরমান হোসেন (১৭) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ফেন্সিডিল বহনকারী একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা জব্দ করা হয়।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর জিলানী ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জুলহাস বিজয়নগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে ও আরমান হোসেন একই গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিমল কর্মকার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ৯৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, নবীনগর ও বিজয়নগর এই তিন উপজেলার নির্বাচনের প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। জয়ের আশায় প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইছেন, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। প্রার্থী নিজে এবং তাদের কর্মী সমর্থকদের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতীকের প্রচার করছেন তারা। এদিকে ভোটারদের মতে, সৎ যোগ্য ও এলাকার উন্নয়নে যিনি ভূমিকা রাখবেন, যাকে সুখে দুখে পাশে পাওয়া যাবে, তাকেই তারা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন। তবে ভোটার এবং প্রার্থী সকলেই আশাবাদী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ভোটাররা সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে চান। তবে জয়ের ব্যাপারে সকল প্রার্থীরাই আশাবাদী। আর তাই সেই আশায় প্রার্থীরা বিরামহীন চালিয়ে যাচ্ছেন নিজ নিজ প্রচার প্রচারণা। দিন যতই যাচ্ছে প্রার্থী, কর্মী ও ভোটারদের মধ্যে বাড়ছে আুৎসবের আমেজ। প্রার্থীর পক্ষে কর্মীরা সালাম জানাচ্ছেন ভোটারদেরকে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সবদিকে ধুলা। ধুলায় যেন অন্ধকার। বিজয়নগরের হরষপুর- মির্জাপুর উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সড়কের পথচারিদের শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এ পথের যাত্রীদের সীমাহীন দুভোগ।
জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলার খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক হরষপুর-মির্জাপুর উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সড়ক।
সড়কটি পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার সাথে বিকল্প সংযোগ সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ পাশর্^বর্তী মাধবপুর উপজেলার অধিকাংশ জনগোষ্ঠি চলাচল করে থাকেন। তবে দীর্ঘদিন যাবত এ সড়কটি বেহাল অবস্থায় থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষজন। বর্ষার মৌসুমে কাদা পানি সয়লাব আর শুষ্ক মৌসুমে প্রচুর ধুলাবালির সৃষ্টি। শুষ্ক মৌসুমে সড়কে পানি দিয়ে কিউরিং না করায় ধুলা-বালিতে ভরপুর। এ সড়কের যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ কোনোভাবেই কাটছে না।
উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গেল বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কটির সংস্কারের দরপত্র (টেন্ডার) আহ্বান করা হয়। প্রায় ৪ কোটি টাকায় সংস্কার কাজটি পায় চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিপন ট্রেডার্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেসার্স পিন্টু কন্সট্রাকশন (জয়েন্ট বেঞ্চার) । কাজটি করাচ্ছেন মেসার্স পিন্টু কন্সট্রাকশনের মালিক মোঃ আতাউর রহমান পিন্টু। গেল বছরের মার্চ মাসে সংস্কার কাজটির ওয়ার্ক অর্ডার (অনুমতিপত্র) পায় প্রতিষ্ঠানটি। গত বছরের অক্টোবর মাসে কাজটি শেষ করার কথা থাকলেও আদৌ পর্যন্ত সড়কটির সংস্কারের কাজ শেষ করতে পারে নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে সংস্কারের কাজ গত বছরের শেষ দিকে শুরু করে প্রায় ৩ কিলোমিটার সংস্কার কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ঐ সংস্কার করা সড়ক ও ভাঙ্গন ও খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে এ সড়কের হরষপুর ইউনিয়নের অর্ন্তগত বাগদিয়া ব্রীজ থেকে হরষপুর দেওয়ান বাজার পর্যন্ত সড়কের ভেকু দিয়ে সড়ক খুঁড়ে রেখেছে ঠিকাদারীপ্রতিষ্ঠান। সড়কের কাজ না করায় মাসের পর মাস অতিবাহিত হচ্ছে। কাজ বন্ধ থাকায় ধুলাবালিতে বিশাল এলাকায় ধুলোর নগরীর পরিণত হয়েছে। সড়কের পাশে থাকা স্কুল, মাদ্রাসা, দোকানপাট, হাট-বাজারের মানুষের অবস্থায় খুবই নাজুক।বাগদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, এ সড়ক এখন ধূলার কারখানা। এ সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করলে শরীরে ধুলার প্রলেপ পড়ে ধূলোর আস্ত জমাট বাঁধে। সড়কের পাশে থাকাবাড়ি ঘর লোকজন জানান, সড়কের ধুলাবালি ঘরে ঢুকছে আর এ ধুলাবালু ঘরের আসবাপত্রে জমাট বেঁধেছে। ঘরে খাবার দাবারেও ধুলা পড়েছে। তারপরও সহ্য করে এসব খাবার খেতে হচ্ছে তাদের। সড়কেরপাশে থাকা গাছপালার লতাপাতা এখন ধুলাবালুতে আচ্চাদিত। প্রচুর ধুলাবালুতে বসবাস করতে হচ্ছে তাদের।
ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, প্রতিদিনই মোটর সাইকেল যোগে এ সড়ক দিয়ে একাধিকবার যাতায়াত করতে হয়। মাস্ক ও রুমাল পড়েও ধুলা থেকে কোনোভাবেই রেহাই মিলছে না।
কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী শান্তা বলেন, ধুলাবালুতে অবস্থা খারাপ। কলেজে আসা-যাওয়ার খুবই কষ্ট হচ্ছে। আর জামা-কাপড়ের অবস্থা তো বলে শেষ করা যাবে না। আর কত দুর্ভোগ পেতে হবে?এদিকে সড়কের অবস্থা ভালো না হওয়ায় এ সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কমে গেছে। আর যাত্রীদের ভাড়া গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত। সড়কের অতিরিক্ত ধুলাবালি নিঃশ্বাসের সঙ্গে মানবদেহে প্রবেশকরছে। এতে করে অ্যাজমা, হাঁপানী শ্বাস কষ্টসহ নানা রোগব্যাধির সম্ভবনা রয়েছে।এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মোঃ আতাউর রহমান পিন্টুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশিকুর রহমান ভূঞা সড়কের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, সড়কের কাজে কিছু ক্রুটি-বিচ্যুতি থাকায় তা তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দ্রুত করার জন্য বলা হয়েছে। আর যদি দ্রুত কাজ না করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে কাজের সময়সীমা অতিবাহিত হয়ে গেলেও ঠিকাদার ঢাকা অফিসেও সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে পোস্টারে পলিথিনের আবরণ, প্লাস্টিক ব্যানার ব্যবহার ও দুপুর দুইটার আগে মাইকিং করার দায়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১ জুন শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনের নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মোজাহেরুল হক এই জরিমানা করেন।
জরিমানা যারা দিয়েছেন তারা হলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী নাছিমা মুকাই আলী (ঘোড়া প্রতীক) ও চেয়ারম্যান প্রার্থী আল জাবের (আনারস প্রতীক) এর ৪ জন সমর্থক।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনের নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মোজাহেরুল হক বলেন, উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬” এর সংশ্লিষ্ট বিধি লঙ্ঘনের অপরাধে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের চল্লিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
এসময় উপস্থিত প্রার্থী ও সমর্থকদের নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি কুকি-চিনের সদস্যদের হায়ার করে দেশের স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৬ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঈদ সামগ্রী বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্যসহ সবদিক দিয়ে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এটাকে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন সদস্যদের হায়ার করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে বিএনপি।
বিএনপির ভারত বিরোধিতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, এটা হচ্ছে তাদের পেরোনো রাজনীতি। কারণ, ভারত হচ্ছে মুক্তিসংগ্রামে আওয়ামী লীগের পরম বন্ধু। ভারতের সহযোগিতায় মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা পাকিস্তানকে পরাজিত করেছি। তাদের প্রশিক্ষিত ৯৪ হাজার সেনা সদস্য মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনীর কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে। সুতরাং ভারত বিরোধিতা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের একটি অংশ। তিনি বলেন, বিএনপি ভারত বিরোধিতা ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ঈদেও তারা ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করবে। তারা ঈদে যে সমস্ত মসলা ব্যবহার করবে এর শতকরা ৯০ ভাগ মসলা ভারত থেকে আসবে। ভারতীয় মসলা ছাড়া তাদের চলবে না। নিজ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রসঙ্গ টেনে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিকাংশ বিএনপি নেতা-কর্মীর ভারতের আগরতলার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য আছে। সুতরাং এটা তাদের ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ইস্যুতে দেশের জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। ভারত বিরোধিতায় নেই। ভারত ভারতের মতো করে আছে। আমরা আমাদের মতো করে আছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মো. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, ওসি আসাদুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এর আগে মন্ত্রী বিজয়নগর উপজেলার দশটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি এলাকার সার্বিক খোঁজখবর নেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসন জনপ্রতিনিধিসহ সবার প্রতি আহ্বান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। ১ মার্চ বুধবার সকালে মামলা করা হয়েছে।
বর্তমানে এলাকা পুরুষশূন্য। এ ঘটনায় ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল ও একই গ্রামের হারিছ মিয়াকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
হামলায় আহত মো. মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই আজাদ হোসেন বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহম্মেদ বলেন, হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাকাজুড়ে পুলিশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আক্তার হোসেন ও বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুলের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে হোসেনের ছোট ভাই মো. মোশাররফ হোসেনকে (৪০) খাদুরাইল মোড়ে একা পেয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন প্রতিপক্ষরা। তাকে আহত অবস্থায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুরো এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। বুধবার আহত মোশাররফের ছোট ভাই আজাদ হোসেন বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।