চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবে গতকাল সোমবার দুপুরে নাতনী জামাই এডঃ রাখেশ চন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দিদি শ্বাশুরীর রাসমনি ভৌমিক ও রসরাজ সরকার । দিদি শ্বাশুড়ি রাসমনি ভৌমিক সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর বড়বাড়ির মৃত পান্ডব ভৌমিকের স্ত্রী। রসরাজ সরকার হলেন রাসমনি ভৌমিকের বড় মেয়ের জামাই।
সংবাদ সম্মেলনে সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর বড়বাড়ির মৃত পান্ডব ভৌমিকের স্ত্রী রাসমনি ভৌমিকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ উত্থাপন করেন তারা।সংবাদ সম্মেলনে দিদি শ্বাশুরীর রাসমনি ভৌমিক দাবি করেন, তার স্বামীকে পৈত্রিক জমি জমা দুই পরিবারের মধ্যে সম বন্টন করে মারা গেছেন।
দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে হরলালের কন্যা মুকুল রানী সরকারকে স্বামী এডঃ রাখেশ চন্দ্র সরকার আমার সমস্ত সম্পত্তি জবর দখল করে আমাকে ও আমার পরিবারের সকলকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। সংবাদ সম্মেলনে রাসমনি ভৌমিক আরো বলেন, আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আমি আমার মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে রসরাজ সরকার জানান, এ সম্পত্তি আমার শ্বাশুরী তার পাপ্যমালিকানা সম্পত্তি পাওয়ার অব এটর্নির মাধ্যমে এফিডেভিট করিয়া আমাকে মালিকানা প্রদান করেছেন। আমার শ্বাশুড়ীর উপর জুলুম অত্যাচার চালাইতে থাকে।
এমনকি জজকোর্টে আমাকে সে নিজে মারধর করেছে। রাখেশ চন্দ্র সরকার নাসিরনগর উপজেলার কয়েরপুর গ্রামের মৃত অমৃত লাল সরকারের ছেলে এবং তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য। রাসমনি ভৌমিক ও মেয়ের জামাই রসরাজ সরকরের নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে বাড়িছাড়া করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সম্পত্তি লোভে নাতনী জামাই অ্যাডঃ রাখেশ চন্দ্র সরকারের অত্যাচার ও মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে রাসমনি ভৌমিক ও রসরাজ অত্যাচার- নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে রসরাজ সরকার লেখিত বক্তব্য পাঠ করেন। বক্তব্য রাখেন, রাসমনি ভৌমিক ও আষিশ সরকার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে জাতীয় পার্টির সরাইল উপজেলা শাখার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে সরাইলের সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়াম হলরুমে এ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির ১০১ জন সদস্য করে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এতে সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ুন কবিরকে সভাপতি ও হাফেজ আলী নেওয়াজকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও জাতীয় পার্টির নেতা আবু হানিফের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এর সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
এ কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির পার্টির আহবায়ক শাহ জামাল রানা, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হেলাল, জেলা জাতীয় পার্টি যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ, উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলুল হক মৃধা।
বক্তব্য রাখেন- উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আলী নেওয়াজ, সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলু মিয়া, শাহবাজপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মেরাজ মিয়া, কালিকচ্ছ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি ছায়েদ হোসেন, উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ মিয়া, উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির নেতা দুলাল বক্স, উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সহ-সভাপতি দুলাল চন্দ্র সূত্রধর, সরাইল সদর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ফরিদ মিয়া, সরাইল উপজেলা জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি শিরিন আক্তার, অরুয়াইল ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ, চুন্টা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির নেতা মো. বিল্লাল মিয়া, অরুয়াইল ইউনিয়ন জাতীয় যুব সংহতি সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন, পানিশ্বর ইউনিয়ন যুবসংহতির নেতা মো. কামাল হোসেন, পাকশিমুল ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল মোস্তফা, কালিকচ্ছ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবুল ফাতাহ মোহাম্মদ মাসুক, জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের যুগ্ম আহবায়ক হোসাইন মোহম্মদ আজাদ, উপজেলা ছাত্র সমাজের আহবায়ক হোসাইন আহমদ শাওন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ৭ বছরের শালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ভগ্নিপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ২ জুলাই রবিবার দুপুরে উপজেলার শাহবাজপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতের নজরুল মিয়া (২৩)। তিনি সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার মোঃ নূরুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন বলেন, গত ২৫ জুন বিকেলে ৭ বছরের ওই শিশু তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়।
পরদিন ২৬ জুন বেলা ১১টার দিকে ভগ্নিপতি নজরুল মিয়া শিশু শালিকাকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। পরে তার চিৎকার শুনে বোনসহ বাড়ির লোকজন এগিয়ে এলে নজরুল মিয়া পালিয়ে যায়।
পরে বাড়ির লোকজন শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করে।
এ ঘটনায় শিশুর পিতা বাদি হয়ে জামাতার বিরুদ্ধে সরাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দুপুরে পুলিশ নজরুলকে গ্রেফতার করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে মার্কেট নির্মাণ ও বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে বারিউড়া গ্রামবাসীর লোকজন জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।
এদিকে বিষয়টির তদন্তে গিয়ে সরকারি জায়গায় স্থাপনা থাকার বিষয়টি ধরা পড়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তার নজরে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ বিগত কয়েক বছর ধরে তার পুলিশ অফিসার ছেলে ও নিজের প্রভাব খাটিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা বারিউড়া মৌজায় এস এ দাগ নাম্বার ১৭২এর বেশ কিছু অংশ জোরপূর্বক দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে রেখেছে। এছাড়া অনেকের কাছে দোকানের পজিশন বিক্রি করেছে। তার এই অবৈধ জায়গা দখলের কারণে ওই মহাসড়কের মধ্য দিয়ে বারিউড়া গ্রামে চলাচলকারী ভোক্তা, ক্রেতা ও জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। এমনকি বাসস্ট্যান্ডের জায়গা দখল করায় লোকাল বাস ও দূরপাল্লার বাস নির্দিষ্ট স্থানে না থেমে বাজারের মাঝখানে থামতে হচ্ছে। যার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রী ও জনসাধারণ।
এ অবস্থায় জনস্বার্থে মহাসড়ক ও এর আশেপাশের জায়গা দখলমুক্ত করতে মনসুর চেয়ারম্যানের দখল করা মার্কেট ও দোকানপাট উচ্ছেদের জন্য গ্রামবাসী প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
এ বিষয়ে গ্রামবাসীরা জানান, ছোটবেলায় আমরা দেখেছি এখনে একটা ব্রিজ ছিল। ব্রিজের নিচ দিয়ে পণ্যবাহী নৌকা চলাচল করত। রাস্তার কাজ করতে গিয়ে ব্রিজের নিচের অংশ বন্ধ হয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যান এই সরকারি জায়গা দখল করে এখানে মার্কেট নির্মাণ করেন। দখল করা মার্কেটের বিভিন্ন দোকানের পজিশন বিক্রি করেছেন তার কাছের আত্মীয় স্বজনের কাছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ বলেন, আমি কোনো সরকারি জায়গা দখল করি নাই। গ্রামের কিছু লোকজন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমাকে হেও করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছে।
ছেলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সে ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার ছেলে এ বিষয়ে কোনো জায়গায় কোনো ফোন করেনি। তার বিষয়ে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা মিথ্যা। সে তার কর্মস্থলে চাকরি করছে।
এদিকে, শনিবার দুপুরে দখল করা জায়গা পরিদর্শন করতে যান উপজেলা কৃষি অফিসার মো. একরাম হোসেন। এ সময় তিনি সরকারি জায়গায় স্থাপনা থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখলের যে অভিযোগটি উঠেছে আমরা সে বিষয়টি তদন্ত করতে এসেছি। তদন্ত কাজ চলমান। জায়গার পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রশাসন ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে তদন্তের প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে রাফি নামে এক পাঁচ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৬ জুলাই মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত পাঁচ বছরের শিশু সাফি উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামের প্রবাসী ফয়েজ মিয়া ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মা ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সে বাইরে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মা। কোথাও না পেয়ে পরে স্থানীয়রা বাড়ির পাশে খালের পানিতে ভাসতে দেখেন শিশু রাফিকে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ এমরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।