চলারপথে রিপোর্ট :
বড়ভাই পুলিশকে তথ্য দেওয়ায় প্রতিশোধ নিতে তার ছোটভাইকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর কিশোর জাহিদুল হত্যার দায়ও শিকার করেছেন তারা।
আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোছাইন এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের দক্ষিণ জাগৎসার গ্রামের এলাছ মিয়ার চার ছেলের মধ্যে জাহিদুলসহ তিন ছেলে চট্টগ্রামে বেকারিতে কাজ করতেন। ১৭ রমজান ছুটিতে বাড়িতে আসে জাহিদুল। ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়ি বের হয়ে আর ফেরেনি। পরদিন সকালে সুলতানপুরে একটি পুকুরে জাহিদুলের বীভৎস মরদেহ পাওয়া যায়। জাহিদুলকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করে ভূরি বের করে ফেলা হয়। দুই হাতের কব্জির রগ ও বিশেষঅঙ্গও কেটে ফেলা হয়। দুই কানের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কাটা পাওয়া যায়।
ইকবাল হোছাইন আরো জানান, ঘটনা তদন্তে নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ। প্রযুক্তির সহায়তায় দক্ষিণ জগৎসার গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার তথ্যে একই গ্রামের নজরুল ইসলাম (৪৪) ও সিয়াম (১৫) নামে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতার অভিযান চলছে।
পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছেন, জাহিদুলের পরিবারের সঙ্গে পূর্ব বিরোধ ছিল মোহাম্মদ হোসেনের। দীর্ঘদিন আগে একটি নারী নির্যাতন আইনের মামলায় মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। তাকে পুলিশ খুঁজছিল। গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে তাকে ধরতে জাহিদুলের বড় ভাই সানাউল পুলিশকে সহায়তা করেছিলেন। এ থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন মোহাম্মদ হোসেন। ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয় কিশোর মো. সিয়ামকে দিয়ে কৌশলে সানাউলের ছোটভাই জাহিদুলকে ডেকে আনেন মোহাম্মদ হোসেন। তাকে সুলতানপুরের একটি পুকুরের পাড়ে নিয়ে মোহাম্মদ হোসেন ও তার বন্ধু নজরুল ইসলামসহ আরও দুজন মিলে কিশোর জাহিদুল ইসলামকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী।
আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) প্রতিনিধি সম্মেলনে নিজের বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষে এ দাবি উত্থাপন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দাবির বিষয়টি মনযোগসহকারে শুনেন।
এছাড়াও দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক সমাজ তথা পুরো জেলাবাসীর পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগীতা থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। পাশাপাশি মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সোচ্চার আছে বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন দীপক চৌধুরী বাপ্পী।
বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পরে বিকেলে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন।
সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর নেতৃত্বে সংগঠনের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও কোষাধ্যক্ষ আজিজুল সঞ্চয় অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ৫৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
আজ ৯ আগস্ট বুধবার বেলা ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৫৮জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উপলক্ষে সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।
সুবিধাভোগী অরুন মিয়া বলেন, স্ত্রী মরিয়ম বেগম ১৫ বছর আগে মারা যান। এরপর আর বিয়ে করিনি। ১৫ বছর ধরে চোখে দেখি না। টাইফয়েড জ্বর থেকে এমন হয়েছে। এলাকায় ভিক্ষা করে ও অন্যের থেকে সাহায্য নিয়ে চলতাম। তিনি বলেন, জমিসহ নতুন ঘর পেয়েছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি বলেন, বড় বোন ফরিদা খাতুনের স্বামী আলাই মিয়া ২০ বছর আগে মারা গেছেন। বর্তমানে বোন ও ভাগিনা লিটন মিয়াকে নিয়ে নতুন ঘরে থাকবো।
সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়ার দিনমজুর রাসেল মিয়া বলেন, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে ভাড়া থাকতাম। ঠিকমতো ঘরভাড়া দিতে পারি না। ইটের নৌকায় শ্রমিকের হিসেবে কাজ করি। ১৫ বছর ধরে ইট নিয়ে কুমিল্লায় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছি।
সুবিধাভোগী মাহমুদা বেগম বলেন, আমার স্বামী সুলতান মিয়া রিকশা চালান। হার্টে সমস্যা, অসুস্থ। রিকশা চালাতে পারে না। শহরের ফুলবাড়িয়ায় ভাড়া থাকি। আড়াই হাজার টাকা ঘর ভাড়া দিতে প্রতি মাসে কষ্ট হয়। ঘরের ভাড়া দিতে পারতাম না। নতুন ঘর দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।
সদর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুবিধাবঞ্চিত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের পুনর্বাসন করার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প- ২ প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার ৫৮টি পরিবারকে ২ শতক জমিতে একটি সেমিপাকা গৃহ নির্মাণ করে ক শ্রেনীর ভূমিহীন ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। জেলায় মোট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৬ হাজার ১৪২টি। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে, দ্বিতীয় পর্যায়ে, তৃতীয় পর্যায়ে ও চতুর্থ পর্যায়ে (১ম ধাপ) মোট ৫ হাজার ৯৫২টি ঘর উদ্বোধন করা হয়।
বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের দেয়া ৫৮ টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমীরপাড়ায় ২৫টি পরিবারকে, সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামে ১২ টি পরিবারকে এবং ১৯৯৭ সালে চিনাইর গ্রামের লাখুনিয়া দিঘীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাকের জীর্ণশীর্ণ ঘরের স্থলে ২১ টি একক গৃহ নির্মাণ করে পূর্ব থেকে বসবাসকারী এই ২১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তরের সময় প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে একটি করে গাছ উপহার দেন অতিথিরা।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, উপকারভোগীদের নিকট ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্যাস ফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাব আলীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে।
১৪ মে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- অধ্যক্ষ মোস্তাব আলীর স্ত্রী নাটোর উপজেলা সদরের পাইকপাড়ার বাসিন্দা মোছাম্মদ বিলকিস খাতুন (৫০), অধ্যক্ষের ছেলে আহমেদ ওয়াজিহ ওয়াসিক (২৭) ও নাটোরের পাইপাকপাড়ার পাওনাদার অধ্যক্ষের চাচাতো ভাই রায়েজুল ইসলাম ওরফে রাজু (৫৫)। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দেড় থেকে দুই বছর আগে রায়েজুলের কাছ থেকে সুদের উপর ছয় লাখ টাকা ঋণ করেন অধ্যক্ষ মোস্তাব আলী। সুদের কিস্তির টাকা নেওয়ার জন্য রায়েজুল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অধ্যক্ষের কাছে আসা-যাওয়া করতেন। সুদের কিস্তি দিতে দেরি হলে তিনি অধ্যক্ষকে মানসিকভাবে অপমান-অপদস্থ করতেন। অপরদিকে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে অধক্ষের পারিবারিক কলহ হতো। তারা বিভিন্নভাবে মানসিক চাপ দিয়ে নাজেহাল করাসহ আত্মহত্যা করার জন্য অধ্যক্ষকে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলতো। স্ত্রী-সন্তানের অপমানজনক কথাবার্তায় তিনি প্রায় সময় বাসায় সকালের নাস্তা ও অনেক সময় দুপুরের খাবার খেতেন না। অধ্যক্ষ ঋণগ্রস্থ হওয়া সত্ত্বেও তার স্ত্রী-সন্তান বিলাসিতার জীবনযাপন করত। অধ্যক্ষের ছেলে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করত। টাকার জন্য প্রায় অধ্যক্ষকে চাপ সৃষ্টি করত ছেলে। প্রতিবাদ করলেই স্ত্রী-সন্তানের লাঞ্ছনার শিকার হতেন তিনি। তারা প্রায়ই অধ্যক্ষকে বিষ খেয়ে বা ফাঁসি দিয়ে মরে যেতে বলতেন। গত ১০ মে সকালে অধ্যক্ষের কর্মস্থলে পৌঁছে মুঠোফোনে সুদের টাকা চান রায়েজুল। এতে মানসিকভাবে উদ্ধিগ্ন হয়ে পড়েন অধ্যক্ষ। সেসময় স্ত্রী-সন্তানের অপমানজনক ও অশোভন আচরণে এবং সুদের টাকাকে কেন্দ্র করে পাওনাদারের কটুক্তিসহ অপমানজনক কথাবার্তায় লজ্জা ও ঘৃণায় অধ্যক্ষ শৌচাগারের ঝর্ণার পাইপের সঙ্গে গলায় পায়জামার রশি (নিয়ার) পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
অধ্যক্ষের ভাতিজা আসিফ বিন আলী বলেন, চাচা কলেজের অধ্যক্ষ থাকলেও পারিবারিকভাবে ভালো ছিলেন না। ঋণে জর্জরিত ছিলেন। কলেজের বেতনের সবটা দিয়ে প্রতি মাসে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতেন।
মামলার বাদী অধ্যক্ষের ভাই মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার ভাই আত্মহত্যা করার মতো মানুষ ছিলেন না। তার মৃত্যুর পেছনের কারণ উদ্ঘাটন করার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ রইল। স্ত্রী-সন্তান তাকে (মোস্তাব আলী) মানসিক নির্যাতন করতেন। স্ত্রী-সন্তান ও পাওনাদার তার ভাইকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছেন।
রবিবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, অধ্যক্ষের মৃত্যুর বিষয়ে তার বড় ভাই মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্তাধীন আছে।
জানা গেছে, গত ১০ মে সকাল ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরার ২ নম্বর লোকেশনের আবাসিক এলাকায় থেকে অধ্যক্ষ মোস্তাব আলীর মরদে উদ্ধার করে পুলিশ। শৌচাগারের ভেতরে গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তার বাড়ি নাটোর জেলায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম আলোর পাঠক সংগঠন বন্ধু সভার উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সহমর্মিতার ঈদ উপহার হিসেবে নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৭ এপ্রিল সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঈদের সহমর্মিতার ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়।
পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক অধ্যাপক বিভূতিভূষণ দেবনাথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদুল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সাংবাদিক মফিজুর রহমান লিমন, সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদৎ হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ বলেন, বন্ধু সভার সদস্যরা নিজেরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে তহবিল গঠন করে সহমর্মিতার ঈদের নতুন পোশাক কিনেছেন। প্রতি বছরই বন্ধুসভার সদস্যরা এই কাজটি করে আসছেন। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সী ব্যক্তিদের জন্য তারা নতুন কাপড় পছন্দ করে কিনে বিতরণ করেন। এবছর বন্ধু সভার সদস্যরা ৩০ হাজার টাকায় ৬০জনের হাতে সহমর্মিতার ঈদের নতুন পোশাক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বন্ধুসভার সভাপতি তুলি গোস্বামী, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, সদস্য মোঃ মাইনুদ্দিন রুবেল, ইকবাল হোসেন, সাদ হোসেন, অনন্যা সাহা, মাজহারুল করিম অভি, আরেফিন শোভন, তুহিন ইসলাম, শারমিন আক্তার, সবুজ মোল্লা, জয় ইসলাম, জারা জেনি, তানজিলা আক্তার, শাহরিয়ার তানজিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়ে আসেন। এ সময় তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির। জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন। এ সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ট্যাক্স আদায় জোরদার করার পরামর্শ দেন। তিনি সরকারী বিধিমালা অনুসরণ করে পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করার ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার করার আশ্বাস প্রদান করেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদ্দূস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ামিন হোসেন, পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলর হোসনে আরা বেগম, শাহানা বেগম, মিনারা বেগম, নিলুফা ইয়াছমিন, কাউন্সিলর মোঃ জামাল হোসেন, শেখ মোঃ মাহফুজ মিয়া, আক্তার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মোঃ আবদুল মালেক, ওমর ফারুক জীবন, ফারুক আহমেদ, মীর মোঃ শাহীন মিয়া, মোঃ ফারুক মিয়া, মোঃ কাওসার মিয়া, মোঃ সাকিল, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামছুদ্দিন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কাউছার, সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কাজীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।