অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের লুধিয়ানায় একটি কারখানায় গ্যাস লিক হওয়ার ঘটনায় অন্তত ১১ জন মারা গেছেন।
এ ঘটনায় অচেতন হয়ে পড়েছেন আরো ১১ জন। আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাস্থলে ইতোমধ্যে উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে। এ ছাড়া চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার ব্রিগেডেরও একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘিরে রেখেছেন উদ্ধারকর্মীরা।
লুধিয়ানার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাতি তিওয়ানা বলেছেন, অবশ্যই গ্যাস লিক করে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) সেখানে রয়েছে এবং উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। এখন পর্যন্ত ১১ জন মারা গেছে এবং ১১ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।’
গ্যাসের ধরন ও উৎস সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। এনডিআরএফ বিষয়টি তদন্ত করবে। এখন অগ্রাধিকার হচ্ছে এলাকাটি দ্রুত খালি করা। কারণ এলাকাটি বেশ ঘনবসতিপূর্ণ।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, লুধিয়ানার গিয়াসপুরা এলাকায় একটি কারখানায় গ্যাস লিক হয়ে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক।
সূত্র : এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
সব দিক থেকে আক্রমণ শুরু করেছে দখল ইসলাইলি বাহিনী। গাজার মানুষ পালানোর সুযোগ পাচ্ছে না। পথে পথে লাশ আর লাশ। লাশ দাফনের সুযোগ পাচ্ছে না। টানা বিমান, স্থল হামলায় বিধ্বত গাজা। নগরী বলতে আর কিছু অবশিষ্ট রইলো না। সব খানে মৃত মানুষের মরদেহ। কোনো এলাকায় পচে গন্ধ ছড়াচ্ছে। অন্য এমন হয়েছে যে একই পরিবারে সবাই বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। এমন অন্তন ২৫ টি পরিবারে রয়েছে যাচ্ছে পরিবারের আর কেউ বেঁচে নেই। কিন্তু এত বর্বরতার পর থামছে না হামলা।
এদিকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এ যেন মৃত্যু আর আতঙ্কের উপত্যকা। আকাশে যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দ। চারদিকে বিধ্বস্ত ভবনের ইট-পাথর। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ২৪ ঘন্টায় ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,২২৮ জনে। এমন তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭২৪ শিশুসহ অন্তত ২,২২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৯ হাজার মানুষ।
চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতির কারণে গাজার হাসপাতালগুলো ‘কবরস্থানে’ পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবিক সহায়তা সংস্থা রেড ক্রস।
জ্বালানির অভাবে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেছে। জেনারেটর দিয়ে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ স্থানে জেনারেটরের জ্বালানীও ফুরিয়ে গেছে।
ইসরায়েলের দাবি, গত ৭ অক্টোবর থেকে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) পর্যন্ত তারা গাজায় চার হাজার টন ওজনের অন্তত ছয় হাজার বোমা হামলা চালিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪০০ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি ইসরায়েলি।
গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলের ওপর সবচেয়ে বড় হামলা চালায়। ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫ হাজারেরও বেশি রকেট হামলা করে সংগঠনটি। এ রকেট হামলার ৫ ঘণ্টা পর জনগণের উদ্দেশে দেয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধের ঘোষণা দেন।
জাতিসংঘ বলছে, সাম্প্রতিক সময়ের এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সংস্থাটির মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় (ইউএনওসিএ) জানিয়েছে, গাজায় বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃহস্পতিবার আরও ৮৪ হাজার ৪৪৪ জন বেড়েছে। ফলে বর্তমানে এই সংখ্যা ৪ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৮ এ পৌঁছেছে।
ইসরায়েল-হামাসের চলমান যুদ্ধে গাজার শরণার্থী শিবিরগুলোতে সংকট বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় উদ্বাস্তুদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার সহায়তা চেয়েছে ফিলিস্তিনের শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত জাতিসংঘভিত্তিক সংস্থা ইউনাইটেড নেশন্স রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইনি রেফিউজি ইন দ্য নেয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ)। সূত্র: রয়টার্স
আখাউড়া প্রতিনিধি :
ভারত থেকে ৯৫৮ টন রডের প্রথম চালান আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় নেওয়া হয়েছে। আজ ২৩ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে বাংলাদেশি ট্রাকে করে রডগুলো আগরতলা স্থলবন্দর থেকে খালাস করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টাটা স্টিলের ৯৫৮ টন রড এমভি বোলকার নামের একটি জাহাজে গত ৭ জানুয়ারি কলকাতার হলদিয়া বন্দর থেকে লোড করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় জাহাজটি আশুগঞ্জ বন্দরে এসে নোঙর করে। পরে আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এগুলোর সিঅ্যান্ডএফের দায়িত্বে আছে আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আক্তার হোসেন জানান, আশুগঞ্জ নৌবন্দরে জাহাজ থেকে ট্রাকযোগে আখাউড়া স্থলবন্দরে আনা হয়। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোমবার দুপুর থেকে রডগুলো ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা বন্দরে খালাস করা হয়।
তিনি বলেন, ত্রিপুরার আগরতলার মেসার্স এসএম করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য রডগুলো নেওয়া হচ্ছে।
আখাউড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম জানান, ইন্দো-বাংলা প্রোটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের আওতায় এ পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে। বন্দরে রক্ষণাবেক্ষণ বন্দর মাশুলবাবদ ৩০৫ টাকা ২২ পয়সা ট্রাকপ্রতি পাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলায় এক হাজারের বেশি ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিক নিহত হয়। আহত হয় আরও অনেকে। ওই ঘটনার পর ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি নাগরিকরা।
জবাবে সেই ৭ অক্টোবর থেকেই গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। সেই যুদ্ধ এখনও চলছেই।
এর মধ্যেই ভয়ঙ্কর ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ইহুদিবাদী ওই ভূখণ্ডে। ইতোমধ্যে দেশটির হাসপাতালগুলোতে কয়েকশ’ মানুষ ছুটে গেছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য।
সেফেডের জিভ মেডিকেল সেন্টারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বুধবার এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে সেফেডের জিভ মেডিকেল সেন্টারে হাসপাতালে ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ভর্তি করা হয়। ওই শিশুর অবস্থা গুরুতর। টাইবেরিয়াসের গাই বিচ ওয়াটার পার্কে সাঁতার কাটতে গিয়েছিল।
এর আগে ২৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মগজ খেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনিও তাইবেরিয়ার গাই বিচ ওয়াটার পার্কে সাঁতার কাটতে গিয়েছিলেন।
এই ঘটনার পর ইসরায়েলি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়াটার পার্কটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরিবেশ স্বাস্থ্যকর্মীরা ইতোমধ্যে ওই ওয়াটার পার্ক পরিদর্শন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। কিন্তু ওয়াটার পার্কের পানিতে ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, টাইবেরিয়াসের গাই বিচ ওয়াটার পার্কে যাওয়া ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গেছেন। পরে জানা গেছে, তারা কেউই ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবায় আক্রান্ত হননি।
নেগেলেরিয়া ফাওলেরি নামে পরিচিত অ্যামিবা হ্রদ, নদী এবং উষ্ণ প্রস্রবণের মাটি এবং উষ্ণ মিষ্টি পানিতে বাস করে। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের তথ্যানুসারে, অ্যামিবাযুক্ত পানি নাকের নাকের ভেতর দিয়ে মস্তিষ্কে সংক্রমণ হয়। এ কারণে এটিকে সাধারণত ‘মগজ খেকো অ্যামিবা’ বলা হয়। এই অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, জিউস নিউজ
অনলাইন ডেস্ক :
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে জাপানের রাজধানী টোকিওতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে আজ ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে দেশটির হানিদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এ সময় জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাকেই শুনসুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে ২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল জাপান সফর করছেন।
মন্ত্রিসভার সদস্য, মন্ত্রিপরিষদসচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মহা-পুলিশ পরিদর্শক এবং কূটনৈতিক কোরের প্রধানরা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
নাসার ডাইভারসিটি, ইকুইটি এবং ইনক্লুশন (ডিইআই) বিভাগের প্রধান, ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীলা রাজেন্দ্রকে বরখাস্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি নির্বাহী আদেশ অনুসারে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এ ধরনের কর্মসূচি ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ছাঁটাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে কর্মীদের এক ই-মেইল পাঠিয়ে জানানো হয়, নীলা রাজেন্দ্র এখন আর জেপিএল-এ কর্মরত নন। আমাদের প্রতিষ্ঠানে তার অবদান ছিল গভীর ও স্থায়ী। আমরা তার ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই। এই বার্তাটি পাঠিয়েছেন জেপিএল-এর পরিচালক লরি লেশিন।
নীলা রাজেন্দ্রের চাকরি হারানোর ঘটনা হঠাৎ শোনালেও এর পেছনে রয়েছে দীর্ঘ টানাপোড়েন। ডিইআই কার্যক্রম বন্ধের অংশ হিসেবে যখন নাসা বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাই শুরু করে, প্রায় ৯০০ জনের চাকরি যায়। কিন্তু নীলার পদটি তখনও অক্ষত ছিল, কারণ তার পদবি বদল করে তাকে রাখা হয়েছিল নতুন একটি বিভাগে, যদিও কাজের ধরন ছিল আগের মতোই। কিন্তু এতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ২০২৪ সালের মার্চে ডিইআই কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় নাসা এবং এবার নীলা রাজেন্দ্রকেও ছাড়তে হলো তার প্রিয় কর্মস্থল।
নির্বাহী আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিইআই প্রোগ্রামগুলো নাকি জাতি, লিঙ্গ ও বর্ণের ভিত্তিতে বিভাজন তৈরি করেছে, করদাতাদের অর্থের অপচয় ঘটিয়েছে এবং লজ্জাজনক বৈষম্যের জন্ম দিয়েছে। সেই ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ফেডারেল সংস্থা থেকে একে একে এমন কর্মসূচি তুলে নেওয়া হচ্ছে।
সূত্র : এনডিটিভি