অনলাইন ডেস্ক :
বিয়ে বাড়িতে সব আনুষ্ঠানিকতা প্রায় শেষ দিকে। এ সময় উঠানে টানানো হলো একটি বড় দাঁড়িপাল্লা। এক পাল্লায় তোলা হলো কনেকে, অন্য পাল্লায় রাখা হলো কয়েন (টাকা)। এরপর কনের ওজনের সমপরিমাণ কয়েন উপহার হিসেবে দেওয়া হয় পাত্রপক্ষকে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের প্রাগপুর মাঠপাড়া গ্রামে গত মঙ্গলবার এমনই এক অভিনব বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রাগপুর মাঠপাড়া গ্রামের রতন আলীর মেয়ে মাছুরা খাতুন রিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের মাইনুল ইসলামের ছেলে বিপ্লবের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন আগে তারা নিজেরা বিয়ে করেন। পরে উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে সবার উপস্থিতিতে মেয়ের বাবা দাঁড়িপাল্লায় মেপে কনের সমপরিমাণ কয়েন (টাকা) ছেলেকে উপঢৌকন দেন।
মেয়ের পরিবার বিষয়টিকে ‘মানত’ দাবি করলেও অনেকে একে যৌতুক হিসেবে দেখছেন। তবে ছেলে ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মেয়ের বাবা রতন আলী বলেন, মেয়ের জন্মের সময় মানত করা হয়েছিল– মেয়ে বেঁচে থাকলে বিয়েতে তার ওজনের সমপরিমাণ টাকা উপঢৌকন দেব। তাই মেয়েকে দাঁড়িপাল্লায় মেপে কয়েন দেওয়া হয়েছে।
প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দাঁড়িপাল্লায় মেপে টাকা দেওয়ার ঘটনা এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল মাস্টার বলেন, দাঁড়িপাল্লায় মেপে টাকা দেওয়া অন্যায় হয়েছে। কেন এটি করা হয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
দৌলতপুরের ইউএনও মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি এখনও জানি না। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তা আইনত অপরাধ। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সানা ইউসুফ (১৭) নামে এক জনপ্রিয় টিকটকারকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ২ জুন সোমবার ইসলামাবাদের সুম্বল থানার জি-১৩ সেক্টরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। খবর প্রকাশ করেছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
পুলিশ জানিয়েছে, অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি সানার নিজ বাড়িতে প্রবেশ করে কাছ থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সানাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ বর্তমানে ইসলামাবাদের পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (পিআইএমএস)-এ ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ ধারণা করছে, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হত্যাকারী অতিথি সেজে সানার বাড়িতে ঢুকেছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
সানা ইউসুফ ইসলামাবাদের চিত্রাল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। অল্প বয়সেই টিকটকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। ফ্যাশন, লিপ-সিঙ্ক, জীবনধারা এবং সামাজিক বার্তা-নির্ভর কনটেন্ট তৈরি করে তরুণ প্রজন্মের কাছে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি এবং হত্যার পেছনে নির্দিষ্ট কোনো উদ্দেশ্যও জানা যায়নি।
ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল। সেই জয় যে অঘটন ছিল না, বাংলাদেশের মেয়েরা সেটি দেখিয়ে দিলো পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে।
বেনোনিতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে আজ ১৬ জানুয়ারি সোমবার শ্রীলঙ্কাকে ৯ রানে হারিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মেয়েরা। টানা দুই জয়ে বিশ্বকাপের সুপার সিক্স প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।
ম্যাচে টসভাগ্য সহায় ছিল না বাংলাদেশের মেয়েদের। প্রথমে তাদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। তবে টস হারলেও ব্যাটিংটা দারুণ করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২ উইকেটেই গড়ে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
মিষ্টি সাহাকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৫ রান তোলেন আফিয়া প্রত্যাশা। ৪৩ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় তিনি দুর্দান্ত এক হাফসেঞ্চুরি তুলে ১২তম ওভারে আউট হন ৫৩ করে।
মিস্টি অবশ্য তার মতো খেলতে পারেননি। ২৪ বলে ১৪ রানের ধীরগতির এক ইনিংস খেলে ওই ওভারেই সাজঘরে ফেরেন। কিছুটা চাপে পড়ে দল।
সেখানে দাঁড়িয়ে দিলারা আক্তার আর স্বর্ণা আক্তারের ঝোড়ো ব্যাটিং। উইকেটরক্ষক দিলারা আক্তার ২৭ বলে করেন অপরাজিত ৩৬ রান। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন স্বর্ণা। ২৮ বলে তার ৫০ রানের মারকুটে ইনিংসে ছিল ৩ চার আর ২ ছক্কার মার।
রান তাড়ায় নামা শ্রীলঙ্কার ২৪ রানেই ২ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই চাপ সামাল দেন অধিনায়ক বিশ্বি গুনারত্নে আর দেওমি ভিহাঙ্গা। একটা সময় মনে হচ্ছিল, তারা হয়তো বাংলাদেশকে হারিয়েই দেবেন।
১৭তম ওভারে দেওমিকে (৪৪ বলে ৫৫) এলবিডব্লিউ করেন মারুফা আক্তার। একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন অধিনায়ক বিশ্বি। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি। ৫৪ বলে ৮ চার আর ১ ছক্কায় ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান অধিনায়ক। ৪ উইকেটে ১৫৫ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস।
মারুফা আক্তার ৪ ওভারে ১৯ রানে নেন ২টি উইকেট। দিশা বিশ্বাস এক উইকেটে ৪ ওভারে খরচ করেন ৪৪ রান।
অনলাইন ডেস্ক :
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পরিসংখ্যানটা পোশাকের মতোই রঙিন। বিপরীতে টেস্টে সেটি ধূসর। এর আগে ১৭ টেস্টে টাইগাররা মাত্র একটিতে জিতেছিল। সেটি তাদের মাঠ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে একাধিকবার ওয়ানডেতে ধবলধোলাইয়ের অভিজ্ঞতা থাকলেও টেস্টে কোনো জয়ই ছিল না। শান্ত-তাইজুলরা আজ সেই খরা কাটালেন, ঘরের মাঠে ইতিহাসের প্রথম জয় তুলে নিলেন কিউইদের বিরুদ্ধে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের শুরুতেই সাবেক চ্যাম্পিয়নদের ১৫০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
জয়ের দৃশ্যপটটা বাংলাদেশ চতুর্থ দিনেই তৈরি করে রেখেছিল। যদিও ম্যাচের আগে অনিশ্চয়তা ছিল পঞ্চম দিন পর্যন্ত খেলা গড়াবে কি না। দুই ইনিংসেই কিউইদের পরীক্ষা নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। স্পিনবান্ধব হয়ে পড়া উইকেটে চতুর্থ দিন তার ঘূর্ণিতে ১১৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার শেষ দিনে নেমে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন আগেরদিন ৪৪ রানে অপরাজিত থাকা ড্যারিল মিচেল। অবশ্য এরপর তিনি আর বেশিক্ষণ টেকেননি। চোখ রাঙাতে পারেননি সেভাবে।
বাংলাদেশের জয়ের অপেক্ষাটা যা একটু বাড়িয়েছেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। তাদের ২য় ইনিংসের সেরা জুটিটা উপহার দিয়ে সাউদি আউট হওয়ার পরই জয় ধরা দিল। ব্যক্তিগত ফাইফারে (৫ উইকেট) তাইজুল কিউইদের গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ১৮১ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেছেন মিচেল। বাংলাদেশের হয়ে তাইজুলের ৬টি ছাড়াও নাঈম হাসান ২টি, মেহেদি মিরাজ ও শরিফুল একটি করে শিকার ধরেন।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ হেরেছিল ১৩ টেস্টে। ৩টি টেস্ট ড্র হয়েছিল। সিলেটের এই টেস্টে জিততে হলে ইতিহাসই গড়তে হতো কিউইদের। নিজেদের ইতিহাসে তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড পাকিস্তানের বিপক্ষে, ক্রাইস্টচার্চে। ৩২৪ রান তাড়া করে তারা ১৯৯৪ সালে জিতেছিল। এই ম্যাচে তাদের সামনে বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য ছিল ৩৩২ রানের।
চতুর্থ দিন শেষে ৭ উইকেট হারালেও সফরকারী স্পিনার এজাজ প্যাটেল লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন। লড়াই হলেও, তাদের জয়ের স্বপ্ন দেখা ছিল অসম্ভবকে সম্ভব করার মতো। তবে তার আশা একেবারেই অমূলকও ছিল না, ক্রিজে ছিলেন স্বীকৃত ব্যাটার মিচেল। তিনি যদি কিছু করে ফেলতে পারেন!
শেষদিনে দ্রুত কিউই ইনিংস থামাতে মিচেলের উইকেটই সবার আগে প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। সেটি পেতে লাগল ১০ ওভার। ১০ম ওভারে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিচেল। নাঈম হাসানের বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে তাইজুলের হাতে বন্দি তিনি। এর আগে মিচেল ১২০ বলে ৫৮ রান করেন। ইশ সোধির সঙ্গে ৯১ বলে ৩০ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি।
ততক্ষণে হার প্রায় নিশ্চিত কিউইদের, ফলে শেষ চেষ্টা হিসেবে ব্যবধানটা কমিয়ে আনতে আক্রমণাত্মক খেলার মানসিকতা নিয়ে নামেন কিউই অধিনায়ক। সাউদির আগে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে কেউ ছক্কা মারেননি। শেষ পর্যন্ত ২ ছক্বা ও ১ চারে ২৪ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন তিনি। তাকে ফিরিয়ে টেস্টে ১২তম বারের মতো এক ইনিংসে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন তাইজুল।
এরপর শেষ উইকেটটাও তুলে নেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ বাঁ-হাতি স্পিনার। তার বলে সিলি পয়েন্টে দাঁড়ানো জাকির হাসানকে ক্যাচ তুলে দেন সোধি (৯১ বলে ২২)। ৩১ বছর বয়সী তাইজুল নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রানে নিলেন ৬ উইকেট।
ভারত বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশের। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের শুরুতেই প্রতিপক্ষ শক্তিমত্তা-পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড। অভিজ্ঞ কেইন উইলিয়ামসন, ডেভন কনওয়ে কিংবা ড্যারিল মিচেল- কে নেই সফরকারীদের দলে। অন্যদিকে, ঠিক বিপরীত চিত্র বাংলাদেশের। অভিজ্ঞ তিন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও অধিনায়ক সাকিবকে ছাড়াই সিলেটে খেলতে নামে লাল-সবুজের দল। সাকিবের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের ভার ওঠে শান্তর কাঁধে। তরুণ নেতৃত্ব ও দল নিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে দারুণ শুরু পেল স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে কেইন উইলিয়ামসনের লড়াকু সেঞ্চুরিতে ভর করে কিউইদের সংগ্রহ ছিল ৩১৭। ৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দারুণ জবাব দেয় বাংলাদেশ। অধিনায়ক শান্তর সেঞ্চুরিতে ৩৩২ রানের পাহাড়সম টার্গেট ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। শান্ত ১০৪, মুশফিকুর রহিম ৬৭ ও মেহেদি হাসান মিরাজ অপরাজিত ৫০ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের স্পিনার এজাজ প্যাটেল সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন।
এর আগে এতবড় রান তাড়া করে জয়ের নজির নেই নিউজিল্যান্ডের। বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় কিউইরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। এই বাঁ-হাতি পেসারের খাটো লেন্থের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন টম লাথাম। ডাক খেয়ে এই ওপেনার সাজঘরে ফেরায় রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় সফরকারীরা।
লাথাম ফেরার পর কনওয়েকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টায় ছিলেন সাবেক অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান এ যাত্রায় ব্যর্থ হন। তাইজুলের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন তিনি! লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ২৪ বলে করেন ১১ রান।
এরপর তাইজুলকে অনুসরণ করলেন মেহেদী মিরাজও। থিতু হওয়ার আগেই হেনরি নিকোলসকে বিদায় করেন এই অলরাউন্ডার। ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে মিরাজকে সুইপ করতে গিয়ে ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি নিকোলস। টপ এজ হয়ে বল ওঠে সোজা আকাশে। শর্ট ফাইন লেগ থেকে কয়েক পা সরে বল তালুবন্দি করেন নাঈম। ২ রান করে নিকোলস ফেরায় ৩০ রান তুলতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
এরপর মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন কনওয়ে। চা বিরতি থেকে ফিরে এই জুটি ভাঙেন তাইজুল। এই বাঁহাতি স্পিনারের টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বল ডিফেন্স করতে গিয়ে সিলি পয়েন্টে ক্যাচ দেন কনওয়ে। ২২ রান করে এই ওপেনার ফেরায় দলীয় ফিফটির আগেই সাজঘরে ফেরে সফরকারীদের চার ব্যাটার। এভাবে চতুর্থ দিন শেষ হওয়ার আগে একশ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারায় সাউদির দল। ৫ম দিনে এসে ‘মিরাকল’ কিছু না হলে নিউজিল্যান্ডের পরাজয় আর বাংলাদেশের জয় আগেই লেখা হয়ে গিয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও কণ্ঠশিল্পী তাহসান খানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মেকআপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদের বিয়ের খবর এখনও টপ অব দ্যা কান্ট্রি। বিশেষ করে তাহসানের স্ত্রী রোজা কে নিয়ে এখনও অনুরাগীদের চর্চা তুঙ্গে। কিন্তু তাহসানের সাথে বিয়েতে বসার আগে এই রোজা আহমেদকে কতটা চিনতেন তার অনুরাগীরা? বলা বাহুল্য, তাহসানের সাথে পরিচয় হওয়ার আগে থেকেই নেটিজেনদের কাছে বেশ পরিচিত ছিলেন এই মেকআপ আর্টিস্ট।
সম্প্রতি রোজা আহমেদের একটি পুরোনো সাক্ষাৎকার ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে রোজা তার ক্যারিয়ার, পেশা নিয়ে বিস্তর আলাপ করেন। সেখানে তাকে বেশ কিছু প্রশ্ন ও নেটিজেনদের নানান অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত করা হয়। সে প্রসঙ্গেই আলোচনা করেন রোজা।
জানালেন, একটা সময় পর্দায় আসার ইচ্ছে ছিল তার। শুধু তাই নয়, জয়া আহসান কিংবা মৌ এর মতো অভিনেত্রীদের সাথেও কাজ করার ইচ্ছে ছিল তার। রোজা বলেন, ‘একসময় ইচ্ছে ছিল মডেল হব, অভিনেত্রী হব।’
সেই সাক্ষাৎকারে ভ্লগারদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা ওঠে। যেমন, অনেক ক্ষেত্রে খারাপ ব্যবহার করেন ভ্লগাররা, ঠিকমতো ব্র্যান্ড প্রোমোশন করেন না- এ ধরণের অভিযোগ। সে প্রসঙ্গে রোজা বলেন, ‘এটা যে যার ব্যক্তিগত ব্যাপার, এখানে আমার বলার কিছু নেই। আমি এত বড় কোনো ভ্লগার হয়ে যাইনি কিংবা কোনো ব্র্যান্ড প্রোমোটারও হইনি। আর এটা আমার মূল পেশাও না। তবে যারা এই পেশায় আছেন, তাদের আমি অনেক সম্মান করি, তারা অনেক ভালো করছেন। আমাদের অনেক সিনিয়র ভ্লগার যারা আছেন, যাদের নিয়ে এখন বিতর্ক হচ্ছে তারা অনেক কষ্টে এই জায়গাতে এসেছেন, আর আমরা তাদের থেকেই শিখেছি। যখন আমরা ভ্লগার বলতে কিছু বুঝতাম না, তখন তাদের হাত ধরে বাংলাদেশে ভ্লগ এসেছে।’
সেই সাক্ষাৎকারে এমনও অভিযোগ উঠেছে, অনেক ইনফ্লুয়েনসার কিংবা ব্র্যান্ড প্রোমোটাররা নাকি ফটোশ্যুটে করেই লাখের মতো পারিশ্রমিক নেন। এছাড়াও মেকআপ আর্টিস্টরাও প্রতি মিনিটে হাজার টাকা পারিশ্রমিক নেন বলেও অভিযোগ।
রোজা বলেন, ‘আপনারাই তো আমাদের ভ্যালুটা বাড়িয়েছেন। একজন নামী-দামী সেলিব্রেটির কাছে না গিয়ে আপনারা আমাদের কাছে আসছেন। তাদের থেকেও যদি আমরা বেশি চার্জ করি, তারাও আমাদের নিচ্ছেন- আমরা কেন নেব না। এটা একটা ব্যাবসা আফটার অল।’ রোজা এও বলেন, ‘সে এটা ডিজার্ভ করে, হয়তো সে জন্য এটা তিনি চার্জ করেছেন।’
মেকআপ আর্ট প্রসঙ্গেও বেশ আলাপ করেন রোজা। বলেন, ‘চাই আমার কাজকে সবাই জানবে। আর আমি বেছে কাজ করি; যেহেতু আমি একজন প্রোফেশনাল মেকআপ আর্টিস্ট। তো দেখা যায় আমার ওই কাজটা আগে। ওইটার ওপরে, ওই ক্যাজুয়ালের ওপরে ডিপেন্ড করে ওই ব্রান্ডকে কাজটা দেওয়া হয়। ওরা যখন চায় তখনই করতে হবে, নইলে আমার ওই কাজটা করা হয় না; কাজ হারিয়ে যায়। কিন্তু দিনশেষে এটা নিয়ে আমার আফসোস হয় না; কারণ কাজগুলো আমি শখের বসে করছি।’
বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় বেড়ে ওঠা রোজা আহমেদ বর্তমানে ক্যারিয়ার গড়েছেন মার্কিন মুলুকে। পড়াশোনা করেছেন নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর। পড়াশোনা শেষ করে কসমেটোলজি লাইসেন্স গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে নিউ ইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার প্রতিষ্ঠাতা করেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসারও।
ডেস্ক রিপোর্ট :
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম। এছাড়াও তার আরেকটি পরিচয় তিনি দুবাইয়ের শাসক। বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য তার কন্যা মাহরা পরিচিত। তিনি বরাবরই তার জীবন যাপন নিয়ে মানুষকে জানাতে পছন্দ করেন।
ঘোড়া ও গাড়িপ্রীতি রয়েছে এই রাজকন্যার। পৃথিবীতেই বিলাসী জীবনের স্বর্গ বানিয়েছেন তিনি। তার বাবাও ব্যাপক ঘোড়া পছন্দ করেন। ফ্যাশন সচেতন মাহরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে নতুন নতুন পোশাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
ফ্যাশন শিল্পের প্রতি মাহরার ভালোবাসা বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান ফ্যাশন শিল্পের আঞ্চলিক ডিজাইনারদের তিনি ব্যাপক সমর্থন দেন।
ঘোড়ায় চড়া মাহরার অন্যতম শখের একটি। জানা যায়, তার ব্যয়বহুল অনেক ঘোড়া রয়েছে। যেগুলোর পেছনে বছরে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেন তিনি। এছাড়া তার বাড়িতে রয়েছে দুইটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারও।
বর্তমান সময়ে দুবাইয়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল বিল্ডিং প্রিন্সেস টাওয়ার এর নিচতলায় তার জন্য স্পেশাল কমপ্লেক্স করা হয়েছে। যার মূল্য প্রায় হাজার কোটি টাকা। ল্যাম্বরগিনি ফেরারি বিএমডব্লিউসহ বিশ্বের নামীদামী গাড়ি তার গ্যারেজে রয়েছে।
১৯৯৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন মাহরা। ৫.৭ ইঞ্চি লম্বার এই রাজকন্যা হাসি দিয়ে যে কারও মন জয় করে নিতে পারেন। বিলাসী জীবন যাপন ছাড়াও উদ্যোক্তা হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে।
এছাড়া মানবিক কাজের অনেক সময় ব্যয় করেন মাহরা। তিনি এখনও অবিবাহিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাখ লাখ ফলোয়ার রয়েছে তার।