চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। এ সময় মাদকদ্রব্যবাহী একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়। গতকাল শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার বিয়াল্লিশ্বর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পিকআপ ভ্যান চালক কসবা উপজেলার আড়াইবাড়ি দক্ষিণপাড়ার সোহাগ মিয়া (২৬) ও একই এলাকার মোঃ শাহিন মিয়া (২২)।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সদর উপজেলার বিয়াল্লিশ্বর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ সময় মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা, কেক কাটা ও দোয়া অনুষ্ঠান করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার বিকালে শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহসভাপতি মো.হেলাল উদ্দিন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড.মাহবুবুল আলম খোকন, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, মহসিন মিয়া, হাজি ফারুক আহমেদ, জায়েদুল হক, সেলিম রেজা হাবিব, সৈয়দ মো. আসলাম, খোকন আচার্য, মাহমুদুর রহমান জগলু, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহপরান, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
দোয়া পরিচালনা করেন মাও.ক্বারী আনিসুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের সঙ্গে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের বৈঠক হয়েছে। আইনজীবী ও কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে এ ঘটনা ঘটে।ঢাকায় আইনমন্ত্রীর গুলশানের আবাসিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বৈঠকের বিষয়ে মফিজুর রহমান জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে যা চলছে, সে সম্পর্কে আদ্যপান্ত জানানোর পর আইনমন্ত্রী বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করার ব্যাপারে তাদের আশ্বস্ত করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসেবে মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর নূর দুলালও উপস্থিত ছিলেন।জেলা আইনজীবী সমিতির এই নেতা বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে যে আমরা জেলা জজ শারমিন নিগারের অপসারণ দাবি করছি, তাও তাদের বলেছি। এ ছাড়া বিচারক ফারুক আহমেদও যে চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করে তিনটি জরুরি মামলা গ্রহণ না করে, আইনজীবীদের সঙ্গে অসঙ্গত আচরণ এবং ঢালাওভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আইনজীবীদের নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছেন। সেটাও অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবারও আইনজীবীদের আদালত বর্জনের কর্মসূচি চলমান থাকবে জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানবীর ভূঁইয়া বলেন, আইনজীবীদের দাবি অনুযায়ী জেলা জজসহ দুই বিচারক ও দুর্নীতিবাজ নাজিরকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আদালত বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, শীতকালীন ছুটির আগে আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল গত ১ ডিসেম্বর। ওই দিন তিনটি মামলা না নেওয়ায় গত ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা। এরপর গত ২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাস চলাকালে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গত ৪ জানুয়ারি জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন আদালতের সব এজলাসের দরজা ও প্রধান ফটকে তালা দিয়ে এক দিনের কর্মবিরতি পালন করে। এর প্রতিবাদে ৫ জানুয়ারি আইনজীবীরা সাধারণ সভা করে তিন কার্যদিবসের কর্মবিরতির ডাক দেন। পরে এটি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়। গত সপ্তাহের বুধবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা সাত কার্যদিবস আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ আছে।
মোঃ রিফাতুল ইসলাম নামের (১১) বছরের বালক মধ্যপাড়া দারুল ফিকরি ইসলামি মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে হারিয়ে গেছে। গত ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। রিফাতুলের তার গায়ের রং-ফর্সা, শারীরিক গঠন : হালকা পাতলা, উচ্চতা : ৪ফুট ৫ ইঞ্চি, হারিয়ে যাওয়ার সময় তার পড়নে ছিল মিস্টি কালারের পাঞ্জাবি এবং সাদা পায়জামা এবং একটি কোরআন শরীফ ছিল। এ ব্যাপারে রিফাতুলের বাবা মোঃ শিপন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে (যার নং-৫৫৪/২৪, তারিখ :২৩/৮/২৪ ইং। কেউ মোঃ রিফাতুল ইসলামের সন্ধান পেলে অনুগ্রহপূর্বক যোগাযোগ করতে বিনীত অনুরোধ করেছেন তার বাবা মোঃ শিপন মিয়া। যোগাযোগের ঠিকানা : মোঃ শিপন মিয়া, পিতা-মৃত মোঃ আমির হোসেন, সাং-চড়পাড়া, থানা-গৌড়িপুর, জেলা-ময়মনসিংহ বর্তমান ঠিকানা- মধ্যপাড়া, দিঘীর পাড়, মৃত মোঃ সাইমুল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। মোবাইল : ০১৯৭৬-৩৯৯০২৪।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা সংস্কার বিষয়ে মহামান্য আপিল বিভাগের রায়ের প্রেক্ষিতে সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারির পরও অহেতুক গুজব ছড়িয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আজ ২৯ জুলাই সোমবার বিকাল ৩ টা থেকে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, লোকনাথ টেংকের পাড়, প্রেসক্লাব চত্বর ও বিরাসার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জমায়েত হয়ে অবস্থান, বিক্ষোভ ও মিছিল করতে থাকে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিন আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, ত্রাণ সম্পাদক আবদুল খালেক বাবুল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল, উপদপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরিন, সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আলী আজম, সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, পৌর যুবলীগ সভাপতি সভাপতি আলামিন সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন লিটন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূঞা শিপু।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ককটেলের বিস্ফোরণ ও বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আজ ৩০ মার্চ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরাসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি জুয়া খেলার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিরাসার গ্রামের বাবুল মিয়ার পক্ষের আলামিন, একই গ্রামের মিজান আনসারির সাহেব বাড়ি পক্ষের মহিদ মিয়া ও তার ছেলেকে মারধর করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এরই জেরে শনিবার সকাল থেকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি ককটেলের বিস্ফোরণসহ উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১২টি বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের জেলা প্রধান নিউটন দাস জানান, ভোরে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এসব বাড়িতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামের একাধিক পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।