চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের ফরিদ মোল্লার ছেলে জহির উদ্দিন রানা।
মা-বাবার একমাত্র ছেলে জহির উদ্দিন পরিবারের মুখে হাঁসি ফোটাতে ১৯ বছর আগে পাড়ি জমিয়েছিলেন সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায়।
সেখানকার বেলকম শহরে তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
কথা ছিল, ঈদের পর বাড়ি এসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। পরিবারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে চলছিল প্রস্তুতিও। তবে সব স্বপ্নই ধূলিসাৎ করে দেয় সেদেশের সন্ত্রাসীরা।
গত ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই নিহত হন জহির উদ্দিন।
আর একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই ফরিদ মোল্লার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘরে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ জহির উদ্দিনের বাবা-মা।
২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ঘটনার রাতেই জহিরের পরিচিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা তার বাবার নম্বরে ফোন করে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানায়। এরপর থেকে পরিবারে চলেছে শোকের মাতম।
নিহত জহির উদ্দিনের বাবা ফরিদ মোল্লা ও মাতা আছিয়া খাতুন জানান, তাদের একমাত্র ছেলে জহির উদ্দিন। দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান প্রায় দুই দশক আগে। মাঝখানে ১০ বছর আগে একবার দেশে এসেছিলেন। পরিবারকে বলেছিলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুছিয়ে এসে এবারের ঈদের পরই বিয়ে করবেন। পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ে নিয়ে প্রস্তুতিও চলছিল। কিন্তু সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ায় এখন পরিবারটির সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ জহিরের মা-বাবার একটাই দাবি, প্রিয় সন্তানের মরদেহ যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হয়।
নিহত জহির উদ্দিন রানার পরিবারে মা-বাবা ছাড়া তার একটিমাত্র বোন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি ও জামাতের ডাকা তিনদিনের অবরোধে নাশকতা এড়াতে ও জনগনের জানমালের নিরাপত্তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাঠে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
গত সোমবার রাতে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসারের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী টহল শুরু করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মহাসমাবেশের দিন পুলিশের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের।
এ সময় এক পুলিশ সদস্য নিহত আরো অনেক পুলিশ আহত হয়। পরদিন ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি ও জামায়াত। হরতাল শেষে রাতে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সড়ক, রেলপথ ও নৌপথে অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপি। জামায়াতও পৃথকভাবে একই সময়ে অবরোধ ঘোষণা করে।
এর প্রেক্ষিতে নাশকতারোধ ও জনগনের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ শুরু করেছে আইন-শৃংখলা বাহিনী।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর। অবরোধকে সামনে রেখে যে কোন প্রকার নাশকতা এড়াতে আমরা কাজ করছি। তাই সোমবার রাত থেকে গুরুত্বপূর্ন স্থান ও মহাসড়কে টহল দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাঠে কাজ করছে। তিনি বলেন, গত তিনদিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার অভিযোগে ১২১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণহত্যার দায়ে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের ফাঁসি এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতীয় ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আজ ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপি সদস্য সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহীনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সমীর চক্রবর্তী, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক জিএস আরমান উদ্দিন পলাশ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক আহবায়ক সজিব, সদস্য সচিব ইয়াছিন বাবু প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আরমান মিয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৬)কে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ফারুক (৩৪) এর বিরুদ্ধে। আজ ২৬ জুলাই শুক্রবার সকাল ১০টায় পৌর এলাকার পুনিয়াউট (হাসিনাবাগ) এলাকার ভাড়া বাসার বাথরুম থেকে তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরপরই স্বামী ফারুক পালিয়ে যায়। নিহত তানিয়া বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কাঠালকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম ছোটন মিয়ার মেয়ে ও ফারুক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের শাহআলম মিয়ার ছেলে।
গত ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি ফারুকের সাথে তানিয়ার বিয়ে হয়। এটা তানিয়া ও ফারুকের দ্বিতীয় বিয়ে। তানিয়ার আগের সংসারে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।পুলিশ জানায়, বিয়ের পর থেকে ফারুক ও তানিয়া পৌর এলাকার পুনিয়াউট (হাসিনাবাগ) এলাকার একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস শুরু করে। ফারুক মাদকসেবি।
তানিয়া বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। মাদকের টাকার জন্য ফারুক প্রায়ই স্ত্রীকে মারধোরসহ ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করত।বৃহস্পতিবার রাতে মাদকের টাকার জন্য ফারুক তানিয়াকে মারধোর করে। পরে ভোরে তানিয়ার গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ঘরের বাথরুমে ফেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ফারুক। খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, আমরা ফারুককে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তানিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন,যারা স্বাধীন বাংলাদেশকে বিশেষ কোনো সম্প্রদায়ের রাষ্ট্র না ভেবে সকল মানুষের রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী তাদের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ থেকে তাদের অনেক কিছু শিখবার আছে। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর রচিত গ্রন্থগুলো বড়ো সহায়ক হবে। তিনি
আজ ১৭ মার্চ রবিবার বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতার ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানে বাঙালিদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। তাই তিনি তখনই বাঙালিদের জন্য নতুন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চিন্তা মাথায় নিয়ে কাজ শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু জীবনভর আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে কখনো অন্যায়-অনিয়মের কাছে মাথানত করে আপোষ করেন নি। আপোষ করেননি বলেই সকল বাঙালিকে তিনি ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন,প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন প্রচন্ড মানবিক। সমাজ ও মানুষের কথা ভাবতে ভাবতে তিনি নিজ সংসার-পরিবার নিয়ে ভাববার সময় পাননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত ভাষণ দেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। আলোচনা করেন জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি হাজি মো.হেলাল উদ্দিন,রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল,সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম।
অনুষ্ঠানে মার্চের সন্তান শিরোনামে দলীয় আবৃত্তি প্রযোজন পরিবেশন করে তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের মধ্যমদলের সদস্যরা।
এছাড়া জাতির পিতার জন্মদিন উদযাপনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকাল ৭ টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৯ টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।