চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আখাউড়া স্থলবন্দরে পাঁচদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে আজ ২১ এপ্রিল শুক্রবার থেকে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
তবে এ সময়ে বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে পাঁদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে ভারতীয় ব্যবসায়ী ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ছুটি শেষে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে যথারীতি পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় উত্তর-পূর্ব ভারতে। রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, রড, সিমেন্ট, ভোজ্য তেল, তুলা ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ইত্যাদি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩ বাংলাদেশি নারীকে আটক করেছে বিজিবি। আজ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ফকিরমোড়া বিওপির টহল দল তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলেন- ঢাকার সাভারের রেডিও কলোনীর মৃত রহমান দেওয়ানের মেয়ে টুম্পা খাতুন, বেলাল হোসেনের মেয়ে পাপিয়া খাতুন ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের সোনাকান্দা গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে রিয়া খান।
সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অবৈধভাবে ভারত গমনের চেষ্টাকালে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি)-এর অধীনস্থ আখাউড়ার ফকিরমোড়া বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ২০২২/৬-এস থেকে আনুমানিক ৩০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আব্দুল্লাহপুর থেকে ওই ৩ বাংলাদেশি নারীকে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের খারকোট গ্রামের আয়েত আলী মিয়ার ছেলে মানব পাচারকারী দালাল মো. আবুল বাদশা এই ৩ নারীকে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রেরণের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে সীমান্তবর্তী চেকপোস্ট এলাকার মানব পাচারকারী দালাল অহিদ মিয়ার ছেলে আলম মিয়ার মাধ্যমে কাজের উদ্দেশ্যে তারা ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় কাস্টমস কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মারধরের শিকার কাষ্টম্স এর সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা প্রধান মো. কামরুল পারভেজ বাদী হয়ে আজ ১৬ মার্চ শনিবার চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই হৃদয় (২৮) নামে একজনকে আটক করেছে। হৃদয় উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের ইদন মিয়ার ছেলে। আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নূরে আলম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আখাউড়া স্থল বন্দর সংশ্লিষ্ট একটি চক্র দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আখাউড়া ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, কসমেটিক্সসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে এনে শুল্ক ফাঁিক দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। শুক্রবার বিকালে ভারত থেকে আসা এক বা একাধিক যাত্রী সাত-আটটি বড় ব্যাগে (লাগেজ) করে মালামাল নিয়ে আসেন। নিয়ম অনুসারে ওই সব সব লাগেজ কাস্টমসের লাগেজ স্ক্যানিংয়ের কক্ষে না নিয়ে কৌশলে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি কাস্টমস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বুঝতে পেরে ওই তাদেরকে লাগেজ স্ক্যানিং কক্ষে নিয়ে যেতে বলেন।
এতে ওই চক্রটি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে জোর করে অটোরিকশা দ্রুত চলে যায়। এসময় কাস্টমস কর্মকর্তরা মোটর সাইকেল নিয়ে তাদের পিছু নেয়। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা প্রধান মোঃ কামরুল পারভেজের নেতৃত্বে তিনজন কিছু দূর পরে বক্সের চড় মসজিদের সামনে সড়কে ওই অটোরিক্সাটির গতিরোধ করে। লাগেজগুলো চেকিং করার জন্য কাষ্টম্স এ ফেরত নিতে বলেন। এমন সময় পেছনে থেকে মোটর সাইকেলে এসে কয়েকজন যুবক কাষ্টম্স কর্মকর্তাদের উপর হামলা করে তাদেরকে কিল ঘুষি, লাথি মেরে আহত করে। অপর আহতরা হলো কাস্টমসের সিপাহি পদে কর্মরত মো. জুম্মন ও মো. ইমন মিয়া। এক পর্যায়ে ওই চক্রটি কাষ্টম্স কর্মকর্তাদের মোটর সাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে ভারতীয় মালামাল ভর্তি অটোরিক্সাটি ছাড়িয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা লোকজন এগিলে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
আহত সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ কামরুল পারভেজ বলেন, ভারতীয় মালামাল স্ক্যানিং করতে বলায় কবির, আওলাদ, হৃদয়সহ কয়েকজনের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা হয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে রাতেই থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নূরে আলম বলেন কাষ্টমস এর কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে আসমাী করে মামলা দিয়েছে। রাতেই এজাহারনামীয় একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদেরকে আটকে চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় দ্রব্যমূল্যের বাজার মনিটরিং বিষয়ক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ ১১ মার্চ সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার।
বক্তারা রমজানে বাজার মনিটরিং করার জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করার প্রস্তাব করেন। বাজারমূল্য তদারকিতে মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার কথা বলেন। জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে বাজার জানজট মুক্ত রাখার আহবান জানান। ব্যবসায়ীদেরকে অতিরিক্ত মুনাফা না করার আহবান জানানো হহয়। ক্রেতা সাধারণকেও প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত পণ্য না কেনার অনুরোধ করা হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, আখাউড়া থানার ওসি মোঃ নূরে আলম, সড়ক বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সহ সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির খোকা, কারিমা চাইনিজ রেষ্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মমিন বাবুল, মোগড়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেকান্দার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় সারা দেশের ন্যায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ৫ টি কেন্দ্রে এসএসসি, ১ টি কেন্দ্রে দাখিল ও ১ টি কেন্দ্রে ভোকেশনাল কারিগরি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনের পরীক্ষায় ২৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, প্রথম দিনের এসএসসির বাংলা পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ২৫২ জন, অনুপস্থিত ছিল ১০ জন, দাখিলে কোরআন মজিদ বিষয়ের পরীক্ষার্থী ছিল ৩২০ জন, অনুপস্থিত ১৩ জন এবং ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৬৬ জনের মধ্যে ১ জন অনুপস্থিত ছিল।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মেঃ আবুল হোসেন বলেন নকলমুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এসএসসি সমমান প্রথম দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় খড়মপুর কল্লা শহীদ (র.) বার্ষিক ওরসে এসে ট্রেনের ধাক্কায় ৪ জন নিহত ও ১ জনত আহত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আখাউড়া-সিলেট বাইপাস রেলপথের খড়মপুর মাজার শরীফ এলাকায় সেতু পারাপারের সময় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তারা হলেন- নরসিংদী জেলার মাধবদি থানার নোয়াকান্দি গ্রামের গাজী মিয়ার পুত্রে শুকুর মিয়া (৬০), একই জেলার পলাশ উপজেলার মোতালেব মিয়ার পুত্র মোজাম্মেল, (২০), নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলার চিলকান্দি গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে মতি ভূঁইয়া (৫৫)। অপর ১ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম নামে আহত একজনকে উদ্ধার করে রাতেই আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় পুলিশ।
আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার সকালে তার স্বজনরা এসে নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর রাত্র থেকে আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর কল্লা শহীদ (র.) ৭ দিন ব্যাপী বার্ষিক ওরস শুরু হয়েছে। উরস উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে মাজার এলাকায়। রাত্র সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-সিলেট রেলপথের মাজার সংলগ্ন এলাকায় ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের থাক্কায় এবং ঝাঁপ দিয়ে পানিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাতেই ২টি মরদেহ উদ্ধার করে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা এবং দুপুর ১২টার দিকে আরও ২ টি মরদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে ফায়াস সার্ভিসের কর্মীরা।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ সদস্য বলেন, ট্রেনের গতি বেশি ছিল এবং ট্রেনটি সেতুর কাছাকাছি এসে হুইসেল দেওয়ায় সেতু পার হতে না পারায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শুক্কর আলীর ছোট ভাই সামসুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নৌকা দিয়ে ৪০/৪৫ জন লোক খড়মপুর আসেন। মাজারের পশ্চিমে রেললাইনের পাশে নৌকা রেখে তারা কয়েকজন পায়ে মাজারের দিকে যাওয়ার সময় হঠাৎ ট্রেন চলে আসলে ভাই ট্রেনের ধাক্কা খেয়ে পানিতে পরে যায়। পরে তার লাশ দেখে সনাক্ত করি।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাজার শরীফে আসা লোকজন রেলসেতু পারাপার হচ্ছিল। এসময় ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন এলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন আসার সংকেত দেয়। লোকজন তাড়াহুড়া করে রেলসেতু পারাপার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় সেতু থেকে নদীতে ছিটকে পড়ে নিহত হয়। খবর পেয়ে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস নদী থেকে ২টি মরদেহ উদ্ধার করে। পরে শুক্রবার ভোরে এবং দুপুরে আরো ২টি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এদের মধ্যে দু’জনকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আখাউড়া থানার ওসি মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞাত একজনকে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মুনিম সারোয়ার বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ২টি এবং শুক্রবার ২টি মরদেহ উদ্ধার করেছি। এখনও খোঁজাখুজি চলছে।
উল্লেখ্য, খড়মপুর মাজার শরীফে সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ওরশ চলবে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত।