গতি কমিয়ে চলছে ট্রেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 30 April 2023, 1444 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বেঁকে যাওয়া রেললাইন সোজা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত থেকে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেটের সঙ্গে ঢাকা অভিমুখী রেলপথে (আপলাইন) ট্রেন চলছে। তবে, গতি কমিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা অতিক্রম করছে ট্রেন। আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট অভিমুখী রেলপথ (ডাউনলাইন) দিয়েও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

banner

আখাউড়া রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে দারিয়াপুর এলাকায় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রেললাইন আবার বেঁকে যায়। চট্টগ্রাম-সিলেটমুখী ডাউনলাইনও কয়েকটি জায়গায় বেঁকে গেছে। পানি ও কচুরিপানা দিয়ে রেললাইন শীতল করা হয়। এতে শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডাউনলাইন দিয়ে ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের গতি কমিয়ে সব ট্রেন চলাচল করেছে। দারিয়াপুরে রেললাইনের তাপমাত্রা ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পাওয়া যায়। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে দারিয়াপুর এলাকায় বেঁকে যাওয়া রেললাইন সোজা করা হয়।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে একটার দিকে দারিয়াপুর এলাকায় রেললাইন বেঁকে কনটেইনার বহনকারী ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ২৮ ঘণ্টা পর গত শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনের সাতটি বগি উদ্ধার করা হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে আবার একই স্থানে রেললাইন বেঁকে যায়।

সূত্রে জানা গেছে, শনিবার আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত গতি কমিয়ে ট্রেন চলানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তালশহর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার গতিতে, আশুগঞ্জ থেকে নরসিংদী পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার গতিতে ও নরসিংদী থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সব ট্রেনকে ৩০ কিলোমিটার গতিতে চালানোর জন্য লোকোমাস্টারদের (ট্রেনচালক) নির্দেশনা দেওয়া হয়।

রেলওয়ের কর্মচারী (কিম্যান) ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ বলেন, বেঁকে যাওয়া রেললাইন স্বাভাবিক করতে শনিবার রাতে অনেক স্লিপার লাগানো হয়েছে। এখনো চলছে কাজ। আপ ও ডাউনলাইন স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো সমস্যা নেই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, আপলাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শুধু গোকর্ণ লেবেল ক্রসিং এলাকা থেকে দুর্ঘটনাকবলিত দারিয়াপুর পর্যন্ত আপলাইনের সব ট্রেন ১০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. খায়রুল কবিরকে প্রধান করা হয়েছে।

Leave a Reply

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

বাঞ্ছারামপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য Read more

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল Read more

রাইস কুকারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক : মাগুরার সদর উপজেলার টিলা গ্রামে রাইস কুকারে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

চলারপথে রিপোর্ট : সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় Read more

নাসিরনগরে মৎস্য আড়তে অভিযান, নিষিদ্ধ পিরানহা…

চলারপথে রিপোর্ট : বিক্রির জন্য রাখা নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন চাঁদাবাজ গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর নামক এলাকায় চাঁদাবাজির Read more

সড়ক মেরামতের সপ্তাহ না পেরোতেই উঠে…

চলারপথে রিপোর্ট : সড়ক মেরামতের এক সপ্তাহ না পেরোতেই ইতিমধ্যে Read more

কসবায় গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে এস আই Read more

শাস্তি পেলেন ঋষভ পন্ত

অনলাইন ডেস্ক : আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট Read more

বাংলাদেশে গুগল পে এর উদ্বোধনী

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর Read more

যে কাজে নেক আমল নষ্ট হয়

ইসলাম ডেস্ক : মানুষের জীবনের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক হলো Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় শ্রমিক লীগের ৫৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 12 October 2023, 963 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় শ্রমিক লীগের ৫৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের আয়োজনে শহরের দানবীর লোকনাথ রায় চৌধুরী ময়দান কমপ্লেক্সস্থ জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চে বিশাল শ্রমিক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

banner

আজ ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি এড. কাউসার আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এড. কামরুজ্জামান আনছারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পিপি এড. মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মিনার আলম, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এড. লোকমান হোসেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আলাউদ্দিন আলাল, সহ সভাপতি বারীন্দ্র নাথ ঘোষ, শেখ শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী জসিম উদ্দিন খান, আমিন শাহ, খবির উদ্দিন আহমেদ, দুলাল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লু মিয়া, রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক লীগের সভাপতি হোসেন মিয়া, ইজিবাইক শ্রমিক লীগের সভাপতি মনির হোসেনসহ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা সকল প্রকার ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের উর্ধ্বে থেকে আজ আরো সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের স্বতঃর্স্ফুত উপস্থিতি তার স্বাক্ষী বহন করে। এই সুশৃংঙ্খল ঐক্যবদ্ধ শক্তি দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় এদেশের প্র্রধানমন্ত্রী করে দেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখার শপথ নিতে হবে।

তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শ্রমিক লীগ নেতৃবৃন্দের দাবিগুলো যৌক্তিসঙ্গত। আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর শ্রমিকদের কল্যাণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব।

আলোচনাসভা শেষে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তেই সোনার বাংলা গড়ার ভিত তৈরি হয়েছিল : প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 9 August 2023, 1960 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডে স্থাপন করা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলক উদ্বোধন করা হয়েছে।

banner

আজ ৯ আগস্ট বুধবার দুপুরে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১নং কূপে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্মৃতি ফলকটির উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

জ্বালানি নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণীয় করে রাখতেই তার স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে। জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষ্যে তিতাস গ্যাস ফিল্ডসহ পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে শাহাদাত বরণের মাত্র ছয় দিন আগে বঙ্গবন্ধুর পাঁচটি গ্যাস ফিল্ড কেনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তেই সোনার বাংলা গড়ার ভিত তৈরি হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার জন্যই অর্থনৈতিকভাবে বিশ্ব-দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার ও পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।

স্মৃতিফলক উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, সকল কূপ থেকেই গ্যাস উত্তোলনের জন্য স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে যেসব কূপ বন্ধ আছে, সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে চালুর কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিতাসের নতুন আরও কিছু কূপ অনুসন্ধান এবং বর্তমানে যে স্তর রয়েছে তারচেয়ে আরও গভীরে গিয়ে গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টা করছি আমরা।

অনুষ্ঠানে বিজিএফসিএল, পেট্রোবাংলা, গ্যাস ফিল্ডস এবং বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান শেল অয়েলের কাছ থেকে তিতাস, বাখরাবাদ, রশিদপুর, হবিগঞ্জ ও কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাভুক্ত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর কেনা পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডের মধ্যে তিনটি পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে। আর পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডে বর্তমানে মজুত আছে ৫ দশমিক ২৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। যার বাজারমূল্য ৩ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা।

জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 22 June 2024, 547 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালু থাকা বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবা হঠাৎ করে বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। গত ৩ জুন থেকে চিকিৎসকরা বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে একদিকে দুর্ভোগে পড়েছে জেলার সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় রোগীরা, অন্যদিকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

banner

জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৩ জুন থেকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করেন হাসপাতালের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক প্রয়াত ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নির্ধারিত ফির মাধ্যমে অসহায় রোগীদের সেবাদান শুরু করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রোগীদের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা থেকেও অনেক রোগী এই হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিতেন।

বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় মেডিকেল কর্মকর্তার সরকারি ফি ২০০ টাকা, জুনিয়ার কনসালটেন্ট ও আবাসিক সার্জনের ফি ৩০০ টাকা এবং সিনিয়র কনসালটেন্টের ফি ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবা চালু করায় সাধারণ রোগীরা অনেক খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে গত ৩ জুন থেকে এই স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোগীরা এখন অনেক অসন্তুষ্ট। বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ায় জেলার দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।

হাসপাতালের হিসাব শাখা সূত্রে জানা গেছে, বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবায় বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চালু থাকা প্যাথলজি বিভাগের বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসে সরকারি কোষাগারে অনেক টাকা জমা দিতে পেরেছেন। গত বছরের জুন মাসে শুধু পরীক্ষা-নীরিক্ষা থেকে প্রাপ্ত ২১ হাজার ৫৩৫ টাকা, জুলাই মাসে ৮৬ হাজার ৭০ টাকা, আগস্ট মাসে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৬০ টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৫ টাকা, অক্টোবর মাসে ১ লাখ ৪ হাজার ৯৩০ টাকা, নভেম্বর মাসে ১ লাখ ৮ হাজার ৪০০ টাকা ও ডিসেম্বর মাসে ৯০ হাজার ৮১৫ টাকার রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা দেন।
আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৯১ হাজার ৩৫৫ টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসে ৮৬ হাজার ৯৩০ টাকা, মার্চ মাসে ৬৪ হাজার ৭৮০ টাকা এবং এপ্রিল মাসে ৫৪ হাজার ৩৫০ টাকার রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বিকেল তিনটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালুর প্রথম মাসে গত বছরের জুন মাসে চিকিৎসকরা ২৫১ জন রোগী, দ্বিতীয় মাস জুলাই মাসে ১ হাজার ২২৬ জন, আগস্ট মাসে ১ হাজার ৪৫৭ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ১ হাজার ৫২৩ জন, অক্টোবর মাসে ১ হাজার ২১১ জন, নভেম্বর মাসে ১ হাজার ১৪০ জন ও ডিসেম্বর মাসে ৮৯২ জন রোগী দেখেছেন চিকিৎসকরা। চলতি বছরের গত জানুয়ারি মাসে ৯০৫ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ১ হাজার ১১৮ জন, মার্চ মাসে ৬৩১ জন ও এপ্রিল মাসে ৮৫৭ জন রোগী দেখেন চিকিৎসকরা।

জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা ১১ হাজার ৩৬০ জন রোগী দেখেছেন, যেখান থেকে আয় হয়েছে ৩৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ টাকা।

গত বছরের জুন মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত আট মাস এসব রোগী দেখার টাকা থেকে নিজেদের প্রাপ্ত সম্মানী ভাগাভাগি করে নিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে স্বাস্থ্য বিভাগের এক সভায় বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় রোগী দেখা থেকে প্রাপ্ত টাকা চিকিৎসকদের না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের এক পরিচালক। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় নিযুক্ত চিকিৎসকদের সম্মানী বন্ধ রয়েছে। এরপর থেকেই হাসপাতালে বিকেলে রোগী দেখায় আগ্রহ হারাতে শুরু করেন চিকিৎসকরা।

চলতি বছরের ৩ জুন থেকে কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় রোগী দেখা বন্ধ করেন চিকিৎসকরা। তবে প্যাথলজি বিভাগ চালু রয়েছে।

হাসপাতালে কর্মরত কয়েকজন জানান, বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় হাসপাতালে রোগী দেখার চেয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখায় স্বাচ্ছন্দবোধ করেন চিকিৎসকরা। কারণ এতে চিকিৎসকদের আয়-রোজগার বেশি হয়। হাসপাতালের এক সভায় চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের এক পরিচালক জানান, বাংলাদেশে যেসব সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু হয়েছে, সেখানকার কোনো হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের সম্মানি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। সেখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা সম্মানি উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৩ জুন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে যোগদান করেন মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান। তাঁর যোগদানের পর থেকেই হাসপাতালে যথাসময়ে চিকিৎসকের উপস্থিত হওয়াসহ সকল বিভাগেই স্বাস্থ্যসেবার বিরাট পরিবর্তন হয়েছিল। পাশাপাশি তার সময়ে হাসপাতাল থেকে সরকারি কোষাগারে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব জমা হয়েছে। তার একান্ত প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে একমাত্র হাসপাতাল হিসেবে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকালের পর দুপুর দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত প্যাথলজি বিভাগ চালু হয়। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগের সকল হাসপাতালের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবার বিবেচনায় প্রথম হয়েছিল জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কর্মস্থলেই অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। চলতি বছরের ৩ জুন থেকে হাসপাতালের বৈকালিক সেবা বন্ধ হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, একটু প্রশাসনিক জটিলতা চলছে। বৈকালিক সেবায় নিযুক্ত চিকিৎসকদের সম্মানী বন্ধ রয়েছে। তাই বৈকালিক সেবার বিষয়ে আলোচনা চলছে। আগে বৈকালিক সেবার সবগুলো বিভাগ খোলা থাকত। কিন্তু এখন বিষয়টি রিশিডিউলিং করা হচ্ছে। এখন প্রতিটা বিভাগ হয়তো চালু থাকবেনা । কাস্টমাইজড করা করে কিছু বিভাগ কমিয়ে আবার চালু করা হবে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে বৈকালিক সেবা চালু হবে।

এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রতন কুমার ঢালী বলেন, কিছু জটিলতার কারণে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ আছে। আমরা সীমিত পরিসরে সেবাটা আবার চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

আশুগঞ্জে বাস-অটোরিক্সার সংঘর্ষে দুইজন নিহত

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 31 March 2025, 199 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

banner

আজ ৩১ মার্চ সোমবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় হোটেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের একজন কিশোরগঞ্জ জেলার দ্বীন ইসলাম। তবে অপর নিহত সিএনজি অটোরিক্সা চালকের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

আহতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের মো: সৈয়দ হোসেনের ছেলে সৈয়দ তাজবীর (১৭) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জুয়েল মিয়ার ছেলে মো: নোবেল (১৭)। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে ভাংচুর চালায়।

সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন রহমান জানান, বিকেলে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী দ্বীন ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় স্থানীয়রা সিএনজি অটোরিক্সার চালকসহ অপর দুই যাত্রীকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করে। ঢাকায় নেয়ার পথে সন্ধ্যায় সিএনজি চালকও মারা যায়। তবে তার পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং অপর দুইজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।

বৈকালিক সেবা শুরুর এক ঘণ্টা পরও দেখা মেলে না চিকিৎসকদের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 25 June 2023, 1132 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গত ১৪ জুন থেকে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা শুরু হয়েছে। স্বল্পমূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা পেতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা। কিন্তু চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বৈকালিক এই সেবা দিতে যথাসময়ে উপস্থিত না থাকার অভিযোগ উঠেছে। ফলে দীর্ঘক্ষণ রোগীদের প্রতীক্ষা করতে দেখা গেছে।

banner

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শুক্রবার বাদে সপ্তাহের ছয়দিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসকরা বৈকালিক সেবা দেবেন। রোগীদের সিনিয়র কনসালটেন্ট দেখাতে ৪০০ টাকা, জুনিয়র কনসালটেন্ট ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে ৩০০ টাকা এবং মেডিকেল অফিসার দেখাতে ২০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাও করা হয় নির্ধারিত ওই সময়ে।

২৪ জুন শনিবার সরেজমিনে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের অভিযোগের সত্যতা মেলে। বহির্বিভাগের দু’তলায় চিকিৎসকদের চেম্বারের সামনে রোগীদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এরমধ্যে দায়িত্ব বণ্টন অনুযায়ী মেডিসিন বিভাগে ডা. জুয়েল চৌধুরী, অর্থোপেডিক বিভাগে ডা. হুমায়ূন কবির রেজা, গাইনি বিভাগে ডা. শরীফ মাসুমা ইসমত, তৃতীয় তলায় চক্ষু বিভাগে ডা. আমীর উল্লাহ, নিচতলায় চর্মরোগ বিভাগে ডা. জাকারিয়াকে বিকেল ৪টায়ও তাদের চেম্বারে পাওয়া যায়নি।

বিকেল ৪টার পর চেম্বারে আসেন মেডিসিন বিভাগের ডা. জুয়েল চৌধুরী, সোয়া ৪টায় আসেন অর্থোপেডিক বিভাগের ডা. হুমায়ূন কবির রেজা এবং চর্মরোগ বিভাগের ডা. জাকারিয়া। সাড়ে ৪টায় এসে আবার সোয়া ৫টায় চলে যান গাইনি ডা. শরীফ মাসুমা ইসমত।

মেডিসিন বিভাগের সামনে বসে থাকা সরাইলের শাহবাজপুরের সুমন ও ঘাটুরার টিপু জানান, তারা বিকেল ৩টা থেকে চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে বসে আছেন। এখন বিকেল ৪টা বাজে কিন্তু চিকিৎসক চেম্বারে আসেননি।

অর্থোপেডিক বিভাগের সামনে বসে থাকা আলম মিয়া বলেন, কিছুদিন আগে আমার হাত ভেঙে গেছে। শুনেছি বিকেলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক বসেন। এক ঘণ্টা ধরে অর্থোপেডিক চিকিৎসক হুমায়ূন কবির রেজার চেম্বারের সামনে বসে আছি।

অহিদ মিয়া নামে আরেকজন জানান, দীর্ঘ এক ঘণ্টা অর্থোপেডিক ডাক্তারের চেম্বারের সামনে বসে ছিলাম। তিনি আসলেন বিকেল সোয়া ৪টার দিকে।
এ বিষয়ে জানতে অর্থোপেডিক চিকিৎসক হুমায়ূন কবির রেজার মোবাইলফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

চর্মরোগ বিভাগের চিকিৎসক মো. জাকারিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চেম্বারে ছিলাম না তা সত্য। কোনো রোগী আসলে আমাকে কল দেয়, তখন আসি।

এ বিষয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, বৈকালিক চিকিৎসকরা যেন নিয়মানুযায়ী চেম্বারে আসেন, সে বিষয়ে আমি তাদের বলবো। বিষয়টি নিয়ে অচিরেই মিটিং করা হবে।